ফরিদপুর প্রতিনিধি: এক চোরকে ধরে বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী। গরু চুরি করার সময় ধরা পড়লে স্থানীয়রা তাকে উত্তম মধ্যম দেয়। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওই চোর ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়। এর পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে চোর নয়, এলাকাবাসীই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।এলাকাবাসী জানায়, চিলারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মাজেদ ফকিরের বাড়িতে গত ১২ জুন বুধবার রাত দেড়টার দিকে গরুর ঘরের তালা ভাঙার শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠে বাড়ির লোক। তখন সবাই চিৎকার করে চোরের পিছনে ধাওয়া করে। চোর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও কিছু দূর গিয়েই ধরা পড়ে। ধরা পড়ার পর দেখা যায়, সে এলাকার স্থানীয় চোর, দেলোয়ার ওরফে দেলু চোর।হাতেনাতে ধরার পড়ার পর চোরকে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় জনগণ। সেখানে চোরের সহযোগী হিসেবে উপস্থিত থেকে কেউ ভিডিও ধারণ করে চোরের বউকে জানায়। জানতে পেরে স্বামীকে গণপিটুনি থেকে রক্ষা করতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশ দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে চোর দেলোয়ার ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত গ্রামবাসীদের নামে মামলা দায়ের করে।একদিকে ওই চোরের উৎপাত, তার উপরে মামলায় গ্রেফতার হওয়ার ভয়। এই ভয়ে রীতিমত অতিষ্ট কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের মানুষ। চোরের হাত থেকে মুক্তি পেতে ও চোরের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা।২২ জুন শনিবার ইউনিয়নের ময়নার মোড়ে এই মানববন্ধনে কয়েকশ’ নারী পুরুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে অংশ নেয়া স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দেলোয়ার ওরফে দেলু এলাকার চিহ্নিত চোর। সে একাধিকবার চুরি করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়েছে। ওর চুরি ধরলে উল্টো হুমকি দেয়, মামলা দেয়। আমরা রাতে ঘুমাতে পারি না, আর এখন গ্রেফতারের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছি না। আমারা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, আমাদের এই চোরের হাত থেকে রক্ষা করেন।স্থানীয়রা আরও জানান, পেশাদার চোর মো. দেলোয়ার খাঁন বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে ধরা পড়ে ও পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। কিন্তু চোর দেলোয়ার জামিনে বাইরে এসে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি এবং উল্টো মামলা করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসে। সাধারণ জনগণ চুরির ভয়ে চোর দেলোয়ারের বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায় না।
১ বছর আগে
মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জোহরা বেগম (৫৫) নামে এক বাক প্রতিবন্ধী নারী নিহত হয়েছেন।২২ জুন শনিবার বিকেলে মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি বাজারের পুরাতন বিজিবি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত জোহরা বেগম(৫৫) গোমতি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পুরাতন বিজিবি ক্যাম্প এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার মেয়ে।স্থানীয়রা জানান, জোহরা বেগম একজন বাক প্রতিবন্ধী নারী, শনিবার বিকেলে রাস্তা পারাপারের সময় হঠাৎ জাহের মিয়ার মোটরসাইকেল এসে তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মোটরসাইকেল চালক জাহের মিয়া (৩০) গোমতি ইউনিয়নের একই ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া এলাকার মৃত ওহাব আলীর ছেলে।এ বিষয়ে গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি আমি কিছুক্ষণ আগে জেনেছি। এ বিষয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই।মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর এ দুর্ঘটনার বিষয়ে অবগত নন বলে জানান। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
১ বছর আগে
শাফি উদ্দিন আহমদ: ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। চলতি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জমা পড়া অভিযোগটি যাচাই করে কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এরমধ্যে বাবা মতিউর রহমানের উদ্দেশ্যে ইফাত তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। প্রথম স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেছেন বাবার এত অপকর্ম নিয়ে কখনো মুখ খুলেননি, তবে কেন তাকে সন্তান হিসাবে অস্বীকার করছেন মতিউর। পরের স্ট্যাটাসে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছেন, যদি তাকে স্বীকৃতি দিয়ে সব স্বীকার করে না নেন তবে মতিউরের সব অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে আসবেন তিনি।দুদক সূত্র জানায়, মতিউরের বিরুদ্ধে আগেও চারবার দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছিল। প্রতিবারই তাকে ‘ক্লিন সার্টিফিকেট’ দেয়া হয়েছে। তবে এবার কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।দুদকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, এবার অভিযোগটি কমিশনের ব্যাংক শাখা থেকে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে মতিউর এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তার বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগে নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্য রয়েছে। বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, জমি, ব্যবসা, শেয়ার ব্যবসা, ব্যাংকে নগদ অর্থ, মেয়াদি আমানতসহ সবকিছুই আছে তার নামে।এদিকে এনবিআর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি সাপ্তাহে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।বাবা মতিউর রহমানের উদ্দেশ্যে ইফাতের ফেসবুকে স্ট্যাটাসমতিউর বর্তমানে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত কয়েক দিনে তার ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১২ লাখ টাকায় কুরবানির ছাগল, ৭০ লাখ টাকায় কয়েকটি গরু কেনার ছবি ও খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।তবে মতিউর বলেছেন, ইফাত তার ছেলে নয়। পরে জানা গেছে ইফাত তার দ্বিতীয় স্ত্রীর একমাত্র সন্তান। এ বিষয়ে পরিবারটির ঘনিষ্ঠজনেরা গণমাধ্যমে বলছেন, ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার কারণে মতিউর রহমান ছেলেকে অস্বীকার করছেন। কারণ হিসেবে জানা যায়, ১২ লাখের ছাগলকে কেন্দ্র করে ভাইরাল হওয়ার পর ইফাতের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপনের নানা বিবরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। সরকারি চাকরজীবী বাবার বেতনের টাকা দিয়ে ছেলে কীভাবে এমন ব্যয়বহুল জীবনযাপন করতে পারে, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ছেলের পরিচয় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় মতিউরের নামে বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ অন্যান্য স্থাবর সম্পদ রয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান। এ দম্পতির মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে।আরও জানা গেছে, মতিউর দুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নামে-বেনামে ঢাকায় বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৪০ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। দুর্নীতি-সংক্রান্ত ঝামেলা এড়ানোর জন্য স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনের নামে সম্পদ রেখেছেন তিনি। বসুন্ধরার ডি ব্লকের ১ নম্বর রোডে পাঁচ কাঠা জমির ওপর সাততলা বাড়ি রয়েছে। এর মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় তিনি থাকেন। বাকি ফ্ল্যাট ভাড়া দেয়া। ময়মনসিংহের ভালুকার প্রায় ৩০০ বিঘা জমির ওপর তার রপ্তানিমুখী জুতার কারখানা রয়েছে। এর নাম গ্লোবাল সুজ। রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় মতিউরের রয়েছে বিপুল সম্পদ, প্লট ও বাগানবাড়ি। জেসিএক্স নামে একটি যৌথ ডেভেলপার কোম্পানি বসুন্ধরায় ১৪তলা বাণিজ্যিক ভবনের নির্মাণকাজ করছে। এতে তার মালিকানা রয়েছে। গাজীপুর সদরের খিলগাঁও মৌজায় বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে তার।রাজধানীর অদূরে সাভার থানার বিরুলিয়া মৌজায় আটটি খতিয়ানে ৬০ শতাংশ এবং একই মৌজায় স্ত্রীর নামে ১৪.০৩ শতাংশ জমি রয়েছে। গ্লোবাল সুজ কোম্পানির নামে সাতটি খতিয়ানে ৬০ শতাংশ জমি রয়েছে। এর মূল্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা। এছাড়া তাদের নামে বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে কয়েকটি।দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব খোরশেদা ইয়াসীন এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, অনুসন্ধান শুরু হলে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে। অনুসন্ধান কর্মকর্তা দেখবেন তার আয়ের উৎস বৈধ কি না, কিংবা আয়ের সাথে তার এবং পরিবারের অর্জিত সম্পদের সামঞ্জস্যতা আছে কি না। দুদকের হাতে আসা অভিযোগ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসা সম্পদের তথ্যের বাইরে আর কোনও সম্পদ থাকলে সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
১ বছর আগে
বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাটে যাত্রীবাহী বাসের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন।খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের মহাদেবের দোকান নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।পুলিশ জানায়, ২২ জুন শনিবার সকাল ৯টার দিকে পটুয়াখালী থেকে মটরসাইকেল যোগে তিন আরোহী যশোর গদখালী এলাকায় যাচ্ছিলেন। ফকিরহাট উপজেলার মাহদেবের দোকান নামক স্থালে এসে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে বাগেরহাটগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে মোটরসাইকেল চালক খলিলুর রহমান (৪৫) এবং তার এক বছরের শিশুপুত্র ঘটনাস্থলে নিহত হন। এসময় নিহত খলিলুর রহমানের স্ত্রী মিনু বেগম (৩৫) গুরুতর আহত হন। তিনি আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানান।খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাসের সাথে মোটরসাইকেলে সংঘর্ষে বাবা ও ছেলে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
১ বছর আগে