অজন্তা রেজওয়ানা মির্জা, একজন কনটেন্ট রাইটার, প্রশিক্ষক ও সফল উদ্যোক্তা। ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক ও দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে শতভাগ সফলতার সাথে কাজ করছেন। নিজে কাজ করার পাশাপাশি ‘কনটেন্ট রাইটিং উইথ অজন্তা’র মাধ্যমে অন্যদেরকেও প্রশিক্ষণ দিয়ে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে তৈরি করছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন (বেসিস) থেকে ফিমেল ক্যাটাগরিতে আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তাঁর সফল হয়ে ওঠার নানা গল্প নিয়ে এশিয়ান টিভি অনলাইনের সাথে কথা হয় এই নারী উদ্যোক্তার। আলাপচারিতায় ছিলেন নুরুল ইসলাম।প্রশ্ন: কখন ও কীভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার পথ চলা শুরু হলো?রেজওয়ানা মির্জা: আন্তর্জাতিক ও দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার পর খেয়াল করলাম যে, আমাদের দেশেও ভালো কনটেন্ট রাইটারদের জন্য সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই আমাকে নক দিয়ে রাইটার খোঁজ করে, কিন্তু খুঁজে পায় না। অন্যদিকে দেশে প্রচুর পরিমাণে ভালো রাইটার আছে, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। তারা চাইলেই দিনের ২/৩ ঘণ্টা সময় বের করে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে পার্টটাইম কাজ খুঁজতে পারে। সেটা তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অনেক উপকার হবে। এই চিন্তা থেকেই আসলে কনটেন্ট রাইটিং উইথ অজন্তা (Content Writing with Azanta) শুরু করা।প্রশ্ন: অনুপ্রেরণা কোথায় কীভাবে পেয়েছিলেন?রেজওয়ানা মির্জা: ২০১৫ সালে বেসিসের অ্যাওয়ার্ডটা পাওয়ার পর থেকেই আমাদের নিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ বা প্রচার শুরু হয়। তখন থেকেই আসলে বাংলাদেশে ‘ফ্রিল্যান্সিং’ শব্দটা জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে। প্রচুর পরিমাণে মানুষ, বিশেষ করে মেয়েরা আমাকে ফেসবুকে ও ফোনে নক দিতে শুরু করেন। তাদের অনেকেই বিভিন্ন কারণে চাকরি করতে পারছেন না, অথবা বাসায় ছোট বাচ্চা বা সংসারের কারণে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়েছে। তারা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এবং কনটেন্ট রাইটিংয়ে আগ্রহী ছিলেন। এমনকি আমার স্কুল কলেজের অনেক ফ্রেন্ডও আমাকে নক দিয়ে জিজ্ঞেস করতো যে, তারা বাসায় বসে কিছু কাজ করতে পারবে কি না। তারা সবাই আমার অনুপ্রেরণা। এইসব নারীদের জন্য কিছু করার কথা আমি অনেক দিন ধরেই চিন্তা করছিলাম।প্রশ্ন: এ পথ চলার গল্পটা বলুন।রেজওয়ানা মির্জা: অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছিলাম বছরে অন্তত ১০ জন নারীকে যেন আমি কনটেন্ট রাইটিং শিখিয়ে পার্টটাইম বা ফুল্টাইম কাজ জোগাড় করে দিতে পারি। কিন্তু ব্যাপারটার আনুষ্ঠানিক রূপ পায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে। তখন আমি প্রথমবারের মতো কনটেন্ট রাইটিং উইথ অজন্তা’র ব্যানারে আমার ট্রেইনিং সেন্টারটা শুরু করি। শুধু মেয়েরা না, আমার অনলাইন ট্রেইনিংয়ে ছেলেরাও ভর্তি হয়। প্রথম যখন শুরু করি তখন মাত্র ৩ জন ভর্তি হয়েছিলো। সে সময় আমি জুম ক্লাসে টানা কথা বলে গিয়েছি। আস্তে আস্তে ৭ জন, ১০ জন করে এখন প্রতি ব্যাচে ৬০ থেকে ৭০ জন করে ভর্তি হয়।আমি ১০ দিনের একটা সেশন নেই প্রতি মাসে। এই ১০টা ক্লাসে কনটেন্ট রাইটিংয়ের পুরো ধারণা দিয়ে দেয়া হয়। শুধু এখানেই শেষ না, প্রতিটা স্টুডেন্টকে আমি পার্সোনালি গাইড করি, তাদের লেখা দেখে আমার মতামত জানাই। তাদের প্রমোট করি এবং ক্লায়েন্টদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। শুধুমাত্র একবার ভর্তি হয়ে প্রতিটি স্টুডেন্ট আমার কাছ থেকে পার্মানেন্ট সাপোর্ট পায়।প্রশ্ন: কী কী প্রতিবন্ধকতা ছিলো সেখানে?রেজওয়ানা মির্জা: প্রথমত, কনটেন্ট রাইটিং কী এটা অনেকেই বুঝতো না। ‘ফ্রিল্যান্সিং’ শব্দটা আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয়, কিন্তু আয় করতে গেলে যে কোনো একটা কাজ শিখে আসতে হবে, সেটা অনেকেই জানতো না। হাজার হাজার মানুষ প্রশ্ন করতো, কনটেন্ট রাইটিং মানে কী এবং তাদের সেটা বোঝাতে হতো।আমার কোর্সে আমি সবাইকে ভর্তি করি না। যারা শর্টকাটে আয় করতে চায় বা কিছু না শিখেই আয় করতে চায়, তাদের জন্য আমার কোর্স না। আমি শুধুমাত্র তাদেরকেই শিখাই যারা আসলেই লেখালেখি করতে ভালবাসে, আর এই কাজে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চায়।তাছাড়া, আমি যখন এই কোর্সটা শুরু করি, তখনই এআই (AI) বা চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) চলে আসে। তাই অনেকেই মনে করে যে, এখন থেকে আর কনটেন্ট রাইটিংয়ের জন্য মানুষের দরকার পড়বে না। কিন্তু এটা ঠিক না। এআই বা চ্যাটজিপিটি কখনোই একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের জায়গা নিতে পারবে না। এটা মানুষকে বোঝাতে আমার অনেক সময় লেগেছে।প্রশ্ন: স্বপ্ন বা ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বলুন।রেজওয়ানা মির্জা: আমার সামনের পরিকল্পনা হচ্ছে, আমি বাংলাদেশকে অন্তত ৫০০ খুব উন্নত মানের কনটেন্ট রাইটার উপহার দিবো। আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ খুবই ভালো লেখে, কিন্তু তারা কনটেন্ট রাইটিংয়ের নিয়মগুলো জানে না। তারা জানে না কীভাবে কাজ পেতে হয়, কোথায়, কীভাবে খুঁজতে হয়। তাদেরকে ঠিক গাইডলাইন দেয়াই আমার পরিকল্পনা।অন্যদিকে, আমাদের ই-কমার্স, ব্লগিং আর লোকাল কোম্পানিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কনটেন্ট রাইটার লাগে, আর তাদের খুঁজে আনতে হয় বাইরে থেকে। অথচ, দেশের ভেতর লেখকরা কাজ পাচ্ছে না। যেহেতু আমি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কনটেন্ট রাইটিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে জড়িত, আমি বহু মানুষের সঙ্গে পরিচিত। তারা প্রায়ই কনটেন্ট রাইটার খুঁজেন এবং তাদের জন্যে কনটেন্ট রাইটার তৈরি করে দেয়াই আমার প্ল্যান।প্রশ্ন: নতুনদের উঠে আসার ব্যাপারে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়ার আছে বলে মনে করেন?রেজওয়ানা মির্জা: রাষ্ট্র প্রতিটা পদক্ষেপেই আমাদের সাথে আছে। যখন ফ্রিল্যান্সিং করতাম, ইন্টারনেট সুবিধা, বাইরে থেকে টাকা আনার সুবিধা, সব পেয়েছি। এখনও আমি আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর করে আমার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া, রাষ্ট্র চায়, আমাদের নারীরা ঘরে বসে না থেকে স্বাবলম্বী হোক, ছেলেরাও বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাক। তাই, আমি মনে করি, রাষ্ট্রের কাছ থেকে সুযোগ ও অনুপ্রেরণা দুটি আমি পাচ্ছি।প্রশ্ন: তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ। রেজওয়ানা মির্জা: আমাদের তরুণরা অনেক দক্ষ এবং কর্মঠ। কিন্তু তারা হয়তো সঠিক গাইডলাইনটা পাচ্ছে না বা জানে না, কোথা থেকে সেটা পাবে। আমি হয়তো তাদের অন্যকিছুতে সাহায্য করতে না পারলেও যারা যারা কনটেন্ট রাইটিং শিখতে চায় এবং এই দক্ষতায় ক্যারিয়ার তৈরি করতে চায়, তাদের জন্য আমি আমার ১০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে তৈরি আছি।
১ বছর আগে
খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে খোকসা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম শিমুলিয়া। নিজেদের অসাধারণ কার্যক্রমের কারণে গ্রামটি পৃথিবীজুড়ে পরিচিতি পেয়েছে ‘ইউটিউব ভিলেজ’ নামে।২০১৬ সালের জুন মাসে শিমুলিয়া গ্রামের প্রকৌশলী লিটন খান ও স্থানীয় স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন যৌথভাবে ‘অ্যারাউন্ড মি বিডি’ নামে একটি ইউটিউবের জন্য ভিডিও বানানো শুরু করেন। নিজেদের গ্রামকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী রান্না করে বিনামূল্যে গ্রামবাসীর মধ্যে বিতরণ করছে এই ইউটিউব চ্যানেল। প্রথম দিকে রান্না খুব একটা সাদামাটা হলেও এখন যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। এতে প্রতি বছর আয় হচ্ছে অন্তত: ৬০ লাখ টাকা। কর্মসংস্থান হয়েছে শতাধিক মানুষের। উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশীয় খাবারের ঐতিহ্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতেই এমন আয়োজন।এক এক দিন এক এক রান্নার আয়োজন থাকে এখানে। সেই খাবার বিনামূল্যে দেয়া হয় গ্রামবাসীকে। আর রান্নার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিও চিত্রে তুলে ধরা হয় শৈল্পিকভাবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন চলে এই মহাযজ্ঞ।এরই মধ্যে শিমুলিয়া গ্রামের গল্প ছড়িয়ে পরেছে আশ-পাশের জেলায়। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ দেখতে ছুটে আসছেন অনেকেই। তাদের জন্য ৪০ বিঘা জমিতে নির্মিত হয়েছে মনোমুগ্ধকর ইউটিউব পার্ক।স্কুল শিক্ষক ও উদ্যোক্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় ৭ বছর আগে গ্রামীণ সব কৃষ্টি-কালচার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে তুলে যায় কিনা, তা নিয়ে আমি আর আমার ভাগ্নে লিটন খান আলোচনা করি। পরে আমরা চিন্তা করি, গ্রামের মানুষদের নিয়ে খাবার রান্না করে ভিডিও করব। সেসব খাবার গ্রামবাসীকে খাওয়ানো হবে। পরে আমরা আস্তে আস্তে সে কার্যক্রম শুরু করি। ‘অ্যারাউন্ড মি বিডি’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে আমরা সেখানে রান্নার ভিডিও করে আপলোড শুরু করি। তারপর আর আমাদের ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন আমাদের পাঁচটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সাবস্ক্রাইব প্রায় ৬৮ লাখ।তিনি আরও বলেন, এক একটি চ্যানেলে এক এক ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সবগুলোই আমাদের গ্রাম নির্ভর। শুরুর দিকে আমাদের এ কাজ অনেকেই বাঁকা চোখে দেখতেন, নানা কথা বলতেন। তবে এখন গ্রামবাসী আমাদের উৎসাহ দেন। আমরা সবাই মিলেমিশে আনন্দ করে কাজ করি।গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নত হয়েছে এ গ্রাম। ইউটিউব চ্যানেল ‘অ্যারাউন্ড মি বিডি’র দৌলতে প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি গ্রামের মানুষ হরেক রকমের সুস্বাদু আইটেমের খাবার খেতে পারেন।
১ বছর আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্রিল্যান্সারদের উৎসে কর দিতে হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, ফ্রিল্যান্সারদের কোন উৎসে কর দিতে হবে না। একটি চক্র এ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিএফএস ক্লাউড এবং সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে নলেজ শেয়ারিং অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ফ্রিল্যান্সররা ৪ শতাংশ ইনটেনসিভ পান। এছাড়া, দেশে উৎপাদিত ডেটা সংরক্ষণ দেশেই করতে পারলে বিলিয়ন ডলার ব্যবসার সুযোগ রয়েছে।কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার, আদালত, স্বাস্থ্যসহ স্পর্শকাতর ডেটা দেশের মাটিতে সংরক্ষণ করতে ক্লাউড স্টোরেজের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।এসময় বক্তারা জানান, দেশের ক্লাউড স্টোরেজ কোম্পানি থেকে বর্তমানে ৮টি ব্যাংক সেবা নিচ্ছে। এ ব্যবস্থা উন্নত করতে নিরাপত্তা, বিশ্বস্ততা, ব্যবসার ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।বক্তারা অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে শতকোটি টাকা পাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক ও টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে একযোগে কাজ করতে আহ্বান জানান।
১ বছর আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৫ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে ‘অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস স্টার্টআপ ডে’। দিনব্যাপী এ প্রোগ্রামে হাতে-কলমে শিখিয়ে দেয়া হবে আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস) প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কিভাবে একটি স্টার্টআপ ডিজাইন থেকে শুরু করে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে রুপান্তর করা যায়।দিনব্যাপী এই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টটি বাংলাদেশের ছাত্র, স্টার্টআপ এবং উদ্যোক্তাদের জন্য, যারা পরবর্তী বিলিয়ন-ডলারের কোম্পানি গড়তে আগ্রহী।এটি উদ্ভাবন এবং সহযোগিতার একটি যাত্রা, যা অগ্রগামী কোম্পানিগুলির পরবর্তী প্রজন্মকে গঠন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। দিনব্যাপী নিবিড় কর্মশালার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ক্লাউড-নেটিভ অ্যাপ্লিকেশন, পরিষেবা হিসাবে সফটওয়্যার, বিশ্লেষণ এবং মেশিন লার্নিংয়ের জন্য অ্যামাজন প্ল্যাটফর্মের সম্ভাব্যতাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করবে।৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল টাওয়ারের মিলনায়তনে আয়োজিত এক ‘মিট দ্য প্রেস’ প্রোগ্রামে এসব তথ্য জানানো হয়।প্রোগ্রামে সাংবাদিক ও মিডিয়া প্রতিনিধিদের ইভেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের লিডার, সলিউশন আর্কিটেকচার ও স্টার্টআপস মোহাম্মদ মাহদী-উজ জামান, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উর্ধ্বতন সহকারি পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আনোয়ার হাবিব কাজল এবং বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন।ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ), নলেজভেলি এবং বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল যৌথভাবে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস) এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে এই প্রথম এই ধরনের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। দিনব্যাপী এই ইভেন্টের লক্ষ্য হল অংশগ্রহণকারীদের হ্যান্ডস-অন ওয়ার্কশপ, পরবর্তী প্রজন্মের ইউনিকর্ন স্টার্টআপ তৈরির বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি এবং অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস) থেকে আগত আন্তর্জাতিক ও স্থানীয়ভাবে স্বীকৃত পেশাদার/প্রশিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন সেশনের মাধ্যমে ক্যারিয়ার প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানার সুযোগ প্রদান করা।মিট দ্য প্রেস প্রোগ্রামে আরও জানানো হয়, স্টার্টআপ ডে’তে আরও থাকছে- প্রতিটি কোয়ালিফাইড স্টার্টআপের জন্য এক মিলিয়নের বেশি টাকার সুবিধা, হ্যান্ডস-অন-ওয়ার্কশপ ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মেন্টরশিপ, ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের সাথে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ, অ্যাপ্লিকেশন বিল্ডিংয়ের জন্য ১০ হাজার ডলার এডব্লিউএস ক্রেডিট, ফান্ডিং, কো-ওয়ার্কিং স্পেস ও ইনকিউবেশন সাপোর্ট, এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স এবং সার্টিফিকেশনসহ ডেডিকেটেড এডব্লিউএস সার্ভিসেস।এই ইভেন্টে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো- দেশি, বিদেশি এবং এডব্লিউএস থেকে আগত ১০ জনের অধিক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্পিকার এবং প্রশিক্ষক যারা হ্যান্ডস ওন ওয়ার্কশপগুলো পরিচালনা করবেন। এছাড়াও, প্রতিটা হ্যান্ডস অন ওয়ার্কশপের উপর ভিত্তি করে সকল অংশগ্রহণকারী একটি করে প্রেজেন্টেশন প্রেজেন্ট করবেন, যেখান থেকে বিচারকদের রায়ের উপর ভিত্তি করে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে এবং বিজয়ীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। তাছাড়া ভবিষ্যতে এখান থেকে সফল হওয়া স্টার্টআপদের প্রকল্পগুলিতে অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল।স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে পারবে। রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ হচ্ছে ১৫ সেপ্টেম্বর। উদ্যোক্তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ২৫০০ টাকা এবং স্টুডেন্টদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০০ টাকা।রেজিস্ট্রেশন লিঙ্ক: https://aws.knowledgevale.com
১ বছর আগে