নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর ফের দিল্লিতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।২১ জুন শুক্রবার দুপুর ২টা ৮ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীরা। আর ভারতে নতুন সরকার গঠনের পর দেশটিতে এটিই প্রথম কোনো বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর।আজ ২২ জুন শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।পরে মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এরপর হায়দ্রাবাদ হাউসে যাবেন তিনি। এ সময় উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের বিবৃতি দেবেন।শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।এরপর সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন। রাত ৯টায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের জন্মদিনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের চলার পথে প্রধান বাধা বর্ণচোরা বিএনপি। এ অপশক্তিকে প্রতিহত করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।২৩ জুন রোববার আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ বিরোধীরা এক ও অভিন্ন শত্রু বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়। আজ আমাদের অঙ্গীকার ও আমাদের আজ দৃঢ় শপথ এ অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে।আমরা আমাদের বিজয়কে সুসংহত করবো। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করবো। এটাই আজকের দিনের শপথ। এ দিনে দেশকে নতুন ও সুন্দর করে নির্মাণের প্রত্যয় হোক সকলের।এর আগের সকাল ৭টায় আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এ রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ হলেও পরবর্তীতে ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়।১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে।বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এই দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা।
বাগেরহাট (পশ্চিম) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাটে পরিবহনের ধাক্কায় সৈয়দমহল্লা খোদেজা খাতুন সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিহত হয়েছেন। ২৩ জুন রোববার বেলা ১১টার দিকে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার আট্টাকী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত শেখ জামির আলী (৫০) উপজেলার আট্টাকী গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে জামির আলী ফকিরহাট আরা পাম্প থেকে তেল নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পাম্প থেকে বের হলে খুলনাগামী গ্রীন লাইন নামে একটি পরিবহন তাকে সাজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরত্বর আহত হন।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পরিরবহনটি পালিয়ে যায়।ফকিরহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. মনিরুজ্জামান জানান, ওই ব্যক্তি পাম্প থেকে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখাইে তার মৃত্যু হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা: নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৩ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, বাংলা কনসার্ট, কেক কাটা, মেডিক্যাল ক্যাম্প চক্ষু শিবির ও রক্তদান কর্মসূচি।২৩ জুন রোববার সকালে শহরের ছোটবাজারের কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে হতে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: এশিয়ান টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান রিজুর ওপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে খোকসায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।২৩ জুন রোববার বেলা ১১টায় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা খোকসা বাসস্ট্যান্ডে ঘন্টাব্যাপি এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।মানববন্ধন কর্মসূচিতে এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি পুলক সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মাই টিভি প্রতিনিধি লিপু খন্দকার, নয়া দিগন্ত পত্রিকার সোহাগ মাহমুদ, বিজয় টিভির তানভীর লিটন, কালবেলা প্রতিনিধি মনোয়ার হোসেন, স্বাধীন সংবাদের জাহাঙ্গীর আলম রানা, জাগরণী টিভির শামীম হাসান খাঁনসহ অনেকেই।ভোরের কাগজের প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম প্রবীনের সঞ্চালনায় নিউজ টুয়েন্টি ওয়ানের নোবাজ্জেল হোসেন, বাংলা বায়ান্নর নাহিদুজ্জামান শয়ন, আমার সংবাদ পত্রিকার মিলন হোসেন, চ্যানেল এস'র মোকাররম হোসেন সাবু, জবাবদিহি পত্রিকার নাজমুল হাসান, মোমিন হোসেন ডালিম, সাংবাদিক চিতা বিশ্বাসসহ সর্বস্তরের গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।মানববন্ধনে বক্তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তারা।উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন কটূক্তি করলে এই নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ এবং পূর্ব বিরোধের জেরে হাসিবুর রহমান রিজুর ওপর এ হামলা চালানো হয়। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে হাসিবুর রহমান রিজু সভাপতি সম্ভাব্য প্রার্থী হন। গত ১৯ জুন বুধবার বিকেলে ওই নির্বাচনের মিটিংয়ে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে হরিপুর বাজারস্থ বিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন। এসময় পথে স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন, মুরাদ ও রাজনের নেতৃত্বে কয়েকজন রিজুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ২০ থেকে ২৫ মিনিট দুই পা, দুই হাত ও মাথায় আঘাত করেন। এ সময় আরও ১৫ থেকে ২০ জন যুবক-কিশোর মারধরকারীদের ঘিরে রাখেন।রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে প্রায় আধঘণ্টা ধরে পড়েছিলেন রিজু। সন্ত্রাসীরা এতই প্রভাবশালী যে বাজারে থাকা লোকজন এগিয়ে আসার সাহস পান না। বর্তমানে আহত সাংবাদিক গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুঃখের বিষয় এ মামলায় এখন পর্যন্ত মূল আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।
নওগাঁ প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের হাত ধরে উন্নয়ন ও অর্জনে বাংলাদেশ আজ অনন্য উচ্চতায় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।২৩ জুন রবিবার সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।এক প্রশ্নের জবাবে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাতে দেশের উত্তরণের ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। রূপপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে পারমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্র। শতভাগ বিদ্যুতায়নের কারণে গ্রামেগঞ্জে উন্নয়ন পৌঁছে গেছে।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন করে ভিশন-২০৪১ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সকল অর্জনের মূলে রয়েছে আওয়ামী লীগের অবদান ।এ সময় নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহনাজ মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স ম জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল ও বিভাস মজুমদার গোপাল উপস্থিত ছিলেন।আনন্দ শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয় ও প্লাটিনাম জুবলি উপলক্ষে কেক কাটা হয়।পরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জুবলি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের সাফল্য ও লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন থামছেই না। এখনো ঈদের আমেজ থাকলেও কমেনি নিত্যপণ্যের দাম। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও মুরগি। প্রধান সবজি আলুর বাজারও চড়া। ২১ জুন শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ-মধুবাগসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।এসব বাজারে ঈদের অনেকটা আমেজ দেখা গেছে। অন্যান্য শুক্রবার সকালে এসব বাজারে ভিড় থাকলেও আজ তেমনটা চোখে পড়েনি। ঈদে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষের একটা অংশ এখনো ঢাকায় না ফেরায় বাজারগুলোতে এখনো ভালোভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি।কারণ হিসেবে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, ঈদের বন্ধের মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ কম। এ কারণে কাঁচা মরিচসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, দেশের মানুষের প্রধান সবজি আলু পাইকারিতে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজও।দাম বাড়ার তালিকায় আছে ব্রয়লার মুরগিও। ঈদের আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৯০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। আজ বিভিন্ন বাজারে তা ১৯০-২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। এছাড়া লেয়ার মুরগি লাল ৩০০-৩২০ দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকার ওপরে।বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকার মতো বেড়েছে। আজ বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা।মুরগির দাম বাড়লেও কমেছে বাদামি ডিমের দাম। ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমেছে ডিমের দাম। কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা।বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। এছাড়া গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, পটল ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০, কাঁচা কলা ৯০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গেল সপ্তাহে ১০-২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।এছাড়াও পাট শাকের আঁটি ১৫-২০, কলমি শাক ১০-১৫, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।মাছের বাজারে দেখা গেছে, ২০০ টাকার নিচে তেমন কোনো মাছ নেই। সাইজভেদে তেলাপিয়া ২০০-২৩০ ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, রফতানির পরিমাণ বাড়াতে আমদানির বিকল্প নেই। যত কম মূল্য সংযোজন হোক, এই ভ্যালু চেইনটা যদি তৈরি করতে পারলেই শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। সেখানে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।বৃহস্পতিবার টিসিবি ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি: বিবর্তন, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পণ্য রপ্তানির চেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কত টাকার পণ্য আমদানি করলাম, কত টাকার পণ্য রপ্তানি করলাম, সেটা বড় কথা নয়। আমরা কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলাম সেটি বড় কথা। আমরা যত বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারব, তত আমাদের মূল্য সংযোজন হবে।তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাত যেসব সুবিধা পাচ্ছে, একইভাবে চামড়া ও পাটশিল্পও যেন সুবিধা পায়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী এবার দায়িত্বের পর এই নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানো এবং চামড়া ও পাটশিল্পকে উন্নত করা গেলে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।আহসানুল ইসলাম বলেন, একাধিক দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ২৬টি দেশের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রচার করা হচ্ছে কিন্তু সেভাবে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। চলতি বছর লজিস্টিক পলিসি চালু করা হয়েছে। এটাকে কীভাবে বৈশ্বিকভাবে লাভবান হওয়া যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, একসময় আমাদের চা ও পাট ছাড়া কোনো রপ্তানিযোগ্য পণ্য ছিল না। সে জায়গা থেকে উত্তরণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের বাণিজ্যের জন্য ইলেকট্রনিকস পণ্য একটি বড় খাত হতে পারে। এটি শুধু অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানিরও একটি বড় সম্ভাবনাময় খাত হতে পারে।বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুব আলম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। এর ওপর আলোচনা করেন বিএফটিআই এর সিইও ড. জাফর উদ্দিন, বিল্ডের সিইও ফৈরদৌস আরা বেগম ও ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল’ গঠন করা, অতিরিক্ত কর বাতিল ও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাহার করাসহ জনবান্ধব বাজেটের দাবিতে মানববন্ধনের করেছে জাগ্রত বাংলাদেশ। ২০২৪-২৫ অর্থবরের বাজেট অর্থনৈতিক বৈষম্য ও কালো টাকার মাফিয়াদের সুবিধা দেওয়ার বাজেট উল্লেখ করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, অবৈধ ভোট চোর সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য এই বাজেট। অবিলম্বে বৈষম্যমূলক বাজেট প্রত্যাহার করে জনগণের জন্য জনবান্ধব বাজেট চাই।এ সময় তারা অর্থনৈতিক কাউন্সিল করে সমগ্র বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্বচ্ছ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি করেন।১১ জুন মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাগ্রত বাংলাদেশ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি করা হয়।মানববন্ধনে জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি আজমুল জিহাদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নূরুল আমিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মামুন, আইন সম্পাদক অ্যাড. এবিএম জোবায়ের, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. হায়দার রবিউল ইসলাম রবি, দফতর সম্পাদক শামসুদ্দিন সামি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের সভাপতি আজমুল জিহাদ বলেন, আমার ইতিহাস, আমার পূর্বপুরুষের ইতিহাস রক্তে লেখা ইতিহাস। ৭১ এ রণাঙ্গনে জীবন দেওয়া ইতিহাস, বৈষম্যহীন দেশ গড়ার জন্য মুক্তির ইতিহাস। আজকে আবার সময় এসেছে সেই পাকিস্তানি দোসরদের অর্থনৈতিক বৈষম্য মোকাবিলা করার।তিনি বলেন, আজকে জেলা ভিত্তিক বৈষম্য, খাত ভিত্তিক বৈষম্য, কালো টাকা সাদা করার নামে দূর্নীতিবাজ, কর খেলাপি, ঋণখেলাপিদের অনৈতিক সুযোগ দিয়ে দেশটাতে দূর্নীতির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ভালো মানুষ দিবে ৩০% কর কিন্তু ঋণখেলাপি দিবে ১৫% কর। এমন বৈষম্য পৃথিবীতে নজিরবিহীন। এমনটা করা হয়েছে শুধু এই অবৈধ ভোট চোর সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য।এ সময় তিনি জনগণের জন্য জনবান্ধব বাজেট করতে হবে এবং অর্থনৈতিক কাউন্সিল করে সমগ্র বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্বচ্ছ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি করেন।সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, সরকার ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট দিয়েছেন, তাতে জনগণের চাওয়া পাওয়ার প্রতিফলন ঘটেনি। এই বাজেট কালোবাজারি, মুনাফাখোর, ঋণ খেলাপীদের পুনরায় লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। শিক্ষাখাতে ক্রমাগত বাজেট কমছে, স্বাস্থখাতের করুণ দশা সাধারণ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় আস্থা হারিয়েছে। জনগণ তাদের আয়ের ৭০ শতাংশ শুধু স্বাস্থ্য সেবায় ব্যয় করছে। তাই আমরা বলতে চাই বাজেট সংশোধন করে জনমুখী বাজেট প্রণয়ন করা হোক।সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মামুন বলেন, এই সরকার যে বাজেট দিয়েছে সেটা ব্যাংক লুটেরাদের বাজেট, টাকা পাচার কারীদের বাজেট, কালো টাকার মাফিয়াদের জন্য বাজেট। কারন এই বাজেটে এই সকল ব্যাংক ডাকাত, লুটেরা ও কালো টাকার মাফিয়াদের সুবিধা দেয়া ছাড়া আর কিছুই নেই।মানববন্ধন থেকে নিন্মলিখিত দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো-ক. সকল ট্রেড ইউনিয়ন এবং কর্ম-পেশার এসোসিয়েশন-এর প্রতিনিধি নিয়ে ৯০০ (নয় শত) সদস্য বিশিষ্ট ‘জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল’ গঠন করতে হবে।খ. ‘জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল’ বার্ষিক বাজেট প্রণয়নে জাতীয় সংসদে সুপারিশ পাঠাবে।গ. জাতীয় পর্যায়ের যে কোন আর্থিক পলিসি বিষয়ে জাতীয় সংসদে সুপারিশ পাঠাতে পারবে।ঘ. যে কোন বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা ও যৌক্তিকতার বিষয় ‘জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল’ এ আলোচনা করতে হবে।ঙ. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কানেকটিভিটি অর্থাৎ ট্রান্সপোর্ট ইকোনমিকে কাজে লাগিয়ে একুশ শতকের উপযোগী করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করল আফগানিস্তান। গুলবাদিন নাইব ও নাভিন উল হকের বোলিং তোপে ২১ রানে হার মানলো অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট শুরু করা অজিরা আফগানদের কাছে হেরে বিপদে পড়ে গেলো। তিন বিভাগেই দারুণ খেলে অজিদের চলতি আসরে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ দিলো রশিদ খানের দল।আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শতাধিক রানের উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তান ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৯.২ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয়।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দারুণ শুরু পায় আফগানিস্তান। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তোলে তারা। এরপর এ টুর্নামেন্টে তৃতীয়বারের মতো পঞ্চাশ রানের বেশি উদ্বোধনী জুটি পায় আফগানিস্তান।সেটিকেও ছাড়িয়ে একশর বেশি রানের জুটি হয় রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরানের মধ্যে। এক টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার এই মাইলফলক ছোয়ার কীর্তি ছিল না আগে, এবার করলেন তারা। এবারের আসরে আর কোনো দলই পায়নি শতরানের উদ্বোধনী জুটি।দুই ব্যাটারই অবশ্য ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি। ইনিংসের ৯৫তম বলে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। স্টয়নিসকে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন ওয়ার্নারের হাতে। ৪৯ বলে ৪টি চার ও সমান ছক্কায় ৬০ রান করেন গুরবাজ।পরের ওভারে এসে অ্যাডাম জাম্পা ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। ওই ওভারের শেষ বলে ফেরেন আরেক ওপেনার ইবরাহিম জাদরানও। ৪৮ বলে ৬ চারে ৫১ রান করেন তিনি।এর মধ্যে এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক তুলে নেন প্যাট কামিন্স। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করেন তিনি। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে আউট হন করিম জানাত ও গুলবাদিন নাঈব। আফগানিস্তানের ইনিংস দেড়শ ছাড়িয়ে না যাওয়ার কৃতিত্ব কামিন্সের।রান তাড়ায় নামা অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই ধাক্কা দেয় আফগানিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় বলে নাভিন উল হক বোল্ড করেন ট্রাভিস হেড, তখনও অবধি কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের উইকেট পান নাভিন।আক্রমণাত্মক হতে চাওয়া মিচেল মার্শকে আউট করেন এবার। ৯ বলে ১২ রান করে মিড অফে দাঁড়ানো মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর উইকেটে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, একপ্রান্তে দলকে আগলে রাখেন তিনি। তবে আরেকদিকে ঠিকই উইকেট তুলে নিতে থাকে আফগানরা।পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ডেভিড ওয়ার্নারকে সাজঘরের পথ দেখান নবী। ৮ বলে ৩ রান করে নূর আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। প্রথম ছয় ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।চতুর্থ উইকেটের জন্য ইনিংসের ১১তম ওভার অবধি অপেক্ষা করতে হয় আফগানিস্তান। মার্কোস স্টয়নিসের সঙ্গে গড়ে উঠতে থাকা ম্যাক্সওয়েলের জুটি এবার ভাঙেন গুলবাদিন নাইব। ১৭ বলে ১১ রান করা স্টয়নিস এবার ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।নাইব নিজের পরের ওভারে ফেরান টিম ডেভিডকে। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় বাধা হয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও।
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকাল মিলিয়ে মোট ২০ দিনের ছুটি চলছে। ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া এই ছুটি আগামী ২ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।১৯ জুন বুধবার ঈদের ছুটি শেষে খুলবে অফিস আদালত। প্রথম কর্মদিবস বা দ্বিতীয় কর্মদিবসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি এক সপ্তাহ কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসন। ছুটি সংক্ষিপ্ত করার পরিকল্পনার কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুক্তি হলো, নতুন কারিকুলামে চলতি বছরের বেশ গ্যাপ রয়েছে। শীত ও অতিগরমের কারণে এবার ১৫ দিনের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সেই ক্ষতি পোষাতে গ্রীষ্মের ছুটি কাটছাঁট করা হতে পারে।জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বলেন, গ্রীষ্মের ছুটি কমানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব রয়েছে। এখন কী করবে, সেই সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।তার বক্তব্য, বাংলাদেশে আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় জুন-জুলাই মাসে অতি গরম থাকে। এই সময় ছুটি দেওয়া না দেওয়া সমান কথা। আমার প্রস্তাব হলো গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে তা শীতের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা।গত বছর শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ২০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ছুটি ছিল। বাতিল করা গ্রীষ্মকালীন ছুটি পরে শীতকালীন ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।
পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবিপি)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছেন।২২ জুন শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিরোজপুরস্থ প্রশাসনিক ভবনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভার শুরুতে বশেমুরবিপ্রবিপি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থিত সংবাদকর্মীদের অবগত করেন। এ সময় সাংবাদিকরা যেকোনো প্রয়োজনে উপাচার্যকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে আরও সবিস্তরে জানতে চাইলে উপাচার্য তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেন। একইসঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য তিনি সকল সংবাদিককে ধন্যবাদ জানান।পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল ইসলাম শামীম, সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহমেদ, প্রেসক্লাবের কার্যনিবাহী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, জেলার সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ এবং অন্যান্য সংবাদকর্মীরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মুছা খান, প্রভাষক সুমাইয়া সুলতানা এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাজমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে এক ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২৫ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।১৭ জুন সোমবার শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন দিকের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।দার্জিলিং পুলিশের অ্যাডিশনার এসপি অভিষেক রায়ের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ২৫ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, এই মাত্র দার্জিলিংয়ের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ি ধাক্কা দিয়েছে শুনেছি। জেলা প্রশাসক, এসপি, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে রেলওয়ে ও এনডিআরএফ (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
জব ডেস্ক: নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদফতর। ১৬তম গ্রেডে স্থায়ী ভিত্তিতে ২০৯ জনকে নিয়োগ দেবে অধিদফতর। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।আবেদনের সময়সীমা: ১২ জুন থেকে ১৮ জুলাই ২০২৪, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস।বেতন স্কেল: ৯,৩০০–২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড–১৬)বয়সসীমা: ১২ জুন ২০২৪ তারিখে সাধারণ প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি–নাতনিদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।আবেদন ফি: অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা টেলিটক প্রি–পেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
অজন্তা রেজওয়ানা মির্জা, একজন কনটেন্ট রাইটার, প্রশিক্ষক ও সফল উদ্যোক্তা। ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক ও দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে শতভাগ সফলতার সাথে কাজ করছেন। নিজে কাজ করার পাশাপাশি ‘কনটেন্ট রাইটিং উইথ অজন্তা’র মাধ্যমে অন্যদেরকেও প্রশিক্ষণ দিয়ে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে তৈরি করছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন (বেসিস) থেকে ফিমেল ক্যাটাগরিতে আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তাঁর সফল হয়ে ওঠার নানা গল্প নিয়ে এশিয়ান টিভি অনলাইনের সাথে কথা হয় এই নারী উদ্যোক্তার। আলাপচারিতায় ছিলেন নুরুল ইসলাম।প্রশ্ন: কখন ও কীভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার পথ চলা শুরু হলো?রেজওয়ানা মির্জা: আন্তর্জাতিক ও দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার পর খেয়াল করলাম যে, আমাদের দেশেও ভালো কনটেন্ট রাইটারদের জন্য সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই আমাকে নক দিয়ে রাইটার খোঁজ করে, কিন্তু খুঁজে পায় না। অন্যদিকে দেশে প্রচুর পরিমাণে ভালো রাইটার আছে, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। তারা চাইলেই দিনের ২/৩ ঘণ্টা সময় বের করে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে পার্টটাইম কাজ খুঁজতে পারে। সেটা তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অনেক উপকার হবে। এই চিন্তা থেকেই আসলে কনটেন্ট রাইটিং উইথ অজন্তা (Content Writing with Azanta) শুরু করা।প্রশ্ন: অনুপ্রেরণা কোথায় কীভাবে পেয়েছিলেন?রেজওয়ানা মির্জা: ২০১৫ সালে বেসিসের অ্যাওয়ার্ডটা পাওয়ার পর থেকেই আমাদের নিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ বা প্রচার শুরু হয়। তখন থেকেই আসলে বাংলাদেশে ‘ফ্রিল্যান্সিং’ শব্দটা জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে। প্রচুর পরিমাণে মানুষ, বিশেষ করে মেয়েরা আমাকে ফেসবুকে ও ফোনে নক দিতে শুরু করেন। তাদের অনেকেই বিভিন্ন কারণে চাকরি করতে পারছেন না, অথবা বাসায় ছোট বাচ্চা বা সংসারের কারণে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়েছে। তারা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এবং কনটেন্ট রাইটিংয়ে আগ্রহী ছিলেন। এমনকি আমার স্কুল কলেজের অনেক ফ্রেন্ডও আমাকে নক দিয়ে জিজ্ঞেস করতো যে, তারা বাসায় বসে কিছু কাজ করতে পারবে কি না। তারা সবাই আমার অনুপ্রেরণা। এইসব নারীদের জন্য কিছু করার কথা আমি অনেক দিন ধরেই চিন্তা করছিলাম।প্রশ্ন: এ পথ চলার গল্পটা বলুন।রেজওয়ানা মির্জা: অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছিলাম বছরে অন্তত ১০ জন নারীকে যেন আমি কনটেন্ট রাইটিং শিখিয়ে পার্টটাইম বা ফুল্টাইম কাজ জোগাড় করে দিতে পারি। কিন্তু ব্যাপারটার আনুষ্ঠানিক রূপ পায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে। তখন আমি প্রথমবারের মতো কনটেন্ট রাইটিং উইথ অজন্তা’র ব্যানারে আমার ট্রেইনিং সেন্টারটা শুরু করি। শুধু মেয়েরা না, আমার অনলাইন ট্রেইনিংয়ে ছেলেরাও ভর্তি হয়। প্রথম যখন শুরু করি তখন মাত্র ৩ জন ভর্তি হয়েছিলো। সে সময় আমি জুম ক্লাসে টানা কথা বলে গিয়েছি। আস্তে আস্তে ৭ জন, ১০ জন করে এখন প্রতি ব্যাচে ৬০ থেকে ৭০ জন করে ভর্তি হয়।আমি ১০ দিনের একটা সেশন নেই প্রতি মাসে। এই ১০টা ক্লাসে কনটেন্ট রাইটিংয়ের পুরো ধারণা দিয়ে দেয়া হয়। শুধু এখানেই শেষ না, প্রতিটা স্টুডেন্টকে আমি পার্সোনালি গাইড করি, তাদের লেখা দেখে আমার মতামত জানাই। তাদের প্রমোট করি এবং ক্লায়েন্টদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। শুধুমাত্র একবার ভর্তি হয়ে প্রতিটি স্টুডেন্ট আমার কাছ থেকে পার্মানেন্ট সাপোর্ট পায়।প্রশ্ন: কী কী প্রতিবন্ধকতা ছিলো সেখানে?রেজওয়ানা মির্জা: প্রথমত, কনটেন্ট রাইটিং কী এটা অনেকেই বুঝতো না। ‘ফ্রিল্যান্সিং’ শব্দটা আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয়, কিন্তু আয় করতে গেলে যে কোনো একটা কাজ শিখে আসতে হবে, সেটা অনেকেই জানতো না। হাজার হাজার মানুষ প্রশ্ন করতো, কনটেন্ট রাইটিং মানে কী এবং তাদের সেটা বোঝাতে হতো।আমার কোর্সে আমি সবাইকে ভর্তি করি না। যারা শর্টকাটে আয় করতে চায় বা কিছু না শিখেই আয় করতে চায়, তাদের জন্য আমার কোর্স না। আমি শুধুমাত্র তাদেরকেই শিখাই যারা আসলেই লেখালেখি করতে ভালবাসে, আর এই কাজে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চায়।তাছাড়া, আমি যখন এই কোর্সটা শুরু করি, তখনই এআই (AI) বা চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) চলে আসে। তাই অনেকেই মনে করে যে, এখন থেকে আর কনটেন্ট রাইটিংয়ের জন্য মানুষের দরকার পড়বে না। কিন্তু এটা ঠিক না। এআই বা চ্যাটজিপিটি কখনোই একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের জায়গা নিতে পারবে না। এটা মানুষকে বোঝাতে আমার অনেক সময় লেগেছে।প্রশ্ন: স্বপ্ন বা ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বলুন।রেজওয়ানা মির্জা: আমার সামনের পরিকল্পনা হচ্ছে, আমি বাংলাদেশকে অন্তত ৫০০ খুব উন্নত মানের কনটেন্ট রাইটার উপহার দিবো। আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ খুবই ভালো লেখে, কিন্তু তারা কনটেন্ট রাইটিংয়ের নিয়মগুলো জানে না। তারা জানে না কীভাবে কাজ পেতে হয়, কোথায়, কীভাবে খুঁজতে হয়। তাদেরকে ঠিক গাইডলাইন দেয়াই আমার পরিকল্পনা।অন্যদিকে, আমাদের ই-কমার্স, ব্লগিং আর লোকাল কোম্পানিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কনটেন্ট রাইটার লাগে, আর তাদের খুঁজে আনতে হয় বাইরে থেকে। অথচ, দেশের ভেতর লেখকরা কাজ পাচ্ছে না। যেহেতু আমি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কনটেন্ট রাইটিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে জড়িত, আমি বহু মানুষের সঙ্গে পরিচিত। তারা প্রায়ই কনটেন্ট রাইটার খুঁজেন এবং তাদের জন্যে কনটেন্ট রাইটার তৈরি করে দেয়াই আমার প্ল্যান।প্রশ্ন: নতুনদের উঠে আসার ব্যাপারে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়ার আছে বলে মনে করেন?রেজওয়ানা মির্জা: রাষ্ট্র প্রতিটা পদক্ষেপেই আমাদের সাথে আছে। যখন ফ্রিল্যান্সিং করতাম, ইন্টারনেট সুবিধা, বাইরে থেকে টাকা আনার সুবিধা, সব পেয়েছি। এখনও আমি আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর করে আমার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া, রাষ্ট্র চায়, আমাদের নারীরা ঘরে বসে না থেকে স্বাবলম্বী হোক, ছেলেরাও বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাক। তাই, আমি মনে করি, রাষ্ট্রের কাছ থেকে সুযোগ ও অনুপ্রেরণা দুটি আমি পাচ্ছি।প্রশ্ন: তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ। রেজওয়ানা মির্জা: আমাদের তরুণরা অনেক দক্ষ এবং কর্মঠ। কিন্তু তারা হয়তো সঠিক গাইডলাইনটা পাচ্ছে না বা জানে না, কোথা থেকে সেটা পাবে। আমি হয়তো তাদের অন্যকিছুতে সাহায্য করতে না পারলেও যারা যারা কনটেন্ট রাইটিং শিখতে চায় এবং এই দক্ষতায় ক্যারিয়ার তৈরি করতে চায়, তাদের জন্য আমি আমার ১০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে তৈরি আছি।
আমিরাত প্রতিনিধি: সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুনের বাংলা কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (ইন্টারপোল) মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় নাম থাকা পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যার অন্যতম পলাতক আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের হামলায় এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন।২২ জুন শনিবার আমিরাতের আজমান ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন হলে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।আহত সাংবাদিক মেহেদী রুবেল যমুনা টিভির আরব আমিরাত প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর সদস্য।অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র প্রযোজক আরশাদ আদনান, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।জানা গেছে, বিতর্কিত রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের নেতৃত্বে হঠাৎ ৩০-৪০ জনের একটি দল অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে। এসময় অনুষ্ঠানের আয়োজকরা ও নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দেন। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। পরে উত্তেজিত হয়ে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন আরাভ খান ও তার সহযোগীরা। এতে আহত হন যমুনা টিভির আমিরাত প্রতিনিধি মেহেদী রুবেল। এসময় আরও বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী লাঞ্ছিত হন। কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল। একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। আগত অতিথি ও দর্শকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।এসময় স্থানীয় একজন আরবি আরাভ খানসহ অন্যদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানালে তিনি উত্তেজিত হয়ে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক দাবি করে বলেন, আমি ভারতীয় নাগরিক। অনুষ্ঠানের মধ্যে আমার অসংখ্য লোকজন আছে। আমাকে ঢুকতে না দিলে সব পণ্ড করে দেব।একপর্যায়ে পুলিশি সহায়তায় তাকে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।এ ঘটনায় অনুষ্ঠানের আয়োজকরা তাৎক্ষণিক কিছু বলতে চাননি। অপরদিকে, এমন নিরাপত্তাহীন, অপরিকল্পিত অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বাংলাদেশি কমিউনিটি ও দর্শক মহলে। অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ইউএইর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রেসক্লাব নেতারা।
অজন্তা রেজওয়ানা মির্জা, একজন কনটেন্ট রাইটার, প্রশিক্ষক ও সফল উদ্যোক্তা। ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক ও দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে শতভাগ সফলতার সাথে কাজ করছেন। নিজে কাজ করার পাশাপাশি ‘কনটেন্ট রাইটিং উইথ অজন্তা’র মাধ্যমে অন্যদেরকেও প্রশিক্ষণ দিয়ে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে তৈরি করছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন (বেসিস) থেকে ফিমেল ক্যাটাগরিতে আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তাঁর সফল হয়ে ওঠার নানা গল্প নিয়ে এশিয়ান টিভি অনলাইনের সাথে কথা হয় এই নারী উদ্যোক্তার। আলাপচারিতায় ছিলেন নুরুল ইসলাম।প্রশ্ন: কখন ও কীভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার পথ চলা শুরু হলো?রেজওয়ানা মির্জা: আন্তর্জাতিক ও দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার পর খেয়াল করলাম যে, আমাদের দেশেও ভালো কনটেন্ট রাইটারদের জন্য সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই আমাকে নক দিয়ে রাইটার খোঁজ করে, কিন্তু খুঁজে পায় না। অন্যদিকে দেশে প্রচুর পরিমাণে ভালো রাইটার আছে, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। তারা চাইলেই দিনের ২/৩ ঘণ্টা সময় বের করে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে পার্টটাইম কাজ খুঁজতে পারে। সেটা তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অনেক উপকার হবে। এই চিন্তা থেকেই আসলে কনটেন্ট রাইটিং উইথ অজন্তা (Content Writing with Azanta) শুরু করা।প্রশ্ন: অনুপ্রেরণা কোথায় কীভাবে পেয়েছিলেন?রেজওয়ানা মির্জা: ২০১৫ সালে বেসিসের অ্যাওয়ার্ডটা পাওয়ার পর থেকেই আমাদের নিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ বা প্রচার শুরু হয়। তখন থেকেই আসলে বাংলাদেশে ‘ফ্রিল্যান্সিং’ শব্দটা জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে। প্রচুর পরিমাণে মানুষ, বিশেষ করে মেয়েরা আমাকে ফেসবুকে ও ফোনে নক দিতে শুরু করেন। তাদের অনেকেই বিভিন্ন কারণে চাকরি করতে পারছেন না, অথবা বাসায় ছোট বাচ্চা বা সংসারের কারণে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়েছে। তারা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এবং কনটেন্ট রাইটিংয়ে আগ্রহী ছিলেন। এমনকি আমার স্কুল কলেজের অনেক ফ্রেন্ডও আমাকে নক দিয়ে জিজ্ঞেস করতো যে, তারা বাসায় বসে কিছু কাজ করতে পারবে কি না। তারা সবাই আমার অনুপ্রেরণা। এইসব নারীদের জন্য কিছু করার কথা আমি অনেক দিন ধরেই চিন্তা করছিলাম।প্রশ্ন: এ পথ চলার গল্পটা বলুন।রেজওয়ানা মির্জা: অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছিলাম বছরে অন্তত ১০ জন নারীকে যেন আমি কনটেন্ট রাইটিং শিখিয়ে পার্টটাইম বা ফুল্টাইম কাজ জোগাড় করে দিতে পারি। কিন্তু ব্যাপারটার আনুষ্ঠানিক রূপ পায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে। তখন আমি প্রথমবারের মতো কনটেন্ট রাইটিং উইথ অজন্তা’র ব্যানারে আমার ট্রেইনিং সেন্টারটা শুরু করি। শুধু মেয়েরা না, আমার অনলাইন ট্রেইনিংয়ে ছেলেরাও ভর্তি হয়। প্রথম যখন শুরু করি তখন মাত্র ৩ জন ভর্তি হয়েছিলো। সে সময় আমি জুম ক্লাসে টানা কথা বলে গিয়েছি। আস্তে আস্তে ৭ জন, ১০ জন করে এখন প্রতি ব্যাচে ৬০ থেকে ৭০ জন করে ভর্তি হয়।আমি ১০ দিনের একটা সেশন নেই প্রতি মাসে। এই ১০টা ক্লাসে কনটেন্ট রাইটিংয়ের পুরো ধারণা দিয়ে দেয়া হয়। শুধু এখানেই শেষ না, প্রতিটা স্টুডেন্টকে আমি পার্সোনালি গাইড করি, তাদের লেখা দেখে আমার মতামত জানাই। তাদের প্রমোট করি এবং ক্লায়েন্টদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। শুধুমাত্র একবার ভর্তি হয়ে প্রতিটি স্টুডেন্ট আমার কাছ থেকে পার্মানেন্ট সাপোর্ট পায়।প্রশ্ন: কী কী প্রতিবন্ধকতা ছিলো সেখানে?রেজওয়ানা মির্জা: প্রথমত, কনটেন্ট রাইটিং কী এটা অনেকেই বুঝতো না। ‘ফ্রিল্যান্সিং’ শব্দটা আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয়, কিন্তু আয় করতে গেলে যে কোনো একটা কাজ শিখে আসতে হবে, সেটা অনেকেই জানতো না। হাজার হাজার মানুষ প্রশ্ন করতো, কনটেন্ট রাইটিং মানে কী এবং তাদের সেটা বোঝাতে হতো।আমার কোর্সে আমি সবাইকে ভর্তি করি না। যারা শর্টকাটে আয় করতে চায় বা কিছু না শিখেই আয় করতে চায়, তাদের জন্য আমার কোর্স না। আমি শুধুমাত্র তাদেরকেই শিখাই যারা আসলেই লেখালেখি করতে ভালবাসে, আর এই কাজে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চায়।তাছাড়া, আমি যখন এই কোর্সটা শুরু করি, তখনই এআই (AI) বা চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) চলে আসে। তাই অনেকেই মনে করে যে, এখন থেকে আর কনটেন্ট রাইটিংয়ের জন্য মানুষের দরকার পড়বে না। কিন্তু এটা ঠিক না। এআই বা চ্যাটজিপিটি কখনোই একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের জায়গা নিতে পারবে না। এটা মানুষকে বোঝাতে আমার অনেক সময় লেগেছে।প্রশ্ন: স্বপ্ন বা ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বলুন।রেজওয়ানা মির্জা: আমার সামনের পরিকল্পনা হচ্ছে, আমি বাংলাদেশকে অন্তত ৫০০ খুব উন্নত মানের কনটেন্ট রাইটার উপহার দিবো। আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ খুবই ভালো লেখে, কিন্তু তারা কনটেন্ট রাইটিংয়ের নিয়মগুলো জানে না। তারা জানে না কীভাবে কাজ পেতে হয়, কোথায়, কীভাবে খুঁজতে হয়। তাদেরকে ঠিক গাইডলাইন দেয়াই আমার পরিকল্পনা।অন্যদিকে, আমাদের ই-কমার্স, ব্লগিং আর লোকাল কোম্পানিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কনটেন্ট রাইটার লাগে, আর তাদের খুঁজে আনতে হয় বাইরে থেকে। অথচ, দেশের ভেতর লেখকরা কাজ পাচ্ছে না। যেহেতু আমি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কনটেন্ট রাইটিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে জড়িত, আমি বহু মানুষের সঙ্গে পরিচিত। তারা প্রায়ই কনটেন্ট রাইটার খুঁজেন এবং তাদের জন্যে কনটেন্ট রাইটার তৈরি করে দেয়াই আমার প্ল্যান।প্রশ্ন: নতুনদের উঠে আসার ব্যাপারে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়ার আছে বলে মনে করেন?রেজওয়ানা মির্জা: রাষ্ট্র প্রতিটা পদক্ষেপেই আমাদের সাথে আছে। যখন ফ্রিল্যান্সিং করতাম, ইন্টারনেট সুবিধা, বাইরে থেকে টাকা আনার সুবিধা, সব পেয়েছি। এখনও আমি আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর করে আমার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া, রাষ্ট্র চায়, আমাদের নারীরা ঘরে বসে না থেকে স্বাবলম্বী হোক, ছেলেরাও বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাক। তাই, আমি মনে করি, রাষ্ট্রের কাছ থেকে সুযোগ ও অনুপ্রেরণা দুটি আমি পাচ্ছি।প্রশ্ন: তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ। রেজওয়ানা মির্জা: আমাদের তরুণরা অনেক দক্ষ এবং কর্মঠ। কিন্তু তারা হয়তো সঠিক গাইডলাইনটা পাচ্ছে না বা জানে না, কোথা থেকে সেটা পাবে। আমি হয়তো তাদের অন্যকিছুতে সাহায্য করতে না পারলেও যারা যারা কনটেন্ট রাইটিং শিখতে চায় এবং এই দক্ষতায় ক্যারিয়ার তৈরি করতে চায়, তাদের জন্য আমি আমার ১০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে তৈরি আছি।
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্য সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।৫ জুন বুধবার সকাল থেকে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজ, পুলিশ সুপারের কার্যালয, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকায় এ লিফলেট বিতরণ করা হয়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো‘র লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন বিভাগের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণে নেতৃত্ব দেন সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নড়াইল আধুনিক সদর হাসপতালের হেলথ এডুকেটর গীতা রানী বসু, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে ফয়জুন নাহার সুবর্না প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ক্ষতি করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, তা পূরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।৩১ মে শুক্রবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এবারও দেশে তামাকবিরোধী র্যালি, মেলা, আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান ও ক্রোড়পত্র প্রকাশসহ ব্যাপক পরিসরে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে।ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বৈশ্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণে আজকের এ দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৭ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহ এ দিবসটি পালন করে আসছে।ধূমপানের ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, পরোক্ষ ধূমপানও অধূমপায়ীদের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও ক্রনিক লাং ডিজিজসহ নানা অসংক্রামক রোগ দেখা দেয়। তামাকের কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৮৭ লাখ মানুষ অকালে মারা যায়।বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতা দূর করে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তামাকের আগ্রাসন হতে শিশু কিশোদের সুরক্ষা প্রদান করে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি পরিবারভিত্তিক সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলনের ওপর জোর দেন।আলোচনা সভায় খসড়া প্রস্তাবে যে বিষয়গুলো উল্লেখিত রয়েছে তা হলো:১. শিশু-নারীসহ অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি হতে রক্ষায় পাবলিক প্লেস ও পরিবহণ হতে ধূমপান এলাকা বাতিলের মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রস্তাব।২. কিশোর তরুণদের নেশার দিকে ধাবিত করতে তামাক কোম্পানিগুলো অযাচিতভাবে ওটিটি, অনলাইন প্লাটফর্ম ও নাটক-সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য প্রচার করছে। এগুলো বন্ধ করার প্রস্তাব যুক্ত হয়েছে।৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খেলাধুলার স্থান ইত্যাদি সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক বিক্রয় বন্ধ করা এবং লাইসেন্স ব্যতীত তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৪ তুলে দেন। পরে মন্ত্রী তামাকবিরোধী মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং তার সুচিন্তিত মতামত দেন।স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিজি আহমেদুল কবীর, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আজীবন ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।২৮ মে মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ’র শহীদ ডা. মিল্টন হলে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক তাঁর হাতে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ সংক্রান্ত সম্মাননা সনদ তুলে দেন।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ।ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব শেষ করেছেন। এর আগে তিনি বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মেডিসিন অনুষদের ৩ বার ডিন নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: লবণাক্ত ও অপরিশোধিত পানি ব্যবহারের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী নৌযানসমূহের ৮০ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারি চর্মরোগ ও পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল আন্ত্রিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।২৩ মে বৃহস্পতিবার সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে নৌশ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যাত্রী ও পণ্যবাহী সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের নৌযানে পানি শোধনার স্থাপন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে।বছরব্যাপী জরিপ ও অনুসন্ধান চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, জরিপকালে ১০ শ্রেণির নৌযানের শতাধিক শ্রমিক ছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এসব নৌযানের মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ, পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের জাহাজ, স্কেভেটর (খননযন্ত্র), ড্রেজার (পলি অপসারণ যন্ত্র), ডাম্ববার্জ ও হাউজবোটসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযান।এসসিআরএফ জানায়, দেশের এক পঞ্চমাংশ উপকূলীয় জনপদ। সেখানকার নদ-নদীর পানিতে প্রায় সারা বছর তীব্র লবনাক্ততা থাকে। এছাড়া দেশের প্রায় সকল নদী মারাত্মক দূষণের শিকার। নৌশ্রমিকরা দিনের পর দিন নৌযানে থাকেন। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি নৌযানসমূহে কোনো পানি শোধনাগার নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ও সেরকারি নৌযান মালিক- কোনো কর্তৃপক্ষই বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে না। স্বল্পবেতনভোগী নৌশ্রমিকরা বাধ্য হয়ে সব কাজে নদীর পানি ব্যবহার করছেন। এতে তারা ভয়ানক জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন নদীর লোনা ও দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে চর্মের অনেক রোগসহ কর্কট রোগ (স্কিন ক্যান্সার) ও শ্বাসকষ্টজনিত নারা রোগ হতে পারে। লিভার সিরোসিস, রক্ত আমাশয়, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক আলসার (পাকস্থলীতে ক্ষত) ও নিয়মিত ডাইরিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল আন্ত্রিক পীড়া হতে পারে। এই সংকট নিরসনে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলরত সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের নৌযানে পানি শোধনাগার স্থাপন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে এসসিআরএফ।
বিশেষ প্রতিবেদক: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাড়ে তিন বছর পর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলপ্রকাশ হয়। এক হাজার ৮০টি পদের বিপরীতে ‘চাকরিযুদ্ধে’ অংশ নেয় তিন লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী; উত্তীর্ণ হয় মাত্র ৭ হাজার ৬২১ জন। এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতায় পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার চিত্র। ঘোষণা করা হয় মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা যখন মৌখিক পরীক্ষার অপেক্ষা করছিলেন, তখন হঠাৎ একদিন ঘোষণা আসে লিখিত পরীক্ষায় ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। এ কারণে ওই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। এরপর শুরু হয় নানা জটিলতা, ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যাওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আইনি লড়াইয়ে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। উচ্চ আদালতে তাদের পক্ষে রায় দিলেও এখনও চূড়ান্ত নিয়োগ পাননি এফডব্লিউভি চাকরিপ্রত্যাশীরা। এ অবস্থায় আজ রোববার থেকে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ ও চূড়ান্ত নিয়োগের দাবিতে আবারও আন্দোলন নামছেন তারা।এফডব্লিউভি পদে নিয়োগপ্রত্যাশী কানিজ মারিয়া ভোরের আকাশকে বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১০ মার্চ এফডব্লিউভি পদে এক হাজার ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তির আলোকে প্রায় ৩ লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই পদের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ওই বছরের ১১ মে প্রকাশ করা হয় এবং ২৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষার নোটিশ প্রকাশ করা হয়। এই পরীক্ষা যাতে স্বচ্ছ হয়, এজন্য বারবার কমিটি গঠন করা হয়। তারপরও দুর্নীতির অজুহাতে এই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছিল। নিয়োগ বাতিল হল যেভাবে : ২০২০ সালের মার্চ মাসে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ১ হাজার ৮০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। আবেদকারীদের লিখিত পরীক্ষা ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। ২০২৩ সালের ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর পরে এসে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ও অতিরিক্ত সচিব এএইচএম লোকমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ হাজার ৮০ পদে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নিয়োগের প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল করে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ১৩ ডিসেম্বর তারিখের পর্যবেক্ষণ ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন সংক্রান্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির ১১ জানুয়ারির সভার মতামত/সিদ্ধান্তের আলোকে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো। প্রার্থীদের আবারও লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।এটি স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ছিল উল্লেখ করে ফৌজিয়া আক্তার বলেন, নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য হয় এটি সবার জানা। যারা ওই টাকার ভাগ পায় না, তারা বিভিন্ন অজুহাত তুলে নিয়োগ বাতিল করে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইতিহাস ঘাটলে এটি স্পষ্ট হবে। বছরের পর বছর ধরে আদালতে মামলা চলে নিয়োগ নিয়ে। কোন কোন নিয়োগ বাতিল হয়ে যায় আবার কোন কোন নিয়োগের রায় চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে আসে। আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা কাটল : সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগের জন্য সবাই যখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় তখন পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীরা। প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তারা। রিটে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরও পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গত বছরের ২৯ জানুয়ারি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদের নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জারি করা নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর ফলে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগের ফলাফল প্রকাশে বাধা কেটে যায়। হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ২০২০ সালের ১০ মার্চ প্রকাশিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) মনোনয়ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর আলোকে আবেদকারীদের লিখিত পরীক্ষা ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করা হয়। আর ২০২৩ সালের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর পরে এসে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পরীক্ষাটি বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগের জন্য সবাই যখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় তখন পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীরা। প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তারা। রিটে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরও পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।এরপর নানা আইনি বাধা শেষে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদের ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। পরে আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ১ হাজার ৮০টি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে রিটকারীরাসহ সারা দেশ থেকে আবেদনকারীরা আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ওই পরীক্ষায় ৭ হাজার ৬২১ জন উত্তীর্ণ হন এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভাইভা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না করে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। পরে সেই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টেও আদেশের মধ্য দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অনিশ্চয়তা দূর হলো।আবারও মাঠে নামছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা : এফডব্লিউভি পদে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে উত্তীর্ণ ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের আদালত গত বছরের ১৫ ডিসেম্বও যে নির্দেশ দিয়েছেন তা শেষ হবে আগামী ১৫ মার্চ। এই সময়ের মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে। প্রায় দুই মাস অপেক্ষার পরও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ফের গত ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি টানা তিন দিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। পরে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।চাকরিপ্রার্থী সানজিদা লিজা ভোরের আকাশকে বলেন, মহাপরিচালক তাদের জানিয়েছিলেন উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল না করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আইন শাখায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় তিন দিনের মধ্যে অধিদপ্তরের চিঠির জবাব দেবে। কিন্তু এখনও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এ কারণে আজ রোববার থেকে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সামনে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে।পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী ভোরের আকাশকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি নিস্পত্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ভোরের আাকাশ/মি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর ফের দিল্লিতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।২১ জুন শুক্রবার দুপুর ২টা ৮ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীরা। আর ভারতে নতুন সরকার গঠনের পর দেশটিতে এটিই প্রথম কোনো বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর।আজ ২২ জুন শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।পরে মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এরপর হায়দ্রাবাদ হাউসে যাবেন তিনি। এ সময় উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের বিবৃতি দেবেন।শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।এরপর সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন। রাত ৯টায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নাজিরপুর(পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নাজিরপুরে পুলিশ পরিচয়ে টাকা ছিনতাইয়ের সময় সাইফুল ইসলাম চাঁন নামের এক ভুয়া পুলিশকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে নাজিরপুর উপজেলার বুইচাকাঠী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার সাইফুল ইসলাম চাঁন (৩৫) পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের পূর্ব জুজখোলা গ্রামের আব্দুস সাত্তার মোল্লার ছেলে।স্থানীয়রা জানান, গ্রেফতার সাইফুল অনলাইনে 'অ্যাপাচি ফোরভি' নামে একটি মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপন দেখে বরিশালের নতুন বাজার এলাকার প্রশান্ত দাস নামে একজন মোটরসাইকেলটি কিনতে পিরোজপুর-নাজিরপুর-গোপালগঞ্জ সড়কের টেক্সটাইল এলাকায় আসে। সেখান থেকে সাইফুল ইসলাম তাকে নাজিরপুর উপজেলার বুইচাকাঠী এলাকায় নিয়ে যায়। পরে সাইফুল ইসলামসহ তিনজন মিলে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রশান্ত দাসের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতে চাইলে প্রশান্ত দাস বুঝতে পেরে চিৎকার দেয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সাইফুল ইসলামকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।এসময় বাকি তিনজন পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদ আল ফরিদ ভুঁইয়া জানান, সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি পুলিশের জ্যাকেট ও একটি পিস্তলের খাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের জন্মদিনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের চলার পথে প্রধান বাধা বর্ণচোরা বিএনপি। এ অপশক্তিকে প্রতিহত করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।২৩ জুন রোববার আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ বিরোধীরা এক ও অভিন্ন শত্রু বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়। আজ আমাদের অঙ্গীকার ও আমাদের আজ দৃঢ় শপথ এ অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে।আমরা আমাদের বিজয়কে সুসংহত করবো। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করবো। এটাই আজকের দিনের শপথ। এ দিনে দেশকে নতুন ও সুন্দর করে নির্মাণের প্রত্যয় হোক সকলের।এর আগের সকাল ৭টায় আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এ রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ হলেও পরবর্তীতে ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়।১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে।বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এই দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঈদ হচ্ছে সিনেমার বড় বাজার। কারণ ঈদ ছাড়া সিনেমা হলগুলো প্রায় ফাঁকাই পড়ে থাকে। এদিকে সিনেমাপ্রেমীদের ঈদের আনন্দকে দ্বিগুণ করতে তারকাবহুল চমৎকার গল্প নিয়ে হাজির হন সিনেমা নির্মাতারা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এবার ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় আছে পাঁচটি সিনেমা। মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো হলো- তুফান, ময়ূরাক্ষী, ডার্ক ওয়ার্ল্ড, রিভেঞ্জ, আগন্তুক।তুফান: এবারের ঈদে মুক্তির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’। শাকিব খানের একেবারে অন্য রকম লুক, অ্যাকশন, অভিনয় সব মিলিয়ে যেন ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে তুফান।তুফান নিয়ে এর নির্মাতা রায়হান রাফী বলেন, তুফান এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এটি যখন রিলিজ হবে তখন তুফান থেকে সাইক্লোন, সাইক্লোন থেকে আরও বড় ঝড় শুরু হবে বাংলা সিনেমার জন্য। দেশ-বিদেশে তুফান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এটি এমন একটি সিনেমা, যার মাধ্যমে বাংলা সিনেমাকে বিশ্বদরবারে নতুন করে চেনা যাবে।ময়ূরাক্ষী: প্রেম, প্রতারণা আর রাজনীতির বলয়ে আটকে যাওয়া জীবনের গল্পকে উপজীব্য করে গড়ে উঠেছে ‘ময়ূরাক্ষী’ চলচ্চিত্রের আখ্যান। যেখানে মোহ বনাম বাস্তবতার দারুণ এক মিশেল তুলে ধরেছেন চিত্রনাট্যকার গোলাম রাব্বানী। আর সিনেমায় তা ফুটিয়ে তুলছেন নির্মাতা রশিদ পলাশ।একজন মাদরাসাপড়ুয়া ছেলের বখে যাওয়া, মোহগ্রস্ত হয়ে অন্ধকার জগতে জড়িয়ে পড়ার পর নানা উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে এগিয়েছে ময়ূরাক্ষীর গল্প।ময়ূরাক্ষী সিনেমার পরিচালক রশিদ পলাশ বলেন, আমার গল্পের প্রতি নিজের বিশ্বাস আছে। খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ছবিটা রিলিজ করতে যাচ্ছি। আমার কাছে সিনেমা মুক্তির এটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে হয়েছে। ঈদ সবার জন্য উৎসব। আমি আমার সিনেমা নিয়ে সে উৎসবে শামিল হয়েছি। এ ধরনের গল্পের অনেক দর্শকের সাড়া মিলবে বলে আশা করছি।ময়ূরাক্ষীর নায়িকা ইয়ামিন হক ববি বলেন, ময়ূরাক্ষী একেবারে ভিন্ন ধরনের সিনেমা। মানুষ ঈদে বিভিন্ন গল্পের সিনেমা দেখতে পছন্দ করে। আমার কাছে মনে হয়েছে ময়ূরাক্ষী ঈদে মুক্তি পাওয়ার মতো পরিপূর্ণ একটা সিনেমা।ডার্ক ওয়ার্ল্ড: ঈদুল আজহায় মুক্তির দৌড়ে শামিল হলো মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের সিনেমা ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’। তিনি সাধারণত রোমান্টিক ও ড্রামাভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। কিন্তু এ প্রথম তার কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করেছেন অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ডার্ক ওয়ার্ল্ড। ক্রাইম থ্রিলার ঘরানার এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত মুন্না খান ও কৌশানী মুখোপাধ্যায়।সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল ফুটেজ ছড়িয়ে একটি চক্র প্রতারণা করে। তাদের নির্মূলের অভিযান নিয়েই সিনেমার গল্প। সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বলেন, ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতিটি সিনেমাই আমাদের সিনেমা। আমি কোনো সিনেমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি না। সব সিনেমার সাফল্য কামনা করি। ডার্ক ওয়ার্ল্ড একটি গল্পভিত্তিক সিনেমা। আশা করছি হলে দর্শক সিনেমাটি উপভোগ করবে।রিভেঞ্জ: বর্তমানে ঢাকাই সিনেমায় ভালো অবস্থানে রয়েছেন শবনম বুবলী। বছরজুড়ে নানা কারণে আলোচিত থাকলেও দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে তার অভিনীত একাধিক সিনেমা। গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছিল ‘দেয়ালের দেশ’ ও ‘মায়া’ নামে দুটি সিনেমা। আসন্ন ঈদেও দুটি সিনেমা মুক্তির কথা থাকলেও মুক্তি পাবে রিভেঞ্জ। এ ছবিতে বুবলীর বিপরীতে রয়েছেন জিয়াউল রোশান।রিভেঞ্জ সিনেমার পরিচালক ইকবাল বলেন, আমার কাছে এবারের ঈদকে রিভেঞ্জ মুক্তির একটা উপযুক্ত সময় মনে করি। কে কোন সিনেমা মুক্তি দিলো এটা আমাদের দেখার বিষয় না। রিভেঞ্জ চলবে রিভেঞ্জের গতিতে। আশা করি, আমার গান ট্রেলার দর্শকের পছন্দ হবে। রিভেঞ্জের মধ্য দিয়ে দর্শক সিনেমায় ফিরবে।আগন্তুক: মুক্তির তালিকায় শেষ পর্যন্ত কোনো সিনেমাগুলো থাকছে, যখন এ আলোচনা, ঠিক সে মুহূর্তে আগন্তুক হয়ে ধরা দিল জাহিদ হাসান অভির আগন্তুক। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজা চেরি ও শ্যামল মাওলা।সিনেমার নির্মাতা জাহিদ হাসান অভি বলেন, ‘সিনেমাটি প্রথমে ভালোবাসা দিবসে মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম; কিন্তু সে সময় শাকিব খানের ‘দরদ’ আসবে জেনে আর মুক্তি দিইনি। এবার আমাদের আরেক সিনেমা ‘জংলি’ মুক্তির কথা ছিল। শেষ করতে না পারায় রেডি থাকা আগন্তুক মুক্তি দিয়েছি। আশা করছি সিনেমাটি ভালো করবে।
স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করল আফগানিস্তান। গুলবাদিন নাইব ও নাভিন উল হকের বোলিং তোপে ২১ রানে হার মানলো অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট শুরু করা অজিরা আফগানদের কাছে হেরে বিপদে পড়ে গেলো। তিন বিভাগেই দারুণ খেলে অজিদের চলতি আসরে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ দিলো রশিদ খানের দল।আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শতাধিক রানের উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তান ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৯.২ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয়।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দারুণ শুরু পায় আফগানিস্তান। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তোলে তারা। এরপর এ টুর্নামেন্টে তৃতীয়বারের মতো পঞ্চাশ রানের বেশি উদ্বোধনী জুটি পায় আফগানিস্তান।সেটিকেও ছাড়িয়ে একশর বেশি রানের জুটি হয় রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরানের মধ্যে। এক টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার এই মাইলফলক ছোয়ার কীর্তি ছিল না আগে, এবার করলেন তারা। এবারের আসরে আর কোনো দলই পায়নি শতরানের উদ্বোধনী জুটি।দুই ব্যাটারই অবশ্য ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি। ইনিংসের ৯৫তম বলে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। স্টয়নিসকে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন ওয়ার্নারের হাতে। ৪৯ বলে ৪টি চার ও সমান ছক্কায় ৬০ রান করেন গুরবাজ।পরের ওভারে এসে অ্যাডাম জাম্পা ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। ওই ওভারের শেষ বলে ফেরেন আরেক ওপেনার ইবরাহিম জাদরানও। ৪৮ বলে ৬ চারে ৫১ রান করেন তিনি।এর মধ্যে এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক তুলে নেন প্যাট কামিন্স। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করেন তিনি। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে আউট হন করিম জানাত ও গুলবাদিন নাঈব। আফগানিস্তানের ইনিংস দেড়শ ছাড়িয়ে না যাওয়ার কৃতিত্ব কামিন্সের।রান তাড়ায় নামা অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই ধাক্কা দেয় আফগানিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় বলে নাভিন উল হক বোল্ড করেন ট্রাভিস হেড, তখনও অবধি কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের উইকেট পান নাভিন।আক্রমণাত্মক হতে চাওয়া মিচেল মার্শকে আউট করেন এবার। ৯ বলে ১২ রান করে মিড অফে দাঁড়ানো মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর উইকেটে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, একপ্রান্তে দলকে আগলে রাখেন তিনি। তবে আরেকদিকে ঠিকই উইকেট তুলে নিতে থাকে আফগানরা।পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ডেভিড ওয়ার্নারকে সাজঘরের পথ দেখান নবী। ৮ বলে ৩ রান করে নূর আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। প্রথম ছয় ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।চতুর্থ উইকেটের জন্য ইনিংসের ১১তম ওভার অবধি অপেক্ষা করতে হয় আফগানিস্তান। মার্কোস স্টয়নিসের সঙ্গে গড়ে উঠতে থাকা ম্যাক্সওয়েলের জুটি এবার ভাঙেন গুলবাদিন নাইব। ১৭ বলে ১১ রান করা স্টয়নিস এবার ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।নাইব নিজের পরের ওভারে ফেরান টিম ডেভিডকে। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় বাধা হয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও।
স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর: পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এবছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে৷ উপজেলার প্রায় ১০ একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে পেঁয়াজের আবাদ হয়।জানা যায়, সালথা উপজেলা পাট ও পেঁয়াজের জন্য খুবই বিখ্যাত। বর্তমান চলছে পাটের মৌসুম। তারপরও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন অনেকেই।সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, হালি পেঁয়াজ তেমন ভালো না হলেও বীজ রোপণ করা পেঁয়াজ ভালোই লক্ষ করা যাচ্ছে জমিগুলোতে। গাছের গোড়ায় গোল আকারে নামতে শুরু করছে পেঁয়াজ।উপজেলার কৃষক অরুণ, মোতালেব, নয়ন, সেলিম নামে কয়েকজন চাষির সাথে কথা বললে তারা জানান, শীতকালে আমাদের এলাকায় প্রচুর পেঁয়াজের আবাদ হয়। তাই গ্রীষ্মকালেও আমরা পরীক্ষামূলক পেঁয়াজের আবাদ করেছি।তারা আরও জানান, পেঁয়াজের বীজ রোপণ করা ক্ষেতের পেঁয়াজ মোটামুটি ভালোই দেখা যাচ্ছে। গাছের গোড়ায় পেঁয়াজ নামতে শুরু করেছে। এটা ২০/২১ দিন পরে ক্ষেত থেকে উত্তোলন করা যাবে। এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ কীভাবে করতে হবে? কীভাবে করলে ভালো ফলন পাবো সে বিষয়ে আমাদের আরো জানতে হবে । আশা করি, আগামীতে বেশি করে আবাদ করবো। ফরিদপুরের উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস জানান, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ১০ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। কিছু ক্ষেতে ভালো হয়েছে। আর যেসব ক্ষেতে পানি জমে থাকে সেসব ক্ষেতের পেঁয়াজ ভালো হয়নি। তবে বেলে-দোঁআশ মাটিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযোগী। হালি পেঁয়াজ রোপণের চেয়ে এই মৌসুমে পেঁয়াজের বীজ বপন করা ভালো।
নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানকে ওএসডি করা হয়েছে।২৩ জুন রোববার অর্থমন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরপি) থেকে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে এনবিআর থেকে সরিয়ে তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।মতিউর রহমান কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন বছরের জন্য তাকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়।এবারের ঈদুল আজহায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে মতিউর রহমানের ছেলে সিফাতের ১২ লাখ টাকায় একটি ছাগল ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে।এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।সিফাতকে একপর্যায়ে নিজের ছেলের পরিচয় দিতে অস্বীকৃতিও জানান মতিউর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে ট্রলের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলার হুমকি দেন। তবে আর মামলা করেননি।
বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ইদানীং গাছকাটার মতো ঘটনা চলছে বিরতিহীনভাবে। দিনদিন যেনো বেড়েই চলেছে এ কর্মকাণ্ড। একের পর এক বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। তবে গাছ কাটা হলেও লাগানো হচ্ছে না সমপরিমাণ বৃক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীণ ভয়েস এবং ছাত্র ইউনিয়ন এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করলেও কোনো আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি এখনো।বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ৪ লেনের রাস্তার কাজ করতেই কাটা হচ্ছে এসব বৃক্ষ এমনটিই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সুষ্ঠ পরিকল্পনা করলে বিকল্পভাবে উন্নয়ন কাজ ও রাস্তা করা সম্ভব হতো বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, গত ৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স অ্যান্ড প্লান্ট ব্লিডিং বিভাগের গবেষণাগারের সামনের বড় দুটি রেইন ট্রি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়া গত ২ মে ভেটেরিনারি অনুষদের সামনে একটি ল্যাব করার জন্যে প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি পুরনো একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হলে আরেকটি কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফার্স্ট গেইট থেকে ফসিল পর্যন্ত রাস্তাটির চার লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্পে এই রাস্তার ২ ধারের অনেক পুরনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলা হয়।এছাড়াও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সামনে একটা বড় দেবদারু বৃক্ষ ছিলো, সেটা কাটা হয়েছে। তাপসী রাবেয়া হলের সামনে বড় লতা পারুল গাছ কাটা হয়েছে। কৃষি অর্থনীতি অনুষদের সামনে ড্রেন করার সময় ২টি গন্ধরাজ গাছ কাটা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কমপ্লেক্সের (টিএসসি) সামনের অংশটুকু পাকা করার সময় বড় মে ফ্লাওয়ার গাছও কাটা হয়েছে।ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া রাস্তার একপাশের গাছ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লন্ডন ব্রিজ লেকের পাশে ড্রেন করার জন্য দুটি ফুরুশও গাছ কাটা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেছনে অপরিকল্পিতভাবে দুইবার ড্রেন করে কাটা হয়েছে ২টা জারুল ও একটা বড় সজনে গাছ।বৃক্ষ নিধনের এই মহাযজ্ঞে, শহীদ শামসুল হক হলের সামনে কাটা হয়েছে বড় দুইট ইউক্যালিপটাস গাছ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আম বাগানে গাছ ছেটে ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আব্দুল জব্বারের মোড় হতে একটু এগিয়ে গিয়ে এক্সটেনশন ভবনের সামনে ও ভবনে ছায়া পড়ার নাম করে কাটা হয়েছিল বড় বড় দুইটা রেইন ট্রি গাছ।বাকৃবির পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীণ ভয়েস বাকৃবি শাখার সভাপতি মো. বকুল আলী জানান, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার সাথে কথা বলেছি বিষয়টি নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন আব্দুল জব্বারের মোড় হতে ফার্স্ট গেইট পর্যন্ত যে চার লেনের রাস্তাটি হচ্ছে সেটির একপাশের গাছ কৃষ্ণচূড়া ল্যান্ডস্কেইপ ডিপার্টমেন্টের কাছে অনুমতি নিয়েই কাটা হয়েছে। পরবর্তীতে আমাদেরকে সাথে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রাঙ্গনের বৃক্ষরোপণ করবে বলেও জানান তিনি।সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার প্রধান অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতার প্রশংসা করি। শিক্ষার্থীদের সচেতনতার এই বিষয়টিকে আমি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছি। বাকৃবি কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে সতর্ক এবং যে কোনও গাছ কাটার পূর্বে সেই গাছ কাটা আদৌ গুরুত্বপূর্ণ কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে। যদি অবকাঠামো এবং নিরাপত্তার জন্য কোনো গাছ কাটা জরুরী হয়, তাহলে এক বছরের নার্সিংসহ কমপক্ষে পাঁচটি গাছ লাগানো নিশ্চিত করতে হবে বলে আমার পরামর্শ থাকবে। আমি গাছ কাটার বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি এবং ইতোমধ্যে কেটে ফেলা গাছগুলো সম্পর্কে আবার নীরিক্ষা করবো বলে আশ্বাস দিচ্ছি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে এক ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২৫ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।১৭ জুন সোমবার শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন দিকের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।দার্জিলিং পুলিশের অ্যাডিশনার এসপি অভিষেক রায়ের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ২৫ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, এই মাত্র দার্জিলিংয়ের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ি ধাক্কা দিয়েছে শুনেছি। জেলা প্রশাসক, এসপি, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে রেলওয়ে ও এনডিআরএফ (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লেখক, এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ: কুরবানি গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব একটি ইবাদত। শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কুরবানি পালন করলে অনেক ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে কুরবানি পালন করতে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিস শরিফেও কুরবানি পালনের অনেক ফজিলত বর্ণনা করেছেন।হজরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সাহাবিরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এই কুরবানি কী? রাসুলুল্লাহ (সা.) জবাব দিলেন, এটা তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত বা আদর্শ। এরপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এতে আমাদের জন্য কী উপকার বা সওয়াব রয়েছে? তিনি বললেন, কুরবানির পশুর প্রতিটি পশমের পরিবর্তে একটি করে নেকি রয়েছে।এরপর সাহাবায়ে কেরাম আবার জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ভেড়া, দুম্বার পশমের ব্যপারে কী কথা? তিনি বললেন, এর প্রতিটি পশমের বিনিময়েও একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।’’ -[ইবনে মাজাহ, মিশকাত শরিফ]। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় দশ বছর জীবন যাপন করেছেন, সেখানে প্রতি বছরই তিনি কুরবানি করেছেন।’ -[তিরমিজি]এজন্য কুরবানি করব একমাত্র আল্লাহর জন্যই। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:-আল্লাহর কাছে না পৌঁছে তাদের (কুরবানির পশুর) গোশত আর না তাদের রক্ত, বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। এমনিভাবে তিনি সেগুলো (পশুগুলো) তোমাদের জন্য বশ করে দিয়েছেন। যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। কারণ, তিনি তোমাদের পথপ্রদর্শন করেছেন। আর আপনি সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। -[সূরা হজ্ব : ৩৭]আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন:-আপনি বলে দিন, নিশ্চয় আমার রব আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করেছেন, (যা) বিশুদ্ধ ধর্ম, ইবরাহীমের দ্বীন। যিনি ছিলেন (আল্লাহর আনুগত্যে) একনিষ্ঠ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। আপনি বলুন, আমার সালাত, আমার কুরবানি (ব্যাপক অর্থে সকল ইবাদত), আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি এরই জন্য আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি মুসলিমদের একজন। -[সূরা আনআম : ১৬১-১৬৩]অতএব কুরবানি হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য হাছিলের জন্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে একনিষ্ঠভাবে শুধুমাত্র তার সন্তুষ্টির জন্যই কুরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।লেখক: এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ,মুহাদ্দিস - জামিয়া ইসলামিয়া মারকাযুদ দ্বীন, তিতাস, কুমিল্লা।
আমিরাত প্রতিনিধি: সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুনের বাংলা কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (ইন্টারপোল) মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় নাম থাকা পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যার অন্যতম পলাতক আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের হামলায় এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন।২২ জুন শনিবার আমিরাতের আজমান ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন হলে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।আহত সাংবাদিক মেহেদী রুবেল যমুনা টিভির আরব আমিরাত প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর সদস্য।অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র প্রযোজক আরশাদ আদনান, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।জানা গেছে, বিতর্কিত রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের নেতৃত্বে হঠাৎ ৩০-৪০ জনের একটি দল অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে। এসময় অনুষ্ঠানের আয়োজকরা ও নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দেন। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। পরে উত্তেজিত হয়ে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন আরাভ খান ও তার সহযোগীরা। এতে আহত হন যমুনা টিভির আমিরাত প্রতিনিধি মেহেদী রুবেল। এসময় আরও বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী লাঞ্ছিত হন। কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল। একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। আগত অতিথি ও দর্শকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।এসময় স্থানীয় একজন আরবি আরাভ খানসহ অন্যদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানালে তিনি উত্তেজিত হয়ে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক দাবি করে বলেন, আমি ভারতীয় নাগরিক। অনুষ্ঠানের মধ্যে আমার অসংখ্য লোকজন আছে। আমাকে ঢুকতে না দিলে সব পণ্ড করে দেব।একপর্যায়ে পুলিশি সহায়তায় তাকে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।এ ঘটনায় অনুষ্ঠানের আয়োজকরা তাৎক্ষণিক কিছু বলতে চাননি। অপরদিকে, এমন নিরাপত্তাহীন, অপরিকল্পিত অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বাংলাদেশি কমিউনিটি ও দর্শক মহলে। অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ইউএইর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রেসক্লাব নেতারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সে আগামী ১৯ ও ২০ অক্টোবর লালন পরিষদ দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক লালন ও লোক উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশি-অধ্যুষিত জ্যামাইকার নন্দন কানন নামে পরিচিত পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে দ্বিতীয়বারের মতো হতে যাচ্ছে এই উৎসব।৮ জুন শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে লালন পরিষদ ইউএসএ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ২০২২ সালেও একই ভ্যানুতে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল।লালন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান। লালন উৎসবের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন লালন গবেষক কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।লালন উৎসবকে মাতিয়ে তুলতে বাংলাদেশ থেকে আরও যাচ্ছেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভিন, আন্তর্জাতিক বংশীবাদক গাজী আব্দুল হাকিম, লালন গবেষক দেবোরা জান্নাত, রাখি শবনম, বিখ্যাত বাউল শিল্পী কালা মিয়া ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা।সংবাদ সম্মেলনে লালন পরিষদ ইউএসএ নিউইয়র্কের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আমীন বাবু জানান, গত বছরের উৎসবে দুই বাংলার বাংলা ভাষাভাষী প্রবাসীরা ও নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই লক্ষ্যে আমরা দ্বিবার্ষিক লালন উৎসবের আয়োজন করছি। লালন উৎসবকে ঘিরে উত্তর আমেরিকাসহ নিউইয়র্কে ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে।লালন উৎসবের পাশাপাশি তারা আরও তিনটি উৎসব করছেন, যা নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার সব জায়গায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর মধ্যে রবীন্দ্র উৎসব, সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব ও জ্যোৎস্না উৎসব প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে বিরাট ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন তিনি।নিউইয়র্কে লালন উৎসব আয়োজনের আহ্বায়ক হিসেবে আছেন আব্দুল হামিদ। সমন্বয়কারী ও সহযোগী হিসেবে আছেন স্বীকৃতি বড়ুয়া, গোপাল স্যান্ন্যাল, হাসানুজ্জামান সাকি,সুখেন জোসেফ গোমেজ, জাহেদ শরীফ, পিনাকী তালুকদার, শুভ রায় ও সাহানা ভট্টাচার্য। বাংলাদেশ থেকে অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী উষ্ণীষ চক্রবর্তী।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে এক ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২৫ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।১৭ জুন সোমবার শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন দিকের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।দার্জিলিং পুলিশের অ্যাডিশনার এসপি অভিষেক রায়ের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ২৫ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, এই মাত্র দার্জিলিংয়ের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ি ধাক্কা দিয়েছে শুনেছি। জেলা প্রশাসক, এসপি, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে রেলওয়ে ও এনডিআরএফ (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন থামছেই না। এখনো ঈদের আমেজ থাকলেও কমেনি নিত্যপণ্যের দাম। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও মুরগি। প্রধান সবজি আলুর বাজারও চড়া। ২১ জুন শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ-মধুবাগসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।এসব বাজারে ঈদের অনেকটা আমেজ দেখা গেছে। অন্যান্য শুক্রবার সকালে এসব বাজারে ভিড় থাকলেও আজ তেমনটা চোখে পড়েনি। ঈদে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষের একটা অংশ এখনো ঢাকায় না ফেরায় বাজারগুলোতে এখনো ভালোভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি।কারণ হিসেবে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, ঈদের বন্ধের মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ কম। এ কারণে কাঁচা মরিচসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, দেশের মানুষের প্রধান সবজি আলু পাইকারিতে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজও।দাম বাড়ার তালিকায় আছে ব্রয়লার মুরগিও। ঈদের আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৯০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। আজ বিভিন্ন বাজারে তা ১৯০-২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। এছাড়া লেয়ার মুরগি লাল ৩০০-৩২০ দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকার ওপরে।বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকার মতো বেড়েছে। আজ বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা।মুরগির দাম বাড়লেও কমেছে বাদামি ডিমের দাম। ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমেছে ডিমের দাম। কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা।বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। এছাড়া গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, পটল ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০, কাঁচা কলা ৯০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গেল সপ্তাহে ১০-২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।এছাড়াও পাট শাকের আঁটি ১৫-২০, কলমি শাক ১০-১৫, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।মাছের বাজারে দেখা গেছে, ২০০ টাকার নিচে তেমন কোনো মাছ নেই। সাইজভেদে তেলাপিয়া ২০০-২৩০ ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকাল মিলিয়ে মোট ২০ দিনের ছুটি চলছে। ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া এই ছুটি আগামী ২ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।১৯ জুন বুধবার ঈদের ছুটি শেষে খুলবে অফিস আদালত। প্রথম কর্মদিবস বা দ্বিতীয় কর্মদিবসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি এক সপ্তাহ কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসন। ছুটি সংক্ষিপ্ত করার পরিকল্পনার কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুক্তি হলো, নতুন কারিকুলামে চলতি বছরের বেশ গ্যাপ রয়েছে। শীত ও অতিগরমের কারণে এবার ১৫ দিনের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সেই ক্ষতি পোষাতে গ্রীষ্মের ছুটি কাটছাঁট করা হতে পারে।জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বলেন, গ্রীষ্মের ছুটি কমানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব রয়েছে। এখন কী করবে, সেই সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।তার বক্তব্য, বাংলাদেশে আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় জুন-জুলাই মাসে অতি গরম থাকে। এই সময় ছুটি দেওয়া না দেওয়া সমান কথা। আমার প্রস্তাব হলো গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে তা শীতের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা।গত বছর শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ২০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ছুটি ছিল। বাতিল করা গ্রীষ্মকালীন ছুটি পরে শীতকালীন ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর: পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এবছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে৷ উপজেলার প্রায় ১০ একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে পেঁয়াজের আবাদ হয়।জানা যায়, সালথা উপজেলা পাট ও পেঁয়াজের জন্য খুবই বিখ্যাত। বর্তমান চলছে পাটের মৌসুম। তারপরও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন অনেকেই।সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, হালি পেঁয়াজ তেমন ভালো না হলেও বীজ রোপণ করা পেঁয়াজ ভালোই লক্ষ করা যাচ্ছে জমিগুলোতে। গাছের গোড়ায় গোল আকারে নামতে শুরু করছে পেঁয়াজ।উপজেলার কৃষক অরুণ, মোতালেব, নয়ন, সেলিম নামে কয়েকজন চাষির সাথে কথা বললে তারা জানান, শীতকালে আমাদের এলাকায় প্রচুর পেঁয়াজের আবাদ হয়। তাই গ্রীষ্মকালেও আমরা পরীক্ষামূলক পেঁয়াজের আবাদ করেছি।তারা আরও জানান, পেঁয়াজের বীজ রোপণ করা ক্ষেতের পেঁয়াজ মোটামুটি ভালোই দেখা যাচ্ছে। গাছের গোড়ায় পেঁয়াজ নামতে শুরু করেছে। এটা ২০/২১ দিন পরে ক্ষেত থেকে উত্তোলন করা যাবে। এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ কীভাবে করতে হবে? কীভাবে করলে ভালো ফলন পাবো সে বিষয়ে আমাদের আরো জানতে হবে । আশা করি, আগামীতে বেশি করে আবাদ করবো। ফরিদপুরের উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস জানান, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ১০ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। কিছু ক্ষেতে ভালো হয়েছে। আর যেসব ক্ষেতে পানি জমে থাকে সেসব ক্ষেতের পেঁয়াজ ভালো হয়নি। তবে বেলে-দোঁআশ মাটিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযোগী। হালি পেঁয়াজ রোপণের চেয়ে এই মৌসুমে পেঁয়াজের বীজ বপন করা ভালো।
নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সে আগামী ১৯ ও ২০ অক্টোবর লালন পরিষদ দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক লালন ও লোক উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশি-অধ্যুষিত জ্যামাইকার নন্দন কানন নামে পরিচিত পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে দ্বিতীয়বারের মতো হতে যাচ্ছে এই উৎসব।৮ জুন শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে লালন পরিষদ ইউএসএ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ২০২২ সালেও একই ভ্যানুতে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল।লালন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান। লালন উৎসবের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন লালন গবেষক কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।লালন উৎসবকে মাতিয়ে তুলতে বাংলাদেশ থেকে আরও যাচ্ছেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভিন, আন্তর্জাতিক বংশীবাদক গাজী আব্দুল হাকিম, লালন গবেষক দেবোরা জান্নাত, রাখি শবনম, বিখ্যাত বাউল শিল্পী কালা মিয়া ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা।সংবাদ সম্মেলনে লালন পরিষদ ইউএসএ নিউইয়র্কের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আমীন বাবু জানান, গত বছরের উৎসবে দুই বাংলার বাংলা ভাষাভাষী প্রবাসীরা ও নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই লক্ষ্যে আমরা দ্বিবার্ষিক লালন উৎসবের আয়োজন করছি। লালন উৎসবকে ঘিরে উত্তর আমেরিকাসহ নিউইয়র্কে ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে।লালন উৎসবের পাশাপাশি তারা আরও তিনটি উৎসব করছেন, যা নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার সব জায়গায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর মধ্যে রবীন্দ্র উৎসব, সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব ও জ্যোৎস্না উৎসব প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে বিরাট ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন তিনি।নিউইয়র্কে লালন উৎসব আয়োজনের আহ্বায়ক হিসেবে আছেন আব্দুল হামিদ। সমন্বয়কারী ও সহযোগী হিসেবে আছেন স্বীকৃতি বড়ুয়া, গোপাল স্যান্ন্যাল, হাসানুজ্জামান সাকি,সুখেন জোসেফ গোমেজ, জাহেদ শরীফ, পিনাকী তালুকদার, শুভ রায় ও সাহানা ভট্টাচার্য। বাংলাদেশ থেকে অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী উষ্ণীষ চক্রবর্তী।
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।১৩ জুন বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে ১১ জুন মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডি থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।গত ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরদিন, ১৩ মে চিকিৎসক দেখাতে হবে জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার। সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও জানান তিনি। পরে বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তিনি। চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় আনারের মোবাইল নম্বর থেকে তার বন্ধু গোপালের কাছে ম্যাসেজ আসে যে, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তাকে ফোন করবেন।
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফকে পুনরায় সভাপতি ও মো. জামিল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।১৪ জুন শুক্রবার রাতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর হাসান আরিফের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।এছাড়াও ৪৯ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে ২৬ জন সহ সভাপতি, ১০ জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ১১ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।এর আগে, কমিটির মেয়াদ ১ বছর পূর্ণ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
প্রযুক্তি ডেস্ক: ঈদের আগেই ইনফিনিক্সের স্মার্টফোন কিনে প্রথম বাইক জিতে নিয়েছেন গাজীপুরের ক্রেতা রাসেল আহমেদ। ‘ঈদ বোনানজা’ ক্যাম্পেইনটিতে ইনফিনিক্স নোট ৩০ স্মার্টফোনটি কিনে এক্সক্লুসিভ বাইকটি জিতেন তিনি।ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কেনার পর নিয়ম অনুযায়ী এসএমএস করেন রাসেল, ফিরতি মেসেজে জানানো হয় তিনি পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। গাজীপুরের মাওনায় অবস্থিত ইনফিনিক্স শপ ‘মাসুম টেলিকম’ থেকে নোট ৩০ ফোনটি কেনেন রাসেল।দীর্ঘদিন ধরেই রাসেল ইনফিনিক্স স্মার্টফোনের ভক্ত বলে জানান। নোট ৩০ ডিভাইসটি কেনার আগেও তিনি কল্পনা করেননি পুরস্কার হিসেবে বাইক পাবেন। তিনি জানান, মেসেজ পাওয়ার পর আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। ফিচার আর সাশ্রয়ী দামের জন্য ইনফিনিক্স ফোন আমার সবসময়ই পছন্দের। সেই ফোন কিনে একটা বাইক জিতেছি এটা আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের।২৫ জুন পর্যন্ত ইনফিনিক্স ‘ঈদ বোনানজা’ ক্যাম্পেইন চলবে। এই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কিনে ভাগ্যবান ক্রেতারা বাইক, কক্সবাজার ভ্রমণ প্যাকেজ, ১০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পাবেন। এ ছাড়া নেকব্যান্ড, টিশার্ট ও ছাতার মতো নিশ্চিত উপহারও পাবেন ক্রেতারা।ইনফিনিক্সের উদ্দেশ্য, ক্যাম্পেইনটির মাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া। এর আওতায় নোট ৩০ ও ৪০ সিরিজ, হট ৩০ সিরিজ, হট ৪০ সিরিজ এবং স্মার্ট ৮ সিরিজসহ নির্দিষ্ট স্মার্টফোন কিনে এসব পুরস্কার জেতার সুযোগ থাকছে।রাসেলের এই আনন্দ উল্লাস সব ক্রেতার মাঝে দেখতে চায় ইনফিনিক্স। উন্নত মানের ও স্টাইলিশ ফোনের পাশাপাশি ক্রেতাদের অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা ও মূল্যবান উপহারও দিয়ে আসছে কোম্পানিটি। এভাবেই তাদের বিশ্বাস ও উৎসাহকে অনুপ্রাণিত করছে ইনফিনিক্স।‘ঈদ বোনানজা’ ক্যাম্পেইন চলাকালীন অন্যান্য ভোক্তারাও তাদের ঈদকে স্মরণীয় করে তুলতে পারেন। এজন্য ক্রেতাকে যেকোনো অফিশিয়াল রিটেইলার স্টোর থেকে স্মার্টফোন কিনতে হবে।সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকদের হাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি তুলে দিতে ইনফিনিক্স দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ফলে তরুণ প্রযুক্তিপ্রেমীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্র্যান্ডটি।