বিএসএমএমইউ’র আজীবন ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন ডা. এবিএম আবদুল্লাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আজীবন ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
২৮ মে মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ’র শহীদ ডা. মিল্টন হলে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক তাঁর হাতে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ সংক্রান্ত সম্মাননা সনদ তুলে দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ।
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব শেষ করেছেন। এর আগে তিনি বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মেডিসিন অনুষদের ৩ বার ডিন নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্য সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।৫ জুন বুধবার সকাল থেকে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজ, পুলিশ সুপারের কার্যালয, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকায় এ লিফলেট বিতরণ করা হয়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো‘র লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন বিভাগের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণে নেতৃত্ব দেন সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নড়াইল আধুনিক সদর হাসপতালের হেলথ এডুকেটর গীতা রানী বসু, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে ফয়জুন নাহার সুবর্না প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ক্ষতি করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, তা পূরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।৩১ মে শুক্রবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এবারও দেশে তামাকবিরোধী র্যালি, মেলা, আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান ও ক্রোড়পত্র প্রকাশসহ ব্যাপক পরিসরে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে।ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বৈশ্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণে আজকের এ দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৭ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহ এ দিবসটি পালন করে আসছে।ধূমপানের ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, পরোক্ষ ধূমপানও অধূমপায়ীদের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও ক্রনিক লাং ডিজিজসহ নানা অসংক্রামক রোগ দেখা দেয়। তামাকের কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৮৭ লাখ মানুষ অকালে মারা যায়।বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতা দূর করে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তামাকের আগ্রাসন হতে শিশু কিশোদের সুরক্ষা প্রদান করে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি পরিবারভিত্তিক সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলনের ওপর জোর দেন।আলোচনা সভায় খসড়া প্রস্তাবে যে বিষয়গুলো উল্লেখিত রয়েছে তা হলো:১. শিশু-নারীসহ অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি হতে রক্ষায় পাবলিক প্লেস ও পরিবহণ হতে ধূমপান এলাকা বাতিলের মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রস্তাব।২. কিশোর তরুণদের নেশার দিকে ধাবিত করতে তামাক কোম্পানিগুলো অযাচিতভাবে ওটিটি, অনলাইন প্লাটফর্ম ও নাটক-সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য প্রচার করছে। এগুলো বন্ধ করার প্রস্তাব যুক্ত হয়েছে।৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খেলাধুলার স্থান ইত্যাদি সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক বিক্রয় বন্ধ করা এবং লাইসেন্স ব্যতীত তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৪ তুলে দেন। পরে মন্ত্রী তামাকবিরোধী মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং তার সুচিন্তিত মতামত দেন।স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিজি আহমেদুল কবীর, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আজীবন ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।২৮ মে মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ’র শহীদ ডা. মিল্টন হলে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক তাঁর হাতে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ সংক্রান্ত সম্মাননা সনদ তুলে দেন।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ।ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব শেষ করেছেন। এর আগে তিনি বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মেডিসিন অনুষদের ৩ বার ডিন নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: লবণাক্ত ও অপরিশোধিত পানি ব্যবহারের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী নৌযানসমূহের ৮০ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারি চর্মরোগ ও পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল আন্ত্রিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।২৩ মে বৃহস্পতিবার সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে নৌশ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যাত্রী ও পণ্যবাহী সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের নৌযানে পানি শোধনার স্থাপন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে।বছরব্যাপী জরিপ ও অনুসন্ধান চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, জরিপকালে ১০ শ্রেণির নৌযানের শতাধিক শ্রমিক ছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এসব নৌযানের মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ, পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের জাহাজ, স্কেভেটর (খননযন্ত্র), ড্রেজার (পলি অপসারণ যন্ত্র), ডাম্ববার্জ ও হাউজবোটসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযান।এসসিআরএফ জানায়, দেশের এক পঞ্চমাংশ উপকূলীয় জনপদ। সেখানকার নদ-নদীর পানিতে প্রায় সারা বছর তীব্র লবনাক্ততা থাকে। এছাড়া দেশের প্রায় সকল নদী মারাত্মক দূষণের শিকার। নৌশ্রমিকরা দিনের পর দিন নৌযানে থাকেন। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি নৌযানসমূহে কোনো পানি শোধনাগার নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ও সেরকারি নৌযান মালিক- কোনো কর্তৃপক্ষই বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে না। স্বল্পবেতনভোগী নৌশ্রমিকরা বাধ্য হয়ে সব কাজে নদীর পানি ব্যবহার করছেন। এতে তারা ভয়ানক জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন নদীর লোনা ও দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে চর্মের অনেক রোগসহ কর্কট রোগ (স্কিন ক্যান্সার) ও শ্বাসকষ্টজনিত নারা রোগ হতে পারে। লিভার সিরোসিস, রক্ত আমাশয়, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক আলসার (পাকস্থলীতে ক্ষত) ও নিয়মিত ডাইরিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল আন্ত্রিক পীড়া হতে পারে। এই সংকট নিরসনে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলরত সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের নৌযানে পানি শোধনাগার স্থাপন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে এসসিআরএফ।
বিএসএমএমইউ’র আজীবন ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন ডা. এবিএম আবদুল্লাহ
সংশ্লিষ্ট
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্য সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।৫ জুন বুধবার সকাল থেকে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজ, পুলিশ সুপারের কার্যালয, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকায় এ লিফলেট বিতরণ করা হয়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো‘র লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন বিভাগের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণে নেতৃত্ব দেন সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নড়াইল আধুনিক সদর হাসপতালের হেলথ এডুকেটর গীতা রানী বসু, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে ফয়জুন নাহার সুবর্না প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ক্ষতি করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, তা পূরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।৩১ মে শুক্রবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এবারও দেশে তামাকবিরোধী র্যালি, মেলা, আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান ও ক্রোড়পত্র প্রকাশসহ ব্যাপক পরিসরে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে।ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বৈশ্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণে আজকের এ দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৭ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহ এ দিবসটি পালন করে আসছে।ধূমপানের ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, পরোক্ষ ধূমপানও অধূমপায়ীদের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও ক্রনিক লাং ডিজিজসহ নানা অসংক্রামক রোগ দেখা দেয়। তামাকের কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৮৭ লাখ মানুষ অকালে মারা যায়।বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতা দূর করে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তামাকের আগ্রাসন হতে শিশু কিশোদের সুরক্ষা প্রদান করে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি পরিবারভিত্তিক সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলনের ওপর জোর দেন।আলোচনা সভায় খসড়া প্রস্তাবে যে বিষয়গুলো উল্লেখিত রয়েছে তা হলো:১. শিশু-নারীসহ অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি হতে রক্ষায় পাবলিক প্লেস ও পরিবহণ হতে ধূমপান এলাকা বাতিলের মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রস্তাব।২. কিশোর তরুণদের নেশার দিকে ধাবিত করতে তামাক কোম্পানিগুলো অযাচিতভাবে ওটিটি, অনলাইন প্লাটফর্ম ও নাটক-সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য প্রচার করছে। এগুলো বন্ধ করার প্রস্তাব যুক্ত হয়েছে।৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খেলাধুলার স্থান ইত্যাদি সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক বিক্রয় বন্ধ করা এবং লাইসেন্স ব্যতীত তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৪ তুলে দেন। পরে মন্ত্রী তামাকবিরোধী মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং তার সুচিন্তিত মতামত দেন।স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিজি আহমেদুল কবীর, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আজীবন ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।২৮ মে মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ’র শহীদ ডা. মিল্টন হলে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক তাঁর হাতে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ সংক্রান্ত সম্মাননা সনদ তুলে দেন।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ।ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব শেষ করেছেন। এর আগে তিনি বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মেডিসিন অনুষদের ৩ বার ডিন নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: লবণাক্ত ও অপরিশোধিত পানি ব্যবহারের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী নৌযানসমূহের ৮০ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারি চর্মরোগ ও পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল আন্ত্রিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।২৩ মে বৃহস্পতিবার সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে নৌশ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যাত্রী ও পণ্যবাহী সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের নৌযানে পানি শোধনার স্থাপন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে।বছরব্যাপী জরিপ ও অনুসন্ধান চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, জরিপকালে ১০ শ্রেণির নৌযানের শতাধিক শ্রমিক ছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এসব নৌযানের মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ, পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের জাহাজ, স্কেভেটর (খননযন্ত্র), ড্রেজার (পলি অপসারণ যন্ত্র), ডাম্ববার্জ ও হাউজবোটসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযান।এসসিআরএফ জানায়, দেশের এক পঞ্চমাংশ উপকূলীয় জনপদ। সেখানকার নদ-নদীর পানিতে প্রায় সারা বছর তীব্র লবনাক্ততা থাকে। এছাড়া দেশের প্রায় সকল নদী মারাত্মক দূষণের শিকার। নৌশ্রমিকরা দিনের পর দিন নৌযানে থাকেন। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি নৌযানসমূহে কোনো পানি শোধনাগার নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ও সেরকারি নৌযান মালিক- কোনো কর্তৃপক্ষই বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে না। স্বল্পবেতনভোগী নৌশ্রমিকরা বাধ্য হয়ে সব কাজে নদীর পানি ব্যবহার করছেন। এতে তারা ভয়ানক জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন নদীর লোনা ও দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে চর্মের অনেক রোগসহ কর্কট রোগ (স্কিন ক্যান্সার) ও শ্বাসকষ্টজনিত নারা রোগ হতে পারে। লিভার সিরোসিস, রক্ত আমাশয়, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক আলসার (পাকস্থলীতে ক্ষত) ও নিয়মিত ডাইরিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল আন্ত্রিক পীড়া হতে পারে। এই সংকট নিরসনে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলরত সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের নৌযানে পানি শোধনাগার স্থাপন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে এসসিআরএফ।
মন্তব্য করুন