বাগেরহাট প্রতিনিধি: দাদীর ইচ্ছা পূরণে বাগেরহাটের চিতলমারীতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন বর। হেলিকপ্টরে করে বর আসার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ২১ জুন শুক্রবার দুপুর থেকে চিতলমারী একে ফজলুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে ভীড় জমাতে থাকেন স্থানীয় উৎসুক জনতা। পূর্ব থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য বিদ্যালয় মাঠে পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।বেলা ৩ টার দিকে ইমপ্রেস এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টরে করে পার্শ্ববর্তী উপজেলা নাজিরপুরের চরমাটিভাঙ্গা গ্রাম থেকে মাঠে অবতরণ করেন ডা. রুহুল আমীনের ছেলে বর রায়হান আমীন (২৮)। এ সময় বর রায়হান আমীনের সাথে তার নানীসহ আরও ৪ জন আত্মীয় ছিলেন। হেলিকপ্টর থেকে নামার পর কনে পক্ষের লোকজন বর ও তার আত্মীয়দের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় শত শত উৎসুক জনতা বরকে দেখতে ভীর জমান।হেলিকপ্টর থেকে নেমে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বর রায়হান আমীন বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার দাদী আনোয়ারা বেগম ইচ্ছা পোষণ করে বলতেন তার নাতিকে হেলিকপ্টরে করে বিয়ে করাতে নিয়ে যাবেন। দাদী আনোয়ারা বেগম ২০০৫ সালে মারা গেলেও তার ইচ্ছা পূরণ করতে তিনি হেলিকপ্টরে করে বিয়ে করতে এসেছেন।বরের পিতা ডা. রুহুল আমিন জানান, পূর্ব থেকে পারিবারিকভাবে চিতলমারী উপজেলার আড়ুয়াবর্ণী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত নৌ সেনা সদস্য সাইফুর রহমানের কন্যা সাজিয়া আমিনের (১৯) সাথে তার ছেলে রায়হান আমীনের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের নির্ধারিত দিনে হেলিকপ্টরে করে তার ছেলে বিয়ে করতে আসে। তিনি সকলের কাছে নব দম্পতির জন্য দোয়া কামনা করেন।
১ বছর আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া এবং এর উন্নয়নে অবদান রাখা’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশে উদ্বোধন করা হলো ‘মিডিয়া ওপেন ডে এবং ব্যবহারিক বাংলা ভাষা প্রশিক্ষণ কোর্স।’ মূলত বাংলাদেশে কর্মরত চায়না রেলওয়ের চীনা কর্মকর্তাদের বাংলা ভাষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ (সিআরইসি)।২৯ মে বুধবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত চায়না রেলওয়ের ডিভিশন-১ এর সম্মেলন কক্ষে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলা ভাষা শিক্ষা কোর্সের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ইয়াং হুই।যৌথভাবে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) ও সিআরইসি। এর আগে সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে চায়না মিডিয়া গ্রুপ ও চায়না রেলওয়ের বাংলাদেশ নানাবিধ কার্যক্রমের ভিডিও চিত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চায়না রেলওয়ের অবস্থান, সেখানে পরিচালিত কার্যক্রমও তুলে ধরা হয়। এরপর বাংলাদেশে সিআরইসি’র বেশ কয়েকটি শাখা অফিসের চীন আর বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার প্রামাণ্য চিত্র প্রচার করা হয়।এছাড়া অনুষ্ঠানে চীনে আসন্ন ড্রাগ বোট উৎসব নিয়ে বিস্তার তথ্য উপস্থাপন ও আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের শিক্ষক নিলু আক্তার। এরপর উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ড্রাগন বোট উৎসব কেন্দ্রিক জনপ্রিয় খাবার চৌং জি বিতরণ করা হয়।অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ পর্যায়ে চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এবং চায়না মিডিয়া গ্রুপ যৌথভাবে একটি বাংলা গান পরিবেশন করে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পদ্মা ব্রিজ রেল লিংক প্রজেক্টের (পিবিআরএলপি) প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন। সিআরইসির আঞ্চলিক সদর দপ্তরের নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশে চায়না রেলওয়ে গ্রুপের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ওয়াং হংপোসহ চায়না রেলওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা।ওয়াং হংপো তার বক্তব্যে বলেন, ‘চায়না রেলওয়ে তার বাংলাদেশে কর্মরত কর্মকর্তাদের জন্য বাংলা ভাষা শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে দু’দেশের কর্মকর্তা-কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। ফলে কাজগুলো আরও সহজ এবং দ্রুততর ও সুন্দর হবে।’
১ বছর আগে
খাইরুল ইসলাম মুন্না, বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনা বেতাগী পৌর শহরের পুরাতন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন এলাকায় মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে একটি হেলিকপ্টার। এটি দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে ভিড় করছেন বিনোদন প্রেমীরা। কেউ ঘুরে দেখছেন হেলিকপ্টারটি কেউবা তুলছেন ছবি। ভেতরে ঢুকতেই অবাক হবেন যেকেউ। কারণ এটি আকাশচারী কোনো যান নয়, হেলিকপ্টারের আদলে তৈরি ভ্রাম্যমাণ রেস্তোরাঁ।আর রেস্তোরাঁটি উদ্বোধনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর ছুটে আসেন। ভিন্ন ধরনের রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেতে ভিড় করছেন। ভ্রাম্যমাণ এ রেস্তোরাঁ ভেতরে চলাচল করা যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে। রয়েছে আরামদায়ক আসনও।২৬৫ রকমের খাবার পাওয়া যাবে। এমনকি স্থানান্তর করা যাবে অনায়াসে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আমন্ত্রণ জানালে সেখানে পৌঁছে যাবে রেস্তোরাঁটি।ব্যতিক্রম এই হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্টের প্রথম যাত্রা হয়েছে গত ১৬ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর ঝাউতলায়। যা গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সড়কপথে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পটুয়াখালী সদর ও মির্জাগঞ্জ ঘুরে রেস্টুরেন্টটি বর্তমানে পৌঁছেছে দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই একনজর দেখার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরা ছুটে আসতে শুরু করেছে।এমনই একজন দর্শনার্থী শিক্ষার্থী তাকওয়া তারিন নুপুর বলেন, এটি সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে বেতাগী উপজেলায় নিয়ে আসার উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এর ফলে আমরা বিনোদন পেলাম।কথা হয় ভ্রাম্যমাণ হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্টের নির্মাতা পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের কাজীর হাট বাজারে ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে।তিনি জানান, শুরুর দিকে এ কার্যক্রম নিয়ে স্থানীয়রা হাস্যরস করলেও পরে পেয়েছেন বাহবা। অভাবের সংসারে মেহেদীর লেখাপড়া করা সম্ভব হয়নি। সংসারে ঘানি টানতে একটি ওয়ার্কশপে কাজ শুরু করেন এবং তখন থেকেই ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করেন তিনি। একপর্যায়ে বানিয়ে ফেলেন এ হেলিকপ্টার।মেহেদী হাসান বলেন, বানাতে চেয়েছিলাম প্লেন। কিন্তু এতে খরচ বেশি হওয়ায় হেলিকপ্টার বানাই। অর্থ অভাবের কারণে আরিফুল ইসলাম ও আল-আমিনসহ আমরা তিন বন্ধু মিলে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করি। হেলিকপ্টারের ভেতরে রেস্টুরেন্ট বানিয়ে সারা বাংলাদেশ ঘোরার পরিকল্পনা করি এবং সে লক্ষ্যেই এটি তৈরি করেছি।তিনি বলেন, 'হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্ট' তৈরিতে প্রায় সাত মাস সময় লেগেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এ রেস্টুরেন্ট নিয়ে ৬৪ জেলায় ঘুরতে চাই আমরা তিন বন্ধু। হেলিকপ্টারের আদলে এটি তৈরি হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে 'ভ্রাম্যমাণ হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্ট'।
১ বছর আগে
মুক্ত ডেস্ক: ভালো স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষকেই বাড়ি ছাড়তে হয়। স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে বাসা ভাড়া নিয়ে বা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতে হয়। আবার অনেকে দূরত্ব বেশি না হলে গণপরিবহণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। তাই বলে কেউ বিমানে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা–যাওয়া করেন, এমন ঘটনা বিরল।এমনই কাণ্ড ঘটিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন টিম চেন নামে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার (ইউবিসি) এক শিক্ষার্থী। তিনি বাসা ভাড়া বাঁচাতে সপ্তাহে দুই দিন বিমানে চড়ে ক্লাস করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।টিম চেন ক্যালগেরির বাসিন্দা। ভ্যাংকুভারে এক কক্ষের বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার চেয়ে বিমানে করে আসা–যাওয়ায় তার খরচ কম হয়। তিনি প্রতি সপ্তাহে মাত্র দুটি ক্লাশ করেন। এতে প্রতিবার ওই শিক্ষার্থীর আসা–যাওয়ার ভাড়া পড়ে ১৫০ মার্কিন ডলার। মাসে এক হাজার ২০০ ডলারের (১ লাখ ৪২ হাজার টাকা প্রায়) মতো। কিন্তু ভ্যাংকুভারে এক কক্ষবিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্টের মাসিক ভাড়া দুই হাজার ১০০ ডলার (প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা)।রেডিটে চেন নিজের অভিজ্ঞতা লিখে শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি অনেক দূর থেকে ইউবিসির নিয়মিত যাত্রী এবং আমি ক্যালগেরিতে থাকি। মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার আমার ক্লাস থাকে, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়। আমি সকালে ভ্যানকুভারে উড়ে যাই এবং রাতে ক্যালগেরিতে ফিরে আসি। আমি এয়ার কানাডায় ফ্লাইটে যাতায়াত করি।’চেন লিখেছেন, ‘জানুয়ারিতে আমি এ রকম সাতবার আসা–যাওয়া করেছি। দেখলাম, এতে আমার ডলার অনেক বেঁচে যায়। কারণ আমাকে ক্যালগেরিতে ভাড়া দিতে হবে না (আমার মা–বাবার সঙ্গে বাড়িতে থাকার কারণে)। ভ্যাংকুভারে এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষের দুই হাজার ডলার ভাড়ার চেয়ে এটি সস্তা।’
১ বছর আগে