নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত সংবাদে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে বক্তব্য দিয়েছেন।২০ এপ্রিল শনিবার ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা।পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমার পরিবার ও আমার নামে অসত্য প্রকাশিত হয়েছে। তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।তিনি বলেন, এই সংবাদের সূত্র ধরে অন্যান্য কতিপয় আউটলেট একই রকমের সংবাদ পুনরাবৃত্তি ক্রমে পরিবেশন করেছে। তবে দেশের মূলধারার প্রিন্ট এবং মিডিয়া এই অসত্য, মানহানিকর এবং বিকৃত সংবাদ পরিবেশনে কোন আগ্রহ দেখায়নি। এজন্য মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর সাংবাদিক বন্ধুগণের প্রতি আমি এবং আমার পরিবারের অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।বেনজীর আহমেদ বলেন, আমার এবং পরিবারের ঢাকা ও ঢাকার বাহিরের সম্পত্তির তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বেতন ভাতার হিসাব কাল্পনিক এবং ভুল। গোপালগঞ্জের পারিবারিক কৃষি খামারের ভূমির পরিমাণ যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। জমির সকল তথ্য ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ আছে। এছাড়া আমার পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যা আমাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।তিনি জানান, সম্প্রতি পত্রিকায় আমি এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কিছু খুবই আপত্তিজনক, মানহানিকর, অসত্য এবং বিকৃত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেই সংবাদের সূত্র ধরে অন্যান্য কতিপয় আউটলেট একই রকমের সংবাদ পুনরাবৃত্তি ক্রমে পরিবেশন করেছে। তবে দেশের মূলধারার প্রিন্ট এবং মিডিয়া এই অসত্য, মানহানিকর এবং বিকৃত সংবাদ পরিবেশনে কোন আগ্রহ দেখায়নি। এজন্য মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর সাংবাদিক বন্ধুগণের প্রতি আমি এবং আমার পরিবারের অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।সাবেক আইজিপি বলেন, আমার অবসর গ্রহণের প্রায় দুই বছর পরে আকস্মিকভাবে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে এই ধরণের একটি সংবাদ কেন পরিবেশন হল আমি সচেতন ভাবেই সেই আলোচনায় যাব না। তবে এর কারণ রাজধানীর সব সাংবাদিক ও সচেতন মহলের মুখে মুখে।এরপর তিনি নিজের বিভিন্ন অর্জনের কথা জানিয়ে বলেন, যেহেতু আমি পাবলিকের টাকায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছি, প্রায় ৩৫ বছর রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কর্তব্য পালন করেছি, সেহেতু ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার অবস্থান থেকে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে সত্য তুলে ধরার তাগিদ অনুভব করেছি। সেই সঙ্গে এই সংবাদের কারণে যারা ব্যথিত হয়েছেন তাদের প্রতি সম্মান রেখে প্রকৃত সত্য ও তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে তাদেরকে আশ্বস্ত এবং তাদের বিশ্বাসের জায়গাটা সুদৃঢ় করতে চাই।তিনি বলেন, আমরা প্রকাশিত দুই কিস্তির সংবাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেছি। এতে সব মিলিয়ে ৪৫টি তথ্য, অভিযোগ এবং অপমানজনক বক্তব্য রয়েছে। তার মধ্যে ২৪টি তথ্য বা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং কল্পনাপ্রসূত। দুইটি বিষয়কে সাত বার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে এবং দুইটি তথ্যকে ভুল প্রেক্ষাপটে বিকৃতভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। বাকি দশটি তথ্যকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে, শুধু তিলকে তাল নয়, তালগাছের ঝাড় সমেত বানয়ে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।
১ বছর আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের আয়োজনে কিউকম নিবেদিত ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগে ডিজিটাল মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা, সার্টিফিকেট বিতরণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।১ মার্চ শুক্রবার বেলা ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনস্থ আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। তিনি বিশেষ প্রয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও এক বার্তায় সংগঠনের সাফল্য কামনা করেন। বার্তায় সব অতিথি এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা ও স্পন্সরকারী সব প্রতিষ্ঠানকে অভিনন্দন জানান।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাবি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গ্লোবাল টিভির সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন সম্পাদক লুৎফর রহমান হিমেল, চ্যানেল 24 এর ডিজিটাল হেড রাজীব খান, প্রথম আলোর সিনিয়র ম্যানেজার (লিড) বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা রুহুল আমিন রনি, গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের লেকচারার সরজ মেহেদী, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের হেড অব মিডিয়া নাহিদ জাহান, এডফিনিক্স’র বিজনেস ও গ্রোথ লিড হোসনে মোবারক অপু, নিউজবাংলার অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার জাকারিয়া হোসেন জয়, এক্সিলেন্স বাংলাদেশের সিইও বেনজির আবরারসহ অনেকেই।কর্মশালায় স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল- টাইটেল স্পন্সরে কিউকম, গেজেট পার্টনার জি অ্যান্ড এম গেজেট অ্যান্ড মোবাইল কেয়ার, গোল্ড স্পন্সর টেনিশিয়ান, আইটি পার্টনার টেক্সোর্ট, নিউট্রিশন পার্টনার নিউট্রি প্লাস, কনটেন্ট প্রডাকশন পার্টনার স্টুডিও ভেলভেট, ক্রিয়েটিভ পার্টনার লিমিরেন্স ক্রিয়েসন্স, কো-স্পোন্সর দ্য প্রিমিয়াম হোমস লিমিটেড ও উইসেলবিডি এবং নলেজ পার্টনার জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট।কর্মশালায় ৫টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের মিডিয়া ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞজন প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালা পরিচালনা করেন।কর্মশালায় প্রথমেই বক্তব্য দেন পারপাল প্যাচের বিজনেস লিড আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি তার পুরো প্রেজেন্টেশন প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘জনসংযোগ বিভাগ হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের আয়নার মতো। এই বিভাগ যত দক্ষ, প্রতিষ্ঠানটি তত উন্নত। সুতরাং দক্ষতার বিকল্প কিছু নেই।’ দ্বিতীয়তে বক্তব্য দেন ক্লাইয়েন্ট পার্টনার মেটা অ্যালেফ লিড তিথি চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘স্যোশাল মিডিয়া সম্পর্কে যত জানা যাবে, ততই ভালোভাবে এই মাধ্যম ব্যবহার করা যাবে। আপনাদের জানতে হবে কোন মাধ্যমে কত দ্রুত আপনার ম্যাসেজটি মানুষের কাছে পৌঁছায়। সেই অনুযায়ী আপনি বিজ্ঞাপন দেবেন। এতে আপনার সময় এবং অর্থ দু’টোই সঠিকভাবে ব্যয় হবে। এজন্য এসব টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জানা জরুরি।’ এসময় তিনি ডাটা-উপাত্তসহ স্লাইডের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেন।এসময় বক্তব্য দেন খান আইটির ফাউন্ডার মো. ফারুক খান। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মিডিয়ার এই আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী। এর মাধ্যমে আমাদের সবারই ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহারে একটি স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে। দক্ষ হয়ে উঠবো সবাই। এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।’তিনি আরও বলেন, ‘ছোট বা বড় যে কোনো ধরনের ব্যবসার জন্য এসইও মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব সর্বাধিক হওয়া উচিত। কেননা, এসইও কাজ করে আপনার ব্যবসার ব্র্যান্ড তৈরিতে, যা এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যুগে সব ব্যবসার মূল লক্ষ্য।’কর্মশালায় চতুর্থ নম্বরে বক্তব্য দেন দৈনিক কালবেলার অনলাইন বিভাগীয় প্রধান পলাশ মাহমুদ। তিনি ভিন্নভাবে নিজেদের প্রচারের কলাকৌশল ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘সবাই তো চায় নিজেদের প্রচার। তবে, প্রচার কীভাবে কতটুকু হয়, সেটাই দেখার বিষয়। গতানুগতিকভাবে প্রচার করলে বর্তমানে নিজেদের তুলে ধরা যাবে না। প্রচার করতে হবে ভিন্নভাবে, যাতে মানুষের চোখে পড়ে। সেজন্য চিন্তা করতে হবে এবং তার প্রতিফলন দেখাতে হবে।’এসময় নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন চ্যানেল24 এর ডিজিটাল হেড রাজীব খান। তিনি বলেন, ‘অল্প সময়ে ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এটি তাদের জন্য ইতিবাচক। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগে ডিজিটাল মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা আরও আগেই প্রয়োজন ছিল। এসব আয়োজন মিডিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগে সেতু বন্ধন সৃষ্টি করবে।’অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সিনিয়র ম্যানেজার (লিড) বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা রুহুল আমিন রনি। এসময় তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগে ডিজিটাল মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা একটি সুন্দর আয়োজন। এসব কর্মশালা এসময় বেশি প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা ডিজিটাল মিডিয়া সম্পর্কে যত বেশি জানবেন, তত বেশি তারা এই মিডিয়ায় অভ্যস্ত হবেন।’অনুভূতি জানান দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন সম্পাদক লুৎফর রহমান হিমেল। তিনি বলেন, ‘জানার কোনো শেষ নেই। দিন যত যাচ্ছে, জানার গণ্ডি তত বাড়ছে। আপডেট না থাকলে আপনি তরুণ হলেও পিছিয়ে পড়বেন।’ ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের এমন শিক্ষণীয় কর্মশালা অব্যাহত থাকুক বলে আশা করেন তিনি। কর্মশালার শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রাইভেট ইউনিভাসির্টি পাবলিক রিলেশনস অফিসারস অ্যাসোসিয়েশন (পুপরোয়া) এর সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত। এসময় তিনি আগত সব অতিথি ও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। কৃতজ্ঞতা জানান স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি।তিনি বলেন, ‘বর্তমান যুগ ডিজিটাল পেরিয়ে স্মার্ট হয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতে না পারলে পেছনে পড়ে যেতে হবে। তাই ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের এই কর্মশালা সময়ের সঠিক আয়োজন। এমন আয়োজন আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একধাপ এগিয়ে দেবে।’এসময় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গ্লোবাল টিভির সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘যারা পাবলিক রিলেশনে রয়েছেন, তাদের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি তৈরি করা। এখানেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টর সবচেয়ে বড় জায়গা হলো জিডিটাল মিডিয়া। এটাকে ভালোভাবে জানতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে। আজকের এই কর্মশালা সেটি আপনাদের পথ দেখাবে। আপনার যত রিসার্চ থাকবে, আপনি তত এগিয়ে থাকবেন।’এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের এই কর্মশালা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। মিডিয়ার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের যোগাযোগের যতটুকু গ্যাপ ছিল, সেটি পূরণ হয়েছে। যোগাযোগ যত সহজ হবে, আদানপ্রদান তত বাড়বে।’ এসময় তিনি আয়োজক এবং সহযোগীদের এসব কর্মশালা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ উপস্থিত না থাকায় বিশেষ অতিথি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাবি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে প্রধান অতিথি ঘোষণা করা হয়। এসময় তিনি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা ও অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান।তিনি বলেন, ‘ভিন্ন না হলে কেউ কাউকে চেনে না। ব্যতিক্রম না হলে মেলায় হারিয়ে যেতে হয়। ইউটিউব-ফেসবুকে অনেক কনটেন্ট আছে, আপনারটাই মানুষ বেশি দেখবে কেন? আপনারটায় ব্যতিক্রম কী আছে, সেটি খুঁজবে মানুষ। বাজারে আরো ৭৫টা ব্র্যান্ড আছে, আপনারটা ৭৬ নম্বর হলে লাভ নেই। হারিয়ে যাবে।’এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘ভাষা কোনো ব্যারিয়ার নয়, দরকার ভিন্নতা ও কোয়ালিটি সম্পন্ন। তাহলেই কেবল আপনার ব্র্যান্ড দাঁড়াবে। অপনি যত আপডেট হবেন, মার্কেটে তত ভ্যালু বাড়বে আপনার। পিছিয়ে থাকা যাবে না।’ এসময় তিনি বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন। সবশেষে তিনি ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের সাফল্য কামনা করেন।অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএমএফ প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন আগত সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ডিজিটাল সেক্টরের বিভিন্ন সসম্যা ও সম্ভাবনা গবেষণা করেছে। তারপর এমন একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে। যেখানে এই সেক্টরের দেশসেরা এক্সপার্টদের এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো। আগামীতেও এমন আয়োজন অব্যাহত রাখবো আমরা। সময় স্বল্পতার জন্য আমাদের অনেক অতিথিকে সেভাবে সময় দিতে পারিনি। দুঃখ প্রকাশ করছি। আজকের এই আয়োজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশে অনেকখানি এগিয়ে দেবে।’এসময় তিনি অনুষ্ঠান সহযোগী প্রাইভেট ইউনিভাসির্টি পাবলিক রিলেশনস অফিসারস অ্যাসোসিয়েশন (পুপরোয়া)-কে ধন্যবাদ জানান। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের পাশে সবাইকে এভাবে থাকার অনুরোধ জানান।
১ বছর আগে
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: ‘মাদারীপুরের শিবচরে স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একত্রে মদ্যপান করছেন। শিক্ষার্থী বিদেশি মদের বোতল থেকে শিক্ষককে মদ ঢেলে দিচ্ছেন। আবার শিক্ষকের সামনেই শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্যাস করে মদ্যপান করছেন।’- এমন ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে পরেছে।২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষা সফরে নারায়নগঞ্জের সোনার গাঁও থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, শনিবার ভোরে বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৪১ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য নারায়নগঞ্জের সোনার গাঁও যায়। তবে সাথে নেওয়া হয়নি কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবক।ভিডিও ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা সফর শেষে এলাকায় ফেরার পর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মদ্যপানের ভিডিও ছরিয়ে পরে। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায় বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মো. ওয়ালিদ মদের বোতল হাতে নিয়ে মদ ঢালছেন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে মদের বোতল দিচ্ছেন। এমন ভিডিও দেখে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বন্ধুরা শিক্ষা সফরে গিয়েছিলো। ওরা ফেসবুক স্টোরি দিয়েছে। আমি ভিডিওতে দেখেছি ওরা ফরেন বোতল মদ পান করেছে। তবে ওরা স্যার ম্যাডামদের সামনেই খেয়েছে মদ। মদ পান করছে সরোয়ার, রবিউল, মোস্তফা, এদের ভিডিও দেখেছি।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমার বাড়ি সদরপুর। আমি আগের দিন ঢাকাতে গিয়ে অবস্থান করেছি। শিক্ষা সফরে আমি যোগ দিয়েছি ঢাকা থেকে। এর আগে বাসের মধ্যে কি হয়েছে তা আমি জানি না। দায়িত্বে ছিলেন শিউলি ম্যাডাম। আমি বাসে উঠার পর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।এ ব্যাপারে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খাঁন বলেন, শিক্ষা সফরের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মদ খেয়ে নেচেছে বিষয়টি শুনেছি ও ভিডিও দেখেছি।এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাকসুদুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবগত করে ব্যবস্থা নিবো।এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, এটা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এ বিষয়ে নিয়ে তদন্ত কমিটি করে দিবো। যদি শিক্ষকরা এর সাথে জরিত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ বছর আগে
কবি আবদুল হাই শিকদার: আমাদের সম্মিলিত অবহেলা, উদাসীনতা, অনাদর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে মৃত্যুর মাত্র ৫ বছরের মধ্যে হারিয়ে গেছে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের কবর। এখন কবর বলতে আছে শুধু একটি নাম ফলক।ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মৌরাইল গোরস্তানে সমাহিত কবির কবর জিয়ারত করতে গিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হই আমরা। আল মাহমুদের কবরের উপর দাফন করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। কবরের উপর একাধিক কবর । ডাইনে বায়ে কবর।কবি আল মাহমুদ একাডেমির প্রধান, অধ্যাপক, সংগঠক, কবি মহিবুর রহিম আমাকে ও কবি গবেষক ড. ফজলুল হক তুহিনকে নিয়ে গিয়েছিলেন গোরস্তানে। আল মাহমুদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার আমন্ত্রণেই আমাদের দু’জনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়া।একটি নামফলক এবং গায়ে গায়ে লাগানো দুটি কবরের মাঝখানে অতি সংকীর্ণ অংশটুকু দেখিয়ে, প্রায় ব্যথিত কণ্ঠে মহিবুর রহিম বললেন, এখানেই আল মাহমুদের কবর। অবশ্য কবর বলতে এখন এই নাম ফলকটিই সম্বল।তুহিন আর আমি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। আহা … এ রকম নিষ্ঠুরতা কী আল মাহমুদের প্রাপ্য ছিল!ইচ্ছে করছিল বাতাস আকাশ কাঁপিয়ে চিৎকার করি, ইতর, অসভ্য, আত্মঘাতী, অবিমৃশ্যকারী, …… বলে বলে। কিন্তু বলা হলো না। কাকে বলবো? কোথাও তো কেউ নেই!
১ বছর আগে