স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করল আফগানিস্তান। গুলবাদিন নাইব ও নাভিন উল হকের বোলিং তোপে ২১ রানে হার মানলো অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট শুরু করা অজিরা আফগানদের কাছে হেরে বিপদে পড়ে গেলো। তিন বিভাগেই দারুণ খেলে অজিদের চলতি আসরে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ দিলো রশিদ খানের দল।আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শতাধিক রানের উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তান ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৯.২ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয়।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দারুণ শুরু পায় আফগানিস্তান। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তোলে তারা। এরপর এ টুর্নামেন্টে তৃতীয়বারের মতো পঞ্চাশ রানের বেশি উদ্বোধনী জুটি পায় আফগানিস্তান।সেটিকেও ছাড়িয়ে একশর বেশি রানের জুটি হয় রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরানের মধ্যে। এক টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার এই মাইলফলক ছোয়ার কীর্তি ছিল না আগে, এবার করলেন তারা। এবারের আসরে আর কোনো দলই পায়নি শতরানের উদ্বোধনী জুটি।দুই ব্যাটারই অবশ্য ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি। ইনিংসের ৯৫তম বলে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। স্টয়নিসকে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন ওয়ার্নারের হাতে। ৪৯ বলে ৪টি চার ও সমান ছক্কায় ৬০ রান করেন গুরবাজ।পরের ওভারে এসে অ্যাডাম জাম্পা ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। ওই ওভারের শেষ বলে ফেরেন আরেক ওপেনার ইবরাহিম জাদরানও। ৪৮ বলে ৬ চারে ৫১ রান করেন তিনি।এর মধ্যে এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক তুলে নেন প্যাট কামিন্স। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করেন তিনি। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে আউট হন করিম জানাত ও গুলবাদিন নাঈব। আফগানিস্তানের ইনিংস দেড়শ ছাড়িয়ে না যাওয়ার কৃতিত্ব কামিন্সের।রান তাড়ায় নামা অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই ধাক্কা দেয় আফগানিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় বলে নাভিন উল হক বোল্ড করেন ট্রাভিস হেড, তখনও অবধি কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের উইকেট পান নাভিন।আক্রমণাত্মক হতে চাওয়া মিচেল মার্শকে আউট করেন এবার। ৯ বলে ১২ রান করে মিড অফে দাঁড়ানো মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর উইকেটে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, একপ্রান্তে দলকে আগলে রাখেন তিনি। তবে আরেকদিকে ঠিকই উইকেট তুলে নিতে থাকে আফগানরা।পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ডেভিড ওয়ার্নারকে সাজঘরের পথ দেখান নবী। ৮ বলে ৩ রান করে নূর আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। প্রথম ছয় ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।চতুর্থ উইকেটের জন্য ইনিংসের ১১তম ওভার অবধি অপেক্ষা করতে হয় আফগানিস্তান। মার্কোস স্টয়নিসের সঙ্গে গড়ে উঠতে থাকা ম্যাক্সওয়েলের জুটি এবার ভাঙেন গুলবাদিন নাইব। ১৭ বলে ১১ রান করা স্টয়নিস এবার ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।নাইব নিজের পরের ওভারে ফেরান টিম ডেভিডকে। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় বাধা হয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও।
১ বছর আগে
স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করল আফগানিস্তান। গুলবাদিন নাইব ও নাভিন উল হকের বোলিং তোপে ২১ রানে হার মানলো অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট শুরু করা অজিরা আফগানদের কাছে হেরে বিপদে পড়ে গেলো। তিন বিভাগেই দারুণ খেলে অজিদের চলতি আসরে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ দিলো রশিদ খানের দল।আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শতাধিক রানের উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তান ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৯.২ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয়।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দারুণ শুরু পায় আফগানিস্তান। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তোলে তারা। এরপর এ টুর্নামেন্টে তৃতীয়বারের মতো পঞ্চাশ রানের বেশি উদ্বোধনী জুটি পায় আফগানিস্তান।সেটিকেও ছাড়িয়ে একশর বেশি রানের জুটি হয় রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরানের মধ্যে। এক টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার এই মাইলফলক ছোয়ার কীর্তি ছিল না আগে, এবার করলেন তারা। এবারের আসরে আর কোনো দলই পায়নি শতরানের উদ্বোধনী জুটি।দুই ব্যাটারই অবশ্য ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি। ইনিংসের ৯৫তম বলে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। স্টয়নিসকে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন ওয়ার্নারের হাতে। ৪৯ বলে ৪টি চার ও সমান ছক্কায় ৬০ রান করেন গুরবাজ।পরের ওভারে এসে অ্যাডাম জাম্পা ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। ওই ওভারের শেষ বলে ফেরেন আরেক ওপেনার ইবরাহিম জাদরানও। ৪৮ বলে ৬ চারে ৫১ রান করেন তিনি।এর মধ্যে এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক তুলে নেন প্যাট কামিন্স। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করেন তিনি। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে আউট হন করিম জানাত ও গুলবাদিন নাঈব। আফগানিস্তানের ইনিংস দেড়শ ছাড়িয়ে না যাওয়ার কৃতিত্ব কামিন্সের।রান তাড়ায় নামা অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই ধাক্কা দেয় আফগানিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় বলে নাভিন উল হক বোল্ড করেন ট্রাভিস হেড, তখনও অবধি কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের উইকেট পান নাভিন।আক্রমণাত্মক হতে চাওয়া মিচেল মার্শকে আউট করেন এবার। ৯ বলে ১২ রান করে মিড অফে দাঁড়ানো মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর উইকেটে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, একপ্রান্তে দলকে আগলে রাখেন তিনি। তবে আরেকদিকে ঠিকই উইকেট তুলে নিতে থাকে আফগানরা।পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ডেভিড ওয়ার্নারকে সাজঘরের পথ দেখান নবী। ৮ বলে ৩ রান করে নূর আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। প্রথম ছয় ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।চতুর্থ উইকেটের জন্য ইনিংসের ১১তম ওভার অবধি অপেক্ষা করতে হয় আফগানিস্তান। মার্কোস স্টয়নিসের সঙ্গে গড়ে উঠতে থাকা ম্যাক্সওয়েলের জুটি এবার ভাঙেন গুলবাদিন নাইব। ১৭ বলে ১১ রান করা স্টয়নিস এবার ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।নাইব নিজের পরের ওভারে ফেরান টিম ডেভিডকে। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় বাধা হয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও।
১ বছর আগে
স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর সবকটি জয়ে বড় অবদান ছিল বোলারদের।এবার সুপার এইটে এসে ব্যর্থ হলো বোলাররা। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নূন্যতম লড়াইটুকুও করতে পারেনি বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস মেথডে ২৮ রানের জয় পেয়েছে অজিরা।আজকের বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে তিন বার হানা দেয় বৃষ্টি। প্রথমবার টসের আগে; বাকি দুই বার অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস চলাকালীন সময়ে। তৃতীয়বার বৃষ্টি কবলে পড়ে ম্যাচই পরিত্যক্ত হয়ে যায় খেলা।ফলে রান তোলায় এগিয়ে থাকার কারণে ডাকওয়ার্থ লুইস বা ডিএলএস মেথডে ২৮ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। আর প্রথম ম্যাচ হারার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের সুপার এইট।ইনিংসের ১১.২ ওভারের পর অ্যান্টিগায় আর খেলা শুরু হতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১১.২ ওভার পর ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে সে ব্যবধানেই ম্যাচটি জিতল তারা।১৪০ রানের সম্বল নিয়ে দ্রুত উইকেটের দরকার ছিল বাংলাদেশের। সেটি তারা পায়নি। কার্যত হেড ও ওয়ার্নারের ৬৫ রানের ওপেনিং জুটিতেই লড়াই থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে রিশাদ হোসেন আশা জোগালেও ওয়ার্নারকে টলানো যায়নি।
১ বছর আগে
স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর সবকটি জয়ে বড় অবদান ছিল বোলারদের।এবার সুপার এইটে এসে ব্যর্থ হলো বোলাররা। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নূন্যতম লড়াইটুকুও করতে পারেনি বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস মেথডে ২৮ রানের জয় পেয়েছে অজিরা।আজকের বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে তিন বার হানা দেয় বৃষ্টি। প্রথমবার টসের আগে; বাকি দুই বার অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস চলাকালীন সময়ে। তৃতীয়বার বৃষ্টি কবলে পড়ে ম্যাচই পরিত্যক্ত হয়ে যায় খেলা।ফলে রান তোলায় এগিয়ে থাকার কারণে ডাকওয়ার্থ লুইস বা ডিএলএস মেথডে ২৮ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। আর প্রথম ম্যাচ হারার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের সুপার এইট।ইনিংসের ১১.২ ওভারের পর অ্যান্টিগায় আর খেলা শুরু হতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১১.২ ওভার পর ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে সে ব্যবধানেই ম্যাচটি জিতল তারা।১৪০ রানের সম্বল নিয়ে দ্রুত উইকেটের দরকার ছিল বাংলাদেশের। সেটি তারা পায়নি। কার্যত হেড ও ওয়ার্নারের ৬৫ রানের ওপেনিং জুটিতেই লড়াই থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে রিশাদ হোসেন আশা জোগালেও ওয়ার্নারকে টলানো যায়নি।
১ বছর আগে