× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার
Image

আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহে অনিয়ম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তদন্ত কমিটি


বাবুল আকতার, খুলনা ব্যুরো: খুলনা সিভিল সার্জনের দফতরের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের টেন্ডারে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর বুধবার এ তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতির অবর্তমানে কমিটির সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দফতরের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। এসময় খুলনার সিভিল সার্জনসহ ঐ দফতরের মোট ৬ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় বলে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. আখতারুজ্জামান জানান।তিনি বলেন, তদন্তকালে কমিটির অপর সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমএম জাহাতাব হোসেন ও প্রধান সহকারী মো. মাছুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টা থেকে প্রায় আড়াইঘন্টাব্যাপী সিভিল সার্জনের দফতরে তারা অবস্থান করে সিভিল সার্জন, হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঠিকাদারসহ আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত অন্তত ৬ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান। তবে কমিটির সভাপতি ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ জরুরি কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় তিনি তদন্তকাজে থাকতে পারেননি বলেও জানান।এর আগে চলতি বছরের ১১ মার্চ খুলনার সিভিল সার্জন বরাবর এবং ১৯ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, আউটসোর্সিং কর্মচারী সরবরাহের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টি ফোর এস ইন্টারন্যাশনাল প্রা. লিমিটেডের পক্ষে এসএম গিয়াস উদ্দীন। ঐ অভিযোগপত্রে আউটসোর্সিং কর্মচারী সরবরাহের ঠিকাদার নিয়োগের টেন্ডারে অনিয়ম হয়েছে বলে ৭ দফা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরা হয়। যার আলোকে গত ২২ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম খুলনার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে বিষয়টি তদন্ত করে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানোর নির্দেশ দেন।গত ৩১ অক্টোবর পরিচালক(স্বাস্থ্য) ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি পত্র দিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে সরোজমিনে তদন্তের দিন ও তারিখ জানানো হয়। নির্দিষ্ট দিনে ৮ নভেম্বর বুধবার সকালে ঐ তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।উল্লেখ্য, যে টেন্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তদন্ত হলো ঐ টেন্ডারে অংশ নিয়েই ফুলতলার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জনবল সরবরাহের কাজ পায়। ঐ টেন্ডারের বিরুদ্ধে অবশ্য মাছরাঙা সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রা.) লি. নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একাধিক মামলা এবং সর্বশেষ আইনী নোটিশও দেওয়া হয়। কিন্তু কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব বিভাগের এক ব্যক্তির মাধ্যমে নানাভাবে আইনী ফাঁক ফোঁকর বের করে পূর্বের ঠিকাদারের কাজ চলমান রাখার চেষ্টা চলে। ঠিক এমন সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ তদন্ত অনেকটা গুরুত্ব বহন করে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

১ বছর আগে

Image

গোয়ালন্দে প্রকাশ্যে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন


মো. সুজন খন্দকার, রাজবাড়ি প্রতিনিধি: হাই কোর্টের নির্দেশে যত্রতত্র ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় তা মানা হচ্ছে না। উপজেলার দেব্রগ্রাম ইউনিয়নের বাঁশের ব্রিজ এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে স্থানীয় প্রায় ১০০ বিঘা ফসলি জমিতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। শুধু দেব্রগ্রাম নয়, উপজেলার উজানচর, মাল্লাপট্রি ব্রিজ, দৌলতদিয়া মরা পদ্মা, কাটাখালির অন্তর মোড়, ছোট ভাগলাসহ একাধিক স্থানে প্রকাশ্যে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।বালু উত্তোলনের ফলে দেব্রগ্রাম ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙনঅভিযুক্ত মো. মফির সাথে কথা হয় এশিয়ান টিভি অনলাইনের প্রতিবেদকের। ফোন করলে তিনি দম্ভভরে বলেন, আইন আমার কাছে কোন বিষয়ই না। আমি ৫ বছর ধরে সবাইকে ম্যানেজ করে আলু উত্তোলন করছি, বিক্রি করছি। বেআইনী কাজ করছেন বলাতে তিনি বলেন, আইন থাকবে কাগজে-কলমে আর কাজ চলবে মাঠে।এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানকে মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন মুঠোফোনে জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে যারাই জরিত তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা যতই প্রবাবশালী হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১ বছর আগে

Image

জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে বয়স্কভাতা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ


তানভীর আহাম্মেদ, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় মজিবুর রহমান নামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্কভাতার কার্ড বাতিল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মজিবুর রহমান উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের টংগুয়া গ্রামের বাসিন্দা।এশিয়ান টিভি অনলাইনকে মজিবুর রহমান বলেন, ৪মাস ধরে আমি বয়স্কভাতার টাকা পাচ্ছি না। বয়স্কভাতার কার্ড পাওয়ার পর থেকে প্রতি ৩ মাস পরপর ১ হাজার ৫০০ টাকা করে পাচ্ছিলাম। কিন্তু এবারে আমার টাকার কোনো মেসেজ না আসায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি, আমাকে সরকারি নথিপত্রে মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে।তিনি আরও বলেন, আমি জীবিত থাকার পরও আমাদের মেম্বার হুমায়ুন কবির আমাকে সরকারি নথিতে মৃত দেখিয়েছে। আমি অসহায় মানুষ, বয়স হয়েছে। সাহায্যের কয়েকটা টাকা পেতাম সেটাও বন্ধ করে দেয়া হলো। আমি এ ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের সুষ্ঠু বিচার চাই।এ ঘটনায় ইউপি সদস্য হুমায়ুন বলেন, একই এলাকায় একই নাম হওয়ার কারণে ভুলবশত এটা হয়েছে। আশা করছি আগামীতে তিনি বয়স্কভাতা পেয়ে যাবেন।ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বাবুল বলেন, জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড বাতিলের বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে এটা মোটেই ঠিক হয়নি। আমি এটা দেখবো।এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। সকল কাগজপত্র অধিদফতরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি, পরবর্তি সময়ে ভুক্তভোগীর সমন্বয় করে দেয়া হবে।

১ বছর আগে

Image

সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ: ভিডিও ভাইরাল


মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ অফিসে দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য ঘুষ হিসেবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ আছে, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহায়ক মো. নাসির উদ্দিন প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রশনের জন্য ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত ঘুষ হিসেবে আদায় করেন । সম্প্রতি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এজলাস কক্ষে ঘুস লেনদেনের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ঘটনাটি তোলপার সৃষ্টি করলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের তাতে কোন হেলদোল নেই। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা গেছে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এজলাস কক্ষে এজলাসের সামনে একটি চেয়ারে বসে অফিস সহায়ক নাসির সেখানে থাকা এক ব্যক্তিকে বলছেন, ‘দুই হাজার টাকা দেন, স্যার খাবে। পরক্ষনেই ঐ ব্যক্তি পকেট থেকে ৫০০ টাকার ৪ টি নোট বের করে নাসির উদ্দিনের হাতে দেয়। তিনি টাকাগুলে গুনে নিয়ে টেবিলের ড্রয়ারে রাখেন এবং প্রশ্ন করেন কত নম্বর ? ঐ ব্যক্তি টেবিলের উপরে থাকা তালিকার দিকে ঝুকে নম্বরটি দেখিয়ে দিলে নাসির উদ্দিন সেখানে টিক চিহ্ন দিয়ে রাখেন।এ ঘটনায় অভিযুক্ত অফিস সহায়ক  নাসির উদ্দীনকে ভিডিওটি দেখানো হলে তিনি সেটি নিজের বলে স্বীকার করেন। এসময় তিনি বলেন আমি শুধু নকল নবিশের ফি বাবদ দলিল প্রতি ২৪০ টাকাকরে নেই। এর বাইরে আমি কোন টাকা নেই না। তখন ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ২ হাজার টাকা নেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।এ ঘটনায় উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. মনিরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, আমি আত্রাই আছি। মোবাইলে এসব কথা বলা যাবে না। আপনি আগামি সপ্তাহে অফিসে আসেন, অফিসে আপনার সাথে কথা বলবো।খোঁজ নিয়ে জান যায়, অভিযুক্ত নাসির উদ্দীন পাশ্ববর্তী মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের জামদই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুবছড় আগে পদোন্নতি পেয়ে অফিস সায়ক হয়েছেন। প্রায় তিন যুগের অধিক সময় ধরে তিনি এ অফিসের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত আছেন।  ১৯৮৪ সালে নকল নবিশ হিসেবে এ অফিসে যোগদান করেন। পরবর্তিতে ২০১৬ সালে মোহরার পদে এবং বছর দুয়েক আগে পদোন্নতি পেয়ে অফিস সহায়ক হন।

১ বছর আগে

সমবায় অধিদফতরের গালীবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ তদন্তে দুদক

সমবায় অধিদফতরের গালীবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ তদন্তে দুদক

২৬ জুন ২০২৩ ০৯:০১ এএম

রায়পুর উপজেলা মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনিয়মই যেন নিয়ম!

রায়পুর উপজেলা মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনিয়মই যেন নিয়ম!

০১ জুন ২০২৩ ১০:২৫ এএম

নীলফামারী বিআরটিয়েতে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং খামখেয়ালির অভিযোগ

নীলফামারী বিআরটিয়েতে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং খামখেয়ালির অভিযোগ

৩০ মে ২০২৩ ০৩:১৯ পিএম