খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় শুরু হলো ১০ দিনব্যাপী স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনী। পাহাড়জুড়ে প্রাণের বৈসাবি উৎসব শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই, চাকমাদের বিঝু উৎসবকে একত্রে বলা হয় বৈসাবি।এ বৈসাবিকে সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয় মেলা শুরু হয়েছে শহীদ কাদের সড়ক খাগড়াছড়ি অরুনিমা কমিউনিটি সেন্টারে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য এলাকার স্থানীয় পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠির সদস্যদের হাতে তৈরি পোশাক ও হস্তশিল্পে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো। এখানকার প্রতিটি দোকানেরই নিজস্ব কিছু পণ্য রয়েছে। সেগুলো তারা নিজেরাই তৈরি করেছেন।২৯ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। এ সময় জেলা পরিষদ সদস্য শতরূপা চাকমাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।খাগড়াছড়ি জেলা শহরস্থ অরুনিমা কমিউনিটি সেন্টারে খাগড়াছড়ির নারী উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে পণ্য প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এই পণ্য প্রদর্শনী চলবে।মেলায় বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের শাল, থ্রি-পিস, ফতুয়া, বাচ্চাদের বিভিন্ন স্টাইলের জামাকাপড়ের ছড়াছড়ি দোকানগুলোতে। এছাড়া রয়েছে হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ ও খেলনা। খাদ্য ও নানান ধরনের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে মেলায়।
১ বছর আগে
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে অনাবদী জমিতে বস্তায় আদাচাষ করে সাফল্য পেয়েছেন নাজমা সুলতানা নামে এক নারী কৃষি উদ্যোক্তা। উপজেলার পূর্ব তিনটহরী এলাকায় তিন একরের একটি পারিবারিক মিশ্র ফল বাগানে কলা ও মাল্টা চাষের সাথী ফসল হিসেবে প্রায় ৫ হাজার ৩০ বস্তায় আদার আবাদ করেন তিনি। ইতোমধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে সাড়া ফেলেছে অন্য কৃষকদের মাঝেও। প্রচলিত চাষের বিকল্প হিসেবে বস্তায় চাষে মাটি ক্ষয় ও পোকা মাকড় আক্রমণের ঝুঁকিও কম। এতে ফলন বেশ ভালো হয়।ফোর সিজন এগ্রো ফার্মের সত্ত্বাধিকারী নাজমা সুলতানা বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক বাগান। এখানে মাল্টা, কলা, সজনে ও নিম গাছ লাগিয়েছি। এরপরেও প্রচুর ছায়াযুক্ত জায়গা পরে আছে। সাথী ফসল হিসেবে কিছু একটা চাষাবাদের পরিকল্পনা ছিল।তিনি বলেন, ফোর সিজন এগ্রো ফার্মের কাজ পরিচালনা ও রক্ষণাবক্ষেণের জন্য দুজন স্টাফ রয়েছে। প্রতি মাসে তাদের বেতন ভাতা বাবদ ২৫ হাজার টাকা। বছরে ৩ লক্ষ টাকা। ফার্মের আয় থেকে তাদের বেতন ভাতা পরিশোধের উপায় খুঁজছিলাম। একদিন বস্তায় আদা চাষ বিষয়ে ইউটিউবে একটি প্রতিবেদন দেখে এবং বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মো. আশিকুল ইসলামের বস্তায় আদা চাষ বিষয়ে বক্তব্য শুনে আমি অনুপ্রাণিত হই। গত বছরের মে মাসে বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছি। ফেব্রুয়ারিতে আদা সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যে কয়েকটা বস্তায় আদা তুলে দেখেছি ফলন খুবই ভালো। অন্তত ১০ টন আদা উৎপাদিত হবে। যা বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি বলে আশা করছি।এদিকে, বাগান পরিচর্যা ও দেখা শোনার কাজে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয়দের। বাগান পরিচর্যায় নিয়োজিত আছমা খাতুন বলেন, আমি এ বাগানে পরিচর্যা কাজে নিয়োজিত। প্রতিদিন মালিক আমাকে ৩৫০ টাকা দেয়। এখান থেকে যা আয় হয়, তা দিয়ে আমার সংসার চলে।বাগান পরিচর্যায় নিয়োজিত পাইমং মারমা বলেন, আমি লেখা পড়ার পাশাপাশি ফোর সিজন এগ্রো ফার্মে কাজ করে আসছি। কীভাবে বস্তায় আদা চাষ করতে হয়, তা আমি শিখেতেছি। এ বাগানে প্রথম বারের মত প্রায় ৫ হাজার ৩ শত বস্তায় আদা করা হয়েছে। আপাতত আদা চাষের ফলন ভালো দেখছি। ইতোমধ্যে বস্তায় আদা চাষের পদ্ধতি দেখে আমি আমার বাসার আঙ্গিনায় চাষ করেছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে।মানিকছড়ি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথ বলেন, এখানে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে বস্তায় আদা চাষ করেছে। যখনি রোগ বা পোকা মাকড়ে আক্রান্ত হয়, তখনই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়। এখন এলাকার অনেক কৃষক বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। বস্তায় আদা চাষ পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পরবে।মাটিতে মসলা জাতীয় আদা চাষ করলে ভূমি ক্ষয় ও নানা ধরণের রোগ বালাইয়ের ঝুঁকি থাকে। জমিতে আদা চাষে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি কন্দপঁচা রোগ। টানা ১০ থেকে ১৫ দিন বৃষ্টি হলে এই রোগের সংক্রমণ হয়। কিন্ত বস্তায় আদা চাষে সেই ঝুঁকি নেই। যতই বৃষ্টি হোক বস্তায় পানি বেশিক্ষণ জমে থাকে না। আর যেহেতু প্রতিটি বস্তা আলাদা আলাদা তাই কন্দপঁচা রোগ সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ নেই।মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৭০ হেক্টর জমিতে আদা চাষ হচ্ছে। এখন পাহাড়ের ঢালু অংশ যেভাবে আদা চাষ হচ্ছে, তাতে ভূমি ক্ষয়ের শঙ্কা রয়েছে। ভূমি ক্ষয় রোধে পরিবেশ সম্মত উপায়ে বস্তায় আদা চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। উপজেলার ৪ হাজার ২৬৮ হেক্টর ফল বাগানে সাথী ফসল হিসেবে আদা চাষ করা যাবে। আদা চাষ সাধারণত ছায়াযুক্ত স্থানে চাষাবাদ ভালো হয়। এতে বাড়তি আয় হবে।তিনি বলেন, আমাদের দেশে বাৎসরিক আদার চাহিদা ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দুই থেকে আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন আদা উৎপাদিত হয়। বাকি আদা বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। বস্তায় আদা চাষ বাড়লে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের আমদানি বাবদ অর্থ সাশ্রয় হবে।তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়িতে ২০২৩ সালে আদা চাষ হয়েছে ২ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে। ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬০২ মেট্টিক টন।
১ বছর আগে
নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থ-সমাজিক অগ্রগতির জন্য আরও বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছে বিশেষ তহবিল চেয়েছেন। তিনি একইসঙ্গে জলবায়ু সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে রেয়াতি হারে আরও ঋণ চেয়েছেন।২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আনা বজেরদে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা (ডব্লিউবি) বাংলাদেশের নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ তহবিল দিতে পারেন। বিশেষ তহবিলটি নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করবে।নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন।সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে কোনো লিঙ্গ বৈষম্য নেই। সূত্র : বাসস
১ বছর আগে
পাবনা প্রতিনিধি: জেলা শহর পাবনাতে হাংরি পাবনার আয়োজনে চতুর্থ বারের মতো নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে চলছে খাদ্য ও ফ্যাশন মেলা। জেলা পর্যায়ের ৩৪ জন নতুন ও পুরাতন নারী উদ্যোক্তা এবারের মেলাতে অংশ গ্রহণ করেছেন। জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র পৌর মিলোনায়নত মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মেলাতে ক্রেতা সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে। মেলাতে হোমমেড খাবার ও দেশি সুতি কাপড়সহ হস্তো শিল্পের বাহারি পোষাকের সমাহার নিয়ে মেলার স্টোলগুলোতে পর্ষা সাজিয়ে বসেছেন নারী উদ্যোক্তারা।১০ দিনের মেলাতে অর্ধকোটি টাকার খাবারসহ পোষাক বিক্রির সম্বাবনার কথা জানালেন আয়োজকেরা। ২০১৯ সালে করোনা মহামারির সময়ে কর্মহীন নারী ও পুরুষ ঘরে বসে বিকল্প উপায়ে কর্মের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে নতুন দোয়া খুলে দেয় হাংরি পাবনা নামে অনলাইন ফেসবুক পেজ। এই জেলার সল্প কিছু নারী সেই সময়ে হোমমেড খাবার তৈরি করে নিজেদের গ্রুপ পেজে পোস্ট করে ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করেন। সেই যাত্রাপথের সংগ্রামী নারী সৈনিকেরা আজ নিজেরা ছোট বড় উদ্যোক্তা হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন।ব্যবসায়িক প্রচার-প্রসারের লক্ষে প্রতিবছর জেলাতে নারী উদ্যোক্তারা এই মেলার আয়োজন করে আসছেন। গুটি কয়েকজন নারীর সেই ফেসবুক প্লাট ফরমে বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। আর ফেসবুক পেজে গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। প্রতিদিনই নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে তৈরি হাংরি পাবনা ফেসবুক পেজের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে জেলাতে ফ্যাশান নিয়ে কাজ করছেন প্রায় ১ হাজার নারী-পুরুষ। অন্যদিকে খাদ্য নিয়ে কাজ করছেন প্রায় ৫ শাতাধিক নারী-পুরুষ উদ্যোক্তা। এর মধ্যে জেলার প্রায় ১০ জন নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তাদের তৈরি করা হস্তো ও কুটির শিল্পের পণ্য দেশের বাহিরে সরবরাহ করছেন। তবে এই নারী উদ্যোক্তারা এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়নি। তাইতো ব্যবসা পরিচালনা করতে সরকারিভাবে সল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তারা।মেলায় আগত একাধিক ক্রেতা তাদের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, নারীরা আজ আর ঘরে বেসে নেই, তারা নিজ তাগিদে বাহিরে আসতে শুরু করেছেন। নারীরা আর অন্যের উপরে নির্ভরশীল নয়। এখন পাবনাকে মেলার শহর বলা যেতে পারে। পাবনায় যত নারী উদ্যোক্তা রয়েছে, রাজশাহী বিভাগেও এত নারী উদ্যোক্তা নেই। এরা এখন ঢাকাকে বিট করতে পারে যেকোনো বিষয়ে। মেয়েরা এখন নিজেদের ছোট ছোট পণ্য নিয়ে উঠে আসছে। তাদের তৈরি করা পণ্য এখন সকলের কাছেই বেশ পরিচিত। আর এমন মেলার উদ্যোগ তাদের আরো বেশি সমাদৃত করছে। তাইতো দর্শক ক্রেতা বিক্রেতার মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে এখানে। খুবই ভালো লাগছে মেলার আয়োজন দেখে।মেলায় অংশগ্রহণ করা একাধিক উদ্যোক্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, সবসময় পাবনার মেলাটা বেশ ভালো হয়ে থাকে। নারীরা এখন নিজেদের ক্ষমতায়নের জন্য এগিয়ে আসছে। মেলাতে বেশ ভালো সারা পাওয়া যাচ্ছে ক্রেতাদের। তবে কাপড়ের দাম বেশি সূতার দামও বেশি। এই জন্য সল্প সূদে সরকার ঋণের ব্যবস্থা যদি করতো তাহলে উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধা হতো। হাংরি পাবনার মাধ্যমে আজ নারী উদ্যোক্তারা অনেক এগিয়ে গেছে। যুব উন্নয়ন ও মহিলা অধিদফতর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ নিজেরা কিছু করার চেষ্টা করছে। মাসিক ইনকাম বেশ ভালো হচ্ছে তাদের।মেলার সমন্বয়ক নারী উদ্যোক্তা ইলোরা লেয়া বলেন, করোনাকালীন সময় এক প্রকারে সবাই ঘরে বসে পরেছিলো। আর সেই সময়ে নারীদের একটি প্রচেষ্টায় তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বন্ধ হওয়া ব্যবসা তারা ঘরে বসে চালু করে দেখিয়ে দিয়েছে। হাংরি পাবনার মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করে আজকের এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে সকল নারী পুরুষ নিজের প্রচেষ্টায় কিছু করার চেষ্টা করছেন। সফল উদ্যোক্তা হবার জন্য কাজ করছেন। আর হাংরি পাবনা তাদের সার্বিকভাবে সহযোগি করছেন।মেলার উদ্যোক্তা হাংরি পাবনার এডমিন দেওয়ান মাহাবুব জানান, শিক্ষিত নারী পুরুষদের বেকারত্ব সমস্যা দূর করার লক্ষে হাংরি পাবনা জেলার নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই আয়োজন করে আসছে। নারীদেরকে যদি অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বি করা যায় তবে সোনার বাংলাদেশ গড়া সম্বব হবে এটা আমার মনে করি। ঘরে বসে হোমডে খাবারসহ পোষাক তৈরি করে তারা বিক্রি করছে ক্রেতাদের কাছে। এখন আমাদের উদ্যোক্তাদের পণ্য শুধু বাংলাদেশে নয়, দেশের বাহিরে পাঠাচ্ছেন তারা।এই নারী উদ্যোক্তারা এখন সকলে সরকারি নিয়ম মেনে ব্যবসা করছে। মেলার মাধ্যমে সরাসরি ক্রেতার কাছে পণ্য নিয়ে আসতে পারে তারা। আর ক্রেতারা তাদের পছন্দের পণ্য বা খাবার খেয়ে তাদের সদস্য হচ্ছে। হাংরি পাবনা প্লাটফর্ম তাদের উৎসাহিত করছে এগিয়ে চলার জন্য।চলতি মাসের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মেলা সমাপ্ত হবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার। প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে মেলার কার্যক্রম শুরু হয়ে চলছে রাত অবদি। মেলাতে জেলা শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে দর্শনার্থী ও ক্রেতারা আসছেন। খাদ্য ও ফ্যাশন মেলার এই আয়োজনে ক্রেতারা এক দিকে বাহারি পদের পছন্দের হোমমেড মুখোরচক খাবারের স্বাদ গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে নিজেদের পছন্দের দেশি পোষাক ও সাজসজ্জার সমাগ্রী সল্প মূল্যে ক্রয় করতে পারছেন।
১ বছর আগে