নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। এখন দলের অসমাপ্ত কাজ করা ও সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন এবং দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান লক্ষ্য। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সুসম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।২২ জুন শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বার্তা হলো- নতুন প্রজন্ম ও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন। আমাদের রাজনীতি মানুষের জন্য, মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ছিল, আছে ও থাকবে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সকলে প্রস্তুত রয়েছে। শুক্রবার থেকে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন- বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বশ্রেষ্ঠ এ অর্জন, দেশের স্বাধীনতা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জন এ দেশের উন্নয়ন। দেশের স্বাধীনতা ও সর্বোচ্চ উন্নয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন হচ্ছে- দেশের স্বাধীনতা ও সর্বোচ্চ উন্নয়ন। এই দুটিই এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। আমরা বিজয়কে এখনো সুসংহত করতে পারিনি, সাম্প্রদায়িকতা এখনো বিজয়ের প্রধান অন্তরায়। ৭৫ বছরের আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তি।তিনি আরও বলেন, দেশকে দুর্নীতিগ্রস্থ প্রমাণ করার জন্য ও দেশের রাজনীতিবিদদের ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য একটি মহল ওয়ান ইলেভেনের মতো পরিকল্পিতভাবে পাঁয়তারা করছে।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
১ বছর আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কচু পাতার উপর শিশির বিন্দু নয় যে টোকা দিলে পড়ে যাবে। আওয়ামী লীগের শিকড় এদেশের মাটির অনেক গভীরে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২১ জুন শুক্রবার বিকেলে বর্ণাঢ্য র্যালি ও শোভাযাত্রার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আমাদের ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ। কচু পাতার উপর শিশির বিন্দু আওয়ামী লীগ নয়, যে একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে। একটু ধাক্কা লাগলে সরে যাওয়ার পাত্র নয় আওয়ামী লীগ। বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। বিএনপি হচ্ছে ভুয়া। ভুয়া দলের সঙ্গে জনগণ নেই।বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের নেতৃত্ব ভুয়া, এক দফা ভুয়া। এই ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই। জনগণ তাদের সাথে আগেও ছিল না ভবিষ্যতেও থাকবে না। আন্দোলনের ডাক দিয়ে আবার ২৮ অক্টোবরের মতো পালিয়ে যাবেন না তো?আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ মাথা নত করার দল নয়, ব্যক্তি অপরাধ করলে দুদক স্বাধীন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচার করার সৎ সাহস আছে শেখ হাসিনার। আজকে যে চক্রান্ত চলছে এটা আওয়ামী লীগকে হটানোর জন্য কি না, এটা ভেবে দেখতে হবে। আজকে আন্দোলনের নামে যদি আবার আগুন নিয়ে মাঠে নামে, খুনের রাজনীতি করেন, আওয়ামী লীগ তার জবাব দিতে রাজপথে প্রস্তুত আছে।দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাবধানে থাকবেন, সতর্ক থাকবেন। বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। তারা গুজব ছড়িয়ে আওয়ামী লীগকে দুর্নীতিবাজ দল বানানোর চক্রান্ত করছে।এসময় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিনের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌস।বক্তব্য শেষে ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষনা করেন। শোভাযাত্রা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড এবং মিরপুর রোড হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
১ বছর আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বিএনপি বৈরি সম্পর্ক রেখেছিলো বলেই দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাই সবসময় ভারসাম্যমূলক কূটনীতি বজায় থাকবে। ভারসাম্যের কূটনীতিতে এগিয়ে যাবে দেশ। জাতীয় স্বার্থ বিক্রি করে সম্পর্ক রক্ষা করে না বর্তমান সরকার।২০ জুন বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক সৃষ্টি করে দেশের অনেক ক্ষতি করেছে। আর কোনো দুঃশাসনে ফিরতে চায় না এখনকার বাংলাদেশ। মিয়ানমারের কিছু অংশ ছাড়া আমাদের চারদিকে ভারত। সংশয়-অবিশ্বাসের দেয়াল যারা সৃষ্টি করেছিলো, তা ভেঙেছেন শেখ হাসিনা। আলোচনার টেবিলেই সমস্যার সমাধান করতে পারবো আমরা। কিন্তু কোনো বৈরিতা নয়।তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সব সমস্যা আলোচনার টেবিলে সমাধান করবো। বন্ধুত্বপূর্ণ, ভারসাম্যপূর্ণ ও সম্মানজনক সম্পর্ক চাই। জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে কারও সঙ্গে সস্পর্ক করবে না সরকার। ছিটমহল ও সীমান্ত সমস্যার মতো অনেক সমস্যার সমাধান কিন্তু অতীতে হয়েছে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের যে সীমান্ত সমস্যা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা পার্লামেন্টে তুলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সে সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণভাবে কাজ করছেন।তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর কোথাও কখনো শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়নি। কিন্তু আমাদের দেশে তা শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। কারণ, আমরা সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ থাকলে আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ত্রাণ এবং উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে। সিলেট অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিদের পানিবন্দি মানুষকে সাধ্যমতো সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।সভায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাহবুবউল আলম হানিফসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: সেন্টমার্টিন ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ সমাধানে যাবে, যুদ্ধে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, তাদের অভ্যন্তরীণ ৫৪টি গোষ্ঠী আছে। ওদের অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা। আমরা সীমান্তে আছি, গুলি এসে লাগতে পারে, গুলির আওয়াজ আসতে পারে। তাদের নৃতাত্ত্বিক বিদ্রোহীরা আছে। তাদের থেকেই এসব ঘটনা ঘটছে। সেটার জন্য কেন মিয়ানমার সরকারকে দায় দেবো? যতদিন সম্ভব শেষ পর্যন্ত আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে চেষ্টা করবো।১৯ জুন বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখনো কোনো আক্রমণ দেখিনি। যদি সত্যিই আক্রমণে আসে, তখন কী আমরা বসে থাকবো, আমরা বসে বসে আঙুল চুষবো?সেন্টমার্টিন ইস্যুতে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিরোধীদলের একটা ভাষা আছে, সরকারি দলের সিদ্ধান্ত তারা নতজানু আখ্যায়িত করে। কিন্তু কীভাবে নতজানু, সেটা একটু ব্যাখ্যা করে দিক না। সেন্টমার্টিনে যে গুলিটা এসেছে, সেটা মিয়ানমার সরকার করেনি। এটা আরাকান আর্মি নামের যে বিদ্রোহীরা আছে, তাদের গুলি।সেতুমন্ত্রী বলেন, সেখানে যে জাহাজের কথা বলা হয়, সে জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২৫ আগস্ট যখন রোহিঙ্গারা স্রোতের মতো বাংলাদেশে ঢুকেছিল, তখনও অনেকে উসকানি দিয়েছিল। আমাদের আকাশসীমা কখনো-কখনো অতিক্রম করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন ওয়াশিংটনে। তখন সমস্ত বাহিনী প্রধানদের তিনি ফোন করে নির্দেশ দিতেন যে কোনো অবস্থাতেই আমরা যেন যুদ্ধে না যাই। মিয়ানমার উসকানি দিলে আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবো। একটা সমাধান বের করবো। যুদ্ধে জড়াবো না।তিনি আরও বলেন, এখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যদি যুদ্ধে জড়াতে চান, তাহলে উসকানির ফাঁদে আমরা পড়তে পারি। আমরা সরকারে আছি, আমাদের দায়িত্ব আছে, কর্তব্য আছে। সার্বভৌমত্ব চলে গেলে আমাদেরই ব্যথা লাগবে বেশি। কারণ এ জাতির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার লড়াইয়ে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল তখন কী করেছেন, কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, তা জানি না। এসব কথা বলে লাভ নেই। সার্বভৌমত্ব ঠিক আছে। সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হলে, আলাপ-আলোচনার সময় পেরিয়ে যদি যায়, যদি সত্যিই তারা আক্রমণে আসে, তখন কী আমরা বসে থাকবো, আমরা বসে বসে আঙুল চুষবো? আমাদেরও পাল্টা জবাব দিতে হবে।
১ বছর আগে