নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রেলওয়ের আয়ের তুলনায় ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের রেলওয়ের ব্যয় ছিল ৩৩০৭ কোটি টাকা, পক্ষান্তরে রেলওয়ের আয় ছিল ১৭৮৩ কোটি টাকা। আয়ের তুলনায় ১৫২৪ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হয়েছে। এ ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল।এছাড়া রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, স্কুল, হাসপাতালের মাধ্যমেও দেশের জনগণ সামাজিক ও নিরাপত্তামূলক সেবা পেয়ে আসছে, যার ব্যয় রেলওয়ে থেকে নির্বাহ করা হয়। এতে রেলওয়ের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত স্বল্প খরচে জনগণকে সেবা দেওয়ার সরকারি নীতির কারণে ভাড়া বৃদ্ধিপূর্বক আয়-ব্যয়ের সমন্বয় করা হচ্ছে না।রেলমন্ত্রী বলেন, সরকারের পলিসি অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়েকে বাণিজ্যিক তথা লাভজনক/অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নয়, সেবাদানকারী সংস্থা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
১ বছর আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্রব্য মূ্ল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জন জীবন বিপর্যস্ত। তাই পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুর, এই ৪ পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক কমিয়েছে সরকার। এর মধ্যে খেজুরে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, চালে রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ, তেলে মূসক ৫ শতাংশ ও চিনিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পৃথক ৪ প্রজ্ঞাপনে এনবিআর জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানায় রাজস্ব বোর্ড। আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত খেজুরের, ১৫ এপ্রিল ভোজ্যতেলে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত চিনিতে ও ১৫ মে পর্যন্ত চালে এই সুবিধা বলবৎ থাকবে।এরআগে ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর-এ চার নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন । এছাড়া এই চার পণ্যে শুল্ক কমাতে এনবিআরকে চিঠিও দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।প্রকাশিত নতুন ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিশোধিত-অপরিশোধিত প্রতিটন চিনিতে আমদানিতে শুল্ক দেড় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। এর বাইরে অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি), ৩ শতাংশ অগ্রিম কর (এটি) এবং ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) রয়েছে। আর পরিশোধিত চিনিতে বর্তমানে ভ্যাট ১৫ শতাংশ, এআইটি ৫ শতাংশ, এটি ৫ শতাংশ এবং আরডি রয়েছে ৩০ শতাংশ।এছাড়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ অনুযায়ী ভোজ্যতেলে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমানে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। বাকি ১৮ লাখ টন আমদানি করতে হয়। ভোজ্যতেল আমদানির ওপর বর্তমানে ভ্যাট ১৫ শতাংশ ছিল, নতুন প্রজ্ঞাপনে তা কমানো হয়েছে।সরাবছরের তুলনায় রমজানে খেজুরের চাহিদা থাকে বেশি। চলতি অর্থবছরে খেজুরের ওপর বেশি শুল্ক-কর আরোপ করা হয় বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে করেন। তাদের ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন প্রজ্ঞাপনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে।অন্যদিকে চাল আমদানিতে আরডি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া চাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
১ বছর আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘আয়কর আইন ২০২৩: কর্পোরেট করের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি শনিবার সকালে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।কর্মশালার সূচনা বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অনুপাতে করদাতার হার অত্যন্ত কম, যেখানে ১৭ কোটি মানুষের এদেশে মাত্র ৪০ লক্ষ মানুষ কর প্রদান করে থাকেন, যা মোটেও কাম্য নয়। কর প্রদানের এ নিম্নহার বিদ্যমান করদাতাদের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। এছাড়াও করদাতাদের এ স্বল্পহার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে বাধাগ্রস্ত করছে।ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের বিদ্যমান রাজস্ব প্রদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা সম্ভব হলে, ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হয়রানি কমবে। সেই সাথে সম্ভাবনাময় নতুন করদাতাদের এ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে করজাল আরও সম্প্রসারিত হবে। রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে অটোমেশনের বিকল্প নেই।তিনি বলেন, আয়োজিত এ কর্মশালায় ‘আয়কর আইন ২০২৩’ বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের সম্যক ধারণা প্রদান করা হবে, যেটি নতুন আইনটি বুঝতে সহায়ক হবে। বিশেষ করে উদ্যোক্তাদের কর্পোরেট কর প্রদানে আরও উৎসাহিত করবে। ‘আয়কর আইন-২০২৩’-এর ১৬৩(২)(খ) ধারা অনুযায়ী কর্তন বা সংগৃহীত কর উৎসে করকে নূন্যতম কর হিসেবে বিবেচনার বিধান রয়ে গেছে, যা প্রকৃতপক্ষে কর্পোরেট করের হারকে বৃদ্ধি করছে বলে মত প্রকাশ করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জয়েন্ট কমিশনার (কর অঞ্চল-১৫) ওয়াকিল আহমেদ জানান, ২০২৩ সালে প্রায় ৪ লক্ষের অধিক করদাতা ই-টিন সার্ভিস ব্যবহারের মাধ্যমে কর প্রদান করেন। বিগত বছরে এর সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৫০ হাজার। এতে প্রতীয়মান হয়, অটোমেশন প্রক্রিয়া করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।এনবিআরের জয়েন্ট কমিশনার (কর অঞ্চল-৪) মুরাদ আহমেদ ব্যবসায়িদের ই-টিডিএস ব্যবস্থা আরও বেশি হারে ব্যবহারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই’র কাস্টমস, ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্সেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশীষ বড়ুয়া। কর্মশালায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এর দ্বিতীয় সচিব (ট্যাক্স এডুকেশন) বাপন চন্দ্র দাস বক্তব্য রাখেন। এসময় ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।কর্মশালায় ঢাকা চেম্বারের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
১ বছর আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘোষণায় তিন কনটেইনার পেন্সিল ব্যাটারি ও তালা আমদানি করেছে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানিগঞ্জের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হ্যান্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। এ জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে প্রতিষ্ঠানটি । এসময় ২২টি কাঠের প্যালেটের উপর ক্যালসিয়াম কার্বনেট ভর্তি ২২টি বড় ব্যাগ জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।৯ মে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর শাখা) মো. সাইফুল হক সিভয়েসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পণ্য চালানটি নিয়ে গত ৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ‘সাওয়াসদি আটলান্টিক‘ নামের জাহাজ। পণ্যচালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রামের ফকিরহাট এলাকার সিএন্ডএফ এজেন্ট শামীম এন্টারপ্রাইজ। ৮ মে সোমবার বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে ওই আমদানিকারকের তিনটি কনটেইনার খুলে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এসময় ২২টি কাঠের প্যালেটের উপর ক্যালসিয়াম কার্বনেট ভর্তি ২২টি বড় ব্যাগ পাওয়া যায়। পরে ব্যাগগুলো কেটে ক্যালসিয়াম কার্বনেটের পাশাপাশি ১৭ লাখ পিস পেন্সিল ব্যাটারি ও ১৮ মেট্রিকটন তালা পাওয়া যায়।ডেপুটি কমিশনার (এআইআর শাখা) মো. সাইফুল হক সিভয়েসকে বলেন, বস্তাগুলোর ভেতরে পণ্য এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেন ভেতর অন্যকোনও পণ্য থাকতে পারে তা বোঝার উপায় নেই। সন্দেহ হওয়ায় বস্তাগুলো কাটলে ক্যালসিয়াম কার্বনেটের নিচে লুকানো অবস্থায় কিছু কার্টন পাওয়া যায়। এসব কার্টনগুলোর ভেতরে বিভিন্ন সাইজের পেন্সিল ব্যাটারি ও তালা পাওয়া যায়। এ জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানিকারক প্রায় ৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে।তিনি বলেন, আমদানিকারকের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির মামলাসহ মানি লন্ডারিং মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পাশাপাশি এই রাজস্ব ফাঁকির সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২ বছর আগে