সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ও ভরতখালী ইউনিয়নে চারটি সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা ও ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন।২৩ মে বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ হাজার ৭শ’ ৩৮ মিটার, ৪টি সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এমপি।এ সময় গাইবান্ধা জেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম, সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী নয়ন রায়, উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান রোস্তম আলী, ঠিকাদার ইকবাল হোসেন, রফিকুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।চর নলছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংযোগ সড়ক ৪ হাজার ৪শ’ ৯৬ মিটার, উল্ল্যা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংযোগ সড়ক ৫শ’ ৩০ মিটার, চিথুলিয়া আফতাব মন্ডলের বাড়ির সড়ক ৭শ’ ৭২ মিটার, সাঁকোয়া পাকা সড়ক ৯শ’ ৪০ মিটার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
১ বছর আগে
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের কানাবিল খাল মাইক্রো ওয়াটারসেড পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন হয়েছে। সফল ফর ইন্টিগ্রেটেডে ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের আওতায় ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদরের মুলিয়া ইউনিয়নের বড়েন্দার এলাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুলিয়া ইউপি চেয়াম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী। প্রধান অতিথি হিসেবে কানাবিল খাল মাইক্রো ওয়াটারসেড পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করেন নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এনামুল হক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বুলু রাণী বিশ্বাস, স্থানীয় ইউপি সদস্য নীলকান্ত মোহন্ত, কানাবিল খাল কমিটি’র সভাপতি টিকেন বিশ্বাস। আরও উপস্থিত ছিলেন সলিডারড নেটওয়ার্ক এশিয়া যশোর’র সিএসএ এন্ড রিজেন কৃষিবিদ ড. নাজমুন নাহার, পিও-সিএসএ এন্ড রিজেন কৃষিবিদ মো. রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, যশোর’র প্রজেক্ট ম্যানেজার কৃষিবিদ মো. রুবেল আলী, ট্রেনিং অফিসার কৃষিবিদ শেখ মো. মনিরুল ইসলাম, নাদিম হোসাইন।প্রকল্পের উদ্বোধন অতিথিরা বলেন, খালটি সংস্কারের ফলে বড়েন্দার, সাতঘরিয়া, কোড়গ্রাম, উজিরপুর, ধোপাখোলার ৩ হাজার ৩শ’ ৭৫ জন প্রত্যক্ষভাবে ও পরোক্ষভাবে আরও প্রায় সাড়ে তিনহাজার উপকারভোগী সুবিধা পাবেন। সংস্কারের ফলে এ খালের পানি কৃষি কাজে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে। ফসল উৎপাদন করতে পানির খরচ কমবে। শুষ্ক মৌসুমে ফসল উৎপাদন করতে যখন পানির সমস্যা হয় তখন এ খালের পানি ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করা যাবে। পাশাপাশি নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল চাষ, জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি ও প্রযুক্তির ব্যবহার, মৌসুম ছাড়াও ফসল উৎপাদনসহ অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে কৃষির উন্নয়নে ব্যাপক সহায়ক হবে।
১ বছর আগে
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যায়ে ৪তলা বিশিষ্ট ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও হলরুম নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পাবন- ৪ আসনের সংসদ সদস্য, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ। উদ্বোধন শেষে দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম মৌলানা হাফিজুল ইসলাম।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশের সভাপত্বিতে উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবিরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, সাবেক চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান মিন্টু, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ কিরণসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হলে ঈশ্বরদী উপজেলাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হবে। এতে করে বদলে যাবে উপজেলা পরিষদের চিত্র। ফলে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কাজের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবির জানান, স্থানীয সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঈশ্বরদী উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মূল্য ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে।
১ বছর আগে
রাঙামাটি প্রতিনিধি: পাহাড় ধসের মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রাঙামাটির সড়কগুলোকে রক্ষাসহ যেকোনো দুর্যোগময় মুহুর্তে যান চলাচল সচল রাখতে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে রাঙামাটির সড়ক ও জনপথ বিভাগ।মাছ-বাঁশ, গাছসহ কৃষি পণ্য উৎপাদনের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র পার্বত্য রাঙামাটি জেলা। ২০১৭ সালের ১৩ জুন পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটিতে ৫ সেনাসদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ২০১৮ সালের ১২ জুন রাঙামাটির নানিয়ারচরে ফের পাহাড় ধসে আরও ১১ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সারাদেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলো রাঙামাটি।এ ঘটনায় বাস্তবতার প্রেক্ষিতে পাহাড়ের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিককরণে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্বত বেষ্টিত রাঙামাটির সর্বমোট ১৬৭টি স্পট নির্ধারণ করে। প্রায় ৬ হাজার ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে পাইলিংসহ রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে রাঙামাটির সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ।স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, এ উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়িত হয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন মানোন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।এদিকে রাঙামাটি একটি পর্যটন এলাকা। এ জেলার সার্বিক উন্নয়ন তথা পর্যটকদের আকর্ষণে তাদের নিরাপদ গমনাগমনে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে পরিবহন মালিক সমিতি ও আবাসিক হোটেল সমিতির নেতা মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের রাউজান পর্যন্ত চারলেনের রাস্তা ইতোমধ্যেই নির্মিত হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটি পর্যন্ত চারলেনের রাস্তা নির্মাণ করা হলে এ অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও গতিশীল হয়ে নিরাপদ যাতায়াত বৃদ্ধি পাবে।অপরদিকে রাঙামাটি একটি পিছিয়ে পড়া জেলা। এ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা ছাড়া সামনের দিকে যেতে পারবো না মন্তব্য করে রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, ২০১৭ সালের প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে ধ্বস নেমেছিলো সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার বিশেষ মনোযোগ দিয়ে অত্রাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যার ফলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রাঙামাটির অভ্যন্তরের উপজেলাগুলোর সড়কগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই করে গড়ে তুললে অত্রাঞ্চলে উৎপাদিত সকল প্রকার পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো যাবে।তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ করতে গেলে প্রথমে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গর্ভমেন্ট, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন একটি অন্যতম উপদায়ক।রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান ইবনে হাসান জানিয়েছেন, পাহাড়ের বৈচিত্র্যকে অক্ষুন্ন রেখে নিবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতে রাঙামাটি-চট্টগ্রামসহ জেলার ক্ষতিগ্রস্থ ৫টি সড়কের মধ্যে রাঙামাটির অভ্যন্তরে, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক, রাঙামাটি-বান্দরবান সড়ক, বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী সড়ক ও বগাছড়ি-নানিয়ারচর-লংগদু সড়কে প্রায় ১৬৭টি স্পট নির্ধারণ করে। সেসকল সড়কগুলোকে টেকসই করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সড়ক রক্ষায় রিটার্নিং ওয়াল, স্টিল ব্রিজ ভেঙ্গে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে রাঙামাটির সড়ক বিভাগ। ইতোমধ্যেই প্রায় ২৫০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়িত হয়ে গেছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই বাকি কাজগুলো সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বঞ্চিত ছিলো। পর্যটন ও কৃষি ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনাময় পার্বত্য তিন জেলায় সাবলিল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা গেলে এ এলাকার আত্মসামাজিক উন্নয়নসহ দেশের অর্থনীতিতে পার্বত্য কৃষি ও পর্যটন এক সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা। সেক্ষেত্রে সড়ক বিভাগের এ দৃশ্যমান উন্নয়ন ব্যবসায়ীদের মাঝে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
১ বছর আগে