আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় লাগাতার বৃষ্টি ও বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আফ্রিকার এই দেশটিতে তাদের মৃত্যু হয়। এতে করে গত ১ মার্চ থেকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৯ জনে।দেশটিতে চলমান এই প্রাকৃতি দুর্যোগে আরও প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ১ মে বুধবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার কাদা ধসের ঘটনায় বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এতে করে মৃতের সংখ্যা ১৬৯ জনে পৌঁছেছে।তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সারা দেশে ৬৬ জনকে হারিয়েছি এবং এর মধ্যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ছয়জন শিশু রয়েছে।’তিনি আরও বলেছেন, ‘বন্যার কারণে ৩০ হাজার ২১৪টি কেনিয়ান পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর জনসংখ্যার হিসেবে বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২ জন। কেনিয়ার রাজধানীতে বাস্তুচ্যুতরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
১ বছর আগে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।আর এই কারণে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তানজানিয়ার প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।উত্তর তানজানিয়ার সিহা জেলার একজন বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছুই অবশিষ্ট নেই, সবকিছু ভেসে গেছে।’
১ বছর আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ আফ্রিকায় যাত্রীবাহী একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) নিচে খাদে পড়ে অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।স্থানীয় সময় ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিম্পোপো রাজ্যে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে সেতু থেকে নিচে পড়ে যায়। এরপর খাদে পড়ে গোটা বাসে আগুন ধরে যায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ বতসোয়ানার রাজধানী গাবোরোন থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে বাসটি মরিয়া শহরে ইস্টার সানডের একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। এমমা মাতলাকালা পর্বত গিরিপথে সেতুতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটানায় দেশটির পরিবহনমন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় স্বজনহারা পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে বলেন, এই কঠিন সময়ে আপনাদের প্রতি আমাদের প্রার্থনা রয়েছে।পরিবহনমন্ত্রী আরও বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহগুলো তাদের দেশে ফিরিয়ে দিতে সহায়তা করবে এবং দুর্ঘটনার বিষয়টি উপযুক্ত তদন্ত করবে।
১ বছর আগে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকার দেশ মালির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি সেতু থেকে বাস ছিটকে পড়ে ৩১ জন নিহত, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।বাসটি মালিয়ান শহর কেনিয়েবা থেকে প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো যাওয়ার পথে বাগোই নদী পার হওয়ার সময় সেতু থেকে উল্টে নদীতে পড়ে ডুবে যায়। স্থানীয় সময় ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বাগো নদীর উপর ওই সেতু থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়।মালির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাসটি বুরকিনা ফাসোর কিনেইবা এলাকার দিকে যাবার পথে ওই সেতু থেকে পড়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বাসের চালক সেই সময় বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন।সড়ক দুর্ঘটনা আফ্রিকার দেশ মালিতে অহরহই ঘটে থাকে। দেশটির রাস্তাঘাট, মহাসড়ক ও যানবাহনের বাজে অবস্থার কারণেই বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।এ মাসের শুরু দিকে মালির মধ্যাঞ্চল থেকে রাজধানী বামাকোতে যাওয়ার পথে বাস ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় আহত হয় আরও ৪৬ জন। সূত্র: এএফপির।
১ বছর আগে