প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩ ০২:৪৯ পিএম
সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ: ভিডিও ভাইরাল
মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ অফিসে দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য ঘুষ হিসেবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ আছে, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহায়ক মো. নাসির উদ্দিন প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রশনের জন্য ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত ঘুষ হিসেবে আদায় করেন । সম্প্রতি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এজলাস কক্ষে ঘুস লেনদেনের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ঘটনাটি তোলপার সৃষ্টি করলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের তাতে কোন হেলদোল নেই। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা গেছে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এজলাস কক্ষে এজলাসের সামনে একটি চেয়ারে বসে অফিস সহায়ক নাসির সেখানে থাকা এক ব্যক্তিকে বলছেন, ‘দুই হাজার টাকা দেন, স্যার খাবে। পরক্ষনেই ঐ ব্যক্তি পকেট থেকে ৫০০ টাকার ৪ টি নোট বের করে নাসির উদ্দিনের হাতে দেয়। তিনি টাকাগুলে গুনে নিয়ে টেবিলের ড্রয়ারে রাখেন এবং প্রশ্ন করেন কত নম্বর ? ঐ ব্যক্তি টেবিলের উপরে থাকা তালিকার দিকে ঝুকে নম্বরটি দেখিয়ে দিলে নাসির উদ্দিন সেখানে টিক চিহ্ন দিয়ে রাখেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত অফিস সহায়ক নাসির উদ্দীনকে ভিডিওটি দেখানো হলে তিনি সেটি নিজের বলে স্বীকার করেন। এসময় তিনি বলেন আমি শুধু নকল নবিশের ফি বাবদ দলিল প্রতি ২৪০ টাকাকরে নেই। এর বাইরে আমি কোন টাকা নেই না। তখন ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ২ হাজার টাকা নেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ঘটনায় উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. মনিরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, আমি আত্রাই আছি। মোবাইলে এসব কথা বলা যাবে না। আপনি আগামি সপ্তাহে অফিসে আসেন, অফিসে আপনার সাথে কথা বলবো।
খোঁজ নিয়ে জান যায়, অভিযুক্ত নাসির উদ্দীন পাশ্ববর্তী মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের জামদই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুবছড় আগে পদোন্নতি পেয়ে অফিস সায়ক হয়েছেন। প্রায় তিন যুগের অধিক সময় ধরে তিনি এ অফিসের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত আছেন। ১৯৮৪ সালে নকল নবিশ হিসেবে এ অফিসে যোগদান করেন। পরবর্তিতে ২০১৬ সালে মোহরার পদে এবং বছর দুয়েক আগে পদোন্নতি পেয়ে অফিস সহায়ক হন।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ৪ মাস আগে
সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ: ভিডিও ভাইরাল