শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের অভিযোগে রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার
রাবি প্রতিনিধি: শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে ব্যাপারে লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
১৪ মে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সহ-সভাপতি- শাহিনুল সরকার ডন, শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- আশিকুর রহমান অপু এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক- কাবিরুজ্জামান রুহুল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে শাহিনুল সরকার ডন (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), নিয়াজ মোর্শেদ (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), আশিকুর রহমান অপু (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) ও কাবিরুজ্জামান রুহুল (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফকে পুনরায় সভাপতি ও মো. জামিল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।১৪ জুন শুক্রবার রাতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর হাসান আরিফের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।এছাড়াও ৪৯ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে ২৬ জন সহ সভাপতি, ১০ জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ১১ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।এর আগে, কমিটির মেয়াদ ১ বছর পূর্ণ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শাখা ছাত্রলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ।৩০ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় অডিটোরিয়াম-১ এ এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম মাসুদ রানা মিঠুর সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন আকাশ।দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পর গত ১৪ মে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। কমিটি হওয়ার পর দীর্ঘদীনের নেতৃত্বের সংকট কাটাতে এবং সাংগঠনিক অচলাবস্থা ভাঙতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ। তারই ধারাবাহিকতায় এই বর্ধিত সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।সভায় উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীবান্ধব করতে নানা দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো হলের ক্যান্টিনে খাবারের মান বৃদ্ধি এবং দাম কমানো, ক্রেডিট ফি কমানো, বাস সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং পূর্বের ন্যায় আধাঘণ্টা পরপর বাস শিডিউল করা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করা, লাইব্রেরি এবং টিএসসিতে সিট সংখ্যা বাড়ানো, প্রতিবছর হল ফিস্টের আয়োজন করা, বিভিন্ন অনুষদীয় ক্লাব এবং সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধি করা, বিভিন্ন হলে সিট বাণিজ্য বন্ধ করা, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মেসভাড়া কমানো, নিয়মিত সমাবর্তনের আয়োজন করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এলামনাই গঠন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাড়ানো।এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা মিঠু বলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছর পর কমিটি হওয়ায় আমরা সবাই আনন্দিত। ছাত্রলীগ সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য রাজনীতি করে। আমরা সব শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে ক্যাম্পাসের বিদ্যমান সংকট সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীবান্ধব করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। খুব শীঘ্রই প্রশাসনের সাথে বসে আমরা আমাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবো এবং সমাধানের আহ্বান জানাবো।’সভায় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন আকাশ বলেন, ‘আমরা একটা বিষয়ে বদ্ধপরিকর, সকল শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা কাজ করতে চাই। আমাদের এখানে অনেকদিন কমিটি ছিলো না। হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আমাদের সাথে থেকে সহযোগিতা করুন। আশা করি আপনাদেরকে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস উপহার দিতে পারবো।’উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোরশেদুল আলম রনি, সৈয়দ মুরসালীন বাপ্পি, উত্তম কুমার পাল, রাব্বি শেখ। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লিরা রহমান, সাব্বির মাহমুদ শুভ, আবুল বাশার প্রমুখ।
ইবি প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৮ বছর পর কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের ১৯৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয় গত ১০ মে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সম্পাদক শেখ ইনানের স্বাক্ষরিত ওই কমিটিতে সহ-সভাপতি পদ পান ক্যাম্পাসের ৭১ জন নেতা। পদ প্রদানের পরই সহ সভাপতি পদ পেয়েছেন বলে সিরাজ নামের দুইজনকে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়, যা নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি।জানা যায়, কেন্দ্র ঘোষিত ১৯৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৬৬ নং সহ-সভাপতি পদটি দেয়া হয় সিরাজুল ইসলাম সিরাজ নামের এক শিক্ষার্থীকে। তবে এই পদটি নিজের বলে দাবি করেন একই নামের দুই শিক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে নেতা বলে দাবির পাশাপাশি কর্মীরাও জানিয়েছেন উভয়কেই প্রাণঢালা অভিনন্দন।সহ-সভাপতি দাবিদারদের একজন হলেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। অপরজন হলেন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম।পদের দাবিদার বায়োটেকনোলজি বিভাগের সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, আমার নাম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। যে পদ দাবি করছে তার নামের সাথে পদের মিল নাই। পূর্বে হল পোস্টে আমার নাম আর নাম্বার দেওয়া আছে। জয় ভাই আমাকে আমার পদ বলে নিশ্চিত করেছেন। সক্রিয় কর্মী হিসেবে সবাই আমাকে চিনে এবং জানে। অন্য একজন কেন পদ দাবি করছে বুঝতেছি না।সিএসই বিভাগের সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি ভাইয়ের কর্মী। উনি আমাকে আমার পদের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন। আরেকজন যিনি পদ দাবি করছেন আমার জানামতে তার ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে ২০২১ সালে। তাহলে ২০২৪ সালে এসে কীভাবে কমিটিতে পদ পায়, এটা আমারও প্রশ্ন।শাখা ছাত্রলীগের ১ নং সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি বলেন, শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ আমাদের কারো সাথে আলোচনা বা সমন্বয় না করেই পছন্দমত কমিটি জমা দেওয়ায় আমরাও আমাদের কর্মীদের মূল্যায়নের স্বার্থে কয়েকজনের নাম কেন্দ্রে জমা দেই। আমি যে সিরাজুলের নাম দিয়েছি, বিভ্রান্তি দূর করার জন্য ওর নামের পাশে নিকনেম হিসেবে সিরাজ দিয়েছিলাম। কিন্তু এটাও যে আরেকজনের সাথে মিলে যাবে তা আমি বুঝতে পারি নাই।তিনি আরও বলেন, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি যার কথা বলছে সে ক্যাম্পাসে থাকেও না, রাজনীতিতেও সক্রিয় নয়। শেষ কবে এসে মিছিল মিটিং করেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা প্রয়োজন। যেহেতু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে, এই বিভ্রান্তি তারাই দূর করতে পারবে। আমরা তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করি।এ বিষয়ে রাতে পুনরায় সিএসই বিভাগের সিরাজুল ইসলামকে ফোন দেয়া হলে তার কাছ থেকে ফোন নিয়ে একই কথা বলেন সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি।৬৬ নং সহ-সভাপতি পদটি বায়োটেকনোলজি বিভাগের সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বলে নিশ্চিত করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, এখানে বিভ্রান্তি তৈরি হলেও আমি বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছি। সভাপতি ও সেক্রেটারির বাইরে গিয়ে কেন্দ্রে কারো নাম প্রস্তাব করার কোনো সুযোগ নেই। যার সাথে যার সম্পর্ক ভালো তার কাছে হয়তো সুপারিশ বা অনুরোধ করতে পারে কিন্তু কমিটি প্রস্তাবনার এখতিয়ার একমাত্র আমাদের।পদপ্রাপ্ত সিরাজের রাজনীতিতে সক্রিয়তার ব্যাপারে জানতে চাইলে জয় বলেন, যে পদ পেয়েছে সে ক্যাম্পাসে আছে, পড়াশোনা করছে। সবাই তো সব সময় ক্যাম্পাসে থাকে না, পারিবারিক কারণে বাসায়ও যায়। কে কী বললো সেসবের চেয়ে এতদিন পর সর্বজন গৃহীত একটা সুন্দর কমিটি হয়েছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, সহ-সভাপতি পদটি মূলত বায়োটেকনোলজি বিভাগের সিরাজের। ওর পদটা শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি দিয়েছে। নামের পাশে বিভাগ বা সেশন উল্লেখ না থাকায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পদধারী প্রত্যেকের জন্য চিঠি পাঠাবো। আসন্ন অনুষদ ও হল কমিটিতে প্রয়োজনবোধে নামের পাশে বিভাগ বা সেশন উল্লেখ রাখবো।এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, ইবি ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে তো আমরা চিনি না। ওই পদের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভালো বলতে পারবে।শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনির বক্তব্যের সূত্র ধরে কমিটিতে নাম প্রস্তাবনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কেউই প্রস্তাব দিতে পারেন, যে এই নামে একটি ছেলে আছে, সে ভালো কি মন্দ, তাকে কমিটিতে রাখা যায় কিনা। নাম প্রস্তাব দেওয়া আর কমিটিতে রাখা তো এক কথা নয়। যেখানে সভাপতি, সেক্রেটারি আছে সেখানে ১ নম্বর সহ-সভাপতি কে? যেকোন বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলবেন।
রাবি প্রতিনিধি: শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে ব্যাপারে লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।১৪ মে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সহ-সভাপতি- শাহিনুল সরকার ডন, শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- আশিকুর রহমান অপু এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক- কাবিরুজ্জামান রুহুল।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে শাহিনুল সরকার ডন (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), নিয়াজ মোর্শেদ (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), আশিকুর রহমান অপু (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) ও কাবিরুজ্জামান রুহুল (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের অভিযোগে রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার
সংশ্লিষ্ট
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফকে পুনরায় সভাপতি ও মো. জামিল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।১৪ জুন শুক্রবার রাতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর হাসান আরিফের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।এছাড়াও ৪৯ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে ২৬ জন সহ সভাপতি, ১০ জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ১১ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।এর আগে, কমিটির মেয়াদ ১ বছর পূর্ণ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শাখা ছাত্রলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ।৩০ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় অডিটোরিয়াম-১ এ এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম মাসুদ রানা মিঠুর সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন আকাশ।দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পর গত ১৪ মে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। কমিটি হওয়ার পর দীর্ঘদীনের নেতৃত্বের সংকট কাটাতে এবং সাংগঠনিক অচলাবস্থা ভাঙতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ। তারই ধারাবাহিকতায় এই বর্ধিত সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।সভায় উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীবান্ধব করতে নানা দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো হলের ক্যান্টিনে খাবারের মান বৃদ্ধি এবং দাম কমানো, ক্রেডিট ফি কমানো, বাস সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং পূর্বের ন্যায় আধাঘণ্টা পরপর বাস শিডিউল করা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করা, লাইব্রেরি এবং টিএসসিতে সিট সংখ্যা বাড়ানো, প্রতিবছর হল ফিস্টের আয়োজন করা, বিভিন্ন অনুষদীয় ক্লাব এবং সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধি করা, বিভিন্ন হলে সিট বাণিজ্য বন্ধ করা, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মেসভাড়া কমানো, নিয়মিত সমাবর্তনের আয়োজন করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এলামনাই গঠন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাড়ানো।এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা মিঠু বলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছর পর কমিটি হওয়ায় আমরা সবাই আনন্দিত। ছাত্রলীগ সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য রাজনীতি করে। আমরা সব শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে ক্যাম্পাসের বিদ্যমান সংকট সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীবান্ধব করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। খুব শীঘ্রই প্রশাসনের সাথে বসে আমরা আমাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবো এবং সমাধানের আহ্বান জানাবো।’সভায় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন আকাশ বলেন, ‘আমরা একটা বিষয়ে বদ্ধপরিকর, সকল শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা কাজ করতে চাই। আমাদের এখানে অনেকদিন কমিটি ছিলো না। হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আমাদের সাথে থেকে সহযোগিতা করুন। আশা করি আপনাদেরকে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস উপহার দিতে পারবো।’উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোরশেদুল আলম রনি, সৈয়দ মুরসালীন বাপ্পি, উত্তম কুমার পাল, রাব্বি শেখ। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লিরা রহমান, সাব্বির মাহমুদ শুভ, আবুল বাশার প্রমুখ।
ইবি প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৮ বছর পর কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের ১৯৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয় গত ১০ মে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সম্পাদক শেখ ইনানের স্বাক্ষরিত ওই কমিটিতে সহ-সভাপতি পদ পান ক্যাম্পাসের ৭১ জন নেতা। পদ প্রদানের পরই সহ সভাপতি পদ পেয়েছেন বলে সিরাজ নামের দুইজনকে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়, যা নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি।জানা যায়, কেন্দ্র ঘোষিত ১৯৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৬৬ নং সহ-সভাপতি পদটি দেয়া হয় সিরাজুল ইসলাম সিরাজ নামের এক শিক্ষার্থীকে। তবে এই পদটি নিজের বলে দাবি করেন একই নামের দুই শিক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে নেতা বলে দাবির পাশাপাশি কর্মীরাও জানিয়েছেন উভয়কেই প্রাণঢালা অভিনন্দন।সহ-সভাপতি দাবিদারদের একজন হলেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। অপরজন হলেন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম।পদের দাবিদার বায়োটেকনোলজি বিভাগের সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, আমার নাম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। যে পদ দাবি করছে তার নামের সাথে পদের মিল নাই। পূর্বে হল পোস্টে আমার নাম আর নাম্বার দেওয়া আছে। জয় ভাই আমাকে আমার পদ বলে নিশ্চিত করেছেন। সক্রিয় কর্মী হিসেবে সবাই আমাকে চিনে এবং জানে। অন্য একজন কেন পদ দাবি করছে বুঝতেছি না।সিএসই বিভাগের সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি ভাইয়ের কর্মী। উনি আমাকে আমার পদের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন। আরেকজন যিনি পদ দাবি করছেন আমার জানামতে তার ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে ২০২১ সালে। তাহলে ২০২৪ সালে এসে কীভাবে কমিটিতে পদ পায়, এটা আমারও প্রশ্ন।শাখা ছাত্রলীগের ১ নং সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি বলেন, শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ আমাদের কারো সাথে আলোচনা বা সমন্বয় না করেই পছন্দমত কমিটি জমা দেওয়ায় আমরাও আমাদের কর্মীদের মূল্যায়নের স্বার্থে কয়েকজনের নাম কেন্দ্রে জমা দেই। আমি যে সিরাজুলের নাম দিয়েছি, বিভ্রান্তি দূর করার জন্য ওর নামের পাশে নিকনেম হিসেবে সিরাজ দিয়েছিলাম। কিন্তু এটাও যে আরেকজনের সাথে মিলে যাবে তা আমি বুঝতে পারি নাই।তিনি আরও বলেন, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি যার কথা বলছে সে ক্যাম্পাসে থাকেও না, রাজনীতিতেও সক্রিয় নয়। শেষ কবে এসে মিছিল মিটিং করেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা প্রয়োজন। যেহেতু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে, এই বিভ্রান্তি তারাই দূর করতে পারবে। আমরা তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করি।এ বিষয়ে রাতে পুনরায় সিএসই বিভাগের সিরাজুল ইসলামকে ফোন দেয়া হলে তার কাছ থেকে ফোন নিয়ে একই কথা বলেন সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি।৬৬ নং সহ-সভাপতি পদটি বায়োটেকনোলজি বিভাগের সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বলে নিশ্চিত করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, এখানে বিভ্রান্তি তৈরি হলেও আমি বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছি। সভাপতি ও সেক্রেটারির বাইরে গিয়ে কেন্দ্রে কারো নাম প্রস্তাব করার কোনো সুযোগ নেই। যার সাথে যার সম্পর্ক ভালো তার কাছে হয়তো সুপারিশ বা অনুরোধ করতে পারে কিন্তু কমিটি প্রস্তাবনার এখতিয়ার একমাত্র আমাদের।পদপ্রাপ্ত সিরাজের রাজনীতিতে সক্রিয়তার ব্যাপারে জানতে চাইলে জয় বলেন, যে পদ পেয়েছে সে ক্যাম্পাসে আছে, পড়াশোনা করছে। সবাই তো সব সময় ক্যাম্পাসে থাকে না, পারিবারিক কারণে বাসায়ও যায়। কে কী বললো সেসবের চেয়ে এতদিন পর সর্বজন গৃহীত একটা সুন্দর কমিটি হয়েছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, সহ-সভাপতি পদটি মূলত বায়োটেকনোলজি বিভাগের সিরাজের। ওর পদটা শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি দিয়েছে। নামের পাশে বিভাগ বা সেশন উল্লেখ না থাকায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পদধারী প্রত্যেকের জন্য চিঠি পাঠাবো। আসন্ন অনুষদ ও হল কমিটিতে প্রয়োজনবোধে নামের পাশে বিভাগ বা সেশন উল্লেখ রাখবো।এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, ইবি ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে তো আমরা চিনি না। ওই পদের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভালো বলতে পারবে।শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনির বক্তব্যের সূত্র ধরে কমিটিতে নাম প্রস্তাবনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কেউই প্রস্তাব দিতে পারেন, যে এই নামে একটি ছেলে আছে, সে ভালো কি মন্দ, তাকে কমিটিতে রাখা যায় কিনা। নাম প্রস্তাব দেওয়া আর কমিটিতে রাখা তো এক কথা নয়। যেখানে সভাপতি, সেক্রেটারি আছে সেখানে ১ নম্বর সহ-সভাপতি কে? যেকোন বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলবেন।
রাবি প্রতিনিধি: শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে ব্যাপারে লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।১৪ মে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সহ-সভাপতি- শাহিনুল সরকার ডন, শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- আশিকুর রহমান অপু এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক- কাবিরুজ্জামান রুহুল।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে শাহিনুল সরকার ডন (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), নিয়াজ মোর্শেদ (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), আশিকুর রহমান অপু (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) ও কাবিরুজ্জামান রুহুল (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
মন্তব্য করুন