হজ করতে গিয়ে ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক: হজ পালন করতে সৌদি আরব গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও একজন নারী। এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ১১ জন ও মদিনায় চারজন।
১১ জুন মঙ্গলবার হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্প ডেস্ক।
তথ্যমতে, গত ১৫ মে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা যান। এরপর ২৫ দিনের ব্যবধানে মক্কা ও মদিনার স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। সবশেষ ১০ জুন একদিনে গোলাম কুদ্দুস (৫৪) ও শাহাজুদ আলী (৫৫) নামে দুই জন হজযাত্রী মারা গেছেন। এর মধ্যে গোলাম কুদ্দুসের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জে, শাহাজুদ আলীর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।
মারা যাওয়া অপর হজযাত্রীরা হলেন- নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার মো. আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩)।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে মারা গেলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।
সংশ্লিষ্ট
লেখক, এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ: কুরবানি গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব একটি ইবাদত। শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কুরবানি পালন করলে অনেক ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে কুরবানি পালন করতে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিস শরিফেও কুরবানি পালনের অনেক ফজিলত বর্ণনা করেছেন।হজরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সাহাবিরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এই কুরবানি কী? রাসুলুল্লাহ (সা.) জবাব দিলেন, এটা তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত বা আদর্শ। এরপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এতে আমাদের জন্য কী উপকার বা সওয়াব রয়েছে? তিনি বললেন, কুরবানির পশুর প্রতিটি পশমের পরিবর্তে একটি করে নেকি রয়েছে।এরপর সাহাবায়ে কেরাম আবার জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ভেড়া, দুম্বার পশমের ব্যপারে কী কথা? তিনি বললেন, এর প্রতিটি পশমের বিনিময়েও একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।’’ -[ইবনে মাজাহ, মিশকাত শরিফ]। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় দশ বছর জীবন যাপন করেছেন, সেখানে প্রতি বছরই তিনি কুরবানি করেছেন।’ -[তিরমিজি]এজন্য কুরবানি করব একমাত্র আল্লাহর জন্যই। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:-আল্লাহর কাছে না পৌঁছে তাদের (কুরবানির পশুর) গোশত আর না তাদের রক্ত, বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। এমনিভাবে তিনি সেগুলো (পশুগুলো) তোমাদের জন্য বশ করে দিয়েছেন। যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। কারণ, তিনি তোমাদের পথপ্রদর্শন করেছেন। আর আপনি সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। -[সূরা হজ্ব : ৩৭]আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন:-আপনি বলে দিন, নিশ্চয় আমার রব আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করেছেন, (যা) বিশুদ্ধ ধর্ম, ইবরাহীমের দ্বীন। যিনি ছিলেন (আল্লাহর আনুগত্যে) একনিষ্ঠ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। আপনি বলুন, আমার সালাত, আমার কুরবানি (ব্যাপক অর্থে সকল ইবাদত), আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি এরই জন্য আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি মুসলিমদের একজন। -[সূরা আনআম : ১৬১-১৬৩]অতএব কুরবানি হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য হাছিলের জন্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে একনিষ্ঠভাবে শুধুমাত্র তার সন্তুষ্টির জন্যই কুরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।লেখক: এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ,মুহাদ্দিস - জামিয়া ইসলামিয়া মারকাযুদ দ্বীন, তিতাস, কুমিল্লা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরবের মিনায় হজযাত্রীদের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সৌদি সময়ানুযায়ী আজ ১৪ জুন ৮ জিলহজ শুক্রবার সকাল থেকে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হাজীরা মিনার উদ্দেশে রওনা দেন।বাইতুল্লাহ থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় আট কিলোমিটার। এ জন্য হজযাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় সৌদি মুয়াল্লিমরা আগের রাত থেকেই হজযাত্রীদের তাঁবুর শহর মিনায় নেয়া শুরু করেন। এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় রওনা হন হাজীরা। মিনায় গিয়ে হাজিরা ফজর থেকে শুরু করে এশা পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ তাঁবুতে। এ বছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করবেন। আর বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। তাই হাজিরা সেখানে অবস্থান করবেন। এরপর আরাফার ময়দান, মুজদালিফা, মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ, মাথা মুণ্ডন, সাফা-মারওয়া সায়ী, তাওয়াফ, দমে শোকর আদায়ের মাধ্যমে আগামী ১৮ জুন মঙ্গলবার শেষ হবে পাঁচদিনের হজের কার্যক্রম।৯ জিলহজ সকাল থেকে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে শুরু করবেন হাজিরা। এদিন দুপুর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। মূলত এদিনকেই হজের দিন বলা হয়। দিনটি ইয়াওমুল আরাফা হিসাবেও পরিচিত। এরপর হাজিরা আরাফার ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন এবং পাথর সংগ্রহ করবেন।হাজিরা ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে যাবেন। সেখানে তারা বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সায়ী করবেন। এরপর হাজিরা আবার মিনায় ফিরে ১১ এবং ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন। এ সময় প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।এবার আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা প্রদান করবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। একইসঙ্গে তিনি মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে আরও দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ জন বাংলাদেশি হাজি মারা গেছেন। সবশেষ ১২ জুন বুধবার মারা যান মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২) নামে দুই বাংলাদেশি। তাদের বাড়ি কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও দুইজন নারী।এর আগে গত ১০ জুনও গোলাম কুদ্দুস (৫৪) ও শাহাজুদ আলী (৫৫) নামে দুই জন হজযাত্রী মারা গেছেন। গোলাম কুদ্দুসের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জে, শাহাজুদ আলীর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।মারা যাওয়া অপর হজযাত্রীরা হলেন- নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার মো. আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩)।সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে মারা গেলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।এদিকে বুধবার সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছর হজযাত্রী ও তাদের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত মোট ৮৫ হাজার ১২৯ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এসব হজযাত্রীদের বহন করতে তিনটি এয়ারলাইন্স মোট ১২৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০৫টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৭৫টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের ৩৭টি ফ্লাইট রয়েছে। এখন পর্যন্ত শতভাগ হজযাত্রী সৌদিতে পৌঁছেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: হজ পালন করতে সৌদি আরব গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও একজন নারী। এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ১১ জন ও মদিনায় চারজন।১১ জুন মঙ্গলবার হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্প ডেস্ক।তথ্যমতে, গত ১৫ মে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা যান। এরপর ২৫ দিনের ব্যবধানে মক্কা ও মদিনার স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। সবশেষ ১০ জুন একদিনে গোলাম কুদ্দুস (৫৪) ও শাহাজুদ আলী (৫৫) নামে দুই জন হজযাত্রী মারা গেছেন। এর মধ্যে গোলাম কুদ্দুসের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জে, শাহাজুদ আলীর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।মারা যাওয়া অপর হজযাত্রীরা হলেন- নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার মো. আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩)।সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে মারা গেলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।
হজ করতে গিয়ে ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু
সংশ্লিষ্ট
লেখক, এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ: কুরবানি গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব একটি ইবাদত। শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কুরবানি পালন করলে অনেক ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে কুরবানি পালন করতে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিস শরিফেও কুরবানি পালনের অনেক ফজিলত বর্ণনা করেছেন।হজরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সাহাবিরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এই কুরবানি কী? রাসুলুল্লাহ (সা.) জবাব দিলেন, এটা তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত বা আদর্শ। এরপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এতে আমাদের জন্য কী উপকার বা সওয়াব রয়েছে? তিনি বললেন, কুরবানির পশুর প্রতিটি পশমের পরিবর্তে একটি করে নেকি রয়েছে।এরপর সাহাবায়ে কেরাম আবার জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ভেড়া, দুম্বার পশমের ব্যপারে কী কথা? তিনি বললেন, এর প্রতিটি পশমের বিনিময়েও একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।’’ -[ইবনে মাজাহ, মিশকাত শরিফ]। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় দশ বছর জীবন যাপন করেছেন, সেখানে প্রতি বছরই তিনি কুরবানি করেছেন।’ -[তিরমিজি]এজন্য কুরবানি করব একমাত্র আল্লাহর জন্যই। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:-আল্লাহর কাছে না পৌঁছে তাদের (কুরবানির পশুর) গোশত আর না তাদের রক্ত, বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। এমনিভাবে তিনি সেগুলো (পশুগুলো) তোমাদের জন্য বশ করে দিয়েছেন। যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। কারণ, তিনি তোমাদের পথপ্রদর্শন করেছেন। আর আপনি সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। -[সূরা হজ্ব : ৩৭]আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন:-আপনি বলে দিন, নিশ্চয় আমার রব আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করেছেন, (যা) বিশুদ্ধ ধর্ম, ইবরাহীমের দ্বীন। যিনি ছিলেন (আল্লাহর আনুগত্যে) একনিষ্ঠ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। আপনি বলুন, আমার সালাত, আমার কুরবানি (ব্যাপক অর্থে সকল ইবাদত), আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি এরই জন্য আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি মুসলিমদের একজন। -[সূরা আনআম : ১৬১-১৬৩]অতএব কুরবানি হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য হাছিলের জন্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে একনিষ্ঠভাবে শুধুমাত্র তার সন্তুষ্টির জন্যই কুরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।লেখক: এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ,মুহাদ্দিস - জামিয়া ইসলামিয়া মারকাযুদ দ্বীন, তিতাস, কুমিল্লা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরবের মিনায় হজযাত্রীদের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সৌদি সময়ানুযায়ী আজ ১৪ জুন ৮ জিলহজ শুক্রবার সকাল থেকে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হাজীরা মিনার উদ্দেশে রওনা দেন।বাইতুল্লাহ থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় আট কিলোমিটার। এ জন্য হজযাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় সৌদি মুয়াল্লিমরা আগের রাত থেকেই হজযাত্রীদের তাঁবুর শহর মিনায় নেয়া শুরু করেন। এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় রওনা হন হাজীরা। মিনায় গিয়ে হাজিরা ফজর থেকে শুরু করে এশা পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ তাঁবুতে। এ বছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করবেন। আর বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। তাই হাজিরা সেখানে অবস্থান করবেন। এরপর আরাফার ময়দান, মুজদালিফা, মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ, মাথা মুণ্ডন, সাফা-মারওয়া সায়ী, তাওয়াফ, দমে শোকর আদায়ের মাধ্যমে আগামী ১৮ জুন মঙ্গলবার শেষ হবে পাঁচদিনের হজের কার্যক্রম।৯ জিলহজ সকাল থেকে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে শুরু করবেন হাজিরা। এদিন দুপুর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। মূলত এদিনকেই হজের দিন বলা হয়। দিনটি ইয়াওমুল আরাফা হিসাবেও পরিচিত। এরপর হাজিরা আরাফার ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন এবং পাথর সংগ্রহ করবেন।হাজিরা ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে যাবেন। সেখানে তারা বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সায়ী করবেন। এরপর হাজিরা আবার মিনায় ফিরে ১১ এবং ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন। এ সময় প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।এবার আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা প্রদান করবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। একইসঙ্গে তিনি মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে আরও দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ জন বাংলাদেশি হাজি মারা গেছেন। সবশেষ ১২ জুন বুধবার মারা যান মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২) নামে দুই বাংলাদেশি। তাদের বাড়ি কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও দুইজন নারী।এর আগে গত ১০ জুনও গোলাম কুদ্দুস (৫৪) ও শাহাজুদ আলী (৫৫) নামে দুই জন হজযাত্রী মারা গেছেন। গোলাম কুদ্দুসের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জে, শাহাজুদ আলীর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।মারা যাওয়া অপর হজযাত্রীরা হলেন- নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার মো. আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩)।সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে মারা গেলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।এদিকে বুধবার সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছর হজযাত্রী ও তাদের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত মোট ৮৫ হাজার ১২৯ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এসব হজযাত্রীদের বহন করতে তিনটি এয়ারলাইন্স মোট ১২৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০৫টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৭৫টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের ৩৭টি ফ্লাইট রয়েছে। এখন পর্যন্ত শতভাগ হজযাত্রী সৌদিতে পৌঁছেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: হজ পালন করতে সৌদি আরব গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও একজন নারী। এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ১১ জন ও মদিনায় চারজন।১১ জুন মঙ্গলবার হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্প ডেস্ক।তথ্যমতে, গত ১৫ মে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা যান। এরপর ২৫ দিনের ব্যবধানে মক্কা ও মদিনার স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। সবশেষ ১০ জুন একদিনে গোলাম কুদ্দুস (৫৪) ও শাহাজুদ আলী (৫৫) নামে দুই জন হজযাত্রী মারা গেছেন। এর মধ্যে গোলাম কুদ্দুসের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জে, শাহাজুদ আলীর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।মারা যাওয়া অপর হজযাত্রীরা হলেন- নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার মো. আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩)।সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে মারা গেলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।
মন্তব্য করুন