সিলেট নগরীতে ৭৮ হাজার শিশু পাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল
সিলেট প্রতিনিধি: দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। ১২ ডিসেম্বর এ ক্যাম্পেইনে সিলেট নগরীর ৭৮ হাজার ১২৯ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল।
১০ ডিসেম্বর রোববার সকালে সিলেট সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এতে সিলেটে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা অংশ নেন।
ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, আগামী ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডের মোট ৩৪৮টি কেন্দ্রে মোট ৭৮ হাজার ১২৯ জনকে ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
১২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় নগরীর ধোপাদিঘীর পারস্থ ‘বিনোদীনি নগর মাতৃসদনে’ কেন্দ্রে ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করবেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ৮৬৫ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আর ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৬৯ হাজার ২৬৪ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল। সর্বমোট ৭৮ হাজার ১২৯ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এই ক্যাম্পেইন সফল করতে সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট
রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাসে ৭টায় কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় তিনি বলেন, যাদের সামর্থ হয়েছে তারা ঈদের আনন্দ উদযাপন করেছেন, আর যাদের সামর্থ নাই তাদের পাশে আমরা থেকেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন সকল শ্রেণির মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এবং দ্রুত কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন তা করতে সফল হয়েছে।রাসিক মেয়র বলেন, কোন প্রকারের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি। কর্মসংস্থানসহ রাজশাহীকে সকল দিক দিয়ে আমি আপনাদেরকে সাথে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আগামী ১০ বছর পরে যে কাজগুলো বাস্তবায়ন হওয়ার কথা আমরা এখনই সে কাজগুলো বাস্তবায়ন করে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের সকল এলাকার সুষম উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই।রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, সাবেক সভাপতি অ্যাড. মোজাফফর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু, দফতর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ ম আ জাহিদ, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, আব্দুস সালাম, বাদশা শেখ, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, অ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, শাহ্ মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজসহ নগর যুবলীগ, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ, নগর যুব মহিলা লীগ, সাবেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স, নগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, দিনের আলো হিজড়া সংঘ, নগর বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার নেতৃবৃন্দ।
রাজশাহী প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, দ্রুত সময়ের কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রায় ১৪শ কর্মী ৩৫টি টিমে ভাগ হয়ে কাজ করছে।আজ (ঈদের দিন দিবাগত) রাত ১২ থেকে ১টার মধ্যে রাজশাহী মহানগরীর কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে। গত বারের ন্যায় এবারো ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন শহর পাবেন নগরবাসী। কোরবানির কারণে যেসব বর্জ্য হয় তার কোন চিহ্ন থাকবে না বলেও জানান তিনি।১৭ জুন সোমবার বিকেলে নগরীর ১৮নং ওয়ার্ডের শারীরিক শিক্ষা কলেজ সংলগ্ন পবাপাড়া সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর নগরীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রাসিক মেয়র।এর আগে সকাল ১১টা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে পশু জবেহের স্থান থেকে কোরবানির বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা। ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ২৮টি এসটিএস‘ নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা থেকে সেই বর্জ্য নগরীর সিটি হাট সংলগ্ন ভাগাড়ে নিয়ে ফেলা হচ্ছে।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামীকাল ও পরশুদিন যারা কোরবানি করবেন, সেই বর্জ্যগুলোও দ্রুত সময়ে অপসারণ করা হবে।তিনি আরও বলেন, পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম দেশজুড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই নগরীকে দেখতে আসেন। রাজশাহী দেখে যখন তারা প্রশংসা করেন, তখন আমাদের গর্ব হয়। আরো ভালো লাগে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য সিটি মেয়রদের রাজশাহী শহর দেখে যেতে বলেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (মনিটরিং) সাজ্জাদ আলী প্রমুখ।রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানিয়েছেন, এবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য ২১০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়। কোরবানির বর্জ্য অপসারণে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।এছাড়া, পরিচ্ছন্ন বিভাগের ১৩৯৪ জন কর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ও শহর পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত রযেছে। প্রায় ৪শ ভ্যান, ২টি স্টিড রোলার, ৬টি ট্রাক্টর ডবল ট্রলিসহ, ১৫টি হাইড্রোলিক ট্রাক, ২টি ওয়াটার ট্যাংকার এই কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন। পশু জবেহের স্থানসমূহে পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাঊডার ছিটানো হচ্ছে।
রাজশাহী প্রতিনিধি: আসন্ন ঈদ-উল-আজহায় রাজশাহী মহানগরী এলাকায় দ্রুত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বিভাগীয় প্রধানগণকে নিয়ে মতবনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় নগর ভবনের মেয়র দপ্তর কক্ষে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় রাসিক মেয়র দ্রুত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সংশ্লিষ্টদের দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।সভায় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, প্যানেল মেয়র ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলার আহম্মেদ, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মো. মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নুর-ঈ সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার, বাজে কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম আসাদুজ্জামান সুইট, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু।সভায় জানানো হয়, পবিত্র ঈদুল আজহার পরদিনই নগরবাসীকে পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানির পশু জবাইয়ের পর ওই স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো, পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে ওয়াটার ট্যাংকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দ্রুত বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে লিফলেট প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত লিফলেট জনসাধারণকে অবহিত করণের লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডের অন্তর্গত মসজিদের ইমাম দ্বারা জুমার নামাজের খুতবায় ও ঈদুল আজহার জামাতে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।পরিচ্ছন্ন বিভাগের সব (কেন্দ্রীয় ও ওয়ার্ড) পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের দিনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম জোরদারকরণে ওয়াটার ট্যাংকার ব্যবহার করা হবে। সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঈদের দিন কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে রাসিক কন্ট্রোলরুমের মোবাইল নম্বরসমূহ হচ্ছে, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ০১৭৪০-০০৩০৪০, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (মনিটরিং) ০১৭১৩-০৯৮৯৫৬, অফিস সহকারী ০১৫২১-৩৬৫৩৬৬, সুপারভাইজার ০১৭৫১-০০৩০৬৩। অভিযোগ গ্রহণের সময় ঈদুল আজহার দিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।
বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশাল সিটি করপোরেশন, বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া তাওহীদ (২২) নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।১০ জুন সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা।বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার লোগো এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের পুরোনো লোগো ব্যবহার করে ছয়টি পদের জন্য একটি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করেন তাওহীদ। এতে বরিশাল সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নামে একটি জাল সইও ব্যবহার করা হয়। ভুয়া এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি গত মার্চ মাসে “জব ইন বরিশাল” নামের ফেসবুক গ্রুপে সিটি করপোরেশনের একটি ভুয়া আইডি ব্যবহার করে প্রচার করা হয়। আগ্রহী প্রার্থীদের একটি ই-মেইল ঠিকানায় সিভি পাঠাতে বলা হয়। বিষয়টি বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, বিষয়টি জানার পর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সঙ্গে মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ইউনিট যৌথভাবে কাজ শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকারীকে শনাক্ত করার পাশাপাশি তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ৮ জুন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব মিস্ত্রির নেতৃত্বে একটি দল ময়মনসিংহে যায়। পরে দলটি ময়মনসিংহের বলাশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. তাওহীদকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার তাওহীদ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের ঈদগাহ খাগাটিপাড়া এলাকার নায়েব আলীর ছেলে।গ্রেফতারের সময় তাওহীদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল সেট ও ছয়টি সিম জব্দ করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাওহীদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া তিনি বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জাল সই দিয়ে ছয়টি করে মোট ১২টি পদের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা জানিয়েছেন। আর এসবের মাধ্যমে প্রতারক তাওহীদ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।আরও জিজ্ঞাসাবাদের কথা জানিয়ে মো. আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, এখন পর্যন্ত তার ছয়টি সিমের একটিতে লাখ টাকার মতো লেনদেনের তথ্য আমাদের কাছে আছে। বাকি সিমসহ অন্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর তার সঙ্গে কেউ জড়িত কি না, সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক জানান, সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তার মামলায় তাওহীদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।এদিকে চক্রটির মূল হোতা তাওহীদ দাবি করেন, চাকরির নামে নিজে প্রতারিত হয়ে প্রতারণার এ পথ তিনিও বেছে নিয়েছেন। তিনি জানান, রাজশাহীতে পড়াশোনা করার সময় ৬০০ টাকা দিয়ে চাকরির নামে প্রতারণার শিকার হন তিনি। এরপর থেকে তাওহীদ নিজেই মানুষের সাথে প্রতারণা শুরু করেন।জানা গেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রনিক বিভাগে ডিপ্লোমা শেষ করেছেন তাওহীদ নামের এ তরুণ। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় দৈনিকের লোগো বসিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আসছিলেন।
সিলেট নগরীতে ৭৮ হাজার শিশু পাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল
সংশ্লিষ্ট
রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাসে ৭টায় কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় তিনি বলেন, যাদের সামর্থ হয়েছে তারা ঈদের আনন্দ উদযাপন করেছেন, আর যাদের সামর্থ নাই তাদের পাশে আমরা থেকেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন সকল শ্রেণির মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এবং দ্রুত কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন তা করতে সফল হয়েছে।রাসিক মেয়র বলেন, কোন প্রকারের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি। কর্মসংস্থানসহ রাজশাহীকে সকল দিক দিয়ে আমি আপনাদেরকে সাথে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আগামী ১০ বছর পরে যে কাজগুলো বাস্তবায়ন হওয়ার কথা আমরা এখনই সে কাজগুলো বাস্তবায়ন করে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের সকল এলাকার সুষম উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই।রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, সাবেক সভাপতি অ্যাড. মোজাফফর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু, দফতর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ ম আ জাহিদ, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, আব্দুস সালাম, বাদশা শেখ, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, অ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, শাহ্ মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজসহ নগর যুবলীগ, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ, নগর যুব মহিলা লীগ, সাবেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স, নগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, দিনের আলো হিজড়া সংঘ, নগর বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার নেতৃবৃন্দ।
রাজশাহী প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, দ্রুত সময়ের কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রায় ১৪শ কর্মী ৩৫টি টিমে ভাগ হয়ে কাজ করছে।আজ (ঈদের দিন দিবাগত) রাত ১২ থেকে ১টার মধ্যে রাজশাহী মহানগরীর কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে। গত বারের ন্যায় এবারো ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন শহর পাবেন নগরবাসী। কোরবানির কারণে যেসব বর্জ্য হয় তার কোন চিহ্ন থাকবে না বলেও জানান তিনি।১৭ জুন সোমবার বিকেলে নগরীর ১৮নং ওয়ার্ডের শারীরিক শিক্ষা কলেজ সংলগ্ন পবাপাড়া সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর নগরীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রাসিক মেয়র।এর আগে সকাল ১১টা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে পশু জবেহের স্থান থেকে কোরবানির বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা। ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ২৮টি এসটিএস‘ নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা থেকে সেই বর্জ্য নগরীর সিটি হাট সংলগ্ন ভাগাড়ে নিয়ে ফেলা হচ্ছে।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামীকাল ও পরশুদিন যারা কোরবানি করবেন, সেই বর্জ্যগুলোও দ্রুত সময়ে অপসারণ করা হবে।তিনি আরও বলেন, পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম দেশজুড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই নগরীকে দেখতে আসেন। রাজশাহী দেখে যখন তারা প্রশংসা করেন, তখন আমাদের গর্ব হয়। আরো ভালো লাগে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য সিটি মেয়রদের রাজশাহী শহর দেখে যেতে বলেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (মনিটরিং) সাজ্জাদ আলী প্রমুখ।রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানিয়েছেন, এবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য ২১০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়। কোরবানির বর্জ্য অপসারণে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।এছাড়া, পরিচ্ছন্ন বিভাগের ১৩৯৪ জন কর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ও শহর পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত রযেছে। প্রায় ৪শ ভ্যান, ২টি স্টিড রোলার, ৬টি ট্রাক্টর ডবল ট্রলিসহ, ১৫টি হাইড্রোলিক ট্রাক, ২টি ওয়াটার ট্যাংকার এই কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন। পশু জবেহের স্থানসমূহে পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাঊডার ছিটানো হচ্ছে।
রাজশাহী প্রতিনিধি: আসন্ন ঈদ-উল-আজহায় রাজশাহী মহানগরী এলাকায় দ্রুত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বিভাগীয় প্রধানগণকে নিয়ে মতবনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় নগর ভবনের মেয়র দপ্তর কক্ষে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় রাসিক মেয়র দ্রুত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সংশ্লিষ্টদের দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।সভায় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, প্যানেল মেয়র ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলার আহম্মেদ, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মো. মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নুর-ঈ সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার, বাজে কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম আসাদুজ্জামান সুইট, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু।সভায় জানানো হয়, পবিত্র ঈদুল আজহার পরদিনই নগরবাসীকে পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানির পশু জবাইয়ের পর ওই স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো, পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে ওয়াটার ট্যাংকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দ্রুত বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে লিফলেট প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত লিফলেট জনসাধারণকে অবহিত করণের লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডের অন্তর্গত মসজিদের ইমাম দ্বারা জুমার নামাজের খুতবায় ও ঈদুল আজহার জামাতে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।পরিচ্ছন্ন বিভাগের সব (কেন্দ্রীয় ও ওয়ার্ড) পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের দিনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম জোরদারকরণে ওয়াটার ট্যাংকার ব্যবহার করা হবে। সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঈদের দিন কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে রাসিক কন্ট্রোলরুমের মোবাইল নম্বরসমূহ হচ্ছে, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ০১৭৪০-০০৩০৪০, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (মনিটরিং) ০১৭১৩-০৯৮৯৫৬, অফিস সহকারী ০১৫২১-৩৬৫৩৬৬, সুপারভাইজার ০১৭৫১-০০৩০৬৩। অভিযোগ গ্রহণের সময় ঈদুল আজহার দিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।
বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশাল সিটি করপোরেশন, বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া তাওহীদ (২২) নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।১০ জুন সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা।বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার লোগো এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের পুরোনো লোগো ব্যবহার করে ছয়টি পদের জন্য একটি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করেন তাওহীদ। এতে বরিশাল সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নামে একটি জাল সইও ব্যবহার করা হয়। ভুয়া এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি গত মার্চ মাসে “জব ইন বরিশাল” নামের ফেসবুক গ্রুপে সিটি করপোরেশনের একটি ভুয়া আইডি ব্যবহার করে প্রচার করা হয়। আগ্রহী প্রার্থীদের একটি ই-মেইল ঠিকানায় সিভি পাঠাতে বলা হয়। বিষয়টি বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, বিষয়টি জানার পর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সঙ্গে মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ইউনিট যৌথভাবে কাজ শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকারীকে শনাক্ত করার পাশাপাশি তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ৮ জুন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব মিস্ত্রির নেতৃত্বে একটি দল ময়মনসিংহে যায়। পরে দলটি ময়মনসিংহের বলাশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. তাওহীদকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার তাওহীদ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের ঈদগাহ খাগাটিপাড়া এলাকার নায়েব আলীর ছেলে।গ্রেফতারের সময় তাওহীদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল সেট ও ছয়টি সিম জব্দ করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাওহীদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া তিনি বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জাল সই দিয়ে ছয়টি করে মোট ১২টি পদের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা জানিয়েছেন। আর এসবের মাধ্যমে প্রতারক তাওহীদ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।আরও জিজ্ঞাসাবাদের কথা জানিয়ে মো. আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, এখন পর্যন্ত তার ছয়টি সিমের একটিতে লাখ টাকার মতো লেনদেনের তথ্য আমাদের কাছে আছে। বাকি সিমসহ অন্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর তার সঙ্গে কেউ জড়িত কি না, সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক জানান, সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তার মামলায় তাওহীদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।এদিকে চক্রটির মূল হোতা তাওহীদ দাবি করেন, চাকরির নামে নিজে প্রতারিত হয়ে প্রতারণার এ পথ তিনিও বেছে নিয়েছেন। তিনি জানান, রাজশাহীতে পড়াশোনা করার সময় ৬০০ টাকা দিয়ে চাকরির নামে প্রতারণার শিকার হন তিনি। এরপর থেকে তাওহীদ নিজেই মানুষের সাথে প্রতারণা শুরু করেন।জানা গেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রনিক বিভাগে ডিপ্লোমা শেষ করেছেন তাওহীদ নামের এ তরুণ। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় দৈনিকের লোগো বসিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আসছিলেন।
মন্তব্য করুন