হায়দরাবাদকে উড়িয়ে আইপিএলের তৃতীয় শিরোপা কলকাতার
নিজস্ব প্রতিবেদক: এমন একচেটিয়া ফাইনাল আইপিএলে খুব কমই হয়েছে। আগে ব্যাটিং করে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১১৩ রান করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হেসেখেলে সহজ জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৫৭ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের জয়ে আইপিএলের তৃতীয় শিরোপা নিশ্চিত করে রাসেল-নারাইনরা।
রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য ১১ রানে সুনীল নারাইনের উইকেট হারায় কলকাতা। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বলে শাহবাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ভেঙ্কটেশ আয়ার ৪৫ বলে ৯১ রানের জুটি গড়ে জয়টা একেবারে নাগালে নিয়ে আসেন। ১০২ রানের মাথায় শাহবাজ আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গুরবাজ আউট হলে ভাঙে এই বিধ্বংসী জুটি। ভেঙ্কটেশ অবশ্য ফিফটি করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
২০১২ ও ২০১৪ সালে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম দুই আইপিএল শিরোপা জিতেছিল কলকাতা। সেই দুই শিরোপা জিততে কলকাতার রীতিমতো ঘাম ছুটে গিয়েছিল। ১০ বছর পর এবার কলকাতা আইপিএল জিতেছে হেসেখেলে। চিদম্বরমে হায়দরাবাদের দেওয়া ১১৪ রানের লক্ষ্য কলকাতা টপকে গেছে ১০.৩ ওভারে। ভেঙ্কটেশ আয়ার সিঙ্গেল নিতেই পুরো কলকাতা ডাগআউট ভেসে ওঠে তৃতীয় আইপিএল শিরোপা জয়ের আনন্দে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। কলকাতার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে ১৪.১ ওভারে ৮ উইকেটে ৯০ রান হয়ে যায় হায়দরাবাদের। নবম উইকেটে কামিন্স-উনাদকাটের ২৩ রানের জুটি হায়দরাবাদকে ১০০ পেরোতে সাহায্য করেছে। ১৮.৩ ওভারে ১১২ রানে অলআউট হয়ে যায় কামিন্সের দল। ইনিংস সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন অধিনায়ক কামিন্স। কলকাতার সেরা বোলার আন্দ্রে রাসেল ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। বোলিং করেছেন ২.৩ ওভার। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হারশিত রানা ও মিচেল স্টার্ক।
সংশ্লিষ্ট
স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করল আফগানিস্তান। গুলবাদিন নাইব ও নাভিন উল হকের বোলিং তোপে ২১ রানে হার মানলো অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট শুরু করা অজিরা আফগানদের কাছে হেরে বিপদে পড়ে গেলো। তিন বিভাগেই দারুণ খেলে অজিদের চলতি আসরে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ দিলো রশিদ খানের দল।আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শতাধিক রানের উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তান ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৯.২ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয়।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দারুণ শুরু পায় আফগানিস্তান। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তোলে তারা। এরপর এ টুর্নামেন্টে তৃতীয়বারের মতো পঞ্চাশ রানের বেশি উদ্বোধনী জুটি পায় আফগানিস্তান।সেটিকেও ছাড়িয়ে একশর বেশি রানের জুটি হয় রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরানের মধ্যে। এক টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার এই মাইলফলক ছোয়ার কীর্তি ছিল না আগে, এবার করলেন তারা। এবারের আসরে আর কোনো দলই পায়নি শতরানের উদ্বোধনী জুটি।দুই ব্যাটারই অবশ্য ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি। ইনিংসের ৯৫তম বলে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। স্টয়নিসকে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন ওয়ার্নারের হাতে। ৪৯ বলে ৪টি চার ও সমান ছক্কায় ৬০ রান করেন গুরবাজ।পরের ওভারে এসে অ্যাডাম জাম্পা ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। ওই ওভারের শেষ বলে ফেরেন আরেক ওপেনার ইবরাহিম জাদরানও। ৪৮ বলে ৬ চারে ৫১ রান করেন তিনি।এর মধ্যে এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক তুলে নেন প্যাট কামিন্স। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করেন তিনি। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে আউট হন করিম জানাত ও গুলবাদিন নাঈব। আফগানিস্তানের ইনিংস দেড়শ ছাড়িয়ে না যাওয়ার কৃতিত্ব কামিন্সের।রান তাড়ায় নামা অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই ধাক্কা দেয় আফগানিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় বলে নাভিন উল হক বোল্ড করেন ট্রাভিস হেড, তখনও অবধি কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের উইকেট পান নাভিন।আক্রমণাত্মক হতে চাওয়া মিচেল মার্শকে আউট করেন এবার। ৯ বলে ১২ রান করে মিড অফে দাঁড়ানো মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর উইকেটে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, একপ্রান্তে দলকে আগলে রাখেন তিনি। তবে আরেকদিকে ঠিকই উইকেট তুলে নিতে থাকে আফগানরা।পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ডেভিড ওয়ার্নারকে সাজঘরের পথ দেখান নবী। ৮ বলে ৩ রান করে নূর আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। প্রথম ছয় ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।চতুর্থ উইকেটের জন্য ইনিংসের ১১তম ওভার অবধি অপেক্ষা করতে হয় আফগানিস্তান। মার্কোস স্টয়নিসের সঙ্গে গড়ে উঠতে থাকা ম্যাক্সওয়েলের জুটি এবার ভাঙেন গুলবাদিন নাইব। ১৭ বলে ১১ রান করা স্টয়নিস এবার ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।নাইব নিজের পরের ওভারে ফেরান টিম ডেভিডকে। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় বাধা হয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও।
স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর সবকটি জয়ে বড় অবদান ছিল বোলারদের।এবার সুপার এইটে এসে ব্যর্থ হলো বোলাররা। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নূন্যতম লড়াইটুকুও করতে পারেনি বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস মেথডে ২৮ রানের জয় পেয়েছে অজিরা।আজকের বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে তিন বার হানা দেয় বৃষ্টি। প্রথমবার টসের আগে; বাকি দুই বার অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস চলাকালীন সময়ে। তৃতীয়বার বৃষ্টি কবলে পড়ে ম্যাচই পরিত্যক্ত হয়ে যায় খেলা।ফলে রান তোলায় এগিয়ে থাকার কারণে ডাকওয়ার্থ লুইস বা ডিএলএস মেথডে ২৮ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। আর প্রথম ম্যাচ হারার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের সুপার এইট।ইনিংসের ১১.২ ওভারের পর অ্যান্টিগায় আর খেলা শুরু হতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১১.২ ওভার পর ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে সে ব্যবধানেই ম্যাচটি জিতল তারা।১৪০ রানের সম্বল নিয়ে দ্রুত উইকেটের দরকার ছিল বাংলাদেশের। সেটি তারা পায়নি। কার্যত হেড ও ওয়ার্নারের ৬৫ রানের ওপেনিং জুটিতেই লড়াই থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে রিশাদ হোসেন আশা জোগালেও ওয়ার্নারকে টলানো যায়নি।
স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের টি-টোয়েন্টি আসরের সুপার এইটে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। অজিরা টস জিতে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়।খেলার প্রথম ওভারেই মিশেল স্টার্কের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। লিটন দাস ধীর গতিতে ২৫ বল খেললেও আউট হয়েছে ১৬ রানে।অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৬ বলে করেছেন ৪১ রান। তবে মাঠে চারে নামা রিশাদ সুবিধা করতে পারেননি। ৪ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এ খেলোয়ার।ফিল্ডে পাঁচ নম্বরে নেমে তাওহিদ হৃদয় ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন। ছয়ে নামা সাকিব আল হাসানের ব্যাটও আজ মোটেই হাসেনি। ১০ বলে করেছেন ৮ রান।এছাড়া তাসকিন আহমেদ নেমে করেছেন ৭ বলে ১৩ রান। আর চলতি আসরে প্রথমবার দলে সুযোগ পাওয়া খেলোয়ার শেখ মেহেদী সাজঘরে ফিরেছেন শূন্য রানে।অজিদের হয়ে প্যাট কামিন্স নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট। আর অ্যাডাম জাম্পার শিকার ২। সবমিলিয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে সুপার এইটের ৮-টি দলই। নেপালকে হারিয়ে অষ্টম দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ‘ডি২’ হিসেবে আগেই নির্ধারিত ছিল বাংলাদেশের সুপার এইটের সূচিও।টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব আগামী ১৯ জুন থেকে শুরু হবে । দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে উঠবে। গ্রুপ-১ এর শীর্ষ দল ২ নম্বর গ্রুপের রানার্সআপ দলের সঙ্গে খেলবে। অন্যদিকে ১ নম্বর গ্রুপের দ্বিতীয় দলের বিপক্ষে খেলবে ২ নম্বর গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা।এই পর্বে গ্রুপ-১ তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান। আগামী ২১ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে সুপার এইট পর্ব শুরু করবে বাংলাদেশ। ২২ জুন রাতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। ২৫ জুন সকালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সুপার এইট পর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।সুপার এইটের গ্রুপ-ফার্গুসনের ইতিহাস গড়ার দিনে নিউজিল্যান্ডের সান্ত্বনার জয়গ্রুপ ১ : ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ।গ্রুপ ২ : যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।সুপার এইটের সূচি- (তারিখ ম্যাচ ভেন্যু বাংলাদেশ সময়): তারিখম্যাচভেন্যুবাংলাদেশ সময়১৯ জুনযুক্তরাষ্ট্র–দক্ষিণ আফ্রিকাঅ্যান্টিগারাত ৮টা ৩০ মিনিট২০ জুনইংল্যান্ড–ওয়েস্ট ইন্ডিজসেন্ট লুসিয়া সকাল ৬টা ৩০ মিনিট২০ জুনআফগানিস্তান–ভারতবার্বাডোজরাত ৮টা ৩০ মিনিট২১ জুনঅস্ট্রেলিয়া–বাংলাদেশ অ্যান্টিগাসকাল ৬টা ৩০ মিনিট২১ জুনইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা সেন্ট লুসিয়ারাত ৮টা ৩০ মিনিট২২ জুনযুক্তরাষ্ট্র–ওয়েস্ট ইন্ডিজবার্বাডোজসকাল ৬টা ৩০ মিনিট২২ জুনভারত–বাংলাদেশ অ্যান্টিগারাত ৮টা ৩০ মিনিট২৩ জুনআফগানিস্তান–অস্ট্রেলিয়াসেন্ট ভিনসেন্টসকাল ৬টা ৩০ মিনিট২৩ জুনযুক্তরাষ্ট্র–ইংল্যান্ডবার্বাডোজরাত ৮টা ৩০ মিনিট২৪ জুনওয়েস্ট ইন্ডিজ–দক্ষিণ আফ্রিকাঅ্যান্টিগাসকাল ৬টা ৩০ মিনিট২৪ জুনঅস্ট্রেলিয়া–ভারতসেন্ট লুসিয়ারাত ৮টা ৩০ মিনিট২৫ জুনআফগানিস্তান–বাংলাদেশসেন্ট ভিনসেন্টসকাল ৬টা ৩০ মিনিট
হায়দরাবাদকে উড়িয়ে আইপিএলের তৃতীয় শিরোপা কলকাতার
সংশ্লিষ্ট
স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করল আফগানিস্তান। গুলবাদিন নাইব ও নাভিন উল হকের বোলিং তোপে ২১ রানে হার মানলো অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট শুরু করা অজিরা আফগানদের কাছে হেরে বিপদে পড়ে গেলো। তিন বিভাগেই দারুণ খেলে অজিদের চলতি আসরে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ দিলো রশিদ খানের দল।আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শতাধিক রানের উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তান ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৯.২ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয়।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দারুণ শুরু পায় আফগানিস্তান। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তোলে তারা। এরপর এ টুর্নামেন্টে তৃতীয়বারের মতো পঞ্চাশ রানের বেশি উদ্বোধনী জুটি পায় আফগানিস্তান।সেটিকেও ছাড়িয়ে একশর বেশি রানের জুটি হয় রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরানের মধ্যে। এক টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার এই মাইলফলক ছোয়ার কীর্তি ছিল না আগে, এবার করলেন তারা। এবারের আসরে আর কোনো দলই পায়নি শতরানের উদ্বোধনী জুটি।দুই ব্যাটারই অবশ্য ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি। ইনিংসের ৯৫তম বলে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। স্টয়নিসকে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন ওয়ার্নারের হাতে। ৪৯ বলে ৪টি চার ও সমান ছক্কায় ৬০ রান করেন গুরবাজ।পরের ওভারে এসে অ্যাডাম জাম্পা ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। ওই ওভারের শেষ বলে ফেরেন আরেক ওপেনার ইবরাহিম জাদরানও। ৪৮ বলে ৬ চারে ৫১ রান করেন তিনি।এর মধ্যে এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক তুলে নেন প্যাট কামিন্স। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করেন তিনি। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে আউট হন করিম জানাত ও গুলবাদিন নাঈব। আফগানিস্তানের ইনিংস দেড়শ ছাড়িয়ে না যাওয়ার কৃতিত্ব কামিন্সের।রান তাড়ায় নামা অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই ধাক্কা দেয় আফগানিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় বলে নাভিন উল হক বোল্ড করেন ট্রাভিস হেড, তখনও অবধি কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের উইকেট পান নাভিন।আক্রমণাত্মক হতে চাওয়া মিচেল মার্শকে আউট করেন এবার। ৯ বলে ১২ রান করে মিড অফে দাঁড়ানো মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর উইকেটে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, একপ্রান্তে দলকে আগলে রাখেন তিনি। তবে আরেকদিকে ঠিকই উইকেট তুলে নিতে থাকে আফগানরা।পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ডেভিড ওয়ার্নারকে সাজঘরের পথ দেখান নবী। ৮ বলে ৩ রান করে নূর আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। প্রথম ছয় ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।চতুর্থ উইকেটের জন্য ইনিংসের ১১তম ওভার অবধি অপেক্ষা করতে হয় আফগানিস্তান। মার্কোস স্টয়নিসের সঙ্গে গড়ে উঠতে থাকা ম্যাক্সওয়েলের জুটি এবার ভাঙেন গুলবাদিন নাইব। ১৭ বলে ১১ রান করা স্টয়নিস এবার ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।নাইব নিজের পরের ওভারে ফেরান টিম ডেভিডকে। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় বাধা হয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও।
স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর সবকটি জয়ে বড় অবদান ছিল বোলারদের।এবার সুপার এইটে এসে ব্যর্থ হলো বোলাররা। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নূন্যতম লড়াইটুকুও করতে পারেনি বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস মেথডে ২৮ রানের জয় পেয়েছে অজিরা।আজকের বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে তিন বার হানা দেয় বৃষ্টি। প্রথমবার টসের আগে; বাকি দুই বার অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস চলাকালীন সময়ে। তৃতীয়বার বৃষ্টি কবলে পড়ে ম্যাচই পরিত্যক্ত হয়ে যায় খেলা।ফলে রান তোলায় এগিয়ে থাকার কারণে ডাকওয়ার্থ লুইস বা ডিএলএস মেথডে ২৮ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। আর প্রথম ম্যাচ হারার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের সুপার এইট।ইনিংসের ১১.২ ওভারের পর অ্যান্টিগায় আর খেলা শুরু হতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১১.২ ওভার পর ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে সে ব্যবধানেই ম্যাচটি জিতল তারা।১৪০ রানের সম্বল নিয়ে দ্রুত উইকেটের দরকার ছিল বাংলাদেশের। সেটি তারা পায়নি। কার্যত হেড ও ওয়ার্নারের ৬৫ রানের ওপেনিং জুটিতেই লড়াই থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে রিশাদ হোসেন আশা জোগালেও ওয়ার্নারকে টলানো যায়নি।
স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের টি-টোয়েন্টি আসরের সুপার এইটে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। অজিরা টস জিতে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়।খেলার প্রথম ওভারেই মিশেল স্টার্কের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। লিটন দাস ধীর গতিতে ২৫ বল খেললেও আউট হয়েছে ১৬ রানে।অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৬ বলে করেছেন ৪১ রান। তবে মাঠে চারে নামা রিশাদ সুবিধা করতে পারেননি। ৪ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এ খেলোয়ার।ফিল্ডে পাঁচ নম্বরে নেমে তাওহিদ হৃদয় ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন। ছয়ে নামা সাকিব আল হাসানের ব্যাটও আজ মোটেই হাসেনি। ১০ বলে করেছেন ৮ রান।এছাড়া তাসকিন আহমেদ নেমে করেছেন ৭ বলে ১৩ রান। আর চলতি আসরে প্রথমবার দলে সুযোগ পাওয়া খেলোয়ার শেখ মেহেদী সাজঘরে ফিরেছেন শূন্য রানে।অজিদের হয়ে প্যাট কামিন্স নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট। আর অ্যাডাম জাম্পার শিকার ২। সবমিলিয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে সুপার এইটের ৮-টি দলই। নেপালকে হারিয়ে অষ্টম দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ‘ডি২’ হিসেবে আগেই নির্ধারিত ছিল বাংলাদেশের সুপার এইটের সূচিও।টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব আগামী ১৯ জুন থেকে শুরু হবে । দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে উঠবে। গ্রুপ-১ এর শীর্ষ দল ২ নম্বর গ্রুপের রানার্সআপ দলের সঙ্গে খেলবে। অন্যদিকে ১ নম্বর গ্রুপের দ্বিতীয় দলের বিপক্ষে খেলবে ২ নম্বর গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা।এই পর্বে গ্রুপ-১ তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান। আগামী ২১ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে সুপার এইট পর্ব শুরু করবে বাংলাদেশ। ২২ জুন রাতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। ২৫ জুন সকালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সুপার এইট পর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।সুপার এইটের গ্রুপ-ফার্গুসনের ইতিহাস গড়ার দিনে নিউজিল্যান্ডের সান্ত্বনার জয়গ্রুপ ১ : ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ।গ্রুপ ২ : যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।সুপার এইটের সূচি- (তারিখ ম্যাচ ভেন্যু বাংলাদেশ সময়): তারিখম্যাচভেন্যুবাংলাদেশ সময়১৯ জুনযুক্তরাষ্ট্র–দক্ষিণ আফ্রিকাঅ্যান্টিগারাত ৮টা ৩০ মিনিট২০ জুনইংল্যান্ড–ওয়েস্ট ইন্ডিজসেন্ট লুসিয়া সকাল ৬টা ৩০ মিনিট২০ জুনআফগানিস্তান–ভারতবার্বাডোজরাত ৮টা ৩০ মিনিট২১ জুনঅস্ট্রেলিয়া–বাংলাদেশ অ্যান্টিগাসকাল ৬টা ৩০ মিনিট২১ জুনইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা সেন্ট লুসিয়ারাত ৮টা ৩০ মিনিট২২ জুনযুক্তরাষ্ট্র–ওয়েস্ট ইন্ডিজবার্বাডোজসকাল ৬টা ৩০ মিনিট২২ জুনভারত–বাংলাদেশ অ্যান্টিগারাত ৮টা ৩০ মিনিট২৩ জুনআফগানিস্তান–অস্ট্রেলিয়াসেন্ট ভিনসেন্টসকাল ৬টা ৩০ মিনিট২৩ জুনযুক্তরাষ্ট্র–ইংল্যান্ডবার্বাডোজরাত ৮টা ৩০ মিনিট২৪ জুনওয়েস্ট ইন্ডিজ–দক্ষিণ আফ্রিকাঅ্যান্টিগাসকাল ৬টা ৩০ মিনিট২৪ জুনঅস্ট্রেলিয়া–ভারতসেন্ট লুসিয়ারাত ৮টা ৩০ মিনিট২৫ জুনআফগানিস্তান–বাংলাদেশসেন্ট ভিনসেন্টসকাল ৬টা ৩০ মিনিট
মন্তব্য করুন