৫৫ বছরেও মেলেনি ৪ শহীদ দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি

৫৫ বছরেও মেলেনি ৪ শহীদ দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি

...

প্রকাশ : ১ বছর আগে

আপডেট : ৪ মাস আগে

৫৫ বছরেও মেলেনি ৪ শহীদ দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি

৫৫ বছরেও মেলেনি ৪ শহীদ দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি

সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: ১৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর সেনবাগবাসীর জন্য এক শোকাবহ স্মরণীয় দিন। ‘৬৯’র এই দিনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় মামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলন যখন তুঙ্গে উঠেছে, তখন ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাভ্যন্তরে সার্জেন্ট জহুরুল হককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে সারাদেশের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়লে তদানীন্তন পাকিস্তানি প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। একই সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ও প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা নিহত হন। তখন ১৯ ফেব্রুয়ারি ড. শামসুজ্জোহাকে হত্যার  প্রতিবাদে তদানীন্তন সেনবাগ সেনবাগ থানায় কালো পতাকা উত্তোলনে উদ্যত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায় এবং এতে পুলিশের গুলিতে ৩ ছাত্রসহ ৪ যুবক শহীদ হন। তারা হচ্ছেন- সেনবাগের অর্জুনতলা গ্রামের অফিজুর রহমান, বাবুপুর গ্রামের আবুল কালাম, জিরুয়া গ্রামের সামছুল হক ও মোহাম্মদপুর গ্রামের খুরশিদ আলম। এছাড়া পুলিশের গুলিতে ১৫-২০ জন আহত হয়েছিলেন।এ ঘটনার পর একে একে ৫৫ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত ‘৬৯’র সেই ঘটনায় হতাহতদের পরিবার পায়নি কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। প্রতি বছর সার্জেন্ট জহরুল হক ও ড. শামসুজ্জোহার প্রয়াণ দিবস পালিত হলেও সেনবাগের ৪ শহীদের খোজ কেউ রাখে না।স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগে এসে নিহত ৪ শহীদের কবর জিয়ারত করেন এবং ওই পরিবারের লোকজনকে ৫০০ টাকা ও একটি করে সনদ প্রদান করেন।দীর্ঘদিন ধরে ১৯ ফেব্রুয়ারিকে সেনবাগে ৪ শহীদ দিবস ঘোষণার দাবিতে এখানকার সর্বস্তরের লোকজন সভা-সমাবেশ  ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন শুরু করে। এরপর সেনবাগ উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৪ শহীদের কবরগুলো বাউন্ডারী করে দেয় ।এরপর সেনবাগের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা শহীদের স্বীকৃতি দিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রালয় ববাবর আবেদন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২২ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রলায়ের পরিকল্পনা শাখার সিনিয়র সহকারী প্রধান মুহাম্মদ নুরুল আমিন খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই ৪ শহীদ স্মরণে সেনবাগ থানা চত্বরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলীর কাছে করা হয়।এরপর ১৩ বছর  পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এর নির্মাণকাজ কাজ শুরু হয়নি। এই নিয়ে এলাকার লোকজন চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সোমবার সেনবাগে ৪ শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সেনবাগ প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা করার কথা রয়েছে।৬৯’র ওই সময়ের ছাত্র সংগ্রাম কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবু তাহের অনতিবিলম্বে ‘৬৯’র এই ৪ শহীদকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন।বিশেষ করে পুলিশের গুলিতে পঙ্গু মাস্টার নাছির ঊদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনবাগে এসে শহীদের কবর জিয়ারত করেন এবং ৫০০ টাকা ও একটি করে সনদ প্রদান করেন। এরপর দীর্ঘ ৫৫ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি কেউই।’এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান ‘৬৯’র গণআন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পঙ্গু মাস্টার নাছির উদ্দিন।
  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

সৈয়দপুরে বিভিন্ন দাবিতে রংপুর বিভাগীয় ইটভাটা মালিক সমিতির সমাবেশ

সৈয়দপুরে বিভিন্ন দাবিতে রংপুর বিভাগীয় ইটভাটা মালিক সমিতির সমাবেশ

ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিহত

ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিহত

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সাংবাদিক রিজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে খোকসায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সাংবাদিক রিজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে খোকসায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

আবৃত্তিতে জাতীয় পুরস্কার পেলেন রাঙ্গুনিয়ার শুভ্রা চক্রবর্তী

আবৃত্তিতে জাতীয় পুরস্কার পেলেন রাঙ্গুনিয়ার শুভ্রা চক্রবর্তী

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড

ফকিরহাটে মুক্তিযোদ্ধা শিব প্রসাদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

ফকিরহাটে মুক্তিযোদ্ধা শিব প্রসাদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ হীমুর দাফন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ হীমুর দাফন

মন্তব্য করুন