সড়কের উপর পশুর হাট: মিয়ানমারের গরুতে সয়লাব বাজার

সড়কের উপর পশুর হাট: মিয়ানমারের গরুতে সয়লাব বাজার

...

প্রকাশ : ২ বছর আগে

আপডেট : ২ বছর আগে

সড়কের উপর পশুর হাট: মিয়ানমারের গরুতে সয়লাব বাজার

সড়কের উপর পশুর হাট: মিয়ানমারের গরুতে সয়লাব বাজার

মোহাম্মদ শফিক, জেলা প্রতিনিধি (কক্সবাজার): এতোদিন ক্রেত-বিক্রেতার অপেক্ষায় থাকলেও শেষ মুহুর্তে জমতে শুরু করেছে কক্সবাজারের সব কোরবানির পশুর হাট। তবে ঈদুল আযহা উপলক্ষে যাত্রীসাধারণের যাতায়ত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সরকার মহাসড়করে উপর হাটবাজার বসানোর বিধি-নিষেধ আরোপ করলেও তা তোয়েক্কা করছেনা ইজরাদাররা। এতে যান ও জন চলাচলে যেমন বিঘ্ন ঘটছে, তেমনি যে কোন সময় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।তবে ইজারাদাররা বলছেন, সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করলেও বাজার উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ না থাকায় সড়ক উপর বাজার বসাতে অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে গরু আমদানি নিষিদ্ধ থাকলেও চোরাকারবারি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সিমান্তে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনিীর চোখ ফাাঁকি দিয়ে এবং কতিপয় জনপ্রতিধি, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসন এর অসাধু কর্তাব্যক্তির যোগসাজসে প্রতিদিন ঢুকছে মিয়ানামরের গবাদি পশু। এতে সরকার কোটি কোটি রাজস্ব আদায়ে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে। তেমনি মিয়ানমারের গরু বাজারে সয়লাভ হওয়াতে দেশীয় প্রান্তিক খামারির ন্যায্য মূল্য নিয়ে শঙ্খায় পড়েছেন।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলছেন, কক্সাবাজারে রামু, মরিচ্যা, উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দরবান এর নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নসহ একাদিক ইউনিয়ন দিয়ে চোরাকারবারিরা  বিপুল সংখ্যক মিয়ানমারের গবাদি পশু আনছে। চলছে রমরমা বাণিজ্য। তবে চোরাচালান ঠেকাতে বিজিবি কাজ করছে। বিজিবি আরও আন্তরিক ও কঠোর নজরধারি বাড়ালে বন্ধ হবে গরু পাচার। এছাড়া বিশেষ করে সিমান্তবর্তী জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদরাও চোরাচালান ঠেকাতে বিজিবি কে সহযোগিতা করতে হবে।  না হয় এই বিশাল সীমান্ত চোরাচালান ঠেকানো একার পক্ষে সম্বভ নয়।    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার বৃহৎ কোরবানির পশুর হাট, কলঘর বাজার, খরুলিয়া বাজার, কাটির মাথা বাজার, চেরাঙ্গর বাজার, ঈদাগাঁহ বাজার, মরিচ্যা বাজারসহ অধিকাংশ পশুর হাটবাজার প্রধান সড়কের উপর। তবে কলঘর বাজারের ইজরাদার আব্দুর রহিম প্রকাশ সিঙ্গার রহিম, চেরাঙ্গর বাজারের লাবলুসহ অনেকের অভিযোগ, ‘প্রতি বছর সর্বোচ্চ টাকায় বাজারগুলো ইজারা হলেও বাজার উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ফলে হাটে গরু কিনতে আসা অনেক লোক সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার আশঙ্খা রয়েছে। তবে যানজট নিরসনে আমাদের পর্যপ্ত স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। এছাড়া সড়কের আশপাশের খোলা মাঠেও বাজার বসার ব্যবস্থা করেছি। তবে বাজার বসার পর্যপ্ত জায়গা না থাকায় ইজারাদাররা নিরুপায় হয়ে অনেকেই সড়কের ওপর পশুর হাট বসাতে বাধ্য হন’।কক্সবাজার প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বিদেশ থেকে কোন গরু আনা যাবে না। এবারের ঈদুল আযহায় দেড় লাখের বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। বিপরিতে চাহিদা রয়েছে ১ লক্ষ ৪০হাজার ৯শত ২৩টি।  এছাড়া জেলায় ছোট-বড় কোরবানির হাট বসেছে ৯০টি। এর মধ্যে ৪৮টি স্থায়ী হাট এবং ৪২টি বসছে শুধু কোরবানির ঈদ উপলক্ষে। তবে বেসরকারি হিসেবে প্রায় ১শত বেশি বলে জানাগেছে। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা ও সর্বসাধারণের নিরাপত্তা বিবেচনায় এবার তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রহণ করেছে পুলিশ।এ ছাড়াও নেয়া হয়েছে প্রশমনমূলক নানা কর্মসূচি। এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাজারে কোরবানের পশু পরীক্ষার জন্যে প্রাণিসম্পদ দফতরের পক্ষ থেকে পশু টেস্ট মেডিক্যাল টিম। জাল নোট শনাক্তকরণে বাজারে থাকছে বিশেষ জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন। ছিনতাইকারীদের উপদ্রব বন্ধে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।কোরবানির বাজারে নিরাপত্তা ও সার্বিক বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, কোরবানির পশুর হাটের নানা বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য প্রতিটি বাজারে নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বসাধারণ যাতে নির্বিঘ্নে বিকিবিনি করতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়।তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বাজারে পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করবে পাশাপাশি সাদা পোশাকে ও বিশেষ পুলিশ সদ্যরা আলাদাভাবে মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়াও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে পশু নিরোগ ও সঠিকতা যাছাই করতে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।এদিকে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সিমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত নাইক্ষংছড়ি ১১ বিজিবি এক হাজারের অধিক মিয়ানমারের গবাদি পশু আটক করেছে। পরর্বর্তীতে নিলাম এর মাধ্যমে ২৪ কোটি টাকার উপরে সরকারি কোষাগারে জমা করতে সক্ষম হয়েছে। মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, ঈদগাঁও ও সদর উপজেলায় ১৭টি কোরবানির পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে স্থায়ী বাজার রয়েছে পাঁচটি। পৌরসভায় নতুন করে অনুমতি দেয়া হয়েছে একটি।এর মধ্যে নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা ও সদর উপজেলায় ১৭টি, রামুতে ১৫টি, চকরিয়ায় ২০টি, পেকুয়ায় আটটি, উখিয়ায় আটটি, টেকনাফে ১৩টি, মহেশখালী ৯টি, কুতুবদিয়ায় ছয়টি রয়েছে। 
  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

সৈয়দপুরে বিভিন্ন দাবিতে রংপুর বিভাগীয় ইটভাটা মালিক সমিতির সমাবেশ

সৈয়দপুরে বিভিন্ন দাবিতে রংপুর বিভাগীয় ইটভাটা মালিক সমিতির সমাবেশ

ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিহত

ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিহত

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সাংবাদিক রিজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে খোকসায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সাংবাদিক রিজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে খোকসায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

বেতাগীতে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

বেতাগীতে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

বন্ধের পর নতুন সূচিতে চলছে মেট্রোরেল

বন্ধের পর নতুন সূচিতে চলছে মেট্রোরেল

নতুন সময়সূচিতে আজ থেকে খোলা ব্যাংক-অফিস

নতুন সময়সূচিতে আজ থেকে খোলা ব্যাংক-অফিস

সভাপতির গরু দেরিতে জবাই করায় মার খেলেন ইমাম, হারালেন চাকরিও

সভাপতির গরু দেরিতে জবাই করায় মার খেলেন ইমাম, হারালেন চাকরিও

মন্তব্য করুন