প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:১৯ পিএম
বীরগঞ্জে নেই এক্স-রে মেশিন চালানোর লোক, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিনের কক্ষটি দীর্ঘ আট মাস ধরে তালাবদ্ধ রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে এক্স-রে মেশিনটি অব্যবহৃত থাকায় বিকল হতে বসেছে এর মূল্যবান যন্ত্রপাতি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা নিতে আসা রোগীরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৬ মে এক্স-রে মেশিনের দায়িত্বে থাকা একমাত্র রেডিও গ্রাফার বিপুল কুমার মন্ডল অবসরে যাওয়ায় পদটি শুন্য হয়।
বর্তমানে রেডিও গ্রাফারের অভাবে বন্ধ রয়েছে এই সেবা। বিকল্প কোনো লোকবল না থাকায় বর্তমানে এক্স-রে কক্ষটি তালাবদ্ধ রয়েছে। অন্যদিকে যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে একটি নতুন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হলেও কারিগরি ক্রটির কারণে তাও ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। মেরামত না করার কারণে মেশিনটি নষ্ট অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এদিকে বর্তমানে এই সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। এখানে এক্স-রে করতে ছোট ফ্লিমের জন্য ৭৫ টাকা এবং বড় ফ্লিমের জন্য ১২০ টাকা পরিশোধ করতে হয় রোগীদের। কিন্তু সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে থেকে উচ্চমূল্যে এক্স-রে করতে হচ্ছে। এতে তাদের ব্যয় হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।
মোমেনা বেগম নামে এক গৃহবধূ বলেন, বুকের ব্যথার কারণে সেখানকার কত্যর্বরত চিকিৎসক একটি এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন থাকলেও সেটা আমাদের কোন কাজে আসনি। আমাকে বাধ্য হয়ে বাহিরে এক্স-রে করাতে হয়েছে।
রানা বলেন, বন্ধ থাকার কারণে আমাদের যেমন বেশি টাকা খরচ হয়েছে। তেমনি পোহাতে হয়েছে অনেক ভোগান্তি। আমাদের মত সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত বীরগঞ্জ হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনটি সচল করার দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মহসীন আলী বলেন, টেকনেশিয়ান না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি চালু করা যাচ্ছে না। এসব বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিটি পাঠানো হয়েছে। তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ৯ মাস আগে
বীরগঞ্জে নেই এক্স-রে মেশিন চালানোর লোক, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ