প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৪ ০১:১৩ পিএম
রাজীবপুরে খোলা আকাশের নিচে ৩০ পরিবার
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি বৃদ্ধি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ডলে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে। উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের কিতনতারী, নাওসালা, বড়বেড় সহ প্রায় দশটি গ্রামে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
এদিকে রৌমারী উপজেলার বকবান্ধা, খেওয়ার, চর আখলার চর, চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা, বালিয়ামারীসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে চরাঞ্চল তলিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফসল পানির নিচে ডুবে গেছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে নদীতে তীব্র ভাঙ্গন। গত এক সপ্তাহে ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নদীতে বিলীন হয়েছে ৩০টি পরিবারের সহায় সম্বল। অপর দিকে মরিচের টাল, তিল, চিনা, কাউন, পাট, রাধুনী হজ ও শাকসবজির জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই এলাকায় নদী ভাঙ্গনের ফলে অনেক মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অপর দিকে কিছু গরীব মানুষ ঋণ করে তিল, চিনা, কাউন, পাট ও মরিচ করেছিলো। তা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। তাছাড়া আমার এলাকায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে, যে কোন সময় ভেঙে নদীতে বিলীন হবে।
ভাঙনের শিকার কিতনতারী নাজিমুদ্দিন বলেন, আমার ঘরবাড়ি নদীতে ভেসে গেছে। আমার বাড়ি করার মতো জায়গা নাই। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় যাব, তার কোনো ঠিকানা পাইতেছি না। সরকারি-বেসরকারিভাবে কোন সাহায্য-সহযোগিতা পাই না।
রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ বলেন, কয়েকদিন থেকে বৃষ্টি ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আমি ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকা খোজ খবর নিয়েছি। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চালাচ্ছি। পাশাপাশি ভাঙ্গন কবলিত মানুষগুলো পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করবো।
তিনি বলেন, যাদের ঘর-বাড়ি নদীতে ভেঙে বিলীন হয়েছে, তাদের সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। তাছাড়া শুকনো খাবার সরবারহ করা হচ্ছে।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ১ বছর আগে
রাজীবপুরে খোলা আকাশের নিচে ৩০ পরিবার