রামগঞ্জে মার্কেটের নাম পরিবর্তনের সাইনবোর্ডটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশে অপসারণ

রামগঞ্জে মার্কেটের নাম পরিবর্তনের সাইনবোর্ডটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশে অপসারণ

...

প্রকাশ : ১ বছর আগে

আপডেট : ৪ মাস আগে

রামগঞ্জে মার্কেটের নাম পরিবর্তনের সাইনবোর্ডটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশে অপসারণ

রামগঞ্জে মার্কেটের নাম পরিবর্তনের সাইনবোর্ডটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশে অপসারণ

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ঐতিহ্যবাহী জিয়া শপিং কমপ্লেক্সের নাম পরিবর্তন করে রাতের আঁধারে রামগঞ্জ শপিং কমপ্লেক্স নামে একটি সাইনবোর্ড লাগানোর ঘটনায় উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগ এবং বিএপির বিভিন্ন নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষকে পোস্ট দিতে দেখা গেছে।তবে মার্কেটের নাম পরিবর্তন করে সাইবোর্ড লাগানোর বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শাহজাহান। বিষয়টি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক সাইবোর্ডটি খুলে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি।আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শাহজাহানের ছেলে ইমতিয়াজ আরাফাত প্রার্থী হওয়ায় তাকে বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে একটি মহল এ কাজ করেছে বলে ইমতিয়াজ আরাফাতের কয়েকজন অনুসারী জানান।সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন মরহুম জিয়াউল হক জিয়া এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন রামগঞ্জ জিয়া শপিং কমপ্লেক্স নামে এ মার্কেটটি প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ নামে দীর্ঘ ১৭ বছর মার্কেটটি পরিচালিত হয়ে আসলেও ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ভোর রাতে কে বা কাহারা ডাকবাংলা মসজিদ সংলগ্ন গেটে রামগঞ্জ জিয়া শপিং কমপ্লেক্স নামের সাইনবোর্ডটি সরিয়ে রামগঞ্জ শপিং কমপ্লেক্স নামে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে। পরে ব্যবসায়ী এবং অন্যানদের নজরে এলে এটি নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।পরে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান ও লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শাহজাহানের  নজরে এলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে রাতেই বিতর্কিত সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলা হয়।স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শুভ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ফেসবুকে মার্কেটের নাম পরিবর্তনের সাইনবোর্ডটি দেখে তাৎক্ষণিক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শাহজাহান ও এমপি ড. আনোয়ার হোসেন খান মহোদয়কে অবিহিত করলে ওনারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং বিতর্কিত সাইনবোর্ডটি দ্রুত অপসারণ করা হয়।রামগঞ্জ পৌর মেয়র আলহাজ্ব আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, অনেকে প্রচার করছেন মার্কেটের নাম পরিবর্তনের সাথে আমি নাকি জড়িত। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অপপ্রচারের কৌশল মাত্র। এটার সাথে পৌরসভার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। আমার পরিষ্কার বক্তব্য হচ্ছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না এবং এটা আমার এখতিয়ার নয়।লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শাহজাহান জানান, রামগঞ্জ জিয়া শপিং কমপ্লেক্সের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি তৎকালীন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম সাহেবের সময় পরিষদের রেজুলেশন এর মাধ্যমে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। জিয়া শপিং কমপ্লেক্সের সাইনবোর্ডটি কে বা কারা পরিবর্তন করেছে তা লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ অবগত নয়। কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি বা মহল পরিষদের সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্য এ কাজটি করেছে। বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার পর রামগঞ্জের সংসদ সদস্য ও ইউএনও’র সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

সৈয়দপুরে বিভিন্ন দাবিতে রংপুর বিভাগীয় ইটভাটা মালিক সমিতির সমাবেশ

সৈয়দপুরে বিভিন্ন দাবিতে রংপুর বিভাগীয় ইটভাটা মালিক সমিতির সমাবেশ

ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিহত

ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিহত

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সাংবাদিক রিজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে খোকসায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সাংবাদিক রিজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে খোকসায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

বদলে ফেলা হচ্ছে গাইবান্ধার ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম

বদলে ফেলা হচ্ছে গাইবান্ধার ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম

বদলে ফেলা হচ্ছে গাইবান্ধার ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম

বদলে ফেলা হচ্ছে গাইবান্ধার ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম

মন্তব্য করুন