প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:২৬ পিএম
হিলিতে কমছে শীতের দাপট, জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: টানা কয়েক সপ্তাহজুড়ে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের পর দিনাজপুরের হিলিতে কমছে কুয়াশা ও শীতের দাপট, স্বস্তি ফিরছে জনজীবনে। দুই দিনের ব্যবধানে জেলায় তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আদ্রতা ৯৬ শতাংশ, যা গতকাল মঙ্গলবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা কয়েক সপ্তাহজুড়ে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বাড়িয়ে দিয়েছিল শীতের প্রকোপকে। কয়েক সপ্তাহ পর সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধ্যার পর থেকে আবারও ঘন কুয়াশার সাথে তীব্র শীতে কাতর হয়ে পড়েছিলেন এই এলাকার সাধারণ মানুষরা। কুয়াশার কারণে ট্রেন, বাস, অটোবাইকগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। কুয়াশার কারণে ট্রেনগুলোও চলাচল করতে হয়েছে বিলম্বে। শীত উপেক্ষা করেই যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল ট্রেনের জন্য। ঠান্ডার কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি। বেশি দুর্ভোগে ছিলেন ছিন্নমূলসহ খেটে খাওয়া মানুষরা। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করেই তাদের ছুটতে হয়েছে কর্মস্থলে।
ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভির করছেন নিন্মআয়ের অসহায় মানুষরা। দিনমজুর শুকুর আলী বলেন, ‘কয়েক দিন খুব ঠান্ডা গেলো বাবা। এখন একটু সূর্যের দেখা যায়। তবে তাপ কোনো দিন বেশি আবার কোনো দিন কম। বুধবার বেলা ১২টার দিকে সূর্যের দেখা মিললেও দুপুর থেকে মেঘে ঢেকে আছে। তবে আগের থেকে শীত কম লাগতেছে। কয়েক দিন ধরে তেমন কাজ কাম পাইনি। এই কয়েক দিন খুব কষ্টে দিন গেছে’।
ভ্যান চালক রশিদ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে খুব ঠান্ডা গেলো। এখন শীত একটু কম, তাই ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪০০ টাকা ইনকাম করছি। আর কয়েক দিন তো ঠিকতম ইনকামে হয়নি’।
হিলি বাজারের কামার কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে সূর্য উঠছে। তাই কাজে এসেছি। তীব্র ঠান্ডায় কোনো দিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কাম করছি। আর দুইদিন ধরে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কাম করছি। আজকে আকাশ মেঘলা থাকলেও ঠান্ডা কম’।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ১ বছর আগে
হিলিতে কমছে শীতের দাপট, জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি