প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারী ২০২৪ ০৪:৫৯ এএম
সেনবাগে সড়ক বিভাজনের পরিত্যক্ত ১২ কিলোমিটার জায়গায় সবজি চাষ
সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার সড়ক বিভাজন (রোড ডিভাইডারের) মধ্যবর্তী পরিত্যাক্ত জায়গায় সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে বহু নিরিহ কৃষক। সড়ক ও জনপথ বিভাগ নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে ফেনী পর্যন্ত সড়কটি ফোরলেনে উন্নিত করে। এরপর সড়কটি মধ্যবর্তী স্থানে বিভাজন বা ডিভাইডার নির্মাণ করে দুই লেন করে চার লেনে বিভাজন করে সুন্দর্য্য বর্ধণের জন্য লেনের মাঝখানে মাটি ভরাট করে দেওয়া হয়।
এরপর সড়কের পাশ্ববর্তী বাড়ির কৃষকরা সেনবাগ উপজেলার পপুলার বিস্কুট ফ্যাক্টরি থেকে সেবারহাট বাজার পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কে বিভিন্ন রকমের সবজি লাল শাক, মুলার শাক, পালং শাক, ধনিয়া, সরিষা, টমেটো ও মরিচ চাষ করে। ওই এলাকায় এখন বিভিন্ন শাক সবজির বাহারী ফুল ও ফলের রঙ্গে এক দারুণ দৃশ্যের সৃষ্ঠি হয়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করা যানবাহনের যাত্রীদের দৃষ্টি থাকে ওই ডিভাইডারের ফুল ও ফলের অপরূপ দৃশ্যের দিকে।
উপজেলা ফতেহপুর গ্রামের খুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষক মো. নুরুল হুদা ছোটন জানান, তিনি ওই ডিভাইডারে সবজি চাষ করে নিজের চাহিদা পূরণ করে আত্মীয় স্বজনদেরকে দেন। এতে তার সবজি কিনতে হয় না।
মোহাম্মদপুর গ্রামের সিএনজি চালক মোহ্ম্মাদ ইউসুফ জানান, তিনি বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে নিজের চাহিদা পূরন করে আত্মীয় স্বজনদেরকেও দেন। তিনি অন্যদেরকেও চাষাবাদ করার জন্য নিজের দখল করা জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন। কল্যান্দী বাজারের কৃষক ও সিএনজি চালিত অটোচালক রাজুও চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছে বলে জানান।
সেনবাগ উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাধি না থাকে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছেন। তাই ১২ কিলোমিটার সড়কের পরিত্যাক্ত ডিভাইডোরে পাশ্ববর্তী বাড়ির কৃষক, সিএনজি চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় শতাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করে নিজেরা স্বাভলম্বী হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে তাদেরকে পরার্মশসহ সকল সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ১ বছর আগে
সেনবাগে সড়ক বিভাজনের পরিত্যক্ত ১২ কিলোমিটার জায়গায় সবজি চাষ