প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪ ০৮:২৫ এএম
গাজীপুরে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার এখন ২৩০ টাকা
মো. মোরশেদ আলম, স্টাফ রিপোর্টার: বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এমনিতেই আকাশছোঁয়া। যার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। রমজানের বাকি আর মাত্র দুইদিন। এরমধ্যে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
৯ মার্চ শনিবার সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও জরুন বাজার ঘুরে দেখা যায় এই চিত্র। ৮ মার্চ শুক্রবার যে ব্রয়লার মুরগীর দাম ১৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি ছিলো শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায় ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পার কেজিতে ৪০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। লেয়ার এবং পাকিস্তানি মুরগী বিক্রি করা হচ্ছে ৩৩০ টাকা কেজি। যা একদিন আগেও ছিল ২৯০ টাকা কেজি।
রবিউল ইসলাম নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন, গরুর মাংস কবে খাওয়া বাদ দিয়েছি মনে নেই। ব্রয়লার মুরগির দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ব্রয়লার মুরগী খাওয়া বাদ দিতে হবে। বিপদে আছি আমরা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। অন্য দেশে রমজানের আগে জিনিসপত্রের দাম কমে। আর আমাদের দেশে রমজান মাসে তিনগুণ বৃদ্ধি পায় জিনিসপত্রের দাম। বাজার মনিটরিং করলে এই সমস্যা থাকতো না বলেও জানান তিনি।
কোনাবাড়ী বাজারের মুরগি দোকানদার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আজ দুই তিন দিন যাবৎ মুরগির বাজার উঠানামা করার কারণে আজকে একটু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বয়লার প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, সোনালী ৩৩০ টাকা ও দেশি পতি কেজি ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর ভারেক মার্কেট এলাকার একুশে এগ্রো ফার্মের মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সিন্ডিকেটের দৌরাত্মের কারণে খামারিরা লেয়ার মুগরীর ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। খামার থেকে প্রতি কেজি লেয়ার মুরগী বিক্রি করা হচ্ছে ২৬০ টাকা। কিন্তু সেই মুরগী বাজার থেকে সাধারণ ক্রেতারা ক্রয় করছেন ৩৩০ টাকায়।
তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে খামারিরা যেমন ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অপর দিকে সাধারণ ক্রেতারাও বাজার থেকে চড়া দামে মুরগী ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে খামারি ও ক্রেতারা এ দুর্দশা থেকে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। তাই তিনি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিনি।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ১ বছর আগে
গাজীপুরে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার এখন ২৩০ টাকা