প্রকাশ : ১১ জানুয়ারী ২০২৪ ১১:১৪ এএম
বন্য হাতির খাদ্য-আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে প্রচারণা
কাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি: রাঙামাটির কাপ্তাই পাহাড়ি বনাঞ্চল হাতির নিরাপদ আবাসস্থল হিসাবে পরিচিত। বিগত কয়েক বছর ধরে এসব বনাঞ্চলে নিরাপদে বিচরণ করে আসছিল হাতিরা। বর্তমানে হাতি সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। বন উজাড় করে ঘরবাড়ি, সড়ক নির্মাণ এবং খাবার সংকটের কারণে মূলত বনের হাতি প্রায়’শ লোকালয়ে চলে এসে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করছেন।
বন্য হাতির খাদ্য ও আবাসস্থল নিরাপদ রাখার জন্য কাপ্তাই বন বিভাগের উদ্যোগে এবং কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান এলাকা, কাপ্তাই শিল্প এলাকাসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সচেতন মূলক প্রচার ও প্রচারণা কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে বন বিভাগের কর্মীরা এই প্রচার ও প্রচারণার কাজে অংশ নেন।
কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার আবু সুফিয়ান বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানে সরকার কর্তৃক হাতি সংরক্ষণে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। পাহাড়ি বনাঞ্চলে হাতির বিচরণ ক্ষেত্রে এবং বন্য হাতি চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না। যেমন: বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে ফাঁদ, দেশী বা বিদেশী অস্ত্র দ্বারা বা অন্য কোন উপায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী ( সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন- ২০১২ অনুযায়ী হাতি হত্যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। হাতি হত্যার সাথে কেউ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত থাকলে এবং তা প্রমাণিত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। বন্যপ্রাণী ( সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী হাতি হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি৭ (সাত) বছর কারাদণ্ড এবং ১০ (দশ) লক্ষ টাকা জরিমানা।
আবু সুফিয়ান বলেন, বন্যহাতি দ্বারা ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোনো মানুষ আহত কিংবা নিহত হলে নীতিমালা অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে সরকার কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ১ বছর আগে
বন্য হাতির খাদ্য-আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে প্রচারণা