প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৩:৪৪ এএম
কুমার নদী থেকে উদ্ধার কঙ্কাল রহস্য উদঘাটন, পিতা-পুত্র গ্রেফতার
মাগুরা প্রতিনিধি: জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৫ নভেম্বর সকালে মাগুরা সদর উপজেলার গাংনালিয়া ও বরিশাট গ্রাম সংলগ্ন কুমার নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের নিচ থেকে একটি বস্তাবন্দি মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় ১৬ নভেম্বর পেনাল কোড ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় মামলা হয়, মামলা নং-২০।
মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার মো. মশিউদ্দৌলা রেজা ঘটনার সাথে জড়িত আসামি গ্রেফতারসহ মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল (সিসিআইসি) ও মাগুরা সদর থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ১৭ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১টায় মাগুরা সদরের ৯নং ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকা থেকে মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের নড়িহাটি গ্রামের মো. আসাদুজ্জামান ও মোছা. মিনারা বেগমের কন্যা মোছা. মারিয়া খাতুন (১৭) নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ মোছা. মারিয়া খাতুনের ভাই মো. জহিরুল ইসলাম ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার মাগুরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনার পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত শ্রীপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের শশী আহম্মেদ নিশান (১৯) ও পিতা মো. নবুয়াত মোল্লা (৪৬) কে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হয় পুলিশ।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, সদর থানা ও শ্রীপুর থানা সীমান্ত এলাকা থেকে কঙ্কালের কাপড়, ঘড়ি ও আলামতের সূত্র ধরে টেকনোলজির মাধ্যমে জানতে পারা যায় নিহত মারিয়া খাতুনের সাথে শশী আহমেদ নিশানের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। মেসেঞ্জারে কথা হয়ে ছিলো। মোবাইলের সূত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি শনাক্ত করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, কারা কারা জড়িত ছিলো এটা তদন্তের স্বার্থে আপাতত বলছি না, তদন্ত সাপেক্ষে জানতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ৪ মাস আগে
কুমার নদী থেকে উদ্ধার কঙ্কাল রহস্য উদঘাটন, পিতা-পুত্র গ্রেফতার