প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০১:৪০ পিএম
আমতলীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী তানজিলা হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে আলোচিত তানজিলা হত্যা রহস্য উদঘাটনসহ এ ঘটনায় জরিত হৃদয় খান ও জাহিদুল খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পুঁজাখোলা গ্রামের তোফাজ্জেল খানের মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া তানজিলাকে সোমবার সকালে বাড়ির সামন থেকে চাচাতো ভাই হৃদয় ও জাহিদুল অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে একটি বাড়িতে রেখে তারা তাকে ধর্ষণ করে। ওইদিন রাতেই অপহৃতার বাবা তোফাজ্জেল কাছে হৃদয় তার মোবাইল থেকে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তোফাজ্জেল মুক্তিপণ দিতে দেরি করায় তারা তানজিলাকে হাত-পা বেঁধে গলায় স্কার্ফ পেচিয়ে হত্যা করে। পরে তানজিলার মরদেহ পুজাখোলা খালের চরে হোগলপাতার খেতে কাঁদা মাটির মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খান আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হৃদয় ও জাহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হৃদয়ের দেয়া তথ্যমতে অপহরণের দুইদিন পর তানজিলার বাড়ির সামনে খালের চর থেকে বুধবার দুপুরে তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খান বাদি হয়ে ঘাতক হৃদয়, জাহিদুলসহ অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে আসামি হৃদয় ও জাহিদুলের কঠোর শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খাঁন কান্না জনিত কণ্ঠে বলেন, অপহরণকারী হৃদয় ও জাহিদুলের পায়ে পরে আমার মেয়ের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। কিন্তু তারা আমার মেয়েকে বাঁচতে দিল না। আমার মেয়েকে নির্মম নির্যাতন শেষে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হৃদয় ও জাহিদুল ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ৪ মাস আগে
আমতলীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী তানজিলা হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন