সেফ এইচভিএসিআর এক্সপোতে ‘হায়ার’র সরব উপস্থিতি
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলমান সেইফকন সেফ এইচভিএসিআর এক্সপো ২০২৪-এ অংশ নিয়ে সাড়া ফেলেছে বিশ্বনন্দিত রেফ্রিজারেটর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘হায়ার’। মেলায় হায়ার গ্রুপ তাদের বিভিন্ন এইচভিএসি-আর সল্যুশন প্রদর্শন করছে। যা মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।
মেলায় হায়ার তাদের প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক সোলার হাইব্রিড এয়ার কন্ডিশনার উন্মোচন করেছে। এটি খুব শীঘ্রই হায়ার প্রস্তুত করতে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এই এয়ার কন্ডিশনারটি সর্বোচ্চ মানের শীতল অনুভব দিতে সক্ষম হবে, তাও খুবই কম বিদ্যুৎ খরচ করে। বাণিজ্যিক চাহিদা মেটাতে মেলায় হায়ার তাদের প্রিমিয়াম সুপার-ম্যাচ MRV5 কুলিং এবং হিটিং পাম্প সিরিজও প্রদর্শন করছে। চিলার এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক সমাধানের পাশাপাশি, 30000 BTU/H থেকে 48000 BTU/H পর্যন্ত ক্যাসেট এবং সিলিং কনভার্টেবল মডেলের মধ্যে হায়ার তাদের হালকা বাণিজ্যিক পণ্যও উপস্থাপন করছে। সকল শ্রেণির মানুষের চাহিদার পূরণে সাশ্রয়ী মূল্যের পাশাপাশি প্রিমিয়াম ইনস্টলেশন এবং বিক্রয়োত্তর পরিষেবা দেয়া হায়ারের ব্যবসার নীতি।
হায়ারের ডিএমডি ওয়াংশিয়াংজিং বলেন, হায়ার তাদের শীর্ষ পেশাদার প্রজেক্ট টিমের মাধ্যমে এইচভিএসি সলিউশনে গ্রাহকের সকল প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার চেষ্টা করবে। সেই সাথে হায়ারের শীর্ষস্থানীয় শিল্প এয়ার সলিউশন বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত।
সেফ এইচভিএসিআর শো হচ্ছে হিটিং, ভেন্টিলেশন, এয়ার-কন্ডিশনিং, এয়ার-ফিল্ট্রেশন এবং পিউরিফিকেশন এবং রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের উপর দেশের বৃহৎ প্রদর্শনী। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য কারণে দেশে এইচভিএসিআর- এর চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে।
হায়ার গ্রুপ উন্নত জীবন এবং ডিজিটাল রূপান্তর সমাধানের একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চীনে, হায়ার ৮টি এয়ার কন্ডিশন ফ্যাক্টরি রয়েছে। এর মধ্যে MHAQ, হায়ার এবং মিৎসুবিসি হেভির যৌথ উদ্যোগ। চীন ছাড়াও, হায়ার আরও ৮টি দেশে এয়ার কন্ডিশন ফ্যাক্টরি রয়েছে। এই কারখানাগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি বছর ২৭.২ মিলিয়ন ইউনিটের বেশি।
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ‘হায়ার বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে ২০২১ সালে পুনর্গঠিত হয়। স্বল্প সময়ের মধ্যেই গুণগত মানে হায়ারের সকল ধরনের পণ্য মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। পাশাপাশি পছন্দের শীর্ষে স্থান নিয়েছে। হায়ার তাদের এইচভিএসি, চিলার, লাইট কমার্শিয়াল এয়ার কন্ডিশনার এবং রুম এয়ার কন্ডিশনারসহ সমগোত্রীয় সকল পণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, রফতানির পরিমাণ বাড়াতে আমদানির বিকল্প নেই। যত কম মূল্য সংযোজন হোক, এই ভ্যালু চেইনটা যদি তৈরি করতে পারলেই শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। সেখানে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।বৃহস্পতিবার টিসিবি ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি: বিবর্তন, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পণ্য রপ্তানির চেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কত টাকার পণ্য আমদানি করলাম, কত টাকার পণ্য রপ্তানি করলাম, সেটা বড় কথা নয়। আমরা কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলাম সেটি বড় কথা। আমরা যত বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারব, তত আমাদের মূল্য সংযোজন হবে।তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাত যেসব সুবিধা পাচ্ছে, একইভাবে চামড়া ও পাটশিল্পও যেন সুবিধা পায়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী এবার দায়িত্বের পর এই নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানো এবং চামড়া ও পাটশিল্পকে উন্নত করা গেলে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।আহসানুল ইসলাম বলেন, একাধিক দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ২৬টি দেশের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রচার করা হচ্ছে কিন্তু সেভাবে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। চলতি বছর লজিস্টিক পলিসি চালু করা হয়েছে। এটাকে কীভাবে বৈশ্বিকভাবে লাভবান হওয়া যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, একসময় আমাদের চা ও পাট ছাড়া কোনো রপ্তানিযোগ্য পণ্য ছিল না। সে জায়গা থেকে উত্তরণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের বাণিজ্যের জন্য ইলেকট্রনিকস পণ্য একটি বড় খাত হতে পারে। এটি শুধু অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানিরও একটি বড় সম্ভাবনাময় খাত হতে পারে।বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুব আলম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। এর ওপর আলোচনা করেন বিএফটিআই এর সিইও ড. জাফর উদ্দিন, বিল্ডের সিইও ফৈরদৌস আরা বেগম ও ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ।
আসিফ আহনাফ: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্পকে প্রাধান্য দেওয়ায় সাধুবাদ জানাই। স্মার্ট বাংলাদেশ এর জন্য প্রয়োজন স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট বাণিজ্য। দেশের সকল ট্রেডিশনাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-কমার্স এ ট্রান্সফর্ম করার জন্য প্রয়োজন আইটি ইনফাস্ট্রাকচার। সেজন্য আইটি ও সফটওয়্যার খাতকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ই-ক্যাব সহ আইসিটি সংগঠনগুলো দাবি জানিয়ে এসেছে। যা এবারের বাজেটে ৩ বছরের জন্যে প্রস্তাবিত হয়েছে, বিশেষ করে ই-ক্যাব প্রস্তাবিত ই-লার্নিং ও ই অ্যাপ্লিকেশন এর উপর এই কর অব্যাহতি রাখায় এই খাতের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তবে পুরো ডিজটাল ইন্ড্রাস্ট্রির ব্যাকবোন ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ ওয়েবসাইট হোস্টিং ও ক্লাউড সার্ভিসকেও কর অব্যাহতির আওয়াত নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি। ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান সমূহের কার্যক্রমে সচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাকল্পে বিজনেস আইডেন্টিটি প্ল্যাটফর্ম (DBID) ইক্যাবের জোরালো প্রস্তাবনা ছিল। ইতোমধ্যে এটি চালু হলেও ডিজিটাল কমার্স সেক্টরের পৃথক কোন কর্তৃপক্ষ না থাকায় DBID গ্রহনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহকে এখনো ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। এছাড়াও DBID এর কার্যকারিতাও এখনো স্পষ্ট হয়নি। এছাড়াও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ইক্যাব এর প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল কম্পলায়েন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর পাইলটিং পরবর্তী ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি প্রয়োজন। ই কমার্স এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্মার্ট লজিস্টিক্স। এ বিষয়ে সরকারের ‘জাতীয় লজিস্টিক নীতি’ প্রনয়নে ই-ক্যাব সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। তবে এই নীতিমালার বাস্তবায়নে স্মার্ট লজিস্টিকস প্রতিষ্ঠানসমূহ কে ন্যূনতম পাঁচ বছর কর অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন এবং গ্রামীণ পর্যায়ে ও ক্রস বর্ডার ই-কমার্স সম্প্রসারণে ‘স্মার্ট পোস্ট অফিস’ এর পাশাপাশি স্মার্ট লজিস্টিক্স প্রতিষ্ঠানসমূহ কে ডাক মাশুল থেকেও অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন। সর্বোপরি প্রস্তাবিত বাজেটে লজিস্টিক খাতকে অগ্রাধিকার খাত ঘোষণা করায় স্মার্ট লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এর ওয়্যারহাউজ ও ট্রাস্পোর্টেশন এর উপর প্রযোজ্য ভ্যাট মওকুফ করার আহবান জানাচ্ছি। এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে ক্যাশলেস পেমেন্ট কে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হলেও পেমেন্ট গ্রহনে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহকে পেমেন্ট চার্জ প্রদান করতে হয়, তাই ডিজিটাল পেমেন্ট কে উৎসাহিত করতে এই সেক্টরে পেমেন্ট চার্জ সমমানের ন্যূনতম দুই শতাংশ ক্যাশ ইন্সেটিভ প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে ক্যাশলেস পদক্ষেপ নেওয়া বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে যা সামগ্রিক পর্যায়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহজ করবে। ই-কমার্স দেশের সবথেকে ক্রমবর্ধমান সেক্টর, এই সেক্টরে গত ৫ বছরে প্রায় ২ লক্ষ নারী ও তরুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে এবং ৫ লক্ষাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, তাই এই সেক্টরের বিকাশে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের কর অব্যাহতি দেওয়াও দাবি জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এবং স্মার্ট অর্থনীতির সংকল্পে ই-কমার্স সেক্টরকে আরো অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং ই-ক্যাব এর প্রস্তাবিত দাবি সমূহ সরকার বিশেষ বিবেচনায় নিতে পারে। লেখক: অর্থ সম্পাদক, ই-ক্যাব এবং সিইও, ব্রেকবাইট ইবিজনেস
নিজস্ব প্রতিবেদক: কদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি ম্যানস টি-২০ বিশ্বকাপ। এই উপলক্ষকে আরও রঙিন করতে গ্লোবাল মেজর অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড ‘হায়ার’ তাদের টেলিভিশনে বিশাল অফার নিয়ে এসেছে। টি-২০ ম্যানস বিশ্বকাপের উন্মাদনাকে আরও কয়েকগুণ বাড়িতে দিতে ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের জন্য হায়ার আকর্ষণীয় মডেল এবং অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত টেলিভিশন কেনার ক্ষেত্রেও তৈরি করে দিয়েছে সুবর্ণ সুযোগ।হায়ারের নতুন এই আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইনের ফলে ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকরা অনেক বেশি উপকৃত হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ক্যাম্পেইন চলাকালে হায়ার টেলিভিশন ক্রয়ে গ্রাহকগণ পাবেন অত্যন্ত লোভনীয় ছাড়। সেই সাথে প্রতিটি টেলিভিশনের সাথে থাকছে একটি স্ক্র্যাচ কার্ড। এই স্ক্র্যাচ কার্ডে থাকবে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা ফ্যামিলি ট্যুর, আকাশ ডিটিএইচ সংযোগ, স্টাইলিশ ছাতা বা ট্রেন্ডি টি-শার্টসহ বেশকিছু আকর্ষণীয় পুরস্কার জেতার সুযোগ।হায়ার টিভি এখন সকল হায়ার ব্র্যান্ড শপ, বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড, ট্রান্সকম ডিজিটাল, সিঙ্গার বাংলাদেশ ও অফিসিয়াল ডিলারের শো-রুমে পাওয়া যাচ্ছে। গ্রাহকরা যেখান থেকেই হায়ার টিভি ক্রয় করুক না কেন, হায়ার বাংলাদেশ অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি প্রদান করা হবে।হায়ার বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াং শিয়াংজিং, গ্রাহকের চাহিদা পূরণে হায়ারের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘সব শ্রেণির গ্রাহকের কথা ভেবে হায়ার নিয়ে এসেছে ৩২ ইঞ্চি থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ ইঞ্চি পর্যন্ত সাইজের অত্যাধুনিক মানের টেলিভিশন।’তিনি হায়ারের প্রোডাক্ট লাইনআপে অন্তর্ভুক্ত উন্নত বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে কিউএলইডি, লোকাল ডিমিং, ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ডলবি ভিশন ও এটমোস এবং অত্যাধুনিক হ্যান্ডস-ফ্রি ভয়েস কন্ট্রোল প্রযুক্তি। এছাড়া হায়ারের সকল স্মার্ট টিভি অত্যাধুনিক গুগল টিভি ওএস দ্বারা চালিত, যা দশ হাজারের বেশি অ্যাপসসহ জনপ্রিয় সকল স্থানীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সমর্থন করে। এছাড়াও গেমারদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা করে “হায়ার” অতি শীঘ্রই নতুন সিরিজের গেমিং টিভি বাজারজাত করতে যচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার; ভ্যালু চেইন উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ মে বৃহস্পতিবার ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। সেমিনানে ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, কৃষি খাতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যের উৎপাদনশীলতা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা যায়, সেই সাথে এখাতে ব্যয় ২০ শতাংশ হ্রাসের পাশাপাশি কৃষকের আয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব।তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে এ খাতে সাপ্লাইচেইনের অপর্যাপ্ততা, বাজারে পণ্য প্রবেশাধিকারের সুযোগ না থাকা এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন প্রভৃতি সমস্যার মুখোমুখী হতে হচ্ছে। বিদ্যমান অবস্থা উত্তরণে কৃষি যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন ও কৃষকদের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানো, কৃষি গবেষণা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, প্রয়োজনীয় সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং কার্যকর ভ্যালু চেইন ব্যবস্থার প্রবর্তন ও বাস্তবায়নের উপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি। কৃষিখাতের সার্বিক উন্নয়নে আমাদের লজিস্টিক চেইন এবং মার্কেট চেইন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন বলে, তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমদানি-রফতানিকারকদের সুবিধার্থে খুব শীঘ্রই ঢাকা চেম্বারের একটি পূর্ণাঙ্গ হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হবে, যেখান থেকে ‘আইআরসি’ এবং ‘ইআরসি’ সার্টিফিকেট প্রাপ্তির সকল সুবিধা প্রদান করা হবে। তিনি জানান, এবছরের শেষ নাগাদ ‘যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)’-এর সেবার সকল কার্যক্রম পেপারলেস করা হবে, ফলে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি হ্রাস পাবে।তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট এগ্রিকালচারের কোন বিকল্প নেই এবং পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর ভ্যালু চেইনের গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছে না, অপরদিকে ভোক্তারা বেশি দামে পণ্য ক্রয় করছে, মধ্যস্বত্তভোগীরা মুনাফা করছে, তাদের দৌরাত্ম্য কমাতে হবে। দেশের কোন জায়গায় তুলনামূলক কম মূল্যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, এধরনের তথ্য প্রাপ্তির একটি প্ল্যাটফর্ম প্রণয়নের জন্য তথ্য-প্রযুক্তিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান। কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী তথ্য কাঠামো প্রণয়নের কোন বিকল্প নেই বলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী অভিমত জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও কৃষি পণ্যের স্ট্যান্ডাডাইজেশন ও সার্টিফিকেশনের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মো. সামসুল আরেফিন বলেন, দেশের কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী করে এখাতের তথ্য-প্রযুক্তি তৈরি করা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।তিনি বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ সাম্প্রতিক সময়ে কৃষিখাতের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে, যেটা অনেক উৎসাহব্যঞ্জক একটি বিষয়। কৃষির উৎপাদিত পণ্য পুনরায় ব্যবহারের উপর মনোযোগী হওয়ার উপর তিনি জোরারোপ করেন। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী বলেন, সাম্প্রতি সময়ে আমাদের কৃষিখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তবে জলবায়ুন পরিবর্তন জনিক কারণে অনাকাঙ্খিত প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে এ খাত প্রায়শই বিপুল ক্ষতির মুখোমুখী হয়, সেই সাথে প্রচলিত কৃষি পদ্ধতি ব্যবহারের কারণেও উৎপাদন হ্রাস পায়। এমতাবস্থায় আমাদেরকে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের স্মার্ট এগ্রিকালচার প্রাক্টিস’র উপর আরও বেশি হারে গুরুত্বারোপ করতে হবে।সেমিনারে আইফার্মার-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ ইফাজ ‘এগ্রো ভ্যালু চেইনে ফ্রন্টিয়ার টেক অটোমেশনের সম্ভাবনা’ এবং সুইসকন্টাক-এর সিনিয়র ম্যানেজার (পোগ্রাম) মোহাম্মদ সাকিব খালেদ ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার : ইস্যুস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জস ইন ভ্যালুচেইন ডেভেলমেন্ট’ বিষয়ক দুটো মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।ফাহাদ ইফাজ বলেন, কৃষি খাতে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজির ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের বাজারের অভিগম্যতা বাড়ানো, উৎপাদন ব্যয় হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তিনি জানান, ‘ম্যাকেনজি অ্যান্ড কোম্পানি’-এর তথ্য মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশি^ক জিডিপিতে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজির অবদান থাকবে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, তাই এখাতের উন্নয়নে নীতি সহায়তা এবং একটি কার্যকর ইকোসিস্টেম একান্ত আবশ্যক।মোহাম্মদ সাকিব খালেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি দেশের কৃষিখাতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে, যা মোকাবেলায় আমাদেরকে আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, লাইভস্টক খাতে স্থানীয় বিনিয়োগ বেড়েছে এবং আশা করা যায় আগামী ১০ বছরে এটি দ্বিগুন হবে। কার্যকর সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থার অনুপস্থিতি, পণ্য আহরণ পরবর্তী ক্ষতি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকবেলায় সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।সেমিনারের নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশস্থ ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন-এর উর্ধ্বতন কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল কাদের, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ ব্যাংক অতিরিক্ত পরিচালক (এগ্রিকালচার ক্রেডিট ডিপার্টমেন্ট) ড. মো. আবু বাকের সিদ্দিকী, এ্যাকুয়ালিঙ্ক বাংলাদেশ লিমিটেড’র সিইও সৈয়দ রিজবান হোসেন, উইন ইনকর্পোরেট-এর সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা ড. কাশফিয়া আহমেদ, ড. ক্যাশআই ইনকর্পোরেশন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেদিনা আলী এবং ক্রান্তি এসোসিয়েটস লিমিটেড’র পরিচালক ও সিইও ড. মোহাম্মদ রিশালাত সিদ্দীকি অংশগ্রহণ করেন।আলোচকবৃন্দ আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তিসমূহ আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা ও সক্ষমতার নিরিখে সমন্বয়, স্থানীয়ভাবে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে মূল্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের বোধগম্যকরে তথ্যাদি উপস্থাপন, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা, লজিস্টিক সুবিধা নিশ্চিতকরণ, কৃষি পণ্যের স্টোরেজ সক্ষমতা বাড়ানো, মানবম্পদের দক্ষতা উন্নয় এবং গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির উপর জোরোপ করেন।ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মোঃ জুনায়েদ ইবনে আলী এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট খাতের সরকারি ও বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সেফ এইচভিএসিআর এক্সপোতে ‘হায়ার’র সরব উপস্থিতি
সংশ্লিষ্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, রফতানির পরিমাণ বাড়াতে আমদানির বিকল্প নেই। যত কম মূল্য সংযোজন হোক, এই ভ্যালু চেইনটা যদি তৈরি করতে পারলেই শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। সেখানে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।বৃহস্পতিবার টিসিবি ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি: বিবর্তন, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পণ্য রপ্তানির চেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কত টাকার পণ্য আমদানি করলাম, কত টাকার পণ্য রপ্তানি করলাম, সেটা বড় কথা নয়। আমরা কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলাম সেটি বড় কথা। আমরা যত বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারব, তত আমাদের মূল্য সংযোজন হবে।তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাত যেসব সুবিধা পাচ্ছে, একইভাবে চামড়া ও পাটশিল্পও যেন সুবিধা পায়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী এবার দায়িত্বের পর এই নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানো এবং চামড়া ও পাটশিল্পকে উন্নত করা গেলে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।আহসানুল ইসলাম বলেন, একাধিক দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ২৬টি দেশের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রচার করা হচ্ছে কিন্তু সেভাবে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। চলতি বছর লজিস্টিক পলিসি চালু করা হয়েছে। এটাকে কীভাবে বৈশ্বিকভাবে লাভবান হওয়া যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, একসময় আমাদের চা ও পাট ছাড়া কোনো রপ্তানিযোগ্য পণ্য ছিল না। সে জায়গা থেকে উত্তরণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের বাণিজ্যের জন্য ইলেকট্রনিকস পণ্য একটি বড় খাত হতে পারে। এটি শুধু অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানিরও একটি বড় সম্ভাবনাময় খাত হতে পারে।বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুব আলম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। এর ওপর আলোচনা করেন বিএফটিআই এর সিইও ড. জাফর উদ্দিন, বিল্ডের সিইও ফৈরদৌস আরা বেগম ও ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ।
আসিফ আহনাফ: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্পকে প্রাধান্য দেওয়ায় সাধুবাদ জানাই। স্মার্ট বাংলাদেশ এর জন্য প্রয়োজন স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট বাণিজ্য। দেশের সকল ট্রেডিশনাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-কমার্স এ ট্রান্সফর্ম করার জন্য প্রয়োজন আইটি ইনফাস্ট্রাকচার। সেজন্য আইটি ও সফটওয়্যার খাতকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ই-ক্যাব সহ আইসিটি সংগঠনগুলো দাবি জানিয়ে এসেছে। যা এবারের বাজেটে ৩ বছরের জন্যে প্রস্তাবিত হয়েছে, বিশেষ করে ই-ক্যাব প্রস্তাবিত ই-লার্নিং ও ই অ্যাপ্লিকেশন এর উপর এই কর অব্যাহতি রাখায় এই খাতের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তবে পুরো ডিজটাল ইন্ড্রাস্ট্রির ব্যাকবোন ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ ওয়েবসাইট হোস্টিং ও ক্লাউড সার্ভিসকেও কর অব্যাহতির আওয়াত নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি। ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান সমূহের কার্যক্রমে সচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাকল্পে বিজনেস আইডেন্টিটি প্ল্যাটফর্ম (DBID) ইক্যাবের জোরালো প্রস্তাবনা ছিল। ইতোমধ্যে এটি চালু হলেও ডিজিটাল কমার্স সেক্টরের পৃথক কোন কর্তৃপক্ষ না থাকায় DBID গ্রহনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহকে এখনো ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। এছাড়াও DBID এর কার্যকারিতাও এখনো স্পষ্ট হয়নি। এছাড়াও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ইক্যাব এর প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল কম্পলায়েন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর পাইলটিং পরবর্তী ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি প্রয়োজন। ই কমার্স এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্মার্ট লজিস্টিক্স। এ বিষয়ে সরকারের ‘জাতীয় লজিস্টিক নীতি’ প্রনয়নে ই-ক্যাব সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। তবে এই নীতিমালার বাস্তবায়নে স্মার্ট লজিস্টিকস প্রতিষ্ঠানসমূহ কে ন্যূনতম পাঁচ বছর কর অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন এবং গ্রামীণ পর্যায়ে ও ক্রস বর্ডার ই-কমার্স সম্প্রসারণে ‘স্মার্ট পোস্ট অফিস’ এর পাশাপাশি স্মার্ট লজিস্টিক্স প্রতিষ্ঠানসমূহ কে ডাক মাশুল থেকেও অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন। সর্বোপরি প্রস্তাবিত বাজেটে লজিস্টিক খাতকে অগ্রাধিকার খাত ঘোষণা করায় স্মার্ট লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এর ওয়্যারহাউজ ও ট্রাস্পোর্টেশন এর উপর প্রযোজ্য ভ্যাট মওকুফ করার আহবান জানাচ্ছি। এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে ক্যাশলেস পেমেন্ট কে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হলেও পেমেন্ট গ্রহনে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহকে পেমেন্ট চার্জ প্রদান করতে হয়, তাই ডিজিটাল পেমেন্ট কে উৎসাহিত করতে এই সেক্টরে পেমেন্ট চার্জ সমমানের ন্যূনতম দুই শতাংশ ক্যাশ ইন্সেটিভ প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে ক্যাশলেস পদক্ষেপ নেওয়া বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে যা সামগ্রিক পর্যায়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহজ করবে। ই-কমার্স দেশের সবথেকে ক্রমবর্ধমান সেক্টর, এই সেক্টরে গত ৫ বছরে প্রায় ২ লক্ষ নারী ও তরুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে এবং ৫ লক্ষাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, তাই এই সেক্টরের বিকাশে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের কর অব্যাহতি দেওয়াও দাবি জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এবং স্মার্ট অর্থনীতির সংকল্পে ই-কমার্স সেক্টরকে আরো অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং ই-ক্যাব এর প্রস্তাবিত দাবি সমূহ সরকার বিশেষ বিবেচনায় নিতে পারে। লেখক: অর্থ সম্পাদক, ই-ক্যাব এবং সিইও, ব্রেকবাইট ইবিজনেস
নিজস্ব প্রতিবেদক: কদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি ম্যানস টি-২০ বিশ্বকাপ। এই উপলক্ষকে আরও রঙিন করতে গ্লোবাল মেজর অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড ‘হায়ার’ তাদের টেলিভিশনে বিশাল অফার নিয়ে এসেছে। টি-২০ ম্যানস বিশ্বকাপের উন্মাদনাকে আরও কয়েকগুণ বাড়িতে দিতে ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের জন্য হায়ার আকর্ষণীয় মডেল এবং অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত টেলিভিশন কেনার ক্ষেত্রেও তৈরি করে দিয়েছে সুবর্ণ সুযোগ।হায়ারের নতুন এই আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইনের ফলে ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকরা অনেক বেশি উপকৃত হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ক্যাম্পেইন চলাকালে হায়ার টেলিভিশন ক্রয়ে গ্রাহকগণ পাবেন অত্যন্ত লোভনীয় ছাড়। সেই সাথে প্রতিটি টেলিভিশনের সাথে থাকছে একটি স্ক্র্যাচ কার্ড। এই স্ক্র্যাচ কার্ডে থাকবে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা ফ্যামিলি ট্যুর, আকাশ ডিটিএইচ সংযোগ, স্টাইলিশ ছাতা বা ট্রেন্ডি টি-শার্টসহ বেশকিছু আকর্ষণীয় পুরস্কার জেতার সুযোগ।হায়ার টিভি এখন সকল হায়ার ব্র্যান্ড শপ, বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড, ট্রান্সকম ডিজিটাল, সিঙ্গার বাংলাদেশ ও অফিসিয়াল ডিলারের শো-রুমে পাওয়া যাচ্ছে। গ্রাহকরা যেখান থেকেই হায়ার টিভি ক্রয় করুক না কেন, হায়ার বাংলাদেশ অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি প্রদান করা হবে।হায়ার বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াং শিয়াংজিং, গ্রাহকের চাহিদা পূরণে হায়ারের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘সব শ্রেণির গ্রাহকের কথা ভেবে হায়ার নিয়ে এসেছে ৩২ ইঞ্চি থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ ইঞ্চি পর্যন্ত সাইজের অত্যাধুনিক মানের টেলিভিশন।’তিনি হায়ারের প্রোডাক্ট লাইনআপে অন্তর্ভুক্ত উন্নত বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে কিউএলইডি, লোকাল ডিমিং, ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ডলবি ভিশন ও এটমোস এবং অত্যাধুনিক হ্যান্ডস-ফ্রি ভয়েস কন্ট্রোল প্রযুক্তি। এছাড়া হায়ারের সকল স্মার্ট টিভি অত্যাধুনিক গুগল টিভি ওএস দ্বারা চালিত, যা দশ হাজারের বেশি অ্যাপসসহ জনপ্রিয় সকল স্থানীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সমর্থন করে। এছাড়াও গেমারদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা করে “হায়ার” অতি শীঘ্রই নতুন সিরিজের গেমিং টিভি বাজারজাত করতে যচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার; ভ্যালু চেইন উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ মে বৃহস্পতিবার ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। সেমিনানে ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, কৃষি খাতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যের উৎপাদনশীলতা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা যায়, সেই সাথে এখাতে ব্যয় ২০ শতাংশ হ্রাসের পাশাপাশি কৃষকের আয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব।তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে এ খাতে সাপ্লাইচেইনের অপর্যাপ্ততা, বাজারে পণ্য প্রবেশাধিকারের সুযোগ না থাকা এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন প্রভৃতি সমস্যার মুখোমুখী হতে হচ্ছে। বিদ্যমান অবস্থা উত্তরণে কৃষি যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন ও কৃষকদের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানো, কৃষি গবেষণা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, প্রয়োজনীয় সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং কার্যকর ভ্যালু চেইন ব্যবস্থার প্রবর্তন ও বাস্তবায়নের উপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি। কৃষিখাতের সার্বিক উন্নয়নে আমাদের লজিস্টিক চেইন এবং মার্কেট চেইন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন বলে, তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমদানি-রফতানিকারকদের সুবিধার্থে খুব শীঘ্রই ঢাকা চেম্বারের একটি পূর্ণাঙ্গ হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হবে, যেখান থেকে ‘আইআরসি’ এবং ‘ইআরসি’ সার্টিফিকেট প্রাপ্তির সকল সুবিধা প্রদান করা হবে। তিনি জানান, এবছরের শেষ নাগাদ ‘যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)’-এর সেবার সকল কার্যক্রম পেপারলেস করা হবে, ফলে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি হ্রাস পাবে।তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট এগ্রিকালচারের কোন বিকল্প নেই এবং পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর ভ্যালু চেইনের গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছে না, অপরদিকে ভোক্তারা বেশি দামে পণ্য ক্রয় করছে, মধ্যস্বত্তভোগীরা মুনাফা করছে, তাদের দৌরাত্ম্য কমাতে হবে। দেশের কোন জায়গায় তুলনামূলক কম মূল্যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, এধরনের তথ্য প্রাপ্তির একটি প্ল্যাটফর্ম প্রণয়নের জন্য তথ্য-প্রযুক্তিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান। কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী তথ্য কাঠামো প্রণয়নের কোন বিকল্প নেই বলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী অভিমত জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও কৃষি পণ্যের স্ট্যান্ডাডাইজেশন ও সার্টিফিকেশনের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মো. সামসুল আরেফিন বলেন, দেশের কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী করে এখাতের তথ্য-প্রযুক্তি তৈরি করা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।তিনি বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ সাম্প্রতিক সময়ে কৃষিখাতের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে, যেটা অনেক উৎসাহব্যঞ্জক একটি বিষয়। কৃষির উৎপাদিত পণ্য পুনরায় ব্যবহারের উপর মনোযোগী হওয়ার উপর তিনি জোরারোপ করেন। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী বলেন, সাম্প্রতি সময়ে আমাদের কৃষিখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তবে জলবায়ুন পরিবর্তন জনিক কারণে অনাকাঙ্খিত প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে এ খাত প্রায়শই বিপুল ক্ষতির মুখোমুখী হয়, সেই সাথে প্রচলিত কৃষি পদ্ধতি ব্যবহারের কারণেও উৎপাদন হ্রাস পায়। এমতাবস্থায় আমাদেরকে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের স্মার্ট এগ্রিকালচার প্রাক্টিস’র উপর আরও বেশি হারে গুরুত্বারোপ করতে হবে।সেমিনারে আইফার্মার-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ ইফাজ ‘এগ্রো ভ্যালু চেইনে ফ্রন্টিয়ার টেক অটোমেশনের সম্ভাবনা’ এবং সুইসকন্টাক-এর সিনিয়র ম্যানেজার (পোগ্রাম) মোহাম্মদ সাকিব খালেদ ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার : ইস্যুস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জস ইন ভ্যালুচেইন ডেভেলমেন্ট’ বিষয়ক দুটো মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।ফাহাদ ইফাজ বলেন, কৃষি খাতে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজির ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের বাজারের অভিগম্যতা বাড়ানো, উৎপাদন ব্যয় হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তিনি জানান, ‘ম্যাকেনজি অ্যান্ড কোম্পানি’-এর তথ্য মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশি^ক জিডিপিতে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজির অবদান থাকবে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, তাই এখাতের উন্নয়নে নীতি সহায়তা এবং একটি কার্যকর ইকোসিস্টেম একান্ত আবশ্যক।মোহাম্মদ সাকিব খালেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি দেশের কৃষিখাতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে, যা মোকাবেলায় আমাদেরকে আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, লাইভস্টক খাতে স্থানীয় বিনিয়োগ বেড়েছে এবং আশা করা যায় আগামী ১০ বছরে এটি দ্বিগুন হবে। কার্যকর সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থার অনুপস্থিতি, পণ্য আহরণ পরবর্তী ক্ষতি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকবেলায় সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।সেমিনারের নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশস্থ ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন-এর উর্ধ্বতন কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল কাদের, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ ব্যাংক অতিরিক্ত পরিচালক (এগ্রিকালচার ক্রেডিট ডিপার্টমেন্ট) ড. মো. আবু বাকের সিদ্দিকী, এ্যাকুয়ালিঙ্ক বাংলাদেশ লিমিটেড’র সিইও সৈয়দ রিজবান হোসেন, উইন ইনকর্পোরেট-এর সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা ড. কাশফিয়া আহমেদ, ড. ক্যাশআই ইনকর্পোরেশন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেদিনা আলী এবং ক্রান্তি এসোসিয়েটস লিমিটেড’র পরিচালক ও সিইও ড. মোহাম্মদ রিশালাত সিদ্দীকি অংশগ্রহণ করেন।আলোচকবৃন্দ আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তিসমূহ আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা ও সক্ষমতার নিরিখে সমন্বয়, স্থানীয়ভাবে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে মূল্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের বোধগম্যকরে তথ্যাদি উপস্থাপন, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা, লজিস্টিক সুবিধা নিশ্চিতকরণ, কৃষি পণ্যের স্টোরেজ সক্ষমতা বাড়ানো, মানবম্পদের দক্ষতা উন্নয় এবং গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির উপর জোরোপ করেন।ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মোঃ জুনায়েদ ইবনে আলী এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট খাতের সরকারি ও বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন