প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩ ০৩:৪৩ পিএম
ববির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফ্যান চুরির অভিযোগ
অনামিকা আক্তার, ববি (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ টি সিলিং ফ্যান চুরি করে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ঐ কর্মকর্তা হলেন রেজিস্টার দফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল-ভোলা হাইওয়ে সংলগ্ন গেটের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়সূত্রে জানা যায়, তাদের সবধরনের ইলেট্রিক মালামাল রাখা হয় কেন্দ্রীয় গ্যারেজ সংলগ্ন ডাম্পিং হাউজে। ঐ ডাম্পিং হাউজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন মিজানুর রহমান। আর দায়িত্ত্বে থাকার সুযোগেই তিনি এমটি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২২ জুলাই শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিনে এক হকারকে ফ্যানসহ আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা প্রহরী। এসময় অভিযুক্ত ঐ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা এসে নিজের পরিচয় দিয়ে হকারকে মুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ঘটনাটি জানাজানি হয় রোববার রাতে।
প্রত্যক্ষদর্শী নিরাপত্তা প্রহরী জানান, বন্ধের দিন সাইকেলে ফ্যান নিতে দেখে আমার সন্দেহ হয়। পরে গেট পাশ আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে ঐ কর্মকর্তা বলেন আমি এখানকার স্টাফ। মালামাল কোথায় নেয়া হচ্ছে প্রশ্ন করলে হকার বলেন, দোকানে নিয়ে যাই। পরে ঐ কর্মকর্তা হকারকে গেট পার করে দিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ফিরে আসেন। ফ্যান ও আরও কিছু মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহবশত একটা ছবি তুলে রাখেন ঐ নিরাপত্তা প্রহরী। পরে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপ্তা প্রধানকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি সিংশ্লিষ্ট অধিদফতরে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধাান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সোলায়মান বলেন, ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যাল বন্ধ থাকায় আমি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। বন্ধের পরদিন ক্যাম্পাসে এলে বিষয়টি আমাকে অবহিত করা হয়। আমি ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েছি। এখানে আমাদের কোন অবহেলা ছিলো না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, এসব তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এক দফতরের ভালো চায় না অন্য দপ্তর তাই আমার বিরুদ্ধে এমন বানোয়াট অভিযোগ এনেছে। আমি এমন কোন ঘটনার সাথে জড়িত নেই।
এ ঘটনায় প্রকৌশল দফতরের উপ প্রকৌশলী মো. মুরশীদ আবেদীন বলেন, আমাদের নষ্ট ইলেট্রিক মালামালগুলো সবসময় এস্টেট অফিসারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এগুলো তাদের কাস্টডিতে থাকে। এখান থেকে কোনো জিনিস চুরি বা খোয়া গেলে তার দায়ভার সম্পুর্ন তাদের। আমি ১২ টি ফ্যান চুরির বিষয়ে শুনেছি।
এ ঘটনায় কথা বলা হয় বিশাববিদ্যালয়েল রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুপ্রভাত হালদারের সাথে। তিনি বলেন, আমি মৌখিকভাবে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আমার কথা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আমরা অপরাধির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ৪ মাস আগে
ববির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফ্যান চুরির অভিযোগ