বর্ষার শুরুতে নদী ভাঙন: দিশেহারা গৌরগঞ্জের মানুষ

বর্ষার শুরুতে নদী ভাঙন: দিশেহারা গৌরগঞ্জের মানুষ

...

প্রকাশ : ১ বছর আগে

আপডেট : ৪ মাস আগে

বর্ষার শুরুতে নদী ভাঙন: দিশেহারা গৌরগঞ্জের মানুষ

বর্ষার শুরুতে নদী ভাঙন: দিশেহারা গৌরগঞ্জের মানুষ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: বর্ষার শুরুতেই নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে। ভাঙনের কবলে পরে বিলীনের পথে মন্দিরসহ শতাধিক ঘর-বাড়ি। আতঙ্কে রয়েছে তালতলা ডহুরী গৌরগঞ্জ খালের পাড় এলাকার লোকজন।মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নাটেশ্বর গ্রাম নদী ভাঙনের কবলে পরে এখন বিলীনের পথে। গত বছর প্রায় ২৫ টি পরিবারের বাড়ি ঘর ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে এ বছর আশঙ্কা করা হচ্ছে গ্রামের অর্ধেক বিলীন হয়ে যাওয়ার। গত ১৫ দিনে প্রায় ৩০০ মিটারের মত এলাকা ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীর তীব্র শ্রোত, বিভিন্ন জলজানের চলাচল বিশেষ করে ট্রলার, বালুবাহী বাল্কহেডের কারনে ভঙন আরও তীব্র হচ্ছে। দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৫০ টি পরিবারের । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যপারে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বস দিয়েছেন।  স্থানীয়রা জানান, গত ২০/২৫ বছরে গৌরগঞ্জ খালটির তীব্র  ভাঙনে ক্রমেই পশ্চিমে সরে যাচ্ছে। এতে বিলুপ্ত হয়েছে নাটেশ্বর দক্ষিনপাড়ার বড় একটি অংশে। বর্তমানে এ এলাকায় বসবাস করছে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের এক হাজারের বেশি মানুষ, যেখানে ৫০ টির বেশি পরিবারের রয়েছে যারা সনাতন ধর্মালম্বী। নদীর পাড় ঘেষেই রয়েছে একটি পাকা মহাদেব মন্দির। এখনই পদক্ষেপ না নিয়ে যে কোন সময় বিলিন হতে পারে শত বছড়ের ঐতিহ্যবাহী এ মন্দিরটি।সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙন কবলিত এলাকায় নির্ঘুম রাত কাটছে স্থানীয়দের। তারা সব সময় ভয় ও আতঙ্কে থাকেন। অনেকে নিজেদের অর্থায়নে বাঁশের বেড়া দিয়ে এবং বালু ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও আদতে তা কোন কাজে আসছে না। স্থানীয়রা তাই দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপের।মালখানগর ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আওলাদ হোসেন জানান, গত বছর মুন্সীগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসক বরাবর বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। ভাঙন তীব্র হলেও জেলা প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ভাঙন এমন অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় বিলীন হতে পারে নাটেশ্বর দক্ষিণ পাড়ার বড় একটি অংশের।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম তানভীর জানান, তিনি গত বছর যোগদানের পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ডহুরী-তালতলা-গৌরগঞ্জ খালের মালখানগর ইউনিয়নের ফেগুনাসার গ্রামে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়েছে। তখন উপজেলা প্রশাসন উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করায় পানি উন্নয়ন বোর্ড যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে, এর সুফল ভোগ করছে এলাকাবাসী। এখন পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এ কারণে ভাঙনের প্রবনতা বাড়ছে।আশ্বাস দিয়েছেন উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে দ্রুত যোগযোগ করার, যাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এমটিই যানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। 
  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

নাজিরপুরে ভুয়া পুলিশ সদস্য গ্রেফতার ।

নাজিরপুরে ভুয়া পুলিশ সদস্য গ্রেফতার ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ৫ যাত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ৫ যাত্রী

সাপের আতঙ্কে জমিতে যেতে পারছেন না খোকসার চরাঞ্চলের মানুষ

সাপের আতঙ্কে জমিতে যেতে পারছেন না খোকসার চরাঞ্চলের মানুষ

আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পরে ১০ বরযাত্রী নিহত

আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পরে ১০ বরযাত্রী নিহত

রংপুরে তিস্তা নদীর ভাঙন আতঙ্কে গ্রামবাসীর নির্ঘুম রাত

রংপুরে তিস্তা নদীর ভাঙন আতঙ্কে গ্রামবাসীর নির্ঘুম রাত

অবশেষে রাঙ্গুনিয়ার বেতাগীতে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্লক স্থাপন শুরু

অবশেষে রাঙ্গুনিয়ার বেতাগীতে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্লক স্থাপন শুরু

চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর বাঁধ নির্মাণ

চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর বাঁধ নির্মাণ

ধর্মপাশায় বৌলাই নদীর ভাঙনে বিলীন ১ হাজার ঘরবাড়ি, হুমকির মুখে সরকারি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

ধর্মপাশায় বৌলাই নদীর ভাঙনে বিলীন ১ হাজার ঘরবাড়ি, হুমকির মুখে সরকারি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

ধর্মপাশায় বৌলাই নদীর ভাঙনে বিলীন ১ হাজার ঘরবাড়ি, হুমকির মুখে সরকারি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

ধর্মপাশায় বৌলাই নদীর ভাঙনে বিলীন ১ হাজার ঘরবাড়ি, হুমকির মুখে সরকারি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

মন্তব্য করুন