প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ০৩:১৮ এএম
ক্ষেতলালে প্রিয় শিক্ষককে রাজকীয় বিদায়ী সংবর্ধনা দিল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকরা
ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: অপরূপ সাজে সাজানো একটি প্রাইভেটকারে করে যাওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশ থেকে ফুল ছিটিয়ে প্রিয় শিক্ষক মো. মোস্তফা কামালকে বিদায় জানিয়েছেন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা।
মো. মোস্তফা কামাল দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় চাকুরি করেছেন; শেষ কর্মদিবসে চোখের পানিতে সহকর্মী শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। এ সময় তিনি নিজে যেমন কেঁদেছেন, তেমনি তাঁর সকল সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও কেঁদেছেন।
১১ মার্চ সোমবার উপজেলার বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিদ্যালয় চত্বরে এ বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের আকন্দ, সহকারী প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক পরিমল মহন্ত, সহকারী শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার, প্রাক্তন শিক্ষার্থী নাজ্জাসী চৌধুরী, আমানুল্লাহ আমান, সুলতান মাহমুদ, রাব্বি হাসান প্রমুখ।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, মোস্তফা কামাল স্যারের অবসরজনিত বিদায় আমাদের মনকে নাড়া দিয়েছে। বিষয়টা খুবই কষ্টের ও বেদনার। তিনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি, ছাত্র-ছাত্রী এবং গ্রামবাসীর অশ্রুসিক্ত নয়ন তার প্রমাণ। শিক্ষকতা জীবনের অনন্য অবদানের সুফল ও ভালো কর্মের পুরস্কার এটি।
আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষককে সম্মাননা স্মারক এবং বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
বিদায় লগ্নে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিদায়ী ওই শিক্ষকের পা ধুয়ে পরিষ্কার করে জুতা পরিয়ে দেয়। পাশাপাশি বিদায় মুহূর্তে ফুল ছিটিয়ে রাজকীয়ভাবে সাজানো একটি প্রাইভেটকারে তাকে বিদায় দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা একটি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বিদায়ী শিক্ষককে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ৪ মাস আগে
ক্ষেতলালে প্রিয় শিক্ষককে রাজকীয় বিদায়ী সংবর্ধনা দিল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকরা