৩৭ লাখ টাকার ভবন অবশেষে সাড়ে ৯ লাখ টাকায় বিক্রি

৩৭ লাখ টাকার ভবন অবশেষে সাড়ে ৯ লাখ টাকায় বিক্রি

...

প্রকাশ : ১ বছর আগে

আপডেট : ৪ মাস আগে

৩৭ লাখ টাকার ভবন অবশেষে সাড়ে ৯ লাখ টাকায় বিক্রি

৩৭ লাখ টাকার ভবন অবশেষে সাড়ে ৯ লাখ টাকায় বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর: ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বসবাসের জন্য ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত দ্বিতল ভবনটি প্রায় ১৫ বছর ধরে অবহেলা-অযত্নে পড়ে থাকার পরে অবশেষে নিলামে সাড়ে ৯ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০৯ সালে। ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন হিসেবে এটি নির্মাণ করা হলেও এত বছরে এক ঘণ্টার জন্যও ব্যবহার করা হয়নি। ভবনটির মূল গেটে বছরের পর বছর তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়। ফলে ভবনটি মাদকসেবীদের নিরাপদ আড্ডাস্থলে পরিণত হয়। জানালার গ্রিল কেটে রাতে বসতো মাদকের আড্ডা।ফরিদপুর জেলা পরিষদ সূত্রে জানায়, ২০০৯ সালে ফরিদপুর শহরের টেপাখোলাতে জেলা পরিষদের নিজস্ব মালিকানার জায়গায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বসবাসের জন্য আবাসিক ভবনটি নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন।এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ও জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৩৭ লাখ টাকার মতো। এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল মেসার্স আর আর কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। ২০০৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু করে ২০০৯ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদকে ভবনটি বুঝিয়ে দেয়। ভবন নিমার্ণের পর জেলা পরিষদের কোনো নির্বাহী কর্মকর্তা একদিনের জন্যও সেখানে বসবাস করেননি। এভাবে কেটে গেছে ১৫ বছর। সম্প্রতি ভবনটি নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে জেলা পরিষদ। ভবনটি নিলামে কিনেছেন মো. সুমন নামের একজন ঠিকাদার।এ বিষয়ে  ভবনটির নিলামে ক্রয়কৃত ঠিকাদার মো. সুমন জানান, উন্মুক্ত নিলামে ভবনটি সাড়ে ৯ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছি। জানালা দরজা কিছুই নেই, সব ভেঙে গেছে। ইট-রডসহ অন্যান্য উপাদানের দাম বর্তমানে বেশি। লাভের আশায় ভবনটি কিনেছি। ঈদের বন্ধের কারণে এখন কার্যাদেশ হাতে পাইনি। অফিস শুরু হয়েছে, জেলা পরিষদের কার্যাদেশ পত্র হাতে পেলেই ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবো।ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন এ ব্যাপারে  জানান, জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মাণ করা ৩৭ লাখ টাকার দ্বিতল ভবনটি টেপাখোলা লেকের সৌন্দর্য বর্ধন ও উন্নয়নের জন্য ১৮০ কোটি টাকায় নেওয়া একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে অপসারণ করা হচ্ছে।তিনি আরও জানান, ওই ভবনটি থাকলে লেকের উন্নয়নের জন্য বড় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভবনটি বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি তহবিলে ভবন বিক্রির অর্থ জমা করা হয়েছে।
  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

নাজিরপুরে ভুয়া পুলিশ সদস্য গ্রেফতার ।

নাজিরপুরে ভুয়া পুলিশ সদস্য গ্রেফতার ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ৫ যাত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ৫ যাত্রী

সাপের আতঙ্কে জমিতে যেতে পারছেন না খোকসার চরাঞ্চলের মানুষ

সাপের আতঙ্কে জমিতে যেতে পারছেন না খোকসার চরাঞ্চলের মানুষ

আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পরে ১০ বরযাত্রী নিহত

আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পরে ১০ বরযাত্রী নিহত

মোংলা বন্দরে বিভিন্ন মডেলের ১০৭টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিলাম হচ্ছে

মোংলা বন্দরে বিভিন্ন মডেলের ১০৭টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিলাম হচ্ছে

মন্তব্য করুন