রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের উপরে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের আগে চাঙা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। রপ্তানি আয়ও কিছুটা বেড়েছে। ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের উপরে উঠেছে। গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসের শেষ দিকে (২৭ মার্চ) রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৮১ কোটি ডলারে আর বিপিএম-৬ ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার (১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন)। চলতি মাসের ৮ এপ্রিল গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৩৮ কোটি ডলারে আর বিপিএম-৬ হয়েছে ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন)।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।
তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।
সংশ্লিষ্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন থামছেই না। এখনো ঈদের আমেজ থাকলেও কমেনি নিত্যপণ্যের দাম। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও মুরগি। প্রধান সবজি আলুর বাজারও চড়া। ২১ জুন শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ-মধুবাগসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।এসব বাজারে ঈদের অনেকটা আমেজ দেখা গেছে। অন্যান্য শুক্রবার সকালে এসব বাজারে ভিড় থাকলেও আজ তেমনটা চোখে পড়েনি। ঈদে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষের একটা অংশ এখনো ঢাকায় না ফেরায় বাজারগুলোতে এখনো ভালোভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি।কারণ হিসেবে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, ঈদের বন্ধের মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ কম। এ কারণে কাঁচা মরিচসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, দেশের মানুষের প্রধান সবজি আলু পাইকারিতে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজও।দাম বাড়ার তালিকায় আছে ব্রয়লার মুরগিও। ঈদের আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৯০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। আজ বিভিন্ন বাজারে তা ১৯০-২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। এছাড়া লেয়ার মুরগি লাল ৩০০-৩২০ দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকার ওপরে।বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকার মতো বেড়েছে। আজ বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা।মুরগির দাম বাড়লেও কমেছে বাদামি ডিমের দাম। ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমেছে ডিমের দাম। কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা।বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। এছাড়া গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, পটল ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০, কাঁচা কলা ৯০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গেল সপ্তাহে ১০-২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।এছাড়াও পাট শাকের আঁটি ১৫-২০, কলমি শাক ১০-১৫, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।মাছের বাজারে দেখা গেছে, ২০০ টাকার নিচে তেমন কোনো মাছ নেই। সাইজভেদে তেলাপিয়া ২০০-২৩০ ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে অতি উচ্চাভিলাষী উল্লেখ করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, বাজেটে অর্থনৈতিক সূচকের অনেক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।৭ জুন শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, চলমান অর্থনৈতিক উদ্বেগ মোকাবিলায় যে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নেওয়া হয়নি।মূল্যস্ফীতি রোধ ও নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে বাজেটে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়।তিনি আরও বলেন, বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি গ্রোথ, বিনিয়োগের যেসব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা অতিউচ্চাভিলাষী ও বাস্তবসম্মত নয়। বাজেটে অর্থনৈতিক সূচকের অনেক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অনুধাবন করতে না পারায়, বাজেটে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা দুর্বল ও অপর্যাপ্ত। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটটি অসাধারণ সময়ে একটি সাধারণ বাজেট।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সদ্য বিদায়ী মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া নানা উদ্যোগের ফলে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের মাস এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ।ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত দুই ঈদের আগেই পরিবার-স্বজনদের কাছে বাড়তি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা। সামনেই ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে মে মাসে। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসে আসে ২১৬ কোটি ডলার।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এছাড়া ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে শেয়ারবাজারের স্টক ব্রোকারদের একমাত্র সংগঠন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।গত ৯ মে বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির নির্বাহী সভায় (একনেক) প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা পুঁজিবাজারের জন্য অত্যান্ত ইতিবাচক ও সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, উক্ত নির্দেশনার বাস্তবায়নে দেশের পুঁজিবাজারের পাশাপাশি সার্বিক অর্থনীতিতে গতি আসবে। সাইফুল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজারের সাথে দেশের সার্বিক অর্থনীতি এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী ও বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ও স্বার্থের বিষয়ে অবগত আছেন। তাই, পুঁজিবাজারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সবসময় আমাদের বাজারের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখেন এবং নানান বিষয়ে পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন। এই সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির নির্দেশনা প্রদানের জন্য আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আশা করি, স্মার্ট পুঁজিবাজার গঠনে ব্যবসাবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা শিগগির বাস্তবায়ন হবে এবং পুঁজিবাজারসহ দেশের অর্থনীতিতে এর প্রতিফলন দেখা যাবে।নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল।
রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের উপরে
সংশ্লিষ্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন থামছেই না। এখনো ঈদের আমেজ থাকলেও কমেনি নিত্যপণ্যের দাম। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও মুরগি। প্রধান সবজি আলুর বাজারও চড়া। ২১ জুন শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ-মধুবাগসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।এসব বাজারে ঈদের অনেকটা আমেজ দেখা গেছে। অন্যান্য শুক্রবার সকালে এসব বাজারে ভিড় থাকলেও আজ তেমনটা চোখে পড়েনি। ঈদে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষের একটা অংশ এখনো ঢাকায় না ফেরায় বাজারগুলোতে এখনো ভালোভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি।কারণ হিসেবে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, ঈদের বন্ধের মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ কম। এ কারণে কাঁচা মরিচসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, দেশের মানুষের প্রধান সবজি আলু পাইকারিতে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজও।দাম বাড়ার তালিকায় আছে ব্রয়লার মুরগিও। ঈদের আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৯০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। আজ বিভিন্ন বাজারে তা ১৯০-২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। এছাড়া লেয়ার মুরগি লাল ৩০০-৩২০ দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকার ওপরে।বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকার মতো বেড়েছে। আজ বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা।মুরগির দাম বাড়লেও কমেছে বাদামি ডিমের দাম। ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমেছে ডিমের দাম। কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা।বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। এছাড়া গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, পটল ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০, কাঁচা কলা ৯০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গেল সপ্তাহে ১০-২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।এছাড়াও পাট শাকের আঁটি ১৫-২০, কলমি শাক ১০-১৫, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।মাছের বাজারে দেখা গেছে, ২০০ টাকার নিচে তেমন কোনো মাছ নেই। সাইজভেদে তেলাপিয়া ২০০-২৩০ ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে অতি উচ্চাভিলাষী উল্লেখ করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, বাজেটে অর্থনৈতিক সূচকের অনেক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।৭ জুন শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, চলমান অর্থনৈতিক উদ্বেগ মোকাবিলায় যে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নেওয়া হয়নি।মূল্যস্ফীতি রোধ ও নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে বাজেটে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়।তিনি আরও বলেন, বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি গ্রোথ, বিনিয়োগের যেসব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা অতিউচ্চাভিলাষী ও বাস্তবসম্মত নয়। বাজেটে অর্থনৈতিক সূচকের অনেক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অনুধাবন করতে না পারায়, বাজেটে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা দুর্বল ও অপর্যাপ্ত। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটটি অসাধারণ সময়ে একটি সাধারণ বাজেট।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সদ্য বিদায়ী মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া নানা উদ্যোগের ফলে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের মাস এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ।ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত দুই ঈদের আগেই পরিবার-স্বজনদের কাছে বাড়তি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা। সামনেই ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে মে মাসে। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসে আসে ২১৬ কোটি ডলার।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এছাড়া ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে শেয়ারবাজারের স্টক ব্রোকারদের একমাত্র সংগঠন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।গত ৯ মে বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির নির্বাহী সভায় (একনেক) প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা পুঁজিবাজারের জন্য অত্যান্ত ইতিবাচক ও সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, উক্ত নির্দেশনার বাস্তবায়নে দেশের পুঁজিবাজারের পাশাপাশি সার্বিক অর্থনীতিতে গতি আসবে। সাইফুল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজারের সাথে দেশের সার্বিক অর্থনীতি এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী ও বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ও স্বার্থের বিষয়ে অবগত আছেন। তাই, পুঁজিবাজারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সবসময় আমাদের বাজারের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখেন এবং নানান বিষয়ে পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন। এই সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির নির্দেশনা প্রদানের জন্য আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আশা করি, স্মার্ট পুঁজিবাজার গঠনে ব্যবসাবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা শিগগির বাস্তবায়ন হবে এবং পুঁজিবাজারসহ দেশের অর্থনীতিতে এর প্রতিফলন দেখা যাবে।নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল।
মন্তব্য করুন