ফিলিস্তিনসহ দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদেরকে ফিলিস্তিনসহ দেশের দারিদ্র, পীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্যে সমাজের সকলস্তরের মানুষদের পাশে থাকুন।
১৭ জুন সোমবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে দেওয়া ভাষণে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বের অনেক স্থানে মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে, বিনা চিকিৎসায় ও স্বজনহারা বেদনায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে।
সম্প্রতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রিমেলের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, অনেকেরই ইচ্ছা থাকলেও কোরবানি করতে পারছে না। ঘূর্ণিঝড়ে সহায়-সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং ঈদের খুশিতে তারাও যাতে শরিক হতে পারে সে চেষ্টা চালাতে ও নির্দেশনা দেন মো. সাহাবুদ্দিন। মুসলমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে তিনি দেশ-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেই। পশু কোরবানির সাথে সাথে যাতে আমরা অন্তরের কলুষতা, হিংসা, বিদ্বেষ পরিহার করতে পারি মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করছি।
মশা-মাছি ও বিভিন্ন রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কোরবানির পর বাড়ির আশে-পাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার ও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি। কোরবানির বর্জ সময়মতো সরিয়ে নিতে সিটি কর্পোরেশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
এরআগে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট
বিশেষ প্রতিবেদক: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাড়ে তিন বছর পর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলপ্রকাশ হয়। এক হাজার ৮০টি পদের বিপরীতে ‘চাকরিযুদ্ধে’ অংশ নেয় তিন লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী; উত্তীর্ণ হয় মাত্র ৭ হাজার ৬২১ জন। এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতায় পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার চিত্র। ঘোষণা করা হয় মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা যখন মৌখিক পরীক্ষার অপেক্ষা করছিলেন, তখন হঠাৎ একদিন ঘোষণা আসে লিখিত পরীক্ষায় ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। এ কারণে ওই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। এরপর শুরু হয় নানা জটিলতা, ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যাওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আইনি লড়াইয়ে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। উচ্চ আদালতে তাদের পক্ষে রায় দিলেও এখনও চূড়ান্ত নিয়োগ পাননি এফডব্লিউভি চাকরিপ্রত্যাশীরা। এ অবস্থায় আজ রোববার থেকে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ ও চূড়ান্ত নিয়োগের দাবিতে আবারও আন্দোলন নামছেন তারা।এফডব্লিউভি পদে নিয়োগপ্রত্যাশী কানিজ মারিয়া ভোরের আকাশকে বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১০ মার্চ এফডব্লিউভি পদে এক হাজার ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তির আলোকে প্রায় ৩ লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই পদের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ওই বছরের ১১ মে প্রকাশ করা হয় এবং ২৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষার নোটিশ প্রকাশ করা হয়। এই পরীক্ষা যাতে স্বচ্ছ হয়, এজন্য বারবার কমিটি গঠন করা হয়। তারপরও দুর্নীতির অজুহাতে এই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছিল। নিয়োগ বাতিল হল যেভাবে : ২০২০ সালের মার্চ মাসে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ১ হাজার ৮০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। আবেদকারীদের লিখিত পরীক্ষা ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। ২০২৩ সালের ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর পরে এসে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ও অতিরিক্ত সচিব এএইচএম লোকমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ হাজার ৮০ পদে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নিয়োগের প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল করে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ১৩ ডিসেম্বর তারিখের পর্যবেক্ষণ ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন সংক্রান্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির ১১ জানুয়ারির সভার মতামত/সিদ্ধান্তের আলোকে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো। প্রার্থীদের আবারও লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।এটি স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ছিল উল্লেখ করে ফৌজিয়া আক্তার বলেন, নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য হয় এটি সবার জানা। যারা ওই টাকার ভাগ পায় না, তারা বিভিন্ন অজুহাত তুলে নিয়োগ বাতিল করে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইতিহাস ঘাটলে এটি স্পষ্ট হবে। বছরের পর বছর ধরে আদালতে মামলা চলে নিয়োগ নিয়ে। কোন কোন নিয়োগ বাতিল হয়ে যায় আবার কোন কোন নিয়োগের রায় চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে আসে। আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা কাটল : সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগের জন্য সবাই যখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় তখন পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীরা। প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তারা। রিটে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরও পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গত বছরের ২৯ জানুয়ারি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদের নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জারি করা নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর ফলে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগের ফলাফল প্রকাশে বাধা কেটে যায়। হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ২০২০ সালের ১০ মার্চ প্রকাশিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) মনোনয়ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর আলোকে আবেদকারীদের লিখিত পরীক্ষা ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করা হয়। আর ২০২৩ সালের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর পরে এসে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পরীক্ষাটি বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগের জন্য সবাই যখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় তখন পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীরা। প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তারা। রিটে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরও পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।এরপর নানা আইনি বাধা শেষে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদের ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। পরে আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ১ হাজার ৮০টি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে রিটকারীরাসহ সারা দেশ থেকে আবেদনকারীরা আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ওই পরীক্ষায় ৭ হাজার ৬২১ জন উত্তীর্ণ হন এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভাইভা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না করে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। পরে সেই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টেও আদেশের মধ্য দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অনিশ্চয়তা দূর হলো।আবারও মাঠে নামছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা : এফডব্লিউভি পদে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে উত্তীর্ণ ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের আদালত গত বছরের ১৫ ডিসেম্বও যে নির্দেশ দিয়েছেন তা শেষ হবে আগামী ১৫ মার্চ। এই সময়ের মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে। প্রায় দুই মাস অপেক্ষার পরও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ফের গত ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি টানা তিন দিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। পরে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।চাকরিপ্রার্থী সানজিদা লিজা ভোরের আকাশকে বলেন, মহাপরিচালক তাদের জানিয়েছিলেন উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল না করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আইন শাখায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় তিন দিনের মধ্যে অধিদপ্তরের চিঠির জবাব দেবে। কিন্তু এখনও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এ কারণে আজ রোববার থেকে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সামনে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে।পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী ভোরের আকাশকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি নিস্পত্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ভোরের আাকাশ/মি
সাভার প্রতিনিধি : সাভারে বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেড ও ছেইন অ্যাপারেলস নামে দুই পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন। এ সময় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও অবরোধে দুটি সড়কের উভয় পাশের লেনে কয়েক কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর এলাকায় সিংঙ্গাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা এই অবরোধ করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখেন। বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেডের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, আমাদের কারখানায় কয়েক শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তারা এখন পর্যন্ত গত জানুয়ারি মাসের বেতন পাননি। একইসঙ্গে ওভারটাইমের টাকাও দেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে পাওনা পরিশোধের কথা বলেছিল। কিন্তু তারা বেতন ও ওভারটাইমের কোনো টাকাই পরিশোধ করতে পারেনি। শ্রমিকরা আরও বলেন, আমরা বেতন না পেয়ে দোকানে বাকি করে চলছি। অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে পারিনি। কারো কারো পরিবারের সদস্যদের টাকার অভাবে চিকিৎসা থেমে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কারখানার কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার শ্রমিকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। তবে কোনো সমাধান হয়নি বলে জানান তিনি।অন্যদিকে ছেইন অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা বলেন, আমাদের কারখানার শ্রমিকদের প্রতি মাসের বেতন ১০ তারিখের ভেতরে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু মালিকপক্ষ আমাদের জানুয়ারি মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করেনি। তা ছাড়া কয়েকদিন আগে কারখানায় এসে দেখি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে দেখা করে না। পাওনা টাকা ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, হেমায়েতপুরে বসুন্ধরা ও আশুলিয়ায় ছেইন অ্যাপারেলস নামে দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা দুটি সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রেখেছেন। আমরা উভয় কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। কিন্তু এখনো সমাধান হয়নি। ছেইন অ্যাপারেলস কারখানাটিতে সাধারণ ছুটি চলছে এবং তাদের কর্তৃপক্ষ মার্চের ৩ তারিখে বকেয়া পরিশোধের কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া হেমায়েতপুরে বসুন্ধরা পোশাক কারখানার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা
আশরাফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন চালকের দক্ষতায় রক্ষা পেল অটোরিকশার ৫ যাত্রী। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লেভেল ক্রসিংয়ে যাত্রীসহ অটোরিকশাটি আটকে যায়। এসময় চালক দুর্ঘটনার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদেরকে রক্ষা করেন। ট্রেন চালক এনায়েত হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর ট্রেনটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল। কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর শুরুতে অটোরিকশাটি দেখা যায়নি; যখন দেখি তখন খুব কাছাকাছি চলে আসি। ভেপু বাজাতে থাকি যেন এটি সরে যায়, কিন্তু সেটি সরছিল না। এরপর চেষ্টা করি ট্রেন থামানোর। আল্লাহর রহমতে অটোরিকশা থেকে কয়েক ফুট দূরে ট্রেন থেমে যায়।’ রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, জামালপুর থেকে চট্টগ্রামগামী ৩৮ ডাউন নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন দুপুর সোয়া ২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। ট্রেনটি কাউতলী এলাকায় সেতুর কাছাকাছি পৌঁছালে সেখানে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে যায়। চালক দূর থেকে দেখতে পেয়ে ট্রেন থামিয়ে দেয়ায় অটোরিকশায় থাকা চালকসহ ৫ যাত্রী রক্ষা পান।
জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩ কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা (প্রতি ডলার সমানে ১২২ টাকা ৩৮ পয়সা ধরে)। এনহ্যান্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজন প্রকল্পে বাড়তি অর্থায়ন করবে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বৃহত্তর কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত ও বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।বিশ্বব্যাংকের স্কেল আপ ফ্যাসিলিটি(এসইউএফ) তহবিল ৩ হাজার ৬৪২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্পটির মূল ঋণচুক্তি ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তী সময়ে কোভিড-১৯ চলাকালীন কোভিড সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে মূল অর্থায়ন ৪৫০ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পটির সফল সমাপ্তির লক্ষ্যে ৩ কোটি ডলার অতিরিক্ত প্রয়োজন হওয়ায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ঋণ সহায়তা গ্রহণ করা হবে। এই ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ আগামী ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণের সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সার্ভিস চার্জ ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ ছাড়া অনুত্তোলিত ফান্ডের ওপর সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট চার্জ থাকলেও পূর্বের বছরের ন্যায় বিশ্বব্যাংক বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই অর্থবছরে কোন কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে না। ভোরের আকাশ/মি
ফিলিস্তিনসহ দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সংশ্লিষ্ট
বিশেষ প্রতিবেদক: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাড়ে তিন বছর পর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলপ্রকাশ হয়। এক হাজার ৮০টি পদের বিপরীতে ‘চাকরিযুদ্ধে’ অংশ নেয় তিন লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী; উত্তীর্ণ হয় মাত্র ৭ হাজার ৬২১ জন। এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতায় পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার চিত্র। ঘোষণা করা হয় মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা যখন মৌখিক পরীক্ষার অপেক্ষা করছিলেন, তখন হঠাৎ একদিন ঘোষণা আসে লিখিত পরীক্ষায় ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। এ কারণে ওই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। এরপর শুরু হয় নানা জটিলতা, ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যাওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আইনি লড়াইয়ে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। উচ্চ আদালতে তাদের পক্ষে রায় দিলেও এখনও চূড়ান্ত নিয়োগ পাননি এফডব্লিউভি চাকরিপ্রত্যাশীরা। এ অবস্থায় আজ রোববার থেকে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ ও চূড়ান্ত নিয়োগের দাবিতে আবারও আন্দোলন নামছেন তারা।এফডব্লিউভি পদে নিয়োগপ্রত্যাশী কানিজ মারিয়া ভোরের আকাশকে বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১০ মার্চ এফডব্লিউভি পদে এক হাজার ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তির আলোকে প্রায় ৩ লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই পদের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ওই বছরের ১১ মে প্রকাশ করা হয় এবং ২৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষার নোটিশ প্রকাশ করা হয়। এই পরীক্ষা যাতে স্বচ্ছ হয়, এজন্য বারবার কমিটি গঠন করা হয়। তারপরও দুর্নীতির অজুহাতে এই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছিল। নিয়োগ বাতিল হল যেভাবে : ২০২০ সালের মার্চ মাসে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ১ হাজার ৮০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। আবেদকারীদের লিখিত পরীক্ষা ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। ২০২৩ সালের ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর পরে এসে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ও অতিরিক্ত সচিব এএইচএম লোকমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ হাজার ৮০ পদে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নিয়োগের প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল করে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ১৩ ডিসেম্বর তারিখের পর্যবেক্ষণ ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন সংক্রান্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির ১১ জানুয়ারির সভার মতামত/সিদ্ধান্তের আলোকে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো। প্রার্থীদের আবারও লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।এটি স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ছিল উল্লেখ করে ফৌজিয়া আক্তার বলেন, নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য হয় এটি সবার জানা। যারা ওই টাকার ভাগ পায় না, তারা বিভিন্ন অজুহাত তুলে নিয়োগ বাতিল করে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইতিহাস ঘাটলে এটি স্পষ্ট হবে। বছরের পর বছর ধরে আদালতে মামলা চলে নিয়োগ নিয়ে। কোন কোন নিয়োগ বাতিল হয়ে যায় আবার কোন কোন নিয়োগের রায় চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে আসে। আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা কাটল : সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগের জন্য সবাই যখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় তখন পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীরা। প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তারা। রিটে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরও পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গত বছরের ২৯ জানুয়ারি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদের নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জারি করা নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর ফলে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগের ফলাফল প্রকাশে বাধা কেটে যায়। হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ২০২০ সালের ১০ মার্চ প্রকাশিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) মনোনয়ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর আলোকে আবেদকারীদের লিখিত পরীক্ষা ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করা হয়। আর ২০২৩ সালের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর পরে এসে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পরীক্ষাটি বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগের জন্য সবাই যখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় তখন পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীরা। প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তারা। রিটে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরও পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।এরপর নানা আইনি বাধা শেষে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদের ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। পরে আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ১ হাজার ৮০টি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে রিটকারীরাসহ সারা দেশ থেকে আবেদনকারীরা আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ওই পরীক্ষায় ৭ হাজার ৬২১ জন উত্তীর্ণ হন এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভাইভা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না করে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। পরে সেই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টেও আদেশের মধ্য দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অনিশ্চয়তা দূর হলো।আবারও মাঠে নামছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা : এফডব্লিউভি পদে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে উত্তীর্ণ ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের আদালত গত বছরের ১৫ ডিসেম্বও যে নির্দেশ দিয়েছেন তা শেষ হবে আগামী ১৫ মার্চ। এই সময়ের মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে। প্রায় দুই মাস অপেক্ষার পরও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ফের গত ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি টানা তিন দিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। পরে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।চাকরিপ্রার্থী সানজিদা লিজা ভোরের আকাশকে বলেন, মহাপরিচালক তাদের জানিয়েছিলেন উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল না করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আইন শাখায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় তিন দিনের মধ্যে অধিদপ্তরের চিঠির জবাব দেবে। কিন্তু এখনও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এ কারণে আজ রোববার থেকে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সামনে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে।পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী ভোরের আকাশকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি নিস্পত্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ভোরের আাকাশ/মি
সাভার প্রতিনিধি : সাভারে বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেড ও ছেইন অ্যাপারেলস নামে দুই পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন। এ সময় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও অবরোধে দুটি সড়কের উভয় পাশের লেনে কয়েক কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর এলাকায় সিংঙ্গাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা এই অবরোধ করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখেন। বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেডের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, আমাদের কারখানায় কয়েক শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তারা এখন পর্যন্ত গত জানুয়ারি মাসের বেতন পাননি। একইসঙ্গে ওভারটাইমের টাকাও দেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে পাওনা পরিশোধের কথা বলেছিল। কিন্তু তারা বেতন ও ওভারটাইমের কোনো টাকাই পরিশোধ করতে পারেনি। শ্রমিকরা আরও বলেন, আমরা বেতন না পেয়ে দোকানে বাকি করে চলছি। অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে পারিনি। কারো কারো পরিবারের সদস্যদের টাকার অভাবে চিকিৎসা থেমে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কারখানার কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার শ্রমিকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। তবে কোনো সমাধান হয়নি বলে জানান তিনি।অন্যদিকে ছেইন অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা বলেন, আমাদের কারখানার শ্রমিকদের প্রতি মাসের বেতন ১০ তারিখের ভেতরে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু মালিকপক্ষ আমাদের জানুয়ারি মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করেনি। তা ছাড়া কয়েকদিন আগে কারখানায় এসে দেখি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে দেখা করে না। পাওনা টাকা ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, হেমায়েতপুরে বসুন্ধরা ও আশুলিয়ায় ছেইন অ্যাপারেলস নামে দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা দুটি সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রেখেছেন। আমরা উভয় কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। কিন্তু এখনো সমাধান হয়নি। ছেইন অ্যাপারেলস কারখানাটিতে সাধারণ ছুটি চলছে এবং তাদের কর্তৃপক্ষ মার্চের ৩ তারিখে বকেয়া পরিশোধের কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া হেমায়েতপুরে বসুন্ধরা পোশাক কারখানার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা
আশরাফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন চালকের দক্ষতায় রক্ষা পেল অটোরিকশার ৫ যাত্রী। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লেভেল ক্রসিংয়ে যাত্রীসহ অটোরিকশাটি আটকে যায়। এসময় চালক দুর্ঘটনার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদেরকে রক্ষা করেন। ট্রেন চালক এনায়েত হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর ট্রেনটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল। কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর শুরুতে অটোরিকশাটি দেখা যায়নি; যখন দেখি তখন খুব কাছাকাছি চলে আসি। ভেপু বাজাতে থাকি যেন এটি সরে যায়, কিন্তু সেটি সরছিল না। এরপর চেষ্টা করি ট্রেন থামানোর। আল্লাহর রহমতে অটোরিকশা থেকে কয়েক ফুট দূরে ট্রেন থেমে যায়।’ রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, জামালপুর থেকে চট্টগ্রামগামী ৩৮ ডাউন নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন দুপুর সোয়া ২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। ট্রেনটি কাউতলী এলাকায় সেতুর কাছাকাছি পৌঁছালে সেখানে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে যায়। চালক দূর থেকে দেখতে পেয়ে ট্রেন থামিয়ে দেয়ায় অটোরিকশায় থাকা চালকসহ ৫ যাত্রী রক্ষা পান।
জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩ কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা (প্রতি ডলার সমানে ১২২ টাকা ৩৮ পয়সা ধরে)। এনহ্যান্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজন প্রকল্পে বাড়তি অর্থায়ন করবে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বৃহত্তর কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত ও বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।বিশ্বব্যাংকের স্কেল আপ ফ্যাসিলিটি(এসইউএফ) তহবিল ৩ হাজার ৬৪২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্পটির মূল ঋণচুক্তি ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তী সময়ে কোভিড-১৯ চলাকালীন কোভিড সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে মূল অর্থায়ন ৪৫০ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পটির সফল সমাপ্তির লক্ষ্যে ৩ কোটি ডলার অতিরিক্ত প্রয়োজন হওয়ায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ঋণ সহায়তা গ্রহণ করা হবে। এই ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ আগামী ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণের সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সার্ভিস চার্জ ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ ছাড়া অনুত্তোলিত ফান্ডের ওপর সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট চার্জ থাকলেও পূর্বের বছরের ন্যায় বিশ্বব্যাংক বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই অর্থবছরে কোন কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে না। ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য করুন