জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা

জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা

...

প্রকাশ : ১ বছর আগে

আপডেট : ৪ মাস আগে

জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা

জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশের মধ্যে বিরাট ব্যবধান আছে। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। মানুষ আজ স্বপ্ন দেখে উন্নত জীবনের; স্বপ্ন দেখে সুন্দরভাবে বাঁচার।তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই- এ ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। দেশ যখন আর্থিক স্থবিরতা কাটিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মহাসড়কে অভিযাত্রা শুরু করে, ঠিক তখনই ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত আবারও ক্ষমতায় আসে। রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় শুরু হয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন। ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। শুধু রাজনৈতিক কারণে বহু চলমান উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত করে দেওয়া হয়। ‘হাওয়া ভবন’ খুলে অবাধে চলতে থাকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুঃশাসন।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা এবং পাঁচ শতাধিক মানুষকে আহত করে। জেলায় জেলায় বোমা হামলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, সেশন জট, ছাত্র-ছাত্রীদের অনিশ্চিত জীবন ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়কার সাধারণ চালচিত্র। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, অস্ত্র চোরাকারবারি, মানি লন্ডারিং, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, হাওয়া ভবনের দ্বৈত শাসনে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। মেয়াদ শেষে ২০০৬ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিতে থাকে। নির্বাচনে কারচুপির উদ্দেশ্যে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারসমেত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন করে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে অন্ধকারের পথে ধাবিত করে। যার ফলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়।তিনি আরও বলেন, এরপর সামরিক বাহিনী অন্তরালে থেকে ক্ষমতা দখল করে। ইয়াজুদ্দীন, ফখরুদ্দীন, মঈনুদ্দীনের এই সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে তাদের ওপর স্টিমরোলার চালানো শুরু করে। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়। আমাকে এবং আমার দলের বহু নেতাকর্মীসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের বন্দি করা হয়। ভিন্ন দল গঠন করার চেষ্টা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তাদের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সচেতন দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ায়। জনগণের আন্দোলনের মুখে তারা ৯ম সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। তবে নির্বাচন সংস্কারের যে দাবি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট উপস্থাপন করেছিল সেগুলো থেকে তারা কিছু বিষয় কার্যকর করে। যেমন, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট বাতিল এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে বিজয়ী হয়। আর বিএনপি এককভাবে মাত্র ৩০টি আসনে জয়ী হয়। বাকি আসনগুলো উভয় জোটের শরিকেরা পায়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির যে কোনো সূচকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০০৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়ে উৎকর্ষতা সাধন হয়েছে। ২০০৯ সালে জিডিপির পরিমাণ ছিল মাত্র ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে জিডিপির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোট ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ৭ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পায়। ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত ২২ হাজার কোটি টাকার মন্দ ঋণ ছিল; যা মোট ঋণের ১০.৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকার মন্দ ঋণ; যা মোট প্রদত্ত ঋণের ৯.৯ শতাংশ। যারা সমালোচনা করেন- দুঃখের বিষয় যে, তারা সঠিক তথ্যটা জাতির সামনে তুলে ধরেন না। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা তাদের চরিত্র। মনে হয়, বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি দেখলে তারা বিমর্ষ হয়ে পড়ে।সরকারপ্রধান বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, সংঘাতে নয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়, এই নীতিতেই আমরা বিশ্বাস করি। এই নীতি নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী করে উন্নত করেছি।ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চলার পথে যদি কোনো ভুল-ভ্রান্তি করে থাকি তবে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এটার আমার আবেদন। আবার সরকার গঠন করতে পারলে ভুলগুলো শোধরাবার সুযোগও পাবো। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।
  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

আমাদের পথের বাধা বর্ণচোরা বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

আমাদের পথের বাধা বর্ণচোরা বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

আজ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আজ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য: ওবায়দুল কাদের

আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য: ওবায়দুল কাদের

খালেদা জিয়া সিসিইউতে ভর্তি

খালেদা জিয়া সিসিইউতে ভর্তি

মানিকগঞ্জে স্কুল কমিটির নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫

মানিকগঞ্জে স্কুল কমিটির নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন

বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন

সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির নির্বাচনের তা‌রিখ ঘোষণা

সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির নির্বাচনের তা‌রিখ ঘোষণা

মন্তব্য করুন