টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: অপহরণের ১০ দিনেও খোঁজ মিলেনি কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়া তালিমুল কোরআন মডেল মহিলা হেফজখানার ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকার। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোন সন্ধ্যার না পাওয়াই আয়েশা সিদ্দিকার মা সাজেদা আক্তার মুন্নী বাদি হয়ে টেকনাফ মডেল থানা একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেছেন।মামলায় পশ্চিম সিকদার পাড়া মৃত নুর কামালের ছেলে ইব্রাহীম রুহান (৩০), মৃত নুর কামালের স্ত্রী আছমা খাতুন ( ৫০) ও ছেলে মো. শাহীন (২০)-সহ ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। প্রধান আসামি ইব্রাহীম রুহান তালিমুল কোরআন মডেল মহিলা হেফজ খানার শিক্ষক ও পরিচালক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।মামলার এজাহার সূত্র জানা গেছে, ভিক্টিম আয়েশা সিদ্দীকাকে কোরআন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ১ বছর আগে হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদ্রাসা ও তালিমুল কোরআন মডেল মহিলা হেফজখানায় ভর্তি করা হয়েছিল। মাদ্রাসা ২টি পাশাপাশি হওয়ায় প্রতিদিন সকাল ৮টা হতে দুপুর ১ টা পর্যন্ত উম্মে সালমা মহিলা মাদ্রাসা এবং ১টা হতে পরের দিন সকাল ৮ টা পর্যন্ত তালিমুল কোরআন মডেল মহিলা হেফজখানায় পড়াশোনা করে আসছিলেন আয়শা। কিন্তু মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে আসে সে। ২ দিন বাড়িতে থাকার পর পুনরায় আয়শাকে টমটম করে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য দরগা কবরস্থানের রাস্তায় পৌঁছালে ইব্রাহিম রুহানসহ তার অপরাপর সহযোগিরা টমটম গাড়ি থামিয়ে আয়েশা সিদ্দীকাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও ভিক্টিম উদ্ধার না হওয়ায় দিশেহারা পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, তার সহপাঠীসহ স্বজনরা। তাকে উদ্ধারে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।এ বিষয়ে বিদেশ থেকে ছাত্রীর অভিভাবক আবছার কামাল জানান, যেখানে শিক্ষকরা ছাত্রী বা শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে দেখভাল করবে, সেখানে যদি শিক্ষকরাই অপহরণ করেন; তাহলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের কিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাব। আমি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে অপহরণকারির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।ঘটনার বিষয়ে জানতে মাদ্রাটির পরিচালকের কাছে মুঠোফোন বারবার চেষ্ট করলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. ওসমান গণী জানান, ছাত্রী অপহরণের বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০১:৩০ পিএম
রাঙামাটি প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়ায় রাঙামাটির কাউখালী থেকে উপজাতীয় তিনজনকে অপহরণ করে নিয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। আইনশৃঙ্খল বাহিনীর তৎপরতায় ঘটনার ২ দিন পর তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে তারা।গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বিকেলে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর অস্ত্রধারীরা তিনজনকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বড় আমছড়ি এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করে। অপহৃতরা হলেন ওই এলাকার চাখিয়াই মং মারমা (২২), বাদো মারমা (৩০) ও চিংথোয়াই প্রু মারমা (২৫)। অপহৃতরা সকলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।রাঙামাটি সদর সেনাজোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অপহরণের পরপরই উদ্ধার তৎপরতায় নামে সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন ও কাউখালী সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা। সেনাবাহিনীর তৎপরতায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা ১০ জানুয়ারি বুধবার ভোররাতে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। সকালে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।কাউখালী থানার ওসি রাজীব চন্দ্র কর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নানামুখী তৎপরতার মধ্যে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে এ ঘটনায় অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউই কাউখালী থানায় কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
১০ জানুয়ারী ২০২৪ ০৬:০২ এএম
রাঙামাটি প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়ায় রাঙামাটির কাউখালী থেকে উপজাতীয় তিনজনকে অপহরণ করে নিয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। আইনশৃঙ্খল বাহিনীর তৎপরতায় ঘটনার ২ দিন পর তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে তারা।গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বিকেলে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর অস্ত্রধারীরা তিনজনকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বড় আমছড়ি এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করে। অপহৃতরা হলেন ওই এলাকার চাখিয়াই মং মারমা (২২), বাদো মারমা (৩০) ও চিংথোয়াই প্রু মারমা (২৫)। অপহৃতরা সকলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।রাঙামাটি সদর সেনাজোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অপহরণের পরপরই উদ্ধার তৎপরতায় নামে সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন ও কাউখালী সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা। সেনাবাহিনীর তৎপরতায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা ১০ জানুয়ারি বুধবার ভোররাতে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। সকালে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।কাউখালী থানার ওসি রাজীব চন্দ্র কর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নানামুখী তৎপরতার মধ্যে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে এ ঘটনায় অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউই কাউখালী থানায় কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
১০ জানুয়ারী ২০২৪ ০৬:০২ এএম
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজার টেকনাফে জাহাঙ্গীর আলম (৩৪) নামের এক যুবক অপহৃত হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত জাহাঙ্গীর উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। ১৬ জুলাই রোববার দিবাগত রাতে মিয়ানমার সিমান্তবর্তী লেদা এলাকা থেকে তাকে তুলে নেয় অপহরণকারীরা।অপহৃতের ভাই মো. আলম জানান, রাত ১১ টার দিকে আমার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলমকে একটি নোহা মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা।তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর অপহরণের বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদেরকে ধাওয়া করে স্থানীয়রা। এ সময় দুর্বৃত্তরা অপহৃত জাহাঙ্গীরকে আরেকটি গ্রুপের জিম্মায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকা থেকে স্থানীয়রা ৩ জনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।এ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জোবাইর সৈয়দ জানান, ঘটনার বিষয়ে যথাগথ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৭ জুলাই ২০২৩ ০১:২৮ পিএম