আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কামাল মৃধাকেকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. কামাল মৃধার (৫০) সাথে একই গ্রামের মন্টু মাস্টারের হরিদ্রা বাড়ীয়া গ্রামে ৫৩ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ২২ জুলাই সোমবার বিকেল ৪ টায় মন্টু মাস্টারের ইন্দনে আলী হাওলাদার (৫০) ও মো. জালাল (৫১) বিরোধীদের জমিতে হাল চাষ করতে যায়। এ সময় কামাল মৃধা বাধা দিলে তাকে বাশেঁর লাঠি দিয়ে বেদড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা কামাল মৃধাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।আহত যুবলীগ সভাপতি মো. কামাল মৃধা বলেন, এ জমি নিয়ে মন্টু মাস্টারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে । মন্টু মাস্টার কোন শালিস ব্যবস্থা মানছেন না। গায়ের জোরে জমি ভোগ দখল করতে চাচ্ছেন। সোমবার বিকেলে আমার ভোগদখকৃত জমি জোর করে দখলে নেয়ার জন্য হাল চাষ করতে গেলে আমি বাঁধা দেই। এ সময় আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় মন্টু মাস্টারের লেলিয়ে দেয়া জালাল ও আলী হোসেন। আমি এ হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।এ ঘটনায় মন্টু মাস্টার বলেন, আমার সাব কবলা করা জমিতে আমার লোক জালাল ও আলী হোসেন হাল চাষ করতে গেলে কামাল মৃধা তাদের অন্যায়ভাবে বাঁধা দেয়। এ সময় কামাল মৃধা হামলা চালিয়ে আলী হোসেনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।এ ঘটনায় আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় এখোনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২৪ জুলাই ২০২৩ ০৪:২১ পিএম
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ জুলাই মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া লোদা চাওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কাচা রাস্তার পাশে এ ঘটনা ঘটে।মামলা ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া লোদা গ্রামের মো. বাবুল হাওলাদারের মেয়ে সাবিনা আক্তার ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ঘটনার দিন সাবিনা ও তার বান্ধবী ডিম কেনার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে দোকানে যাওয়ার পথে স্থানীয় বখাটে সাইফুল ইসলাম বাবু (২৬) তাকে কথা আছে বলে ডেকে নেয়। এ সময় সাবিনাকে জোর করে জঙ্গলে টেনে-হেছড়ে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু সাবিন এতে বাধা দিলে ও ডাক চিৎকার করলে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় বাবু। এ সময় সাবিনার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় বাবু। পরে গুরতর আহত অবস্থায় সাবিনাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার বান্ধবীও আহত হয়। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরীন আশ্রাফ বলেন, গত মঙ্গলবারে সাবিনা আক্তারকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের ক্ষত রয়েছে।অভিযোগ আছে, ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার পথে ঘাটে সাবিনাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করেছে বাবু। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাবিনাকে ধর্ষণ চেষ্টা ও তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।এ ঘটনায় নির্যাতিত ঐ গার্মেন্টস কর্মীর বাবা মো. বাবুল হাওলাদার বাদী হয়ে নরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাইফুল ইসলাম বাবু ও মো. হারুন হাওলাদারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।বাবুল হাওলাদার এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, আমর গরীব মানুষ। এর আগেও এলাকাবাসীর কাছে বলেছি কিন্তু সাইফুলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই এ ঘটনায় যেন সুষ্ঠ বিচার করা হয়। আর কোন মেয়ের অবস্থা যেন এমন না হয়।বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. বশির আলম বলেন, মামলার কাগজ এখনো হাতে পাইনি। কাগজ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১০ জুলাই ২০২৩ ০৯:৪০ এএম
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ জুলাই মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া লোদা চাওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কাচা রাস্তার পাশে এ ঘটনা ঘটে।মামলা ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া লোদা গ্রামের মো. বাবুল হাওলাদারের মেয়ে সাবিনা আক্তার ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ঘটনার দিন সাবিনা ও তার বান্ধবী ডিম কেনার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে দোকানে যাওয়ার পথে স্থানীয় বখাটে সাইফুল ইসলাম বাবু (২৬) তাকে কথা আছে বলে ডেকে নেয়। এ সময় সাবিনাকে জোর করে জঙ্গলে টেনে-হেছড়ে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু সাবিন এতে বাধা দিলে ও ডাক চিৎকার করলে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় বাবু। এ সময় সাবিনার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় বাবু। পরে গুরতর আহত অবস্থায় সাবিনাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার বান্ধবীও আহত হয়। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরীন আশ্রাফ বলেন, গত মঙ্গলবারে সাবিনা আক্তারকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের ক্ষত রয়েছে।অভিযোগ আছে, ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার পথে ঘাটে সাবিনাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করেছে বাবু। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাবিনাকে ধর্ষণ চেষ্টা ও তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।এ ঘটনায় নির্যাতিত ঐ গার্মেন্টস কর্মীর বাবা মো. বাবুল হাওলাদার বাদী হয়ে নরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাইফুল ইসলাম বাবু ও মো. হারুন হাওলাদারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।বাবুল হাওলাদার এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, আমর গরীব মানুষ। এর আগেও এলাকাবাসীর কাছে বলেছি কিন্তু সাইফুলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই এ ঘটনায় যেন সুষ্ঠ বিচার করা হয়। আর কোন মেয়ের অবস্থা যেন এমন না হয়।বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. বশির আলম বলেন, মামলার কাগজ এখনো হাতে পাইনি। কাগজ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১০ জুলাই ২০২৩ ০৯:৪০ এএম