নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুত-সম্প্রসারণশীল ভোগ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের সব পণ্যের সমাহার নিয়ে অনলাইন জগতে যাত্রা শুরু করেছে নিজস্ব ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম 'কল্লোলমার্ট.কম'। এর মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন নিজস্ব পণ্য সহজলভ্যে পৌঁছে যাবে।এখন থেকে ই-কমার্স সাইট ‘kallolmart.com’ এর মাধ্যমে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভোক্তারা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসে সহজেই কল্লোল গ্রুপের জেট ডিটারজেন্ট পাউডার, জেট লিকুইড, ফে টিস্যু, ফে এয়ার ফ্রেশনার, ফে কটন বাডস, ফে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মামা নুডলস, নিউট্রি-সি, সিস্টেমা টুথ ব্রাশ, মামা ডিশ ওয়াস, উজালাসহ যেকোনো পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।এছাড়াও ই-কমার্স 'কল্লোল মার্ট'- এর ওয়েব সাইটটি স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার উপযোগী এবং আকর্ষণীয় নানান ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। যাতে ভোক্তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে বাছাই করে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো অর্ডার করতে পারেন। ‘কল্লোল মার্ট’ শুধু নিজস্ব পণ্যের নিশ্চয়তাই দিচ্ছে না, পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্য ও বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে ভোক্তাদের কেনাকাটা উপভোগ্য করে তুলবে।এ প্রসঙ্গে কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, “ভোক্তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে আমাদের নিজস্ব ই-কমার্স সাইট 'কল্লোলমার্ট.কম'। এছাড়াও ভোক্তারা এখন তাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও প্রিয় ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো ‘কল্লোল মার্ট’-এর মাধ্যমে আকর্ষণীয় মূল্যে দ্রুত ও নিরাপদে নিজেদের দোরগোড়ায় পেতে পারবেন।”কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং রিফাত আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের ঘরে ঘরে কল্লোল গ্রুপের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের নিজস্ব ই-কমার্স সাইট ‘kallolmart.com’ এর যাত্রা শুরু। এছাড়াও ‘কল্লোল মার্ট’ ভোক্তাদেরকে নিজস্ব ও প্রকৃত পণ্যের নিশ্চয়তাও দিচ্ছে, যা তাদেরকে গুণগত মান নিশ্চিত করবে। বর্তমানে গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা বিবেচনায় আমরা দেশজুড়ে ফ্রি হোম ডেলিভারির সুবিধা দিচ্ছি এবং পণ্য বুঝে পাওয়ার পরই গ্রাহক মুল্য পরিশোধ করতে পারবেন। খুব শীঘ্রই অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা যুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান”।
২৩ মার্চ ২০২৪ ০৬:৪১ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: চাকরির পেছনে না ছুটে নামমাত্র পুঁজিতে ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তরুণ ই-কমার্স উদ্যোক্তারা। তরুণ উদ্যোক্তাদের এমন সুযোগ করে দিচ্ছে পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী দেশিয় প্রতিষ্ঠান বিলিভার্স সাইন। বিলিভার্স সাইনের অ্যাফিলিয়েট হিসেবে কাজ করে লাখ টাকা ইনকাম করছেন তরুণ উদ্যোক্তারা। সম্প্রতি শীর্ষ তিন অ্যাফিলিয়েটকে মোটরবাইক উপহার দিল বিলিভার্স সাইন।বাংলাদেশের বাজারে ই-কমার্সের পরিধি ক্রমেই বাড়ছে। ডিজিটাল মাধ্যমে কেনাকাটা করার অভ্যাস দিনকে দিন বাড়ছে। সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর এক গবেষণার হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০২২ সাল শেষে ই-কমার্সের বাজারের আকার ছিল ৬৬০ কোটি ডলার। ২০২৬ সাল নাগাদ এই বাজার বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১ হাজার ৫০ কোটি ডলার।দেশে ই-কমার্সের এমন উত্থানের সময়ে ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এনেছে বিলিভার্স সাইন। প্রতিষ্ঠানটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ঠিকঠাকভাবে শুরু করেছে বছরখানেক ধরে। তাতে যুক্ত হয়ে এরই মধ্যে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক তরুণ ই-কমার্স উদ্যোক্তা। মূলত ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের পন্য বিক্রয়ের জন্য অ্যাফিলিয়েট পার্টনার নেয় বিলিভার্স সাইন। এবং পন্য বিক্রয়ের জন্য দেওয়া হয় ভালো মানের কমিশন। এক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট পার্টনারদের কাজটা মূলত অর্ডার বা ক্রয় আদেশ নেওয়া। পন্য তত্বাবধান, প্যাকেজিং, গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোসহ বাকি কাজগুলো করে থাকে বিলিভার্স সাইন। এই প্রক্রিয়ার জন্য খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন নেই বলে সহজেই এতে যুক্ত হতে পারছেন তরুণ উদ্যোক্তারা। এবং পুঁজিও লাগছে নামমাত্র। অ্যাফিলিয়েট পার্টনারদের শুধুমাত্র ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন খরচটাই পূঁজি হিসেবে লাগে। বিলিভার্স সাইনের পক্ষ থেকে অ্যাফিলিয়েট পার্টনারদের নিয়মিত অর্থ পরিশোধ করা হয় বলে অল্প পুঁজিতেই এটা করতে পারছেন তরুণ উদ্যোক্তারা।গত শীতের সিজনে সর্বোচ্চ অর্ডার বা ক্রয় আদেশ এনে দেওয়া তিনজন অ্যাফিলিয়েট পার্টনারকে মোটরবাইক উপহার দিয়েছে বিলিভার্স সাইন। গত ৬ মার্চ রাজধানীর রায়েরবাগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে হয়ে গেল এর পুরস্কার বিতরণ আয়োজন।এর আগে শীর্ষ চার অ্যাফিলিয়েটকে দেওয়া হয় আইফোন উপহার। সামনে রোজা এবং ঈদের মৌসুমকে সামনে রেখে নতুন পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে বিলিভার্স সাইন। আসন্ন রোজা এবং ঈদ মৌসুমে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্ডার ডিসপাস করতে পারলে তাদেরকে উমরাহ করানোর ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।বাইক উপহার অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ফাইয়াজ আল মুহাইমিন বললেন, দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে ব্যবসা ছড়িয়ে দেওয়া তাদের লক্ষ্য। যাতে দেশে বসে বিদেশে ব্যবসায় করতে পারেন দেশিয় তরুণ অ্যাফিলিয়েট পার্টনাররা এবং তাতে বৈদেশিক মুদ্রা আসে দেশে।তিনি বলেন, আমাদের আসল টার্গেট হলো বিশ্বব্যাপী সেল। বাংলাদেশের বাজারে উৎপাদন খরচ থেকে বিক্রয়ের মধ্যে যে ব্যবধান বিদেশের বাজারে কিন্তু এই ব্যবধান অনেক বেশি। অতএব বিদেশের বাজারে গেলে আমাদের লাভের পরিমাণ বাড়ার সুযোগ আছে। বাংলাদেশের বাজারও অনেক বড় নিশ্চিতভাবে। বাংলাদেশের বাজার কাভার করে বিশ্ব বাজারে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। এটা অবশ্যই সময় সাপেক্ষ তবে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সেদিকে এগুতে চাই।প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার আজহারুল ইসলাম হায়াত বলেন, আগামীতে আমাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রামের পরিসর আরও বাড়াবে। পরবর্তীতে শীর্ষ অ্যাফিলিয়েটদের প্রাইভেট কার উপহার দেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।কনটেন ক্রিয়েটর টিমের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ বিন মোমিন বলেন, বিলিভার্স সাইনের এই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামটি দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখছে এটি। এই কাজটি কিন্তু সকলেই করতে পারছেন। কেউ একজন ঘরে বসেই এটা করতে পারছেন। শিক্ষার্থী হোক বা অন্য চাকুরীজীবী হোক বা অন্য কোনো পেশায় যুক্ত থাকুক সকলেই দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় ব্যয় করে এখানে ভালো একটা এমাউন্ট আর্ন করতে পারবেন।বাইক পুরস্কারজয়ী ইসরাফিল হোসেন বলেছেন, দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান অ্যাফিলিয়েট নিচ্ছে। তবে আমি যতদূর জানি বিলিভার্স সাইনের মতো এতো ভালো কমিশন সম্ভবত কেউ দিচ্ছে না। আমি আশা করি, বিলিভার্স সাইন এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
০৯ মার্চ ২০২৪ ১১:৫৭ এএম