হোসনেআরা নূরী নওরীন, একজন সফল নারী উদ্যোক্তা ও অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায়িদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) মেম্বার অ্যাফেয়ার্স স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান। পাশাপাশি তিনি ‘নওরীন’স মিরর’ ও ‘জামদানি এক্সপ্রেস’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। তাঁর সফল হয়ে ওঠার নানা গল্প নিয়ে এশিয়ান টিভি অনলাইনের সাথে কথা হয় এই নারী উদ্যোক্তার। কথোপকথনে ছিলেন নুরুল ইসলাম।প্রশ্ন: কখন ও কীভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার পথ চলা শুরু?হোসনেআরা নূরী নওরীন: ২০১৯ সালে অনলাইন বিজনেস ‘নওরীন’স মিরর’ দিয়ে আমার পথ চলা শুরু হয়। বাংলাদেশের নারী উন্নয়নে, সমাজে নারীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং ঘরে বসে একজন নারী যাতে কাজ করতে পারে, এসব বিষয় চিন্তা-ভাবনা করে আমি শুরু করি অনলাইন বিজনেস নওরীন’স মিরর। কিন্তু এর পর পরই দেখা দেয় বৈশ্বিক মহামারি করোনা। আমি তখন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে কাজ করছিলাম। তাদের মানবসেবা নামে বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে আমি কাজ করেছি। আমি মূলত কাজ করেছি দেশীয় পণ্য জামদানি নিয়ে। দেশীয় পণ্যকে গুণগত মানের দিক থেকে কীভাবে আরও ডেভেলপ করা যায় এবং মানুষের মাঝে সেটা পৌঁছে দেয়া যায়; সেটা নিয়ে কাজ করছি। বিশেষ করে, দেশীয় পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছি।প্রশ্ন: অনুপ্রেরণা কোথায় কীভাবে পেয়েছিলেন?হোসনেআরা নূরী নওরীন: আমি যখন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম, তখন নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করেছি। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। পাশাপাশি আমার পরিবারের পক্ষ থেকেও অনুপ্রেরণা ছিলো।প্রশ্ন: এ পথ চলার গল্পটা বলুন।হোসনেআরা নূরী নওরীন: পথ চলার গল্পটা খুব সহজ ছিলো না। একজন উদ্যোক্তা হওয়া কিন্তু খুব কঠিন একটা কাজ। আমরা শুধু চাইলেই একজন উদ্যোক্তা হতে পারি না। বিশেষ করে, নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টা আরও কঠিন। চলার পথে নানা প্রতিবন্ধকতা এসেছে। সেগুলো মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি।‘নওরীন’স মিরর’-এর পণ্য নিয়ে হোসনেআরা নূরী নওরীনপ্রশ্ন: কী কী প্রতিবন্ধকতা ছিলো সেখানে?হোসনেআরা নূরী নওরীন: অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা এসেছিলো। প্রথম দিকে আমি কীভাবে ব্যবসাটা শুরু করবো, কীভাবে মার্কেটটা ধরবো, কীভাবে কাস্টমারের কাছে যাবো, কোন কোন কাস্টমার আমাদের পণ্য নেবে এবং তাদের কার কি ডিমান্ড; এ ধরনের অনেক বিষয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিলো। যেহেতু আমি একদম অথেন্টিক ওয়েতে বিজনেস শুরু করেছিলাম, আমার ট্রেড লাইসেন্স থেকে শুরু করে, ফেইসবুক পেইজ, ওয়েবসাইটসহ ধারাবাহিকভাবে সব কিছু করেছি; ফলে ধীরে ধীরে সেই প্রতিবন্ধকতা ওভারকাম করতে পেরেছি। আর বিজনেস শুরু করার আগে, আমি আমার প্রয়োজনীয় স্কিলগুলো ডেভেলপ করি এবং বিজনেসের সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে ভালোভাবে এনালাইসিস করেছিলাম। বিজনেসটা আমি কোন ওয়েতে শুরু করবো, কোথায় কোন গ্যাপ আছে, সেগুলো এনালাইসিস করে তারপর শুরু করেছিলাম। হুট করে সিন্ধান্ত নেইনি। এরপরও যখন যে প্রতিবন্ধকতা এসেছে, তখন সেটা মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি অন্য যারা বিজনেস করছে, তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি। বিভিন্ন ট্রেনিং নিয়েছি।প্রশ্ন: স্বপ্ন বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলুন।হোসনেআরা নূরী নওরীন: আমরা কিছুদিন আগে দুবাইতে একটা রোড শো করে এসেছি। জিটেক্সের একটা প্রোগ্রামে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। দুবাইতে রোড শো করার উদ্দেশ্যই ছিলো ক্রস বর্ডারের মাধ্যমে দেশের বাইরে কীভাবে আমরা দেশীয় পণ্যগুলোকে সহজে পৌঁছে দিতে পারি। সেই লক্ষ্যে আমরা দুবাই বিভিন্ন সেমিনার করেছি। ‘নওরীন’স মিরর’-কে একটি ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি। ‘জামদানি এক্সপ্রেস’র মাধ্যমে জামদানি শাড়ি নিয়ে কাজ করছি। আমার ইচ্ছে, দেশীয় এই পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি করতে চাই। ‘নওরীন’স মিরর’ ও ‘জামদানি এক্সপ্রেস’ দেশের পাশাপাশি দেশের বাইরের মানুষও যাতে এক নামে চিনে, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।প্রশ্ন: নতুনদের উঠে আসার ব্যাপারে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়ার আছে বলে মনে করেন?হোসনেআরা নূরী নওরীন: সরকার আমাদের অনেকভাবে সহযোগিতা করছে। যেমন- ট্রেড লাইসেন্স, ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (ডিবিআইডি) নিবন্ধন ইত্যাদি। নিবন্ধিত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে গ্রান্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সরকার চাচ্ছে, নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হোক। এতে বেকারত্ব কমবে। এক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করতে আগ্রহী।‘জামদানি এক্সপ্রেস’র এক প্রদর্শনীতে সহকর্মীদের সাথে উদ্যোক্তাপ্রশ্ন: তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী হবে?হোসনেআরা নূরী নওরীন: তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, আপনারা যে কাজটাই করবেন, একদম বুঝে শুনে দেখে তারপর শুরু করুন। হুট করে কাউকে দেখে কোনো কাজ শুরু করবেন না। একজনের পেইজ দেখে আপনি আপনার মতো করে পেইজ সাজাবেন না। যেহেতু আমাদের ৫ হাজারের উপর ফেইসবুক উদ্যোক্তা আছে এবং তারা ২ হাজারের বেশি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন। তাই একজন আরেকজনেরটা দেখে কখনই এ ধরনের ব্যবসা শুরু করবেন না। আপনি একদম নিজের মতো করে ক্রিয়েটিভ ও ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে যদি বিজনেসটা শুরু করতে পারেন, তাহলে আপনি সাসটেইন করতে পারবেন। এত ব্যবসায়ীর মধ্য কেন আপনার কাছ থেকে কাস্টমার পণ্য কিনবে, সেটা আপনাকে চিন্তা করতে হবে। গতানুগতিক গতিতে চললে আপনি কখনই বিজনেসটা রান করতে পারবেন না এবং ডেভেলপ করতে পারবেন না। এখন প্রতিটা ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতা হচ্ছে।আমরা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আপনারা এসব প্রশিক্ষণে যুক্ত হতে পারেন। প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার যে স্কিলগুলো কম আছে, সেগুলো ডেভেলপ করে আপনি এগিয়ে যেতে পারেন। আপনি যদি মার্কেটিং ভালো বোঝেন, কিন্তু ফাইনেন্সটা ভালো না বোঝেন, তাহলে আপনি বিজনেসটা ভালোভাবে করতে পারবেন না। সুতরাং মাকেটিংটা ভালোভাবে বুঝতে হবে, ফাইনেন্সটাও ভালোভাবে বুঝতে হবে। আমরা আপনাদের ভ্যাট, ট্যাক্স থেকে শুরু করে কীভাবে আপনার পণ্যের মার্কেটিং করবেন; এসব বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ই-ক্যাবের ২৩ হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছে। নতুনরাও এর সাথে যুক্ত হতে পারেন।আরেকটা বিষয়, যেকোনো ব্যবসা শুরু করেই আপনি সাফল্য পাবেন, বিষয়টা সেরকম নয়। একটা কাজ শুরু করে আপনাকে অনেক সাধনা ও পরিশ্রম করতে হবে। সেই সাধনা ও পরিশ্রম যদি আপনি করতে পারেন, তাহলে সাফল্য পাবেন। পাশাপাশি সফলতা আসতে দেরি হলে নিজেকে ছোট বা ব্যর্থ মনে করা যাবে না, লেগে থাকতে হবে। লেগে থাকলে অবশ্যই সফলতা আসবে।নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে ফেইসবুক, ওয়েবসাইট, ট্রেড লাইসেন্সসহ লিগ্যাল ওয়েতে বিজনেস শুরু করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে সাধনা ও পরিশ্রম করলে সফলতা আসবে, ইনশা আল্লাহ।
০৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৪ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের উন্নয়নশীল ই-কমার্স শিল্পের সকল মূল অংশীদারদের উদযাপন করার লক্ষ্যে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) আবারও আয়োজন করছে ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড (ইসিএমএ) ২০২৩। এই অনুষ্ঠানটি আগামী ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।জানা গেছে, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ দেশের মানুষের নতুন স্বপ্ন, যা পূরণের ক্ষেত্রে ই-কমার্স শিল্প একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলোর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এ শিল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে তাড়িত করে। শুধু তাই নয়, জনসাধারণের জীবনযাপনের মানেও আনে উন্নতির ছোঁয়া। ই-কমার্স সেক্টরের মার্কেট প্লেয়ারদের এই অসাধারণ অবদানকে সম্মানিত করা এবং স্বীকৃতি দেওয়াই ইসিএমএ অ্যাওয়ার্ডস-এর মূল লক্ষ্য।এতে মোট ২৭টি নমিনেশন ক্যাটাগরি রয়েছে। এর মাঝে থাকছে সেরা ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস, সেরা পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম, সেরা লজিস্টিকস ই-কমার্সের জন্য, সেরা ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম, সেরা এমএফএস প্লাটফর্ম, সেরা পেমেন্ট গেট আওয়ে-সহ আরও অনেক, যা ইন্ডাস্ট্রির পরিধির বহুদিককেই উপস্থাপন করে।এ আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সম্মানিত অতিথি হিসেবে এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।ব্যবসার ক্ষমতায়নের জন্য, ই-ক্যাব এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে ই-কমার্স সেক্টরে একটি ইতিবাচক পরিবেশ প্রচার করতে চায়। এরই সাথে ইসিএমএ অ্যাওয়ার্ডস-এর মত সম্মানজনক স্বীকৃতি ই-কমার্স ইকোসিস্টেমকে সহজতর করতেও সাহায্য করে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
০৭ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৫৩ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলো দেশের অন্যতম সেরা আয়ুর্বেদিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এ্যান্টিক ফার্মাসিউটিক্যালস্ (আয়ুর্বেদিক)। এই চুক্তির মাধ্যমে ই-ক্যাব সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এ্যান্টিক ফার্মার সকল পণ্যের উপর বিশেষ সুবিধা লাভ করবে। পাশাপাশি বিনামূল্যে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে আয়ুর্বেদিক টেলিমেডিসিন সেবা নিতে পারবে।চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ্যান্টিক ফার্মাসিউটিক্যালস্ (আয়ুর্বেদিক)-এর স্বত্বাধিকারী ও সিইও সানিয়াত হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানের আইটি ডিপার্টমেন্টের প্রধান মো. নাদিম মাহমুদ। ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মেম্বার অ্যাফেয়ার্স স্ট্যান্ডিং কমিটি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মামুন এবং ই-ক্যাবের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।এ প্রসঙ্গে এ্যান্টিক ফার্মাসিউটিক্যালসের স্বত্বাধিকারী সানিয়াত হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের আয়ুর্বেদিক ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনলাইনে আয়ুর্বেদিক টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে এ্যান্টিক ফার্মাসিউটিক্যালস্ (আয়ুর্বেদিক)। আমরা ই-ক্যাবের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অনলাইনে এ সেবা প্রদান করছি। ৪ জন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ (কবিরাজ) ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদান করে চলছেন। কোম্পানির হটলাইন নাম্বারে কল করে এ সেবাটি সকলেই নিতে পারবে একদম বিনামূল্যে।
১৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৩:৩৯ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রযুক্তি সংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবার আগে এবং প্রথম সদস্যদের জন্য স্মার্ট কার্ড দিতে যাচ্ছে ই-ক্যাব। ১ আগস্ট মঙ্গলবার ই-ক্যাবের বনানীস্থ অফিসে ই-ক্যাব ও সিঙ্গারের মধ্যে এই বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল এবং সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর চন্দনা সমর সিংহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। স্মার্ট কার্ড ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, প্রোডাকশন থেকে শুরু করে বিনামূল্যে বিতরণ করতে ই-ক্যাবের সঙ্গে স্পন্সর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সংগঠনের অন্যতম সদস্য সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। কার্ডটিতে একটি নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) চিপ রয়েছে। তাই এটি ট্যাপ করা হলে প্রাপক তার স্মার্টফোনে আপনার সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় তথ্য দেখতে পাবেন। লিংক কার্ডটি দেখতে হবে একটি সাধারণ মুদ্রিত ভিজিটিং কার্ডের মতো। কিন্তু এতে ভিজিটিং কার্ডের চেয়েও বেশি তথ্য মিলবে। এছাড়াও সদস্যদের জন্য কেনাকাটার ডিসকাউন্ট কার্ডের সুবিধাও মিলবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন, ই-ক্যাব অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ ও মেম্বার অ্যাফেয়ার্স স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মামুন এবং সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফ মার্কেটিং কমিউনিকেশন বেদৌরা ফারহানা ও হেড অফ ই-বিজনেস আবুবকর রাহিল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মোঃ শাহাদাত হোসেন ও শাখাওয়াত হোসাইন শুভ।
০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৬:১৯ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন অগ্রযাত্রার এক বছর পূর্ণ করলো ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। ১৯ জুন সোমবার রাতে রাজধানীর বনানীতে সংগঠনের অফিসে কেক কেটে ২০২২-২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির এক বছর পূর্তি উদযাপন করলো ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের এই বাণিজ্যিক সংগঠনটি।ই-ক্যাবের সাধারণ সদস্য, বিভিন্ন উপকমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ ও কার্যনির্বাহী সদস্যদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে ই-ক্যাব কার্যালয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও বিগত এক বছরের নানাবিধ অর্জনকে তুলে ধরা হয়।আলোচকদের আলোচনার মাধ্যমে বিগত ১ বছরের যেসব অর্জনের কথা উঠে আসে সেগুলো ছিল- প্রতিশ্রুতি মোতাবেক নতুন ও স্বতন্ত্র কার্যালয় চালু করা, ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য বৈদেশিক ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১০ হাজার ডলারের লেনদেন সীমা সম্বলিত কার্ড অবমূক্ত করা। নারী উদ্যোক্তাদের ফ্রি ও বিশেষ প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করা, শরিয়তপুর ও ফেনীতে মডেল ই-কমার্স ভিলেজ হিসেবে ডিজিটাল পল্লী বাস্তবায়ন, ২০২২ সালে তৃতীয়বারের মতো ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরষ্কার অর্জন, ই-ক্যাবের সদস্যদের জন্য ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু, ২০% ছাড়ে অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ই-ক্যাবের সদস্যদের জন্য বিষয়ভিত্তিক ফ্রি ওয়ার্কশপ চালু, ই-ক্যাবের যেসকল নারী উদ্যোক্তা ‘স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা’ গ্রান্টের জন্য আবেদন করেছে তাদের সকলকে সরকারী তহবিল থেকে ফান্ড পাওয়ার ব্যবস্থা করা, স্টার্ট আপদের জন্য গ্রুমিং সেশন চালু করা, ই-বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার চালু করা।ডিবি আইডি সহজীকরণ করা, সেন্টাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট প্লাটফর্ম চালু করায় সরকারকে সহযোগিতা করা, প্রস্তাবিত ডিজিটাল কমার্স আইনের আপত্তিকর ধারাসমূহ অপসারণ করতে কাজ করা। ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসের সংজ্ঞার ক্ষেত্রে সরকারি স্বীকৃতি আদায় করা।এছাড়া বিগত এক বছরে ২৫ টি ইসি মিটিং, ৫০টির বেশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ আয়োজন, তাতে ১ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারীকে সেবা দেয়াসহ নানাবিধ কাজ করা হয়।ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি শমী কায়সার। অনুষ্ঠানে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক নাছিমা আক্তার নিশা, অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ, পরিচালক সাঈদুর রহমান সাঈদ, সৈয়দা আম্বারিন রেজা, শাহরিয়ার হাসান, মোঃ ইলমুল হক সজীব, খন্দকার তাসফিন আলম, অর্ণব মোস্তফা বক্তব্য রাখেন। তারা সকল সদস্যদের তাদেরকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং কার্যক্রমগুলো তুলে ধরেন। বক্তারা জানান, বিগত ১ বছর ই-ক্যাব ক্রস বর্ডার ই-কমার্স পলিসিসহ বেশকিছু পলিসি উন্নয়নে সরকারের সাথে কাজ করছে।এছাড়াও ৩৩টি স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিরাও তাদের এক বছরের অর্জন তুলে ধরেন।পাশাপাশি ই-ক্যাব সদস্য বিগ ২০২৩ এ কোটি টাকার চ্যাম্পিয়ন ফেব্রিক লাগবে সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল ইসলাম, গ্র্যান্ট বিজয়ী বাজার ৩৬০ এর উদ্যোক্তা অ্যালেক্স এবং ই-পল্লী সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুনায়েদ আহমেদ বক্তব্য রাখেন। ২০২২ সালে ১৮ জুন ই-ক্যাবের প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্তমানে ই-ক্যাবের সদস্য সংখ্যা ২ হাজারের বেশি।
২০ জুন ২০২৩ ১২:৪১ পিএম