সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে আবারও এমএজি ওসমানী মেডিক্যালে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনলাইনে ছড়িয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেছে।৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার সিলেট কোতোয়াল মডেল থানায় এ ডায়েরি করেন সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মামুনুর রশিদ।জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার লোগো ব্যবহার করে অনলাইনে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের নাম, অধ্যক্ষের নাম ও স্বাক্ষর উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকারীকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেডিকেল কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানাচ্ছে।জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নামে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক পত্রিকার লোগো যুক্ত করা দেওয়া হয়েছিল। এবারও একই কায়দা এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের নামে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছড়ানো হয়েছে।এর আগে গত নভেম্বরে ফেসবুকে ‘সিলেট জবস’ নামের একটি গ্রুপে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর জিডি করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৫:২৪ এএম
সিলেট প্রতিনিধি: রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসক ও নার্স কক্ষে রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।২১ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।আটকরা হলেন, মহানগরের মোগলাবাজার থানার কুচাই নোয়াগাওয়ের শাহাব উদ্দিনে ছেলে জুবেল আহমদ (২৭), তার সহোদর জুয়েল আহমদ (২৩) ও সাবেল আহমদ (২১) এবং তাদের চাচা একই গ্রামের বাতির আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (৫৪)।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কুচাই শ্রীরামপুর নোয়াগাঁওয়ে বাতির আলীর ছেলে শাহাব উদ্দিনকে (৪০) মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৯ নম্বর শয্যায় ভর্তি করা হয়। বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনা নিয়ে রোগীর স্বজনরা ওই ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের ডিউটি রুমে ভাঙচুর করেন। সে সময় ওষুধসহ ফার্নিচার ফ্লোরে ফেলে দেওয়া হয়। রোগীর স্বজনদের আক্রমণের মুখে চিকিৎসক ও নার্সরা ওই ওয়ার্ড ছেড়ে চলে যান। পরে অন্য ইন্টার্ন চিকিৎসক ও স্টাফরা এসে রোগীর চার স্বজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। নিহতের ছেলে রুবেল আহমদ বলেন, আমি তখন ওষুধ আনতে হাসপাতালের নিচে যাই। এসে দেখতে পাই বাবা মারা গেছেন। তখন চাচাতো ভাইদের পুলিশ আটক করতে দেখেন।তার চাচা ও চাচাতো ভাইদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আমার বাবার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসককে ডাকতে যান। কিন্তু চিকিৎসক অবহেলা করেছেন, তাদের কাকুতি-মিনতি শুনেও পাত্তা দেননি। এরইমধ্যে তার বাবা মারা গেলে চাচাতো ভাই উত্তেজিত হলে চিকিৎসকরা ধরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন।এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ সব সময়ই বেশি থাকে। যে কারণে ডিউটি ডাক্তাররা দম ফেলার সময় পান না। অনেক সময় একসঙ্গে পাঁচজনও ডাক দেন। এ অবস্থায় মারা যাওয়া রোগীর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করেছেন। তখন আতঙ্কিত হয়ে চিকিৎসক ও নার্সরা ওয়ার্ড থেকে চলে যান।তিনি বলেন, এ ঘটনায় হামলাকারী চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ধর্মঘট প্রত্যাহারের চেষ্টা চলছে।
২২ আগস্ট ২০২৩ ১২:২৫ পিএম
সিলেট প্রতিনিধি: রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসক ও নার্স কক্ষে রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।২১ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।আটকরা হলেন, মহানগরের মোগলাবাজার থানার কুচাই নোয়াগাওয়ের শাহাব উদ্দিনে ছেলে জুবেল আহমদ (২৭), তার সহোদর জুয়েল আহমদ (২৩) ও সাবেল আহমদ (২১) এবং তাদের চাচা একই গ্রামের বাতির আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (৫৪)।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কুচাই শ্রীরামপুর নোয়াগাঁওয়ে বাতির আলীর ছেলে শাহাব উদ্দিনকে (৪০) মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৯ নম্বর শয্যায় ভর্তি করা হয়। বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনা নিয়ে রোগীর স্বজনরা ওই ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের ডিউটি রুমে ভাঙচুর করেন। সে সময় ওষুধসহ ফার্নিচার ফ্লোরে ফেলে দেওয়া হয়। রোগীর স্বজনদের আক্রমণের মুখে চিকিৎসক ও নার্সরা ওই ওয়ার্ড ছেড়ে চলে যান। পরে অন্য ইন্টার্ন চিকিৎসক ও স্টাফরা এসে রোগীর চার স্বজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। নিহতের ছেলে রুবেল আহমদ বলেন, আমি তখন ওষুধ আনতে হাসপাতালের নিচে যাই। এসে দেখতে পাই বাবা মারা গেছেন। তখন চাচাতো ভাইদের পুলিশ আটক করতে দেখেন।তার চাচা ও চাচাতো ভাইদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আমার বাবার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসককে ডাকতে যান। কিন্তু চিকিৎসক অবহেলা করেছেন, তাদের কাকুতি-মিনতি শুনেও পাত্তা দেননি। এরইমধ্যে তার বাবা মারা গেলে চাচাতো ভাই উত্তেজিত হলে চিকিৎসকরা ধরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন।এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ সব সময়ই বেশি থাকে। যে কারণে ডিউটি ডাক্তাররা দম ফেলার সময় পান না। অনেক সময় একসঙ্গে পাঁচজনও ডাক দেন। এ অবস্থায় মারা যাওয়া রোগীর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করেছেন। তখন আতঙ্কিত হয়ে চিকিৎসক ও নার্সরা ওয়ার্ড থেকে চলে যান।তিনি বলেন, এ ঘটনায় হামলাকারী চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ধর্মঘট প্রত্যাহারের চেষ্টা চলছে।
২২ আগস্ট ২০২৩ ১২:২৫ পিএম
সিলেট প্রতিনিধি: ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগ, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্যোগে বিশ্ব হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ চত্বরে হাসপাতাল প্রশাসন, কলেজ প্রশাসন, নাক-কান-গলা বিভাগের সকল চিকিৎসক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক মণ্ডলী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক র্যালির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের কার্যক্রম শুরু হয়।র্যালি শেষে ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ লিটুর সভাপতিত্বে কলেজের মেডিকেল এডুকেশন ইউনিটে সায়েন্টিফিক সেমিনার এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে নাক-কান-গলা বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী তথ্য-উপাত্ত ভিত্তিক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে দেখা যায় ২০২২ সালে করা অস্ত্রোপচার হওয়া রোগীদের মধ্যে ২৭ শতাংশ ছিল নাক-কান-গলার বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী। সচেতনতার অভাবে ৬৩ শতাংশ রোগী হাসপাতালে আসেন এডভান্সড স্টেজে অর্থাৎ ক্যান্সারের শেষ ধাপে।আবাসিক চিকিৎসক ডা. বিজন সেনের উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শিশির রঞ্জন চক্তবর্তী। তিনি বলেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার জন্য এ ধরনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সিলেট অঞ্চলে ক্যান্সার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মরণঘাতি এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ধূমপানের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। সিলেটের নাক-কান-গলার ক্যান্সার সার্জারির চলমান কার্যক্রমকে সমন্বিতভাবে আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য আহ্বান করে তিনি বলেন, এজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূইয়া নাক-কান-গলা বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এসময় তিনি বলেন, ক্যান্সার একটি জটিল রোগ, এজন্য মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচ নিতে হবে। বোর্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, তাই টিউমার বোর্ডের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।সভাপতির বক্তব্যে ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ লিটু বলেন, হেড নেক একটি জটিল ব্যাপার। এর সাথে মানুষের নাক, কান ও গলার বিষয়টি জড়িত। জড়িত মানুষের কথা বলা, মানুষের খাবার-দাবার এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসও।তিনি বলেন, নাক-কান-গলার ক্যান্সারের মধ্যে ৭৫ শতাংশই তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের কারণে হয়। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য যেমন- কাঁচা তামাক, জর্দা, মুখের ভিতরে পান পাতা রেখে দেয়া এবং অতিরিক্ত সুপারি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে এবং মুখের ভিতর পরিষ্কার রাখতে হবে। ধূমপানের সাথে অ্যালকোহল বা মদ্যপানের অভ্যাস নাক-কান-গলার ক্যান্সারের সম্ভাবনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। হিউম্যান প্যাপিলমা ভাইরাস নামক এক ধরনের ভাইরাসের কারণেও হতে পারে মুখের ভিতরে ক্যান্সার । কিছু দেশে এর ভ্যাকসিন চালু হয়েছে। ওসমানী মেডিক্যালের নাক-কান-গলা বিভাগে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত নাক-কান-গলার ক্যান্সার সার্জারি হচ্ছে, তবে সমগ্র বিভাগের চাপ সামলানোর জন্য অপারেশনের নির্ধারিত দিন আরও বাড়ানোর প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।তিনি আরও বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত ৪১ জন জন্ম বধির শিশুর অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে সিওমেক নাক-কান-গলা বিভাগ।আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কলেজের শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ মুকুল, নাক -কান-গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূরুল হুদা নাঈম এবং আবাসিক সার্জন ডা. এম নূরুল ইসলাম।
২৭ জুলাই ২০২৩ ০১:১৬ পিএম