বিপ্লব তালুকদার, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির সামাজিক উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান অরুণালোক থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ দিকে খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে রওনা করি। উদ্দেশ্য কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাত্রা। সকাল হতে না হতেই কক্সবাজার শহরে এসে পৌঁছালাম। এই ট্যুরে দায়িত্ব ছিলেন সুমন আর্চায্য,পরিমল দেবনাথ, সোমেন সরকার ও বিমল দেবনাথসহ আরও অনেকেই। আর আমাদের এই যাত্রা পথে সঙ্গী হয়েছিলেন ৭০ থেকে ৮০জন।এইবার যেতে হবে জাহাজঘাটে। যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন টমটম গাড়ি। পরিমল তার সঙ্গীদের নিয়ে শীতের সকালে টমটম গাড়ি সংগ্রহ করলেন। সবাইকে নিয়ে রওনা দেওয়া হলো। প্রায় ১ ঘন্টা সময় নিয়ে এসে দেখি জাহাজঘাটে মানুষের দীর্ঘ লাইন। জাহাজঘাটে এসে যে যারযার মতো করে নাস্তা করে নিলেন। উদ্দেশ্য কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাত্রা। ঘড়ির কাটায় সকাল ৯ টায় ছেড়ে দেয় লঞ্চ। এরপর শুরু হয় কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজে সমুদ্র ভ্রমণের আনন্দময় যাত্রা।আমরা ইনানী থেকে লঞ্চে চড়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পৌঁছলাম। এটি আমার দ্বিতীয় ভ্রমণ, আবার অনেকেই প্রথম লঞ্চ ভ্রমণ। উত্তেজনা বেশ ছিল। সিট ভাড়া করলেও বসে থাকেনি কেউ। দেখেছে কেবল দু’পাশের নীল জল, নাফ নদী আর নদীর ওপারে মিয়ানমারের আরাকান।সেদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো, দ্বীপে হাঁটাহাঁটি আর সূর্যাস্ত দর্শন। ছেঁড়া দ্বীপ যদিও সেন্ট মার্টিন দ্বীপেরই একটি অংশ। নৌকায় করে যেতে সময় লাগে ঘণ্টা দুয়েক। মাত্র ৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই দ্বীপে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানায় জমি কেনা, এমনকি কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ আইনত নিষিদ্ধ। গাঢ় নীলের মাঝখানে প্রবাল, কাঁকড়া আর কেয়াবনে জড়ানো ছেঁড়া দ্বীপ আমাদের ধরে রাখল গোধূলি অবধি।দ্বিতীয় দিন দুপুর পর্যন্ত সময়টা কেবল সেন্ট মার্টিনকে নানান আঙ্গিকে দেখার পালা। প্রায় ৫০০০ বছর আগে টেকনাফের মূল ভূমির অংশ ছিল জায়গাটি। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি সমুদ্রের নিচে চলে যায়। এরপর প্রায় ৪৫০ বছর আগে বর্তমান সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পাড়া জেগে উঠে। এর ১০০ বছর উত্তর পাড়া এবং পরবর্তী ১০০ বছরের মধ্যে বাকি অংশ জেগে উঠে।এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ২৫০ বছর আগে আরব বণিকদের নজরে আসে এ দ্বীপটি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাথে বাণিজ্যের সময় আরব বণিকরা এ দ্বীপটিতে বিশ্রাম নিতো। তখন তারা এ দ্বীপের নামকরণ করেছিল 'জাজিরা'। পরবর্তীতে যেটি নারিকেল জিঞ্জিরা নামে পরিচিত হয়। বর্তমানে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রায় দেড় লাখ নারকেল গাছ আছে। এখানকার বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এ অঞ্চলের অধিবাসী নয়।শেষ দিন। খুব ভোরে সবাই ওঠে পড়ল। খালি পায়ে বালিতে কেউ হাঁটছে দল বেঁধে । কেউ নেমেছে ভাড়া করা সাইকেল নিয়ে। কোথাও আমাদের নামতে হয়েছিল বালি দেখে, কোথাও থামতে হয়েছিল পাথর দেখে। ছবি তুলতে পুরো দ্বীপ চক্কর দেয়ার লোভ সামলাতে হয়েছে অনিচ্ছায় আর সময়ের অভাবে।আরেক দফা স্নান আর যৌথ ছবি তোলার হুল্লোড় বয়ে গেল দুপুর অবধি। এখনি ফিরতে হবে। এই বার্তায় লাঞ্চের পর কেউ মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে বসে থাকলো হোটেল লাউঞ্জে, কেউ ঝটপট সেরে নিল কেনাকাটা। কর্ণফুলী করে যখন ফিরছি কক্সবাজার, শ্রান্তিতে সবার চোখ তখন ঘুমে ঢুলু ঢুলু। তবু শেষ দেখা থেকে বঞ্চিত হবে ভেবে কেউ বসে রইল না। জলের পাশে দাঁড়িয়ে দেখল কেবল সবাই জলের নাচন।শেষ পর্যন্ত এসে পৌঁছালাম কক্সবাজার। লঞ্চ থেকে নেমে টমটম গাড়িতে উঠে পরলাম হোটেলের উদ্দেশে রওনা করি। হোটেল আগে থেকেই থাকার জন্য রুম বুকিং দিয়ে রাখা হয়েছিল। গাড়ি থেকে নেমে আমরা শহরের পাশে হোটেল গ্যালাক্সিতে সবাই উঠে একটু বিশ্রাম নিলাম ।কক্সবাজার ট্যুর ঘিরে সবার মধ্যে ছিল উদ্দীপনা। ৩ দিনব্যাপী এ ভ্রমণযাত্রায় গন্তব্য ছিল সুগন্ধা সৈকত, লাবণী পয়েন্ট, ফিশ ওয়ার্ল্ড, ইনানী সৈকত, পাটুয়ারটেক ও হিমছড়ি। ঘোরাঘুরি, ছবি তোলা, খাওয়াদাওয়া, আড্ডা ও গানের মধ্য দিয়ে রঙিন সময়গুলো অতিবাহিত হয় আমাদের । রোদের মধ্যে সমুদ্রের নীল জলরাশি ঘিরে প্রাণোচ্ছল হয়ে ওঠে সকলে।হোটেলে প্রবেশের পর আমরা বিশ্রাম নিয়ে হোটেলের পাশের রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তা করি। এরপর আবার হোটেলে ফিরে গিয়ে সৈকতে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ি। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের গিয়ে সবাই উচ্ছ্বাস-আনন্দ নিয়ে সমুদ্রের নীল জলরাশির ঢেউয়ের সঙ্গে নিজেদের সোনালী সময়কে ছবিবন্দী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সমুদ্রের জলরাশি আমাদের মনকে সতেজ ও প্রাণবন্ত করে তোলে। দুপুরে আমরা হোটেলে ফিরে যাই এবং ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খাই। এরপর বিকেলে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডে যাই।ফিশ ওয়ার্ল্ডে সামুদ্রিক মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণীদের বৈচিত্র্য যেন আমাদের সমুদ্রযাত্রাকে ভিন্নতা দেয়। ফিশ ওয়ার্ল্ড থেকে বেরিয়ে আমরা কক্সবাজারের জনপ্রিয় বার্মিজ মার্কেটে যাই। মার্কেট থেকে ঘোরাঘুরি, খাওয়াদাওয়া ও কেনাকাটা করি। এর পরে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির মধ্যে সুগন্ধা পয়েন্টের কাছেই একটি রেস্তোরাঁতে রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে ফিরে যাই। আমাদের এ আনন্দভ্রমণের সঙ্গী ছিল অরুণালোকের সদস্য বিমল, সুমন, প্রভাত, পরিমল, সোমেন, উৎপল,রুপ কুমার ,সুমন, সজল ,সবুজসহ নাম না জানা আরও অসংখ্য সদস্য। উল্লেখ্য, ট্যুর শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি। আর ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে খাগড়াছড়িতে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হয় ট্যুর। স্মৃতিময় দিনগুলোর ঘটে ইতি।
২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৮:৫৮ এএম
বিপ্লব তালুকদার, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির সামাজিক উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান অরুণালোক থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ দিকে খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে রওনা করি। উদ্দেশ্য কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাত্রা। সকাল হতে না হতেই কক্সবাজার শহরে এসে পৌঁছালাম। এই ট্যুরে দায়িত্ব ছিলেন সুমন আর্চায্য,পরিমল দেবনাথ, সোমেন সরকার ও বিমল দেবনাথসহ আরও অনেকেই। আর আমাদের এই যাত্রা পথে সঙ্গী হয়েছিলেন ৭০ থেকে ৮০জন।এইবার যেতে হবে জাহাজঘাটে। যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন টমটম গাড়ি। পরিমল তার সঙ্গীদের নিয়ে শীতের সকালে টমটম গাড়ি সংগ্রহ করলেন। সবাইকে নিয়ে রওনা দেওয়া হলো। প্রায় ১ ঘন্টা সময় নিয়ে এসে দেখি জাহাজঘাটে মানুষের দীর্ঘ লাইন। জাহাজঘাটে এসে যে যারযার মতো করে নাস্তা করে নিলেন। উদ্দেশ্য কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাত্রা। ঘড়ির কাটায় সকাল ৯ টায় ছেড়ে দেয় লঞ্চ। এরপর শুরু হয় কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজে সমুদ্র ভ্রমণের আনন্দময় যাত্রা।আমরা ইনানী থেকে লঞ্চে চড়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পৌঁছলাম। এটি আমার দ্বিতীয় ভ্রমণ, আবার অনেকেই প্রথম লঞ্চ ভ্রমণ। উত্তেজনা বেশ ছিল। সিট ভাড়া করলেও বসে থাকেনি কেউ। দেখেছে কেবল দু’পাশের নীল জল, নাফ নদী আর নদীর ওপারে মিয়ানমারের আরাকান।সেদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো, দ্বীপে হাঁটাহাঁটি আর সূর্যাস্ত দর্শন। ছেঁড়া দ্বীপ যদিও সেন্ট মার্টিন দ্বীপেরই একটি অংশ। নৌকায় করে যেতে সময় লাগে ঘণ্টা দুয়েক। মাত্র ৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই দ্বীপে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানায় জমি কেনা, এমনকি কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ আইনত নিষিদ্ধ। গাঢ় নীলের মাঝখানে প্রবাল, কাঁকড়া আর কেয়াবনে জড়ানো ছেঁড়া দ্বীপ আমাদের ধরে রাখল গোধূলি অবধি।দ্বিতীয় দিন দুপুর পর্যন্ত সময়টা কেবল সেন্ট মার্টিনকে নানান আঙ্গিকে দেখার পালা। প্রায় ৫০০০ বছর আগে টেকনাফের মূল ভূমির অংশ ছিল জায়গাটি। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি সমুদ্রের নিচে চলে যায়। এরপর প্রায় ৪৫০ বছর আগে বর্তমান সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পাড়া জেগে উঠে। এর ১০০ বছর উত্তর পাড়া এবং পরবর্তী ১০০ বছরের মধ্যে বাকি অংশ জেগে উঠে।এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ২৫০ বছর আগে আরব বণিকদের নজরে আসে এ দ্বীপটি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাথে বাণিজ্যের সময় আরব বণিকরা এ দ্বীপটিতে বিশ্রাম নিতো। তখন তারা এ দ্বীপের নামকরণ করেছিল 'জাজিরা'। পরবর্তীতে যেটি নারিকেল জিঞ্জিরা নামে পরিচিত হয়। বর্তমানে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রায় দেড় লাখ নারকেল গাছ আছে। এখানকার বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এ অঞ্চলের অধিবাসী নয়।শেষ দিন। খুব ভোরে সবাই ওঠে পড়ল। খালি পায়ে বালিতে কেউ হাঁটছে দল বেঁধে । কেউ নেমেছে ভাড়া করা সাইকেল নিয়ে। কোথাও আমাদের নামতে হয়েছিল বালি দেখে, কোথাও থামতে হয়েছিল পাথর দেখে। ছবি তুলতে পুরো দ্বীপ চক্কর দেয়ার লোভ সামলাতে হয়েছে অনিচ্ছায় আর সময়ের অভাবে।আরেক দফা স্নান আর যৌথ ছবি তোলার হুল্লোড় বয়ে গেল দুপুর অবধি। এখনি ফিরতে হবে। এই বার্তায় লাঞ্চের পর কেউ মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে বসে থাকলো হোটেল লাউঞ্জে, কেউ ঝটপট সেরে নিল কেনাকাটা। কর্ণফুলী করে যখন ফিরছি কক্সবাজার, শ্রান্তিতে সবার চোখ তখন ঘুমে ঢুলু ঢুলু। তবু শেষ দেখা থেকে বঞ্চিত হবে ভেবে কেউ বসে রইল না। জলের পাশে দাঁড়িয়ে দেখল কেবল সবাই জলের নাচন।শেষ পর্যন্ত এসে পৌঁছালাম কক্সবাজার। লঞ্চ থেকে নেমে টমটম গাড়িতে উঠে পরলাম হোটেলের উদ্দেশে রওনা করি। হোটেল আগে থেকেই থাকার জন্য রুম বুকিং দিয়ে রাখা হয়েছিল। গাড়ি থেকে নেমে আমরা শহরের পাশে হোটেল গ্যালাক্সিতে সবাই উঠে একটু বিশ্রাম নিলাম ।কক্সবাজার ট্যুর ঘিরে সবার মধ্যে ছিল উদ্দীপনা। ৩ দিনব্যাপী এ ভ্রমণযাত্রায় গন্তব্য ছিল সুগন্ধা সৈকত, লাবণী পয়েন্ট, ফিশ ওয়ার্ল্ড, ইনানী সৈকত, পাটুয়ারটেক ও হিমছড়ি। ঘোরাঘুরি, ছবি তোলা, খাওয়াদাওয়া, আড্ডা ও গানের মধ্য দিয়ে রঙিন সময়গুলো অতিবাহিত হয় আমাদের । রোদের মধ্যে সমুদ্রের নীল জলরাশি ঘিরে প্রাণোচ্ছল হয়ে ওঠে সকলে।হোটেলে প্রবেশের পর আমরা বিশ্রাম নিয়ে হোটেলের পাশের রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তা করি। এরপর আবার হোটেলে ফিরে গিয়ে সৈকতে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ি। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের গিয়ে সবাই উচ্ছ্বাস-আনন্দ নিয়ে সমুদ্রের নীল জলরাশির ঢেউয়ের সঙ্গে নিজেদের সোনালী সময়কে ছবিবন্দী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সমুদ্রের জলরাশি আমাদের মনকে সতেজ ও প্রাণবন্ত করে তোলে। দুপুরে আমরা হোটেলে ফিরে যাই এবং ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খাই। এরপর বিকেলে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডে যাই।ফিশ ওয়ার্ল্ডে সামুদ্রিক মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণীদের বৈচিত্র্য যেন আমাদের সমুদ্রযাত্রাকে ভিন্নতা দেয়। ফিশ ওয়ার্ল্ড থেকে বেরিয়ে আমরা কক্সবাজারের জনপ্রিয় বার্মিজ মার্কেটে যাই। মার্কেট থেকে ঘোরাঘুরি, খাওয়াদাওয়া ও কেনাকাটা করি। এর পরে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির মধ্যে সুগন্ধা পয়েন্টের কাছেই একটি রেস্তোরাঁতে রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে ফিরে যাই। আমাদের এ আনন্দভ্রমণের সঙ্গী ছিল অরুণালোকের সদস্য বিমল, সুমন, প্রভাত, পরিমল, সোমেন, উৎপল,রুপ কুমার ,সুমন, সজল ,সবুজসহ নাম না জানা আরও অসংখ্য সদস্য। উল্লেখ্য, ট্যুর শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি। আর ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে খাগড়াছড়িতে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হয় ট্যুর। স্মৃতিময় দিনগুলোর ঘটে ইতি।
২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৮:৫৮ এএম
কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে পর্যটকদের থেকে অর্থ-কড়ি, মোবাইল ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে চিহ্নিত ১২ জন ডাকাতকে আটক করেছে র্যাব।২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতে সৈকতের হোটেল সীগালস্স ঝাউবাগানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সর্বমোট ২টি ধারালো কিরিচ, ১টি রামদা, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি লোহার পাত, ৫টি টিপ চাকু, ২টি টর্চ লাইট, ৪টি লুণ্ঠিত হাতঘড়ি, একটি ইয়ামাহা বাইক, ৪টি এন্ড্রয়েট ও ২টি বাটন ফোন, ৬টি সিম কার্ড এবং নগদ ১ হাজার ১শ টাকা উদ্ধার করা হয়।র্যাব জানায়, এই চক্রটি কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের থেকে সুযোগ বুঝে ছিনতাই ও ডাকাতি করে। এবারও পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ-কড়ি, মোবাইল ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই - ডাকাতি করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে এমন গোপন সংবাদ পায় র্যাব। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান সনাক্ত করে তাদের আটক করা হয়।আটকদের বরাত দিয়ে র্যাব আরও জানায়, চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও বিভিন্ন মালামাল ছিনতাই ও ডাকাতি করে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বীচের কিছু ব্যবসায়ী এসব ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের সেল্টার দেয় এবং পোষে বলে অভিযোগ অনেকের।আটকরা হলেন, জেলার সদর থানার ঘোনার পাড়া গ্রামের মৃত নুর আলীর ছেলে মো. আলী আকবর প্রকাশ আলী (২২)। জেলার সদর থানার দরিয়ানগর গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে মো. সোহেল (২০)। জেলার সদর থানার ঝিলংজা ইউনিয়নের মো. সালামের পুত্র মো. সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সাইফুল (১৯)। সদর থানার বাজারঘাটা গ্রামের মো. রমিজ আহম্মদর পুত্র মো. আব্দুল ওয়াহিদ (২২)।এছাড়া, টেকপাড়া গ্রামের মো. খুরশেদ আলম প্রকাশ খুরশেদ (২২), দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া গ্রামের মো. ইবনে হাসান জুয়েল (২৮), বৈদ্ধ্যঘোনা, মন্নাপাড়া গ্রামের মো. জুয়েল (২০) লিংকরোড সাধরপাড়ার মো. রাকীব মোল্লা (২০), আদশ গ্রামের মো. জোবায়ের ইসলাম সোহাদ (১৭), কলাতলী আদর্শ গ্রামের মো. তুষার (১৬), নতুন মুরাপাড়া গ্রামের মো. সফি প্রকাশ সাহেদ (২২) এবং মাইজপাড়া, ৫নং ওয়ার্ডের মো. জুয়েল (২১)।আটক ডাকাত দলের সদস্যদের প্রত্যেকেই কক্সবাজার জেলার সদর থানার বলে নিশ্চিত করেছে র্যাব।
২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:৫৮ এএম
কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে পর্যটক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে সি-সেইফ লাইফগার্ড কর্মীরা। ৩ ডিসেম্বর রোববার সকাল সোয়া দশটার দিকে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহতরা হলেন, নাটোর পৌরসভার বনপাড়া এলাকার বোরহান উদ্দিন আহমেদের ছেলে বকুল ও তার স্ত্রী সুলতান আলীর মেয়ে সুমি।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের উপ-পরিদর্শক চাঁন মিয়া ও এডিএম মো. ইয়ামিন হোসেন।হোটেল সী-গালের ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ রাব্বী বলেন, শনিবার সকাল ৯টা ৪০ এ তারা দু’জন আমাদের ৩২৭ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেন। রোববার সকালে গোসলের উদ্দেশ্যে দু’জন সৈকতে নামেন। কয়েক ঘন্টা পরও ফিরে না আসায় খোঁজ করতে থাকি। পরে শুনি দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।সী-সেইফের লাইফগার্ড সুপার ভাইজার ওসমান গণি বলেন, রোববার সকাল সোয়া দশটার দিকে খবর পেয়ে লাইফগার্ড কর্মীরা ভাসমান দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তাদের হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। দুইজনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০৭ এএম