কুয়াকাটা খালের দুই পাড়ে সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্যোগ, নকশা প্রণয়নে কর্মশালা
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: কুয়াকাটা পৌর এলাকায় অবস্থিত কুয়াকাটা খালের দুই পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধন ও পরিকল্পনা বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার শহর উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও জলবায়ু প্রতিরোধ (সিটিসিআরপি) প্রকল্পের আওতায় সমন্বিত এবং বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে এ সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুয়াকাটা পৌরসভা অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রকল্প বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরবান ডিজাইনার ও এডিবির কনসালট্যান্ট মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)র অর্থায়নে (এলজিইডি) এ কাজ বাস্তবায়ন করবেন। পৌর প্যানেল মেয়র মো. মনির শরীফ আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।কর্মশলায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক মো. মাহফুজ রহমান, প্যানেল মেয়র-২ মো. শহিদ দেওয়ান, বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান, পর্যটন উদ্যোক্তা হাসনুল ইকবাল, কাউন্সিলর তৈয়বুর রহমান, ফজলুল হক খান, আবুল হোসেন ফরাজী, মো. মজিবর রহমান, তুলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বারী আজাদ প্রমুখ।এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অর্ধশত মানুষ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় প্রকল্পের ধারণাগত নকশা প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন নিয়ে খোলামেলা মতামত গ্রহণ করা হয়। কুয়াকাটা খালের সৌন্দর্য বর্ধন করা হলে পর্যটকসহ স্থানীয়দের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ হবে এমনটাই জানিয়েছেন কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ।খালের দুই পাড়ের এক্সেস রোড, ফুটব্রিজ, র্যাম্প ওয়াকওয়ে, বোর্ডওয়াক, ৩টি ঘাট, বসার শেড, বোট রাইডিং, মাছ ধরা, ফ্লোটিং গার্ডেন, মার্কেট, রেস্তোরাঁ, আলোক সজ্জা, পাবলিক টয়লেট, পানীয় জলের ব্যবস্থা, মানচিত্র, নিরাপত্তা ক্যামেরা, বৃক্ষরোপণ, ঝর্ণা, ফুটব্রিজ, খাল খননসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্থান পেয়েছে প্রস্তাবিত এই নকশায়।জলবায়ু সহনশীল, সবুজ অবকাঠামো এবং প্রকৃতি ভিত্তিক পর্যটন নগরী গড়ে তুলতে এমন প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
