কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে গরীব, অসচ্ছল ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে নামমাত্র ৬ টাকায় ব্যাগভর্তি সবজি বিক্রি করেছে ‘ফাইট আনটিল লাইট’ (ফুল) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রমজান মাসের এই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে মাত্র ৬ টাকায় ব্যাগভর্তি সবজির বাজার কিনতে পেরে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সামনে এসব সবজি বিক্রির উদ্বোধন করেন উপেজলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ হোসেন ফাকু, সমাজসেবা অফিসার জামাল হোসেন, বিআরডিবি অফিসার মোস্তফা কামাল, সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদেরসহ অনেকে।উদ্বোধনী দিনে নাগেশ্বরী পৌরসভা এলাকার ২ শতাধিক হত দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে এক কেজি পরিমাণ আলু, এক কেজি পরিমাণ গাজর, এক কেজি পরিমাণ বেগুন, এক কেজি পরিমাণ ঢেঁড়স, এক কেজি পরিমাণ করলা, এক কেজি পরিমাণ শসা, একটি মিষ্ট কুমড়া ও একটি বাঁধাকপি বিক্রি করে সংগঠনটি। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০০ টাকা। মাত্র ৬ টাকার মধ্যে এতগুলো সবজি কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। তারা জানান, রমজানের এই ঊর্ধ্বমুখি বাজারে ৮ প্রকার সবজি তাদের সংসারে ৫-৭ দিনের সবজি বাজারের খোরাক জোগাবে।হতদরিদ্র সবিজি ক্রেতা আদরী বেগম ও জোসনা বেগম জানায়, তারা কখনও একবারে এত টাকার বাজার কিনতে পারেনি। আজ মাত্র ৬ টাকায় এতগুলো বাজার করতে পেরেছে বলে অনেক খুশি তারা। এসব বাজার ঘরে থাকলে তাদের কয়েকদিনের জন্য আর কাঁচা বাজার করতে হবে না।বাহাদুর আলী নামের আরেকজন ক্রেতা জানান, বর্তমান সময়ে ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে গেলে ব্যাগের তলাই ঢাকে না। সে জায়গায় আজ দরিদ্র মানুষরা মাত্র ৬ টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার পেলো। এমন উদ্যোগ আসলেই প্রশংসনীয়।ফাইট আনটিল লাইটের (ফুল) নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, গরীব, অসচ্ছল ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে আসছে আমাদের এই সংগঠন। এর আগে আমরা ২ টাকায় ৮০ টাকার ইফতার বিক্রি, ১০ টাকায় শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রিসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজ করেছি। এসব কার্যক্রম আমাদের অব্যাহত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা আজ নামমাত্র ৬ টাকায় সবজি বিক্রি করছি। আমরা এ উপজেলার ৩ হাজার পরিবারের মাঝে ৬ টাকার সবজি বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। আমরা মূলতঃ ত্রাণ প্রথা থেকে মানুষকে বেড়িয়ে এসে সম্মানের সাথে বাঁচবার জন্য ৬ টাকা করে সবজি বিক্রি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৫৭ এএম
কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার বৃহত্তম উপজেলা মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ড ও বাজার এলাকায় যানজট নিরসনে চমক দেখালেন মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ডক্টর আহসানুল আলম সরকার কিশোর।তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিজয়ী এ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে ও একই সঙ্গে তিনি মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছেন। বাজার ও মহাসড়ক এলাকায় অবৈধ দখল উচ্ছ্বেদ এবং ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের উৎপাতে অতিষ্ঠ ছিল এ এলাকার লোকজন। দখল উচ্ছেদ ও যানজট নিরসনে পূর্বের একাধিক উদ্যোগ কার্যকর হয়নি।এবার ব্যতিক্রমী চমক দেখালেন আওয়ামী লীগ দলীয় এ উপজেলা চেয়ারম্যান। তদবির বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে আপস করেননি তিনি। তার বাবা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর প্রথম উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে মুরাদনগরকে পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেন তিনি। নির্দেশনা বাস্তবায়নে সার্বক্ষণিক তদারকি করেন। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের দৃঢ়তায় কার্যকর হয় এমপির নির্দেশ। পাল্টে গেছে সমগ্র মুরাদনগরের চিত্র।উপজেলা পরিষদের কার্যালয় ও স্থানীয় দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘ কয়েক যুগের যানজট ভোগান্তি নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। লোক দেখানো অনেক উদ্যোগ নেয়া হলে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অংশের কোম্পানীগঞ্জ বাজার থেকে যানবাহন অপসারণ এবং ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের দাপটে অসহায় ছিল উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসন। তদবিরে জিম্মি ছিল সাধারণ মানুষ। কার্যকর উদ্যোগ নিতে গিয়ে অনেক বিড়ম্বনায় পড়ে প্রশাসন। এ নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেন এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও তার ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান ডক্টর আহসানুল আলম সরকার কিশোর।দলমত নির্বিশেষ কার্যকর উদ্যোগ বাস্তবায়নে সচেষ্ট হন তিনি। এমপির তদারকি ও কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সার্বক্ষণিক অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর সরকার। অভিযানে অংশ নেন বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থক ও নেতাকর্মীরা। দৃশ্যপট পাল্টে যায়। উপজেলা চেয়ারম্যানের ওই উদ্যোগ নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এ সড়কে যাতায়াতকারী একাধিক যাত্রী।এ ছাড়াও প্রভাশালী মহল নিয়ন্ত্রিত ফুটপাথের উৎপাত নিরসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এবার পরিচ্ছন্ন ড্র্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন এবং মুরাদনগরে দুই দিকে বেষ্টিত গোমতী নদীর সাথে সম্পৃক্ত সকল খাল দখলমুক্ত করার দাবি উঠেছে। যানজট নিরসনে সফলতার পাশাপাশি জলজট নিরসনের উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এ জনপদের লোকজন।
২২ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৮ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণখান থানাধীন ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের আজমপুর কাঁচাবাজার সংলগ্ন সিএনজি পাম্প এলাকায় রাস্তায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. খসরু চৌধুরী।১৫ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কাঁচাবাজার এলাকা পরির্দশনে এসে তিনি এ নির্দেশ দেন। ওই সময় ঢাকা-১৮ আসনের সড়ক ও ড্রেনের উন্নয়ন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন খসরু চৌধুরী এমপি।এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এস এম মাহবুব আলম, সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু, উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন, ৫০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিএম শামীমসহ দক্ষিণখান থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।খসরু চৌধুরী এমপি বলেন, জনগণের কল্যাণ ও তাদের সুখে দুঃখে আমৃত্যু পাশে থাকবো এটিই আমার অঙ্গীকার। কোনও অবহেলা সহ্য করা হবে না।
১৫ মার্চ ২০২৪ ০২:১৬ পিএম