বাবুল আকতার, খুলনা ব্যুরো: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, খুলনা মহানগরী এবং শহরতলীর মানুষের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের মাঝে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। তিনি বলেন খুলনায় পর্যাপ্ত খাস জমি নেই, একারণে জমি ক্রয় করে বহুতল ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করলে আবাসন সংকট নিরসন করা সম্ভব। রেলওয়ের জায়গা এবং যে সব সরকারি জায়গায় ছিন্নমূল মানুষ বসবাস করছে সেখানে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে এ সব মানুষ স্থায়ীভাবে আবাসন সংকটে পড়বে। এ কারণে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরী। ১৫ অক্টোবর রোববার দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘শহুরে অনানুষ্ঠানিক বসতিতে মৌলিক পরিসেবাসহ পর্যাপ্ত বাসস্থানের সুযোগ’- শীর্ষক অংশীজন সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।খুলনায় অনানুষ্ঠানিক বসতিতে বসবাসকারী মানুষের জন্য মৌলিক পরিসেবাগুলির প্রাপ্যতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বেসরকারি সংস্থা ‘হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি বাংলাদেশ’ এ সংলাপের আয়োজন করে। অনানুষ্ঠানিক বসতিতে বসবাসকারী মানুষদের সার্বিক সহায়তা প্রদান এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করাই ছিলো এ সংলাপের মূল উদ্দেশ্য।সংস্থার ন্যাশনাল ডিরেক্টর রায়আন লুই মাদ্রিদের সভাপতিত্বে সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কর তাজুল ইসলাম, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ পিইঞ্জ ও সমাজসেবা অধিদফতর-খুলনার বিভাগীয় পরিচালক মো. আব্দুর রহমান। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. আশিক উর রহমান।অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেসিসির কাউন্সিলর কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, আরিফ হোসেন মিঠু, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মনজুর মোর্শেদ, কেসিসির আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের এ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার শাহনেওয়াজ মেহেদী, সাংবাদিক এইচএম আলাউদ্দিন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মোহাম্মদ মোস্তফা, জিআইজেডের প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান, সিডিসি টাউন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান রোকেয়া রহমান, জেজেএসের নির্বাহী পরিচাল টিএম জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ ।অনানুষ্ঠানিক বসতিতে বসবাসকারীদের মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং জীবিকার জন্য প্রয়োজনীয়তাগুলি যে মানের হওয়া দরকার সেখানে বিভিন্নভাবে ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া বাসস্থান, পানীয় জল, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যবিধি, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও রয়েছে অনেক চ্যালেঞ্জ। এমনকি তাদের জীবনযাত্রার এ অবস্থা সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন তৈরি করতে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধক বলে সংলাপে জানানো হয়। শহুরে সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে বিদ্যমান অবস্থার উন্নয়নে কার্যকরী সমন্বয় এবং সহযোগিতার মাধ্যমে শহরের বস্তিসমূহে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করে নিম্ন আয়ের মানুষদের টেকসই আবাসনসহ মৌলিক পরিসেবা এবং আর্থ-সামাজিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জীবিকার অগ্রগতি করা সম্ভব বলে সংলাপে মতামত ব্যক্ত করা হয়। এ সকল মানুষের মৌলিক সুবিধাসহ সাশ্রয়ী মূল্যে পর্যাপ্ত আবাসনের জন্য সংলাপে উত্থাপিত পরামর্শ, মতামত ও প্রস্তাবনাসমূহ নগর উন্নয়নের কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিগণ বিবেচনায় আনবেন বলে সংলাপে প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:১০ এএম
বাবুল আকতার, খুলনা ব্যুরো: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, খুলনা মহানগরী এবং শহরতলীর মানুষের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের মাঝে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। তিনি বলেন খুলনায় পর্যাপ্ত খাস জমি নেই, একারণে জমি ক্রয় করে বহুতল ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করলে আবাসন সংকট নিরসন করা সম্ভব। রেলওয়ের জায়গা এবং যে সব সরকারি জায়গায় ছিন্নমূল মানুষ বসবাস করছে সেখানে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে এ সব মানুষ স্থায়ীভাবে আবাসন সংকটে পড়বে। এ কারণে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরী। ১৫ অক্টোবর রোববার দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘শহুরে অনানুষ্ঠানিক বসতিতে মৌলিক পরিসেবাসহ পর্যাপ্ত বাসস্থানের সুযোগ’- শীর্ষক অংশীজন সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।খুলনায় অনানুষ্ঠানিক বসতিতে বসবাসকারী মানুষের জন্য মৌলিক পরিসেবাগুলির প্রাপ্যতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বেসরকারি সংস্থা ‘হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি বাংলাদেশ’ এ সংলাপের আয়োজন করে। অনানুষ্ঠানিক বসতিতে বসবাসকারী মানুষদের সার্বিক সহায়তা প্রদান এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করাই ছিলো এ সংলাপের মূল উদ্দেশ্য।সংস্থার ন্যাশনাল ডিরেক্টর রায়আন লুই মাদ্রিদের সভাপতিত্বে সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কর তাজুল ইসলাম, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ পিইঞ্জ ও সমাজসেবা অধিদফতর-খুলনার বিভাগীয় পরিচালক মো. আব্দুর রহমান। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. আশিক উর রহমান।অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেসিসির কাউন্সিলর কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, আরিফ হোসেন মিঠু, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মনজুর মোর্শেদ, কেসিসির আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের এ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার শাহনেওয়াজ মেহেদী, সাংবাদিক এইচএম আলাউদ্দিন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মোহাম্মদ মোস্তফা, জিআইজেডের প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান, সিডিসি টাউন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান রোকেয়া রহমান, জেজেএসের নির্বাহী পরিচাল টিএম জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ ।অনানুষ্ঠানিক বসতিতে বসবাসকারীদের মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং জীবিকার জন্য প্রয়োজনীয়তাগুলি যে মানের হওয়া দরকার সেখানে বিভিন্নভাবে ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া বাসস্থান, পানীয় জল, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যবিধি, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও রয়েছে অনেক চ্যালেঞ্জ। এমনকি তাদের জীবনযাত্রার এ অবস্থা সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন তৈরি করতে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধক বলে সংলাপে জানানো হয়। শহুরে সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে বিদ্যমান অবস্থার উন্নয়নে কার্যকরী সমন্বয় এবং সহযোগিতার মাধ্যমে শহরের বস্তিসমূহে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করে নিম্ন আয়ের মানুষদের টেকসই আবাসনসহ মৌলিক পরিসেবা এবং আর্থ-সামাজিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জীবিকার অগ্রগতি করা সম্ভব বলে সংলাপে মতামত ব্যক্ত করা হয়। এ সকল মানুষের মৌলিক সুবিধাসহ সাশ্রয়ী মূল্যে পর্যাপ্ত আবাসনের জন্য সংলাপে উত্থাপিত পরামর্শ, মতামত ও প্রস্তাবনাসমূহ নগর উন্নয়নের কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিগণ বিবেচনায় আনবেন বলে সংলাপে প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:১০ এএম
বাবুল আকতার, খুলনা ব্যুরো: খুলনা মহানগরী ড্রেন ও রাস্তার চলমান উন্নয়ন কাজ বৃষ্টি ও প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে বিলম্বিত হচ্ছে। মানসম্মত নির্মাণ কাজের জন্য নগরবাসীকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। নির্মাণাধীন ড্রেনের জায়গায় ব্যক্তিগত কোন স্থাপনা থাকলে নগরের উন্নয়ন ও জনগণের স্বার্থে তা দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে। ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুরে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক একথা বলেন। অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম নতুন মেয়রকে দায়িত্ব বুঝে দেন।সিটি মেয়র আরও বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষদের সরকারি খাদ্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সবাই একত্রে কাজ করার ফলে জনগণের কষ্ট বহুলাংশে লাঘব হয়েছিলো। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শহর পেতে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির ময়লা নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে। নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।তিনি বলেন, ২০১৮ সালে মেয়র নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা নগরীর রাস্তাগুলোর উন্নয়নে ৬০৭ কোটি টাকা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও খাল সংস্কারে ৮২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। সে সকল কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। আগামীতে নগরীর যানজট নিয়ন্ত্রণে নিয়ম ও আইনের অধীনে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। অতিশিঘ্রই ময়ুর নদের উপরে ৪ লেন বিশিষ্ট ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। মানসম্মত উন্নয়ন কাজের জন্য জনগণকে সজাগ হতে হবে। কোন অনিয়ম হলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম মিরাজুল ইসলাম, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহসহ সরকারি-বেসরকারি দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে মেয়র ও কাউন্সিলররা নগর ভবন চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১১ অক্টোবর ২০২৩ ০২:১৪ পিএম
বাবুল আকতার, খুলনা ব্যুরো: খুলনা মহানগরী ড্রেন ও রাস্তার চলমান উন্নয়ন কাজ বৃষ্টি ও প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে বিলম্বিত হচ্ছে। মানসম্মত নির্মাণ কাজের জন্য নগরবাসীকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। নির্মাণাধীন ড্রেনের জায়গায় ব্যক্তিগত কোন স্থাপনা থাকলে নগরের উন্নয়ন ও জনগণের স্বার্থে তা দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে। ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুরে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক একথা বলেন। অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম নতুন মেয়রকে দায়িত্ব বুঝে দেন।সিটি মেয়র আরও বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষদের সরকারি খাদ্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সবাই একত্রে কাজ করার ফলে জনগণের কষ্ট বহুলাংশে লাঘব হয়েছিলো। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শহর পেতে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির ময়লা নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে। নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।তিনি বলেন, ২০১৮ সালে মেয়র নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা নগরীর রাস্তাগুলোর উন্নয়নে ৬০৭ কোটি টাকা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও খাল সংস্কারে ৮২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। সে সকল কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। আগামীতে নগরীর যানজট নিয়ন্ত্রণে নিয়ম ও আইনের অধীনে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। অতিশিঘ্রই ময়ুর নদের উপরে ৪ লেন বিশিষ্ট ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। মানসম্মত উন্নয়ন কাজের জন্য জনগণকে সজাগ হতে হবে। কোন অনিয়ম হলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম মিরাজুল ইসলাম, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহসহ সরকারি-বেসরকারি দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে মেয়র ও কাউন্সিলররা নগর ভবন চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১১ অক্টোবর ২০২৩ ০২:১৪ পিএম