মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: শাবিপ্রবি এবং নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রতিবাদে গণ-ইফতার করেছে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ১৩ মার্চ বুধবার রমজানের দ্বিতীয় দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান্নান হলের পাশের মাঠে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গণ-ইফতার করার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা।গণ-ইফতারে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, নোবিপ্রবি ও শাবিপ্রবিতে ইফতার পার্টি নিষেধ করার প্রতিবাদে আমরা গণ-ইফতার আয়োজন করেছি। পবিত্র রমজানে ইফতার পার্টি করা আমাদের ঐতিহ্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় যে নোটিশ দিয়েছে, তা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও চেতনার বিরোধী। সে জায়গা থেকে আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমরা আজকের গণ-ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করেছি, যাতে দেশজুড়ে ইফতার মাহফিলের সংস্কৃতি আরো বেশি ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবিষ্যতে এমন অপ্রীতিকর সিদ্ধান্ত যেন কোনো ক্যাম্পাস থেকে না আসে।সে সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে এবং বিভিন্ন মহলের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই নোবিপ্রবি ও শাবিপ্রবি প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে।শাবিপ্রবি প্রশাসন জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়া যে কেউ ইফতার-মাহফিল করতে পারবে। সেখানে কোনো বাধা থাকবে না।
১৩ মার্চ ২০২৪ ০২:৩২ পিএম
জাবি প্রতিনিধি: দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টি আয়োজনে নিষেধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরবগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।১৩ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯তম আবর্তনের (২০১৯-২০২০শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।ইফতার কর্মসূচির আয়োজকদের একজন গণিত বিভাগের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাফায়েত মীর বলেন, দেশের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় আবেগ ইফতার মাহফিল নিষিদ্ধ করার যে দুঃসাহস দেখিয়েছে, তারই প্রতিবাদের আজকের এই আয়োজন। যারা অসাম্প্রদায়িক দেশে এমন সাম্প্রদায়িক আচরণ করেছে, তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।রসায়ন বিভাগের ৪৯তম আবর্তনের আরেক শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সবাই মিলে উৎসবমুখর হয়ে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় সে রেওয়াজের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমাদের চিরায়ত চেতনায় আঘাত করেছে। আমরা তারই প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ইফতারের আয়োজন করেছি। বিভিন্ন বিভাগের শত শত শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল প্রতিবাদের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন।এতে অংশ নিয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল চৌধুরী বলেন, রমজান মাসে সম্মিলিত ইফতার খুব সাধারণ একটি ব্যাপার। এটাকে সবাই মিলে উপভোগ করার একটা ব্যাপার থাকে। কিন্তু সম্প্রতি দেশের দুটি বিশ্বিবদ্যালয়ে যা দেখা গেল, তা আমাদের ভাবিয়ে তোলে। আমি ও আমার মত অনেক শিক্ষার্থী এ আয়োজনে অংশ নিয়েছি সেই ভাবনা থেকে।আরেক শিক্ষার্থী ফারুক হাসান বলেন, আমরা সবাই মিলে সম্প্রীতির এ ইফতারে অংশ নিতে পেরে অনেক আনন্দিত। আমি আশা করি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে যে প্রতিবাদী সাড়া দেখিয়েছে তা সামনের দিনগুলোতেও অব্যহত থাকবে।এর আগে গত ১০ ও ১১ মার্চ র্পথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দেয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৩ মার্চ ২০২৪ ০২:১৬ পিএম