বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এবং বিদ্যালয় গেটে চলছে বিড়ি, সিগারেট ও পানের দোকান। প্রকাশ্যেই বিদ্যালয়েরর মধ্যে ধুমপান করছেন অনেকে। ফলে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে।সরেজমিনে দেখা যায়, ২ নং আঠারবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বসেছে গরুর হাট। গরুর ব্যাপারিদের হাক-ডাকে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। জটলা বেধে ধুমপান করছে কয়েকটি গ্রুপ। স্থানীয় এক যুবক এখানে পান-বিড়ি-সিগারেটের দোকান দিয়ে বসেছে। আখের রস বিক্রি করছে আরেকজন বিক্রেতা। বসেছে আরও অনেকগুলো অস্থায়ী দোকান। বিদ্যালয় খোলার দিনেই এভাবে গরুর হাট বসানোয় শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।বিদ্যালয় সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। সেখানে কথা হয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেনের সাথে। বিদ্যালয়ে গরুর হাট এবং প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেটের দোকানের ব্যপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি আশ্চার্য হন এবং এমন কিছু দেখেননি বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।বিদ্যালয়ের প্রধান মিক্ষক মো. আওয়ালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রতিবেদকের সামনেই ঐ বিড়ি-সিগারেটের দোকানিকে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বসতে নিষেধ করেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা পারভিনকে কল করা হয় বিষয়টি জানাতে। তিনি ট্রেনিংয়ে আছেন বলে কলটি কেটে দেন। পরবর্তিতে তিনি আর প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করেন নি।উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে নিয়মিত গরুর হাট বসানোয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ কয়েকবার সংবাদ প্রচারিত হয়। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারনে প্রশাসন এ হাট স্থানান্তরে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। স্থানীয় বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন এ গরুর হাট থেকে প্রশাসনের সবাই লাভবান হচ্ছে বলেই কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিদ্যালয়ের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটলেও কারোই যেন নেই মাথা ব্যথা ।
০২ আগস্ট ২০২৩ ০১:০৮ পিএম
মেহেদী হান্নান, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি: আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভোলার চরফ্যাশনে জমে উঠেছে কোরবানির গরুর হাট। ইতোমধ্যেই এসব হাটগুলোতে বিভিন্ন জাতের গরু-ছাগলের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় হাট ইজারাদার তাদের নিজস্ব লোকজন প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। এবারের ঈদের হাটগুলোতে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা থাকলেও বড় গরুর দাম ভালো নেই বলে জানিয়েছে খামারিরা।সরেজমিনে ১৬ জুন শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চরফ্যাশন গরুর হাট। সপ্তাহে সাধারণত দুইদিন শনিবার ও মঙ্গলবার এখানে হাট বসে। কিন্তু কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই এখানে বিভিন্ন জাতের গরু-ছাগলের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে। আসা শুরু করেছে ক্রেতারাও। চলছে বেচাকেনা।উপজেলার দুলারহাট গরুর হাটে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। এবার এই হাটে গরু-ছাগলের পাশাপাশি অনেক ভেড়াও যোগ হয়েছে। হাটে বেচাকেনা জমে উঠেছে পুরোদমে। বিক্রেতারা জানান, এই হাটে এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে দেশী গরু।উপজেলার দক্ষিণ আইচা, শশিভূষণসহ বিভিন্ন এলাকায়ও দেখা গেছে একই চিত্র।এদিকে এ বছর গরু-ছাগলের দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম লক্ষ করা যাচ্ছে। এতে সন্তষ্ট নয় খামার ও গরু ব্যবসায়ীরা। যথাযথ মূল্য না পাওয়াতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে কোরবানির পশু কিনছেন মানুষ।গরু ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ জানান, উপজেলার পশুর হাটগুলোতে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশি পশু আসছে। হাটে ছাগলের আমদানীও যথেষ্ট। এ হাটে গত কয়েক হাটের তুলনায় বিক্রিও অনেক বেশি। হাটে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা। সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার গরু ও ২৬ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে বলেও জানা গেছে।ছাগল ও ভেড়া বিক্রি হয়েছে অনেক বেশি। দাম ৭ হাজার টাকা থেকে ২৬ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা মূল্যের ছাগল অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে বলেন জানান তিনি।গরুর হাট ইজারাদাররা এশিয়ান টিভি অনলাইনকে জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ক্রেতারা তাদের সাধ্যের ভিতরে কোরবানির গরুর কিনতে পারবে। তবে পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কোন সমস্যা হবে না বলেও আস্বস্ত করেন তারা।
১৬ জুন ২০২৩ ০১:৫৬ পিএম