সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে দুজন দগ্ধের ঘটনা ঘটেছে। দগ্ধরা হলেন মোছা. আইরিন (৩২) ও মোছা. জান্নাত (২৪)।২১ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে সানারপাড় এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির রান্নাঘরে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, রান্নাঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে রাতেই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।দগ্ধ আইরিনের স্বামী রুবেল জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন তারা। বৃহস্পতিবার রাতে রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে রান্না ঘরে থাকা তাঁর স্ত্রীসহ জান্নাত নামে এক প্রতিবেশীর স্ত্রীও দগ্ধ হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে দুই নারীকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, গতকাল রাতে আমরা এ ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ডেমরা ফায়ার সার্ভিস থাকায় খবর পেয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যান। এ ঘটনায় দুইজন দগ্ধ হয়েছেন বলে জানান তিনি।
২২ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৯ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে শাহজালাল হোটেলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে চারজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন আব্দুল হান্নান (৪০), মো. সবুজ (২৪), মো. মারুফ (১৬) ও মো. জুলহাস (১৮)।এর মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট এবং একজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।২০ মার্চ বুধবার সন্ধ্যার দিকে এ অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে।পরে দগ্ধ সবুজ, মারুফ ও জুলহাসকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। হান্নানকে ভর্তি করা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার দিকে মালিবাগ থেকে দগ্ধ অবস্থায় চারজনকে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে সবুজ ২৭ শতাংশ, মারুফ ১৮ শতাংশ এবং জুলহাস ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। এছাড়া হান্নান নামে একজনের শেখ হাসিনা বার্নের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে। তার শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তাদের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মালিবাগ মোড় এলাকার একটি হোটেলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে তিনজন ঢাকা মেডিকেলের বার্নে এসেছেন। তাদের ভর্তি নেওয়া হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাদের তিনজনের হাত-মুখ ও পা দগ্ধ হয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দগ্ধদের অবস্থা সংকটমুক্ত নয়।
২১ মার্চ ২০২৪ ০১:৩১ এএম
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় অনুমোদন ছাড়া যত্রতত্র এলপিজি সিলিন্ডার ও পেট্রল বিক্রি করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। সরকারের আবাসিক গ্যাসের সংযোগ না থাকায় ভালুকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে সিলিন্ডার ভর্তি লিকুইড প্রেট্রোলিয়াম গ্যাসে (এলপিজি) রান্নার প্রচলন। আর এতে মফস্বলের দোকান গুলোতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার ভর্তি এলপিজি গ্যাস।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করেই চালিয়ে যাচ্ছেন এই ব্যবসা। নেই প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রও। উন্মুক্ত ও অরক্ষিতভাবে রাখা ওইসব সিলিন্ডার থেকে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। রয়েছে নিম্নমানের সিলিন্ডারে গ্যাস বিক্রির অভিযোগ।সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গে এক লিটার, দুই লিটারের কোমল পানীয়ের বোতলে পেট্রল বিক্রিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব দোকানে দাহ্য পদার্থ রাখার কোনো লাইসেন্স নেই। পৌরসদর ঘুরে ওষুধ, মুদি, মনিহারিসহ বিভিন্ন দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করতে দেখা গেছে।নিয়ম অনুযায়ী, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও মজুত করতে ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেওয়ার বিধানও রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ম এখানে মানা হচ্ছে না। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।বিস্ফোরক পরিদফতরের নিয়ম অনুযায়ী, খুচরা দোকানে বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে কেবল ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স নিলেই হবে। ১০টির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক পরিদফতরের অনুমতি লাগবে। অথচ কোনো ধরনের লাইসেন্স ছাড়াই গ্যাস সিলিন্ডার (এলপিজি) বিক্রির ব্যবসা পরিচালনা করছে।পেট্রোলিয়াম মজুত আইন ২০১৮-তে বলা হয়েছে, কোনো পেট্রোলিয়াম মজুতাগার, স্থাপনা, ফিলিং স্টেশন, ড্রাম, ট্যাংক, শোধনাগার ও পরিবহন যানে ‘ধূমপান বা আগুন নিষিদ্ধ’ সতর্কবাণীসংবলিত সাইনবোর্ড বা লেবেল লাগাতে হবে। ২০০৪ সালের এলপিজি মজুত সংরক্ষণ আইনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত কেউ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করতে পারবে না। গ্যাস সিলিন্ডার মজুত স্থান সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেখানে কোনো প্রকারের আগুন বা বৈদ্যুতিক সংস্পর্শ না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।সরজমিনে পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আইন অমান্য করে লাইসেন্স ছাড়াই অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মুদি দোকান, মাছের খাদ্যের দোকানসহ রাস্তার সাইডে খোলা জায়গায় রেখে বিক্রি করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতেও উন্মুক্ত ভাবেই বিক্রি করা হচ্ছে ওইসব গ্যাস সিলিন্ডার। দোকানগুলোতে নেই ফায়ার সার্ভিসের কোনো অনুমতিপত্র। এসব প্রতিষ্ঠান বাজারের মুদি মালের মত দোকানে সিলিন্ডার বিক্রি করছে।গ্রমের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুদি দোকান, আবাসিক ভবন, পানের দোকান, ঝুপড়ি, চায়ের দোকান, এমনকি ওষুধের দোকানেও অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রল। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশসহ জনবহুল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে এলপিজি সিলিন্ডার ও পেট্রল বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ দোকানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই।ভালুকা-গফরগাও রোডে মুদির দোকানের সামনে একটি টেবিলের ওপর বোতলে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দাহ্য পদার্থ পেট্রল। জানতে চাইলে দোকানি বলেন, সড়কে চলাচলরত মোটরসাইকেল আরোহীরা এখান থেকে পেট্রল কিনে থাকেন। চাহিদার কারণে দোকানে পেট্রল বিক্রি করা হচ্ছে। বিস্ফোরক লাইসেন্স প্রয়োজন হয় কী না, জানা নেই।লাইসেন্সবিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রোল বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমান জানান, আমরা অগ্নি নিবারনের কাজ করে থাকি। এবিষয়ে লাইসেন্স শাখা অথবা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। উনারা ভালো বলতে পারবে।পরবর্তিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ময়মনসিংহ সহকারী পরিচালক মাসুদ সরদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে মহাপরিচালককের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন।
১৪ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৩ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করেছে। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৩৩ টাকা থেকে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।৪ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেল ৩ টায় নতুন দাম ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এলপি গ্যাসের নতুন দাম সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর করা হবে।এর আগে, জানুয়ারি মাসে এলপি গ্যাসের দাম ১ হাজার ৪০৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি।বিইআরসির ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে মূসকসহ প্রতি কেজির মূল্য ১২২ টাকা ৮৬ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। এছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ প্রতি কেজির মূল্য ১১৯ টাকা ৪ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।এদিকে, মূসকসহ অটোগ্যাসের প্রতি লিটারের মূল্য ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২:৫৮ পিএম
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার: সাভারের আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদির দোকানেও বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে মানা হচ্ছে না কোনো প্রকার নিয়ম-নীতি। নিয়ম অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে কান্দাইল রাজা-বাদশা মার্কেটে মালিকের যোগসাজশে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার।১৭ সেপ্টেম্বর রোববার বিকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশুলিয়ার নরসিংহপুর, জিরাবো, সরকার মার্কেট, জামগড়া, চিত্রশাইল, ইউসুফ মার্কেট ও কান্দাইল রাজা-বাদশা মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার।এর আগে জামগড়ার তেতুলতলা ও কাঠগড়া এলাকায় এক বোতল থেকে অন্য বোতলে গ্যাস রিফিল করতে গিয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এরপরেও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে অনেকে মানছেন না কোনো নিয়ম-নীতি। ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।নিয়ম অনুযায়ী, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও মজুত স্থানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতারও। এ ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়ার বিধানও রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ম অনেকেই মানছে না। এর ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, খুচরা দোকানে বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যায়। ১০টির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করতে হবে।এরকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে আশুলিয়ার কান্দাইলের রাজা-বাদশা মার্কটে মুদি দোকানদার হাফিজুল ইসলাম তার মুদি দোকানের সামনে ১০টি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সারি করে সাজিয়ে রাখলেও তার পাশের রুমগুলোতে মজুত রেখেছেন শত শত গ্যাস সিলিন্ডার।এ ব্যাপারে দোকান মালিক হাফিজুল অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ঘটনা স্বীকার করে বলেন, আমি প্রায় একবছর ধরে এভাবে সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছি। আমার কাছে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর অন্য কোনো কাগজপত্র নেই। এক্ষেত্রে আমার নিয়ম-কানুন জানা নেই।প্রথমে রাজা-বাদশা মার্কেটের মালিক রাজা মিয়া এসে সাংবাদিকদের সাথে উগ্র আচরণের কথা বলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে তার আপন ভাই বাদশা মিয়ে ভুল স্বীকার করে তিনি বলেন, ১০টির অধিক সিলিন্ডারের ব্যবসা করতে হলে খোলামেলা জায়গা, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বিস্ফোরক ও ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স প্রয়োজন এগুলো আমি জানি না, জানলে আমি তার কাছে রুম ভাড়া দিতাম না। হাফিজুলকে এখান থেকে বোতলগুলো সরিয়ে নিতে বলেছি।পার্শ্ববর্তী এলাকার হারুন-অর-রশিদ নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমি ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে লাইসেন্স হাতে পাবো। এছাড়া তার কাছে অন্য কোনো লাইসেন্স নেই বলে সে স্বীকার করেন।এ বিষয়ে ডি-ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজিং ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম বলেন, ইয়ারপুর ইউনিয়ন যেহুতু আমি দেখিনা সেহেতু কিছু বলতে পারছি না। তবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সিলিন্ডার মজুত করা যাবে না। মজুত করতে হলে খোলামেলা জায়গা লাগবে, যাতে পরিবেশটা ঠান্ডা থাকে। আর সাময়িকভাবে ফায়ার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রয়েছে বলেও তিনি জানান।এ ব্যাপারে কথা হয় ঢাকা বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরির্শক সানজিদা আক্তারের সাথে। তিনি বলেন, কেউ যদি ১২৫ কেজির উপরে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করে রাখে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে। আমাদের এখানে কেউ যদি ইনফর্ম করে তাহলে আমরা পদক্ষেপ নিবো।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:৩৪ এএম