রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরায় ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আলগী বাজার শাখার প্রায় ৮ কোটি টাকা নিয়ে উদাও হয়েছেন এজেন্সি ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম। ২৭ জানুয়ারি শনিবার এ বিষয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম পাঠিয়েছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।তদন্ত টিমের প্রধান হলেন এম এ মান্নান। তিনি শনিবার দুপুরে অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিনে আসেন আলগী বাজারের ওই এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায়।এ সময় তিনি ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে কথা বলেন। তদন্ত টিম আসার খবরে আশার আলো দেখছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আলগী শাখাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই গ্রাহকরা এসে ভিড় জমাচ্ছেন শাখাটির সামনে। শনিবারও তদন্ত টিম আসার খবরে ব্যাংকটির সামনে এসে ভিড় জমিয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন অনেক গ্রাহক।
২৮ জানুয়ারী ২০২৪ ০২:০৯ এএম
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরায় ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আলগী বাজার শাখার প্রায় ৮ কোটি টাকা নিয়ে উদাও হয়েছেন এজেন্সি ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম। ২৭ জানুয়ারি শনিবার এ বিষয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম পাঠিয়েছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।তদন্ত টিমের প্রধান হলেন এম এ মান্নান। তিনি শনিবার দুপুরে অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিনে আসেন আলগী বাজারের ওই এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায়।এ সময় তিনি ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে কথা বলেন। তদন্ত টিম আসার খবরে আশার আলো দেখছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আলগী শাখাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই গ্রাহকরা এসে ভিড় জমাচ্ছেন শাখাটির সামনে। শনিবারও তদন্ত টিম আসার খবরে ব্যাংকটির সামনে এসে ভিড় জমিয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন অনেক গ্রাহক।
২৮ জানুয়ারী ২০২৪ ০২:০৯ এএম
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এক এজেন্ট গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন। শনিবার থেকে বন্ধ রয়েছে ওই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের দোকান। এরই মধ্যে ওই এলাকার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এরিয়া ম্যানেজার বিষপানে মারা গেছেন। পরিবারের অভিযোগ, রিজিওয়নালের (আরএম) চাপে তিনি আত্মহত্যায় বাধ্য হয়েছেন।মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল কাইয়ুম (৪৫)। তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রামনগর মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কাইয়ুম এরিয়া ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন। তার অধীনে রায়পুরায় ৩০টি আউটলেট (এজেন্ট শাখা) ছিলো।নিহতের বড় মেয়ে কানিজা খানম কনক জানান, ২০ জানুয়ারি শনিবার রাতে কাইয়ুম বিষপান করেন। পরে ২২ জানুয়ারি সোমবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার পরিচালকের নাম শহিদুল ইসলাম লিটন। তার বাড়ি একই উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে। দোকান বন্ধের পর থেকে তিনি এখনও পলাতক। তার প্রতিষ্ঠানের নাম সততা এন্টারপ্রাইজ।কাইয়ুমের স্ত্রী ও কন্যা জানান, আলগী বাজার আউটলেটে গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার পর থেকেই কাইয়ুমের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন ব্যাংকটির আরএম রেদোয়ান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।এক পর্যায়ে রেদোয়ান গ্রাহকদের সব টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে তার কাছ থেকে একটি স্ট্যাম্পে সই নেন। বার বার কর্তৃপক্ষের এমন চাপ সইতে না পেরে কাইয়ুম শনিবার সকালে বিষপান করেন। কিছুক্ষণ পর স্বজনরা টের পেয়ে প্রথমে তাকে ভৈরবের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে ঢামেকে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান।এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ব্যাংকের আর আম দেওয়ান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
২৪ জানুয়ারী ২০২৪ ০৩:৩৯ এএম
স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ থেকে: প্রগতি বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড ও প্রিয়জন সমিতি সংঘ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নের শত শত গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে প্রগতি বহুমুখী সমবায় সমিতি ও প্রিয়জন সমিতি সংঘ নামের ২টি প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রণব হালদার (৪৫)। পাওনা টাকার জন্য গ্রাহকেরা সমিতির বন্ধ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন।স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর পূর্বে মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নের বানিয়ারচর এলাকার বাসিন্দা প্রণব হালদার বানিয়ারচর বাজারে তার নিজস্ব দোকানে প্রগতি বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড ও প্রিয়জন সমিতি প্রিয়জন সংঘ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। এক সময় তিনি ব্র্যাকে কাজ করতেন। মাসিক ৬০০ টাকা করে সঞ্চয় করলে ২ বছর শেষে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রণব হালদার কোটি কোটি কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। সেই টাকা আত্মসাৎ করে ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে কার্যালয়ে তালা দিয়ে পালিয়ে যান প্রতারক প্রণব হালদার। সকালে গ্রাহকরা পাওনা টাকা নিতে এবং সঞ্চয় জমা দিতে এসে কার্যালয় বন্ধ দেখতে পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত নারী, পুরুষ গ্রাহক এসে ভিড় করেন বন্ধ কার্যালয়ের সামনে। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।হিরন্ময় নামে এক গ্রাহক বলেন, এখানে আমি, মেয়ে, ছেলে, ছেলের বউ, মেয়ে জামাই, নাতিসহ পরিবারের সদস্যরা টাকা জমিয়েছি। কিন্তু শনিবার সকালে এসে দেখি, কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। আমাদের পরিবারের প্রায় ৩০ লাখ টাকা জমা ছিল।প্রেমানন্দ হালদার বলেন, এই কোম্পানিতে আমার ৪৫ লাক্ষ টাকা জমিয়েছি। সারা জীবনের সঞ্চয় খেয়ে না খেয়ে এখানে জমা করেছি। আমার কষ্টের টাকা নিয়ে ওরা পালিয়েছে।বিধান ভক্ত বলেন, আমার জমানো ১৪ লক্ষ টাকা এভাবে বিলীন হয়ে যাবে? আমি রাষ্ট্রের কাছে টাকা ফেরত চাই এবং প্রণবের শাস্তি চাই।বাবু গাইন সাংবাদিকদের জানান, লাভের আশায় ১০ লক্ষ টাকা প্রণব হালদারের সমিতিতে জমা রেখেছিলাম। প্রণব আমার টাকাগুলো এভাবে মেরে দেবে? আমি আমার টাকা ফেরত চাই এবং প্রণবের বিচার চাই।মার্থা সাহা নামে এক নারী চা বিক্রেতা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার চা বিক্রির আর আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের ভাতার টাকা প্রগতি সমিতিতে জমিয়েছি। আমার প্রায় ২ লাখ টাকা পাওনা। ১০ সেপ্টেম্বর রোববার লাভসহ পাওনা দেওয়ার কথাছিলো। এসে দেখি কার্যালয় তালাবদ্ধ। পরে জানতে পারি, শনিবার গভীর রাতে প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রণব হালদার আমাদের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।গোপালগঞ্জ জেলা সমবায় অফিসার মো. নবীউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা আমার জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৩৯ এএম